somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অযন্তে অবহেলায় কানাইঘাটের ২২মুক্তিযোদ্বার কবর

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৯ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও চরম অবহেলা আর অযন্তে পড়ে আছে মহান স্বাধীনতা যুদ্বে জীবন উৎসর্গকারী কানাইঘাটের ২২ শহীদ মুক্তিযোদ্বার কবর। অথচ এ সকল শহীদদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ। কিন্তু তাদের পরিবার পরিজনের খবর আজও কেউ রাখেনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্বাদের সাহায্য করার অপরাধে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় একই দিনে ২২ মুক্তিযোদ্বাদেরকে তাদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে ধরে এনে পাক হানাদাররা নির্মমভাবে জীবন্ত কবর দিয়েছিল। এই ২২ মুক্তিযোদ্বাদের মধ্যে ১৯ জনকে জীবন্ত মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল কানাইঘাট উপজেলা সদরের মাত্র ১ কি:মি: দূরবতর্ী কানাইঘাট-দরবস্ত রাস্তা সংলগ্ন বিস্নুপুর খালের পারে বাকি ৩ জনকে ঐ স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে সমাহিত করা হয়। অথচ দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের সমাধিস্থলটি পড়ে আছে অযন্তে অবহেলায়। ১৯ জনের সমাধিস্থলে পাকা দেয়াল তৈরী করলেও সমাধিস্থলটি যে কোন সময় পাশ্ববর্তী খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাকি ৩ জনের সমাথিস্থল শুধু চারদিকে ৪ টি পিলার আর কাটাতার দিয়ে কোন মতে রাখা হয়েছে। কিছুদিন পর হয়ত তাদের কবর চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে পড়বে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। জাতী শ্রদ্বাভরে স্মরণ করে সেই সকল শহীদদের। যাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের মানচিত্রে লেখা হয় আরেকটি দেশের নাম। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের ভুলতে পারেনি কানাইঘাটের মানুষ। শহীদদের আত্নীয়-স্বজন ও মুক্তিযোদ্বারা ােভ প্রকাশ করে বলেন যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা তাদের সমাধিস্থলটির আজ এই অবস্থা,তাদের পরিবার-পরিজন অনাহারে,অর্ধাহারে দিনানিপাত করছে,অথচ যারা রাজাকার তারা কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে দালান,কোঠা নির্মাণ করছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্বাদের প্রতি খুবই আন্তরিক বীর মুক্তিযোদ্বাদের শেষ স্মৃতিটুকু রা করার জন্য বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন কতর্ৃপরে কাছে এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×