সকাল ৬:৩০। সদ্য গড়ে ওঠা অস্থায়ী ফুলের দোকানে আমি আর দোকানদার ছাড়া কেউ নাই।
আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল, "বেঁচাকেনা শুরু কর্ছেন নি..?"
দোকানির উত্তর, "গতকাইল থেইকাই তো অল্প অল্প বেঁচাকিনা চলতাছে।"
অতঃপর গোলাপের দাম জিগাইলাম। নাহ!! এ হতে পারেনা। দাম এত কম ক্যা??। :o
দোকানদারের ভাষ্যমতে আমি অদ্যরোজের পের্থম কাষ্টমার, তাই আমার কাছে দাম কম রাখপে। দিন বাড়ার সাথে সাথে দামও দাড়তে থাকপে। দ্বীগুণ, তিনগুণ ছাড়িয়ে যাবে দাম।
নিজেকে ভাগ্যবান মনেহল।
আচ্ছা, দোকানি বুঝল ক্যাম্নে যে আমি ফুল নিতে আইছি। সাংবাদিকও তো হৈতে পারি।
- কয়টা নিবেন গোলাপ?
- ৩টা
- আচ্ছা আপ্নে বাইচ্ছা নেন।
নিলাম। সাথে আরো কিছু বাড়তি লতাপাতা জুড়ে দিতে বল্লাম।
খুপ যত্ন সহকারে ৩টা গোলাপ আর বাড়তি লতাপাতা দিয়া ১টা তোড়া বানাই দিলেন। মনে মনে কৈ, তোড়া বানাই লাভ কি? তোড়া তো খুলতে অইবো। ৩টা ফুল কি আর একজনরে দিমুনি।
ফুলসহ বিদায় নেওয়ার সুমায় দোকানি আমাকে ভদ্রতা দেখাইলো না। বললনা, আবার আসপেন। তবে আমি বলে আসলাম..
- ছমছ্যা কি জানেন?
- কি?
- এগুলা বাসায় নিয়া লুকাই রাখা।
ঘুমঘুম চোঁখে, সেই ক্লান্ত মলিন মুখেও দোকানি সুন্দর একটা হাসি দিল।