আমাদের যারা লোকাল বাসে করে অফিসে যাতায়াত করেন তারা প্রায় সবাই একটি ব্যাপারে একমত হবেন যে প্রতিদিন বাঁদর ঝোলা করে অফিসে যেতে আসতে কি অসহনীয় যন্ত্রণা পোহাতে হয়।
প্রতিদিন সকালে এই মহানগরীর প্রত্যেকটি রুটের এক্ই চিত্র আমরা দেখতে পাই যা আমাদের কষ্টের অভিজ্ঞতাকে প্রতিদিনই ভারি করছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দৌড় দিতে হয় অফিসের দিকে, এটাই একটা মনোপীড়াদায়ক কাজ তার উপর যদি হয় ছেলেমেযেতে যাতাযাতি করে বাসে উঠা, তাইলে বলেন দেখি কিভাবে ফ্রেশ মনোভাব নিয়ে, ঝরঝরে মেজাজ নিয়ে অফিস করি।
যদিও আমাদের এই ঢাকা মহানগরীতে সমস্যার কোন অভাব নাই কিন্তু যাতায়াত সমস্যা বিশেষত অফিসে যাওয়া-আসার সময় কি যে অবস্থা হয়!
আমাদের বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সমাধানের অন্যতম সেক্টর হলো তৈরী পোশাক বা আরএমজি সেক্টর। আর এ সেক্টরের অধিকাংশ কর্র্মী হলো মহিলা। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১০ অনুযায়ী আমাদের মোট জিডিপির ২৬% আসে এই তৈরী পোশাক খাত থেকে। তো আমাদের একবার ভাবা উচিৎ, ভালো করে ভাবা উচিৎ। বাসে উঠার সময় যখন দেখি এরা অসহায়ের মতে দাড়িয়ে আছে তখন এদেশের একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে আমার মাথা নত হয়ে আসে যে আমরা এদের জন্য কি করতে পারছি! ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না।
বাসে উঠার সময় আমরা পুরুষরা যেমন তাদের কে সহযোগীতা করতে পারছি না, (মানসিকতার অভাব নয়, সুযোগের অভাব, কারণ সবারই অফিস একই সময়ে তাই সবাই প্রতিযোগী হয়ে যায় সবাই) তেমনি বাসের হেল্পার/কন্ডাক্টর এরাও মহিলাদের কে তুলতে চায় না। তাইলে বলেন দেখি এরা কিভাবে অফিসে যাবে? এদের যাওয়া যদি বন্ধ হয়ে যায় আপনার-আমার, দেশের উন্নয়নের কি হবে?
আমাদের নিজেদের এত সমস্যার মধ্যেও চলতে হবে, সামনে এগিয়ে নিতে হবে নিজেকে, দেশকে, দেশের মানুষকে।
বাস্তবার খাতিরে যখন স্কুল বাস চালু করেছে সরকার যা প্রশংসার দাবি রাখে ,তাই এখন দাবি হলো মহিলাদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস চালু করা হোক।(অন্তত সকাল ৭.৩০টা থেকে ১০.৩০টা এবং বিকাল ৫.০০ টা থেকে ৮.০০টা পর্যন্ত) এই দাবিটা অবশ্যই অযৌক্তিক কিংবা অমূলক নয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
শুভ বুদ্ধির জয় হোক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


