somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আগামীকালের বিশেষ কৌতুক ১০-১০-১০ (কমন পরলে ...র দিয়েন না) কানে কানে বলি- পিঠে ...লা বা... আছে!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রত্যেক ছাত্রের কিছু না কিছু গুণ থাকে। সেই গুণের কারণেই সে একদিন সুখ্যাতি অর্জন করে। বিদ্যাগঞ্জ সরকারী হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এমন এক ছাত্রের কথাই আমি লিখছি। সে কিভাবে সুখ্যাতি অর্জন করলো সে কি ভাল ছাত্র, ভাল কবিতা লেখে, ভাল ফুটবল খেলে, নাকি ভাল বিতর্ক বা গান করে? না, এ সবের কোন কিছুই নয়। তার যত সুখ্যাতি তা তার উপস্থিত বুদ্ধির কারণেই স্কুলের মাস্টাররা তাকে পছন্দ করে তার হাস্যকর উত্তর দেওয়ার জন্যই। কী রকম হাস্যকর উত্তর তা এবার দেখা যাক।

সামনে পরীক্ষা। সবাই যখন পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করছে তখন সেই ছাত্রটি কোন বইয়ের কত নাম্বার পৃষ্ঠায় কোন প্রশ্নের উত্তর আছে তা মুখস্থ করছে। পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পরেই তার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো। কেনই বা হবে না? তার প্রশ্নের উত্তরগুলো ছিলো এ রকম
১নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
বাংলা মূল বইয়ের ১১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় অংশে দ্রষ্টব্য।
৩নং প্রশ্নের উত্তর (খ)
পাঞ্জেরী বাংলা নোট বইয়ের ১১১ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য।
এ রকম ভাবে প্রশ্নের উত্তর লিখলে কারই বা ১৫ মিনিট এর বেশি সময় লাগতে পারে বলুন তো। বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে খাতার পিছনে লিখলো ‘স্যার লিখতে গেলে আমার কষ্ট, দেখতে গেলে আপনার কষ্ট। কারণ আমার লেখা মাঝে মধ্যে আমি নিজেই বুঝতে পারিনা। মধ্যে কিছু সময় নষ্ট। যেহেতু জীবনের থেকে সময়ের মূল্য অনেক বেশি তাই উপরের পদ্ধতি ব্যবহার করলাম। নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

এ রকম খাতা দেখে স্যার হাসবেন না কাঁদবেন কিছুই বুঝতে পারলেন না। ইংরেজী পরীক্ষায় ট্রান্সলেশন এসেছে “ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগীটি মারা গেল”। এক কথায় প্রকাশের মতো খুব সুন্দরভাবে সে আরবিতে লিখলো “ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।” যদি রোগীটি মারা না গিয়ে সুস্থ হয়ে যেত তাহলে মনে হয় লিখতো “আলহামদুলিল্লাহ্”

অঙ্ক পরীক্ষার দিন প্রশ্নে একটি অঙ্ক আসল এ রকম। একটি গরু ৩ মিটার লম্বা দড়ি দিয়ে মাঠের মধ্যে বাঁধা আছে। যদি গরুটি বাঁধা অবস্থায় ঘুরে ঘুরে মাঠের ঘাস খায় তাহলে যে বৃত্ত উৎপন্ন হবে তার পরিধি কত?
ছাত্রের উত্তর ঃ স্যার প্রথমে আমাদের জানতে হবে গরুটি কীসের দড়ি দিয়ে বাঁধা আছে। পাটের দড়ি না প্লাস্টিকের দড়ি। যদি প্লাস্টিকের হয় তাহলে দড়িটি টান দিলে লম্বা হবে এবং গরুটির গাস খাওয়ার এলাকা বৃদ্ধি পাবে। এরপর জানতে হবে গরুটি দেশি জাতের গরু নাকি শাহীওয়াল জাতের গরু। যদি শাহীওয়াল জাতের গরু হয় তবে সে ক্ষেত্রে ঘাস খাওয়ার এলাকা বৃদ্ধি পাবে কারণ শাহীওয়াল জাতের গরুর গলা দেশি জাতের গরুর চেয়ে লম্বা হয়। এরপর আমাদের জানতে হবে গরুটির ঘাস খাওয়ার ইচ্ছ আছে কি নেই? যেহেতু এ সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া নেই তাই অংকটি করতে পারলাম না। আপনাদের কী ধারণা? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো দেয়া না থাকলে আপনারা কি করতে পারতেন?


বাংলা যার কাছে হয়ে যায় সংক্ষিপ্ত, ইংরেজী হয়ে যায় আরবি, অংক হয়ে যায় ব্যাখ্যা তার পক্ষে কী না করা সম্ভব। সমাজ বইয়ের ইতিহাস বিষয়ক প্রশ্ন তার কাছে শুধু ইতিহাস নয় যুক্তিমূলক প্রশ্নও বটে। প্রশ্নে এসেছিলো শেরশাহ্ কোন যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন? ছেলেটির উত্তর “শেরশাহ্ তাঁর জীবনের শেষ যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন” উত্তরটি দেখে স্যার পুলকিত হয়েছিলেন। নম্বর না দেয়ার কি কোন কারণ আছে?
এতো গেলো পরীক্ষার খাতার কথা।


এবার শ্রেণী কক্ষে আসা যাক। শ্রেণী কক্ষের সব শেষের বেঞ্চে সে সব সময় বসতো। দেখে মনে হতো সেই বেঞ্চিটি তার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা। কবিতা লিখতে পারতো সে। মাঝে মধ্যে নকল করতো বিভিন্ন কবির কবিতা। অবশ্য কিছু লাইনে অমিল থাকতো। যেমন কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা নকল করে লিখেছিলো-
‘বল বীরÑ
বল উন্নত মম শির
শির নেহারী। তেহারী দিয়া
বানাইয়া খাইব খির।’
আর একদিন স্যারের সামনে নিজের তৈরী একটি কবিতার প্রথম লাইনটি বলেই ধমক খায়। লাইনটি ছিলো-‘কপাল ভাসিয়া যায় নয়নের জলে’

স্যার বললেন এটা আবার কেমন কবিতা। কপাল হল নয়নের উপরে আর তা কিভাবে নয়নের জলে প্লাবিত হয়। ফাজলামো পেয়েছো? ছাত্রটি স্যারকে বলল, স্যার আগে আমার পুরো কবিতাটি শুনন তার পর বলুন। স্যার তাকে কবিতাটি বলার অনুমতি দিলেন। তারপর...


চলবে...
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×