খুব ছোটবেলায় একবার ঝড়ের মধ্যে আম কুঁড়াতে গিয়ে, কপিলের বউ হাতে নাতে ধরে আচ্ছা করে পিটিয়েছিল। মাকে এসে বলতেই মাও আরেক চোট ঝেড়েছিল। এই সেই দুরন্ত মেয়ে শান্তি। যার ইচ্ছে হল বড় হয়ে ও পাড়ার রুনি খালামনির মত ডাক্তার হবে। রুনি খালামনি শহরের ডাক্তার। মাঝে মাঝে গ্রামে আসে। তখন রুনি খালার সাথে সারাদিন থাকে শান্তি। আর রুনি খালা না থাকলে ঐ সারাদিন ঘুরে বেড়ানো। এই দুষ্ট মেয়েটি যে একসময় তার নামের যথার্থ সম্মান রাখবে কে জানত? বিয়ের আগের দিনও সে জানত না তাকে শান্ত হতে হবে। হৈ হুল্লোড় করে করে আর ঘুরে বেড়ানো হবেনা।
অনেক ধুমধাম করে বিয়ে হল। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ভালোবাসায় পূর্ণ হল শান্তি। বিয়ের কিছুদিন পর হতেই স্বামীর আদর কমে আসতে লাগল। এর পরের গল্প হয়তো সবার জানা।
একটা সময় আঘাতে আঘাতে জর্জরিত শান্তি। শান্তি নামের এই মেয়েগুলো কখনই শান্তি পায়না। আমাদের সমাজের যৌতুক প্রথা ওদের শান্তি শেষ করে দিয়েছে। আর কত শান্তি শাস্তি পাবে? মারা যাবে যৌতুকের বলি হয়ে।
আসুন নিজে বলি, নিজের সন্তানকে বলি, পরিবারকে বলি যৌতুক নেবনা, দেবনা।