একসময় মহল্লায় ক' জন হিরোইন কিংবা গাজা সেবন করত তা পাড়ার প্রায় সবারই জানা থাকত। কারন তাদের চলাফেরা শুধু তাদের ধরনের লোকদের সাথেই ছিল। তারা অনেকটা সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরতো। লোকজন তাদের হিরোইনচি বা গান্জ্ঞট্টি নামে চিনত। সবাই তাদের ঘৃনার চোখে দেখতো। বস্তুত এ ধরনের লোক থেকে সবাই দূরে তো থাকতোই বরং এদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হতো। ফলে শিক্ষিত কিংবা ভদ্র শ্রেনীর সন্তানদের মধ্যে এসব দুরহ ব্যাপার ছিল। তবে এ ক্ষেত্রে ফেনসিডিল বা ডাইল সেবন কারীরা কিছুটা ব্যাতিক্রম ছিল, অনেক ক্ষেত্রে ভাল ঘরের সন্তানদের ও ডাইল অাসক্ত হতে দেখা যেত। যদি ও সেটা খুবই কমই সংখ্যক।
অার অাজকাল তো ইয়াবা বা বাবা সেবন তো অনেকের ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে কর্পোরেট লোকজন পর্যন্ত বাবা অাসক্ত। চারিদিকে বাবা অার বাবার জয়গান। চায়ের দোকানদার, মুদি দোকানি,পাইকারি ব্যাবসায়ী,মা বাবার বেকার সন্তান,দু-এক সন্তানের জনক,বাড়িওয়ালার পোলা,ভাড়াটিয়ার পোলা,সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকুরিজীবি,মহল্লার মাস্তান কিংবা ভদ্র ছেলে,স্কুল,কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কে নাই এ জগতে
সেদিকে যাচ্ছি না।
প্রবলেমটা অন্য জায়গায় !
প্রথমে অামি যাদের কথা বলেছিলাম তারা ছিল সমাজে দৃশ্যমান,ফলে সহজেই তাদের চেনা যেত।
পরের অংশে যাদের কথা বললাম, তাদের কিন্তু সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।
ফলে খুব সহজেই তাদের সাথে অনেক জীবন জড়িয়ে যাচ্ছে। সাধারনত বাবা মা সন্তানের অাসক্তির বিষয় গোপন রেখে ভাল একটি মেয়ে কিংবা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ের কিছুদিন পরেই ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠছে। ঘটছে যৌতুক,মারামারি এমনকি খুনের মত নানা অনাকাংখিত ঘটনা।
অাবার স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়েরা না বুঝে এদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। নেশার টাকা জোগাতে এরা মেয়েদের ব্লাক মেইল করে টাকা নিচ্ছে। টাকা দিতে না পারলে ঘটছে খুন, ধর্ষন কিংবা অাত্নহত্যার মত ঘটনা।
এরকম অারো অনেক ঘটনা আজকাল অহরহ ঘটছে,তাই এ বিষয়ে অবিভাবক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতন হওয়া জরুরি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১১