somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বোমা হামলা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তদন্ত রিপোর্টের উৎস নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট।

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেয়ার রোডের এই বাড়িটির গেটে ২৪ ঘন্টাই আলো থাকে। কারন গেটে সর্বদাই নিয়োজিত থাকে কিছু সংখ্যক পুলিশ। কারন এই বাড়িটিই হলো বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন। অন্যদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতেও আলো জ্বলমল গেটের দুপাশেই পুলিশ। হাতে বিখ্যাত থ্রি নট থ্রি রাইফেল। প্রহরায় কোন কমতি ছিলনা। যদিও ছিল ঈদের পরদিন। তাই প্রহরিদের মধ্যে তখনো ঈদের আনন্দ বিলীন হয়নি।

একটু পরেই হঠাৎ দুটি শব্দ। প্রহরীরা একজন আরেকজনের দিকে তাকালো। একজন হেসে উঠল। বললো কে এই কাজ করছো বলো। কোরবানীর মাংস খাইছো আর বায়ূ ছাড়ছো। অন্যরাও হেসে উঠল। কিন্তু কেউ স্বীকার করলোনা যে কে বায়ূ ছেড়েছে।

হঠাৎ একজন বাগানে একটু ধোয়া দেখতে পেল। সবাই দৌড়ে গেল সেখানে। দুটি ছোট কৌটা সাথে কিছু ছোট ছোট পাথর। সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল হৈ চৈ। পুলিশ কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক, এমপি, মন্ত্রী সবাই। বাসায় থাকতে পারলেন না কুমারী মন্ত্রী সাহারা খাতুন ও। চলে গেলেন সোজা হেয়ার রোডে। প্রধান বিচারপতির বাসায়। এবং সমানতালে ইনভেষ্টিগেশন। যেহেতু বোমা বিস্ফোরন তাই এটি বের করার দ্বায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরই। প্রথমেই ফোন করলেন আগাচৌ (আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর) কাছে। কারন আগাচৌ এখন অসম্ভব এক ক্ষমতার অধিকারী। প্ল্যানচ্যাটের মাধ্যমে যখন তখন যেকোন বিষয়ের সমাধান দিতে পারেন। আগাচৌ ফোন পেয়ে যারপর নাই খুশি। তার প্রিয় কবিতাটি আবারো আওড়ালেন- কালো আর ধলো বাহিরে কেবলি ভিতরে সবারি সমান রাঙা। বিকেলের আরষ্ঠতা ছেড়ে উঠে পরলেন প্লানচ্যাটের জন্য।

কিন্তু শুধু একজনের উপর ভরসা করলেই হবেনা। আরো চেষ্টা চালাতে হবে। এবার নারায়নগঞ্জ ও বিক্রমপুর। এই পীরযুগলই তাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী তেনারা। ১০-১২ টা জিন সর্বদা তাদের সথে ঘুরাঘুরি করে। এমনকি বাবা শাহজালাল, শাহ পরানের সাথে রয়েছে তেনাদের আধ্যাত্নিক যোগাযোগ। উপরওয়ালার সাথেও রয়েছে সুসম্পর্ক। পীরদ্বয় প্রথমে রাজিই হলেন না। কারন ঈদের পরদিন। প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে ঈদ অনুষ্ঠান। জমজমাট আয়োজন। তাছাড়া কোরবানীর পরদিন। এই মহুর্তে জীনেরা ছুটিতে আছেন। উপরওয়ালা ব্যাস্ত কোরবানীর হিসাব মিলাতে। বাবা শাহজালাল শাহপরানে মাজারে প্রচুর ভক্ত। তাই তাদের আত্না সেখানে ব্যাস্ত ভক্তদের আর্জি মেটাতে। কিন্তু সাহারা নাছোরবান্দা। তাই অনেক অনুনয়ের পর পীরদ্বয় রাজি হলেন বোমা হামলাকারীদের খুজে বের করে দেয়ার জন্য।

নিশ্চিন্ত মনে এবার মান্যবর মন্ত্রী চললেন প্রধান বিচারপতির বাড়িতে। তবে হালকা টেনশনও কাজ করছিল। কারন তারা যদি সময়মতো দোষীদের বের করতে না পারে তবে পুলিশি তদন্তে দিতে হবে। এখানে ঝামেলা বেশী। ইদানিং পুলিশ ও একটু নিরপেক্ষ হতে চাচ্ছে। র‌্যাবের কাছে দিলে আরো ঝামেলা। তাহলে হয়তবা নিজেই ফেঁসে যেতে পারেন।

কিন্তু না। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে পৌঁছার আগেই ফোন। এ যে আগাচৌ। প্লানচ্যাট সফল। পেয়ে গেছেন হামলাকারীর নামের তালিকা ও হামলার উদ্দেশ্য। মনে মনে মন্ত্রী সৃষ্টিকর্তাকে প্রনাম করলেন। কিন্তু প্রনাম শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই ফোন। অপরিচিত নাম্বার। এই নাম্বার ইহজীবনেও দেখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিছুটা ভয় এবং কিছুটা রোমাঞ্চ নিয়ে বললেন হ্যালো। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে গম্ভীর আওয়াজ। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝে গেলেন। এযে জীনের দেশের মোবাইল নাম্বার। এরকম নাম্বার থেকে এর আগেও ফোন এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভয় এবং সংকোচ ভূলে গিয়ে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। জ্বীনেরা ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শেষ করেছে এবং ফাইনাল রিপোর্ট ও পেয়ে গেছে।

এবার খুব খুশি মন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বহারা খাতুন প্রবেশ করলেন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। সাথে সাথে সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরল আর তিনি বলে গেলেন তার প্রিয় বানী---- বিরোধীদলের নেত্রী তার বাড়ি এবং দুই ছেলেকে রক্ষার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দোষীদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

পুনংচ: ব্লগারগন। সেই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৫ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদের ধরার জন্য বর্তমানে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×