কাহিনী সংক্ষেপঃ ঢাকার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি আবুলের একমাত্র মাইয়া আলেয়া (অপু বিশ্বাস)। উচ্চশিক্ষার লেইগা কেলাস টু থেইক্কাই আমেরিকায় রইছে। ওইদিকে জিঞ্জিরার স্থায়ী বাসিন্দা, ঠেলাগাড়ির টায়ার মেরামতকারী ইদ্রিস মোল্লার ১২তম পুলা ফিডারখো্র কুদ্দুইচ্চাও (ছাকিপ কান) s.s.c পাস করনের পর থেইক্কা কানাডায় বই ঘাটাঘাটি করতাছে। (চিন্তা করতাছেন, “টায়ার মেরামতকারীর পুলায় কানাডায় কেমনে পড়ে?” ভাই, বাংলা ছিঃনামায় সব সম্ভব)। এরপর একদিন দুইজনেই একই তারিখে, একই টাইমে, ভিন্ন ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তশরিফ নিয়া আহে। মাইয়ারে নেওনের লেইগা আবুইল্লায় আনলো ব্র্যান্ড নিউ পাজেরো। আর ১২তম পুলা ফিডারখো্র কুদ্দুইচ্চারে নিতে ইদ্রিস্যায় আনলো সদ্য মেরামতকৃ্ত টায়ারের ঠেলাগাড়ি। আত্মীয়স্বজনরে দেইখ্যা কাকতালীয়ভাবে দুইডাই হুশজ্ঞানের মাথা খাইয়া কুত্তাদৌড় দেয়। (কাহিনী এট্টুকু হইলে সব বাংলা ছিঃনামাতেই ধাক্কা লাগনের দৃশ্য চোখে পরে। এইহানেও ব্যতিক্রম না)। সেই থেইক্কা ভালোলাগা, ভালোবাসা ইত্যাদি শুরু। অতঃপর একদিন আলেয়া তার অজানাতম জন্মদিনে ফিডারখো্র কুদ্দুইচ্চারে দাওয়াত দেয়। নিজের সবচাইতে দামি সেন্ডো গেঞ্জি আর লুঙ্গি পইরা কাছা মাইরা ভাব মারতে অনুষ্ঠানে যোগদান করে ফিডারখো্র কুদ্দুছ। ঘরে ঢুইক্কাই আলেয়ার কোলে একটা ছোট বেবী দেইখ্যা ফিডারখো্র কুদ্দুইচ্চার নজর ছানাবড়া।
-আলেয়া আ আ আ …!!!!! এইডা কি তুমার বেবী?
–না কুদ্দুছ না……!!! তুমি আমারে রং বুইঝোনা।এইডা আমার মামতো ভাইয়ের তালতো শশুরের মাইয়ার ঘরের একমাত্র নাতি।
-ও আইচ্ছা!!, এইডাতো আগে কইবা।
পুলাডার মুখের ফিডার দেইখ্যা ফিডারখো্র কুদ্দুইচ্চার লালা আর ধরেনা। নজরলজ্জা ভুইল্যা গিয়া পিচ্চি পুলাডার থেইক্কা ফিডারটা কাইরা নিয়া নিজের মূখে দেয় ফিডারখো্র কুদ্দুছ। কিন্তু খোদার লীলাখেলা বুঝার সাধ্য কার আছে? আল্লাহ পুলাডার যবান খুইল্লা দিলেন। আর অমনি পিচ্চি পুলাডায় কয়া উঠলো “ফিডার দিবি কিনা বল”।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪১