হিমহিম ঠান্ডার এক আসরে হঠাৎ ছোট ছোট ভাগনেদের প্রচন্ড দাবীর মুখে মামা তার গল্পের ঝাপি খুলে বসলেন-
বিশাল জঙ্গল .... ....। বুঝলি রে, সে ছিল এক অভাবনীয় অনুভূতি, আমরা চার সহকর্মী মিলে এমনই শীতে শিকারে বের হয়ে ছিলাম, যাই হোক, স্থির করা হরিণ শিকার করে সেটা দিয়েই আমাদের ভোজন হবে।
গভীর হতে গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেলাম তবু কোন শিকারের দেখা নাই,
... ... হঠাৎ ... ... ... ... ...
সামনেই দেখতে পেলাম ঝোপের আড়ালে এক হরিনের লেজ, কোন দেরি নয় অমনি ফায়ার ... ঠাস্ ... কপাল খারাপ, হরিণের ভাল, গুলি মিস।
কিন্তু আমিতো ছাড়ার পাত্র নই, পিছু পিছু দে দোড়, টক টক ঠক ঠক ডক ডক ........ দুজনেই দৌড়াই, অবশেষে একটু ফাঁকা জায়গা পেয়ে ধীরে সুস্থে টার্গেট ফিট করে দিলাম ঠাস! ........... হরিণও ডিগবাজি দিয়ে পড়ে গেল।
হরিণটাকে দ্রুত জবাই করে, এবার আশেপাশে তাকালাম ......
আমি কোথায় ???!!!!
অনেক দুর এসে পড়েছি সবাইকে ফেলে, তার উপর এতো বড় হরিণ।
অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফিরতি পথ ধরলাম হরিণের শুধূ বিশাল রান দুটি কেটে কাঁধে নিয়ে............
ক্রিং ....ক্রিং....ক্রিং ...(ফোন বেজে উঠল মামার পকেট হতে)
জরুরী কল বসের ............ খানিক বাদে মামা ফিরে এলো কিন্তু চোখ মুখ লাল বুঝতে অসুবিধা হলোনা কিছু ঘটে গেছে .......
কারও মুখে কথা নেই, মামাই সামলে নিয়ে বললেন- "হ্যাঁ, কি যেন বলছিলাম"।
মামা, "দুই রান কাঁধে নিয়ে ... ..."
মামার শুরু করলেন, (পরিবেশ গল্পের পটভূমি হারিয়ে) তারপর দুই রান কাঁধে নিয়ে এমন চো.. দিলাম ........
(ভাগনেরা যার যার মতো দে ছুট .......... মামার গল্পের উপসংহারের বহর দেখে) .......
সাপ্তাহিক ছুটির শুভেচ্ছা ........ ভাল থাকবেন .......
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




