৪ মার্চ ২০১৪ .. রাত ২.৩৮
রাত ৮.২০। (৩ মার্চ ২০১৪) ছাদে ওঠার সাততলার অব্যাবহৃত অন্ধকার সিড়িতে একা বসে আছি। জায়গাটা নিয়ে কারো কারো ভয় আছে। কারন স্থানটা অনেকটাই ভূতুরে। তবে আমার তখন একদমই ভয় করছিলোনা।
~
অবশেষে ফেসবুক থেকে কিছুটা সরতে পেরেছি। ভাল্লাগেনা আর একঘেয়েমি। আগে যেখানে দিনে ৬/৭ টা পোষ্ট দিতাম, সেখানে এখন ৪/৫ দিনেও ১টা দেওয়া হয়না। আসলে পোষ্ট দিতে একটু উচ্ছাস উদ্দিপনার প্রয়োজন হয়রে ভাই। কিন্তু নাই তো। ধরে নেই, এত ব্যস্ততায় ইদানিং ফেসবুককে সময় দিতে পারছিনা। কিন্তু কিসের এত ব্যস্ততা? পড়ালেখা?? নাহ! তাতো ছেড়েছি অনেক আগেই। তাহলে কি? জানিনা আমি।
~
সিড়িতে একা বসে ছিলাম। মনটা কেন জানি খুব খারাপ ছিল (অথচ আমি জানি, কেন).. মন খারাপ থাকলে আমি আড্ডার জন্যে কাউকে না পেলে একাই থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু একাকিত্বের মাঝেও যে আরেকটা যন্ত্রণা আছে। এই যন্ত্রণা দূর করতে গান শুনতে থাকি তখন। গানের কয়েকটা লাইন ছিল...
"দুঃখ পেওনা, দুঃখ পেতে নেই। ভূলে যাও পুরনো সেই সুর, আগামী আসবেই।"
~
মোবাইলটা সিড়ির নিচের স্টেপে রাখা। একটু পরপর আলো জ্বলে উঠছিল। এই অন্ধকারে মৃদু আলোকছটা একদম পছন্দ হচ্ছিল না বলে উপুর করে রাখলাম। এদিকে সময়ও এগিয়ে চলছে নিজ গতিতে।
~
দুই হাটু জড়িয়ে তার উপর মাথা রেখে ভাবছিলাম, আমি কত বোকা। আবেগের বশবর্তী হওয়া কারো হৃদয়গ্রাহী কথাকে কত সহজে নিজের মনে জায়গা করে দেই। আমি তখন খেয়ালও রাখিনা যে রাগের মাথায় আর আবেগ আপ্লুত হয়ে কি না কি কতকিছুই তো মানুষ বলে থাকে।
~
আচ্ছা, কাকে দোষারোপ করব? যেখানে নিজে দোষের চাদর জড়িয়ে দিন পার করছি। নাকি কেউ দোষী না।
~
আচ্ছা, গোয়ালের গরু কি বাইরে গিয়ে গুঁতোগুঁতি খেলার চাইতে গোয়ালে বসে জাবর কাটাকেই শ্রেয় মনে করেনা। তবুও আমি বুঝলাম না, কারো হাতের খেলনার পুতুল হয়ে থাকার চাইতে বাক্সবন্দী হয়ে থাকাটাই যে ভাল ছিল।
~
ঘড়িতে ৮টা ৫০ বেজে গেছে ততক্ষনে।