রাত ৮টার দিকে বাইরে বাইরৈছিলাম। চোঁখ ধাধাল রাস্তার পাশে সদ্য গড়ে ওঠা কিছু ফুলের দোকানের চমকপ্রদক লাইটিং দেখে। মনে মনে ভাবছি তখন, “আরে মগা!! কিয়ের লাইটিং দেক্তাছোছ রে।। ?? ফুল দেখ।”
অনিচ্ছা সত্বেও মনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে তার কথায় সায় দিয়ে এক কিনারায় খাড়ায়া ফুল দেক্তে লাগলাম।। আহাঃ কি রূপ তার, ওর, ওটার, এটার, গোলাপের।
আচ্ছা! ফুল দেখে তোর লাভ কি রে? (মাঝে মাঝে “মন” বন্ধুর এরূপ দুমুখি প্রশ্নে আমার বেসম্ভপ পরিমানে রাগ উটে যায়।)
তবে মাথায় প্রশ্নটার বাতাস বয়ে গেলু। আসলেই তো, ফুল দেকে লাভ কি? কিনার সিদ্ধান্ত নিলে পরে দেকেশুনে যাচাইবাছাই করার একটা কতা ছিল। কিন্তু ফুল কিনব কেনু? কাকে দিমু ফুল? বালুবাসা দিপসে ফুল দেওনের মত কে আছে আমার?
রাত ৮.৫৭ মিনিটে একজনের কল আমার মুফাইলে তশরিফ নিয়াইলো।
- হুম!!
- কৈ আপ্নে?
- বাসায়।
- আমাকে ফুল দিবেন না?
- দিমু
- কখন?
- কালকে
- “অমুক” এর কি খবর? ফুল দিবেন না অরে?
- অয় কাছে থাকলে তো দিমু
- আচ্ছা! মোবাইলে টাকা পাঠায়েন তো।
- আচ্ছা, একটু দেরি হৈব
- দেরি-টেরি বুঝিনা। এক্ষন পাঠান।
- আচ্ছা
টুঃ টুঃ টুঃ রেখে দিল ওপাশ থেকে।
পাইছি!!! বালুবাসা দিপসের কাজ পাইছি!! ফুল কিনা। যেহেতু কতা দিছি যে তারে ফুল দিমু। অন্তত তার জন্য হলেও একটা ফুল আমারে কিনতে হৈব। তবে আরো একটা ফুল কিনার কতা ভাবছি। অইটা রাইক্ষা দিমু অনন্তকাল। নাহ! অনন্তকাল রাখমুনা নিজের কাছে। যেদিন দেওনের মত কাউরে পামু, ওদিন তারে ফুলটার দায়িত্ব বুঝাই দিমু। সেই অবধি হয়ত ফুলটা শুকাইয়া যাইব। অছুবিথা নাই তাতে।।