অনেক সময় কোন ভুল স্বিদ্ধান্ত কিংবা কোন অপরাধকে কৌশলী এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্নমাত্রায় বিশ্লেষনের মাধ্যমে মূল সত্যটাকে ধামাচাপা দেয়া হয়। শেখ মুজিব কর্তৃক রাজাকারদের ক্ষমা প্রদর্শন অনেকেই ‘দয়া তত্ত্ব’ কিংবা ’দেশ গঠন তত্ত্ব’ দিয়ে একটা চরম ভুল স্বিদ্ধান্তকে বৈধতা দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু শাহ আজীজকে প্রধানমন্ত্রী করাকে আবার সেই একই গোষ্ঠী রাজাকার পুনর্বাসন বলতে ছাড়ে না। কি অস্বাভাবিক, নির্লজ্জের মতো স্ববিরোধীতা! যাইহোক, ঢেকে দেয়া কোন ঘটনাকে আলোতে নিয়ে আসার দায়িত্ব হচ্ছে একজন গবেষকের। গবেষণার জন্য একটা হাইপোথিসিস কিংবা অনুমিত স্বিদ্ধান্ত প্রয়োজন হয়। স্বাধীনতার পরপর ঘটে যাওয়া একটা বড় ব্লান্ডার যেটার কারনে আমরা এখনো ভুগছি তার আসল কারনটা গবেষনার প্রয়োজন আছে। যুদ্ধের পর কিভাবে ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া গোলা বারুদ এবং বন্দী পাকিস্তানী সেনাদের ভারতে নিয়ে গিয়েছিল- এ সবই প্রমাণিত সত্য। কিন্তু আরেকটি গুজব মাঠে ময়দানে অত্যন্ত দুর্বল কন্ঠে উচ্চারিত হতে শোনা যায় সেটা হলো, রাজাকারদের ক্ষমার পিছনেও ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা কাজ করেছিল। সেই সময়ে পাকিস্তানীদের হাতে বহু সংখ্যক ভারতীয় সেনা বন্দী ছিল, ছিল অনেক অমিমাংসিত ইস্যু (এখনো আছে)। পাকিস্তানী বন্দী সেনা এবং কোলাবরেটরদের (রাজাকারদের) যুদ্ধ অপরাধ থেকে বাচিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে ভারত পাকিস্তানীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে দরকষাকষি করেছিল। ভারতের স্বার্থে আমরা এ যুদ্ধের পরপর পাকিস্তানী গোলাবারুদ থেকে শুরু করে পাকিস্তানী সেনা দিয়ে দেয়া এবং রাজাকারদের ক্ষমা থেকে শুরু করে ট্রানজিট দেয়া পর্য ন্ত আর কি কি দিয়েছি তার বাজার মূল্য এবং গুরুত্ব কতোটুকু সেটার একটা খতিয়ান দরকার। তবে সবার আগে দরকার একটা রাজনৈতিক গবেষনা বাজারে চালু থাকা সত্যটাকে প্রমাণের জন্য। যদি ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় রাজাকারদের অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হয় তবে সেটা হবে সবচেয়ে বড় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। প্রমাণের অভাবে গুজব কখনো সত্য হয় না আবার মিথ্যা প্রমাণের আগে তাকে অসত্য বলে উড়িয়েও দেয়া যাবে না।
আওয়ামিলীগের দয়া তত্ত্বের নামে রাজাকার ক্ষমা কিংবা বিরোধী দলের আরেকটি যুদ্ধের নামে রাজাকার strengthenতোষন project কোনটাই আমাদের জন্য নয়।