ট্রাফিক জ্যাম সমস্যার সমাধান একটু কষ্টকর হলেও অসম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নজরদারি। নজরদারি মানে এই না যে প্রতি মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন। উন্নত দেশে রাস্তাঘাটে পুলিশ থাকে না বললেই চলে। শুধুমাত্র আইন অমান্য করলেই পুলিশ হাজির হয়ে যায়। কিভাবে সম্ভব? কারণ সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। আর পুলিশের ডিউটিও বেশি রাস্তাঘাটের চেয়ে কন্ট্রোলরুমে। তারা সবকিছু দেখছে। ওভার স্পিডিং কিংবা সিগন্যাল অমান্য করার সর্বনিম্ন জরিমানা ১৫০ ডলার আমেরিকাতে। যদি গড় আয়ের একজন মানুষের আয় ধরি ৩০০০ ডলার তাহলে একবার সিগন্যাল অমান্য করলে বেতনের ৫% গায়েব। অর্থাৎ আমাদের দেশেও যদি এমন আইন করা যায় যে একবার সিগন্যাল অমান্য করার জরিমানা ২৫০০ টাকা, গাড়ি চালানোর সামর্থ্য আছে এমন মানুষের ন্যুনতম আয় ৫০০০০ টাকা ধরলে (গাড়ির রকম ভেদে এই জরিমানার পরিমাণ কমবেশি হতে পারে), অনাদায়ে ন্যুনতম ছয়মাসের জন্য লাইসেন্স সাসপেন্ডেড। যারা নিজে গাড়ি চালান না অর্থাৎ ড্রাইভার রাখেন সেক্ষেত্রে জরিমানা অবশ্যই ড্রাইভারকেই বহন করতে হবে। সুতরাং কেউ টাকার মায়াতেই আইন অমান্য করবে না। তাই আমার মতে বিলিয়ন ডলারের রাস্তা তৈরির প্রকল্প বা পুরো শহর ওয়াইফাই করে ফেলার প্রকল্পের চেয়ে উচিত হবে পুরো শহর সিসিটিভি'র অধীনে নিয়ে আসা, যতটুকু আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এতে করে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনের পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে কারণ সবার মধ্যে ভয় কাজ করবে যে সবকিছু ওরা দেখছে। আবার পুলিশও চাইলেই মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কোন ক্রসফায়ার করতে পারবে না তাই তাদের দুর্নীতিও রোধ করা সম্ভব হবে কারণ সবকিছুর তখন প্রমাণ থাকবে। চাইলেই অভিযুক্ত ব্যক্তি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। পুরো ব্যাপারটা কঠিন তবে অসম্ভব না
এপ্রিল ৫, ২০১৫
সিয়াটল, ওয়াশিংটন