somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

C/C++ ১.১ Programming (পরিগণনা)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একদিন ছুটির দিনে ঝুম বরষা নেমেছে, সকাল থেকে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে তুমি গান শুনছো অনেক ক্ষণ। সময় পেরিয়ে কখন দুপুর হতে চলেছে, টেরই পাওনি। পেটের ভিতরের ক্ষুধার রাক্ষসটাও আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে। কী খাওয়া যায় এখন? ভাবনাটা মাথায় আসতেই একদম অজান্তে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো "ভুনা খিচুড়ি"। কিন্তু তুমি তো নিজে সেভাবে রান্না করতে জানো না। তোমরা কয়েক বন্ধু মিলে একটা বাড়ি ভাড়া করে থাকো। রাস্তার পাশের ভাতের দোকানে কাজ করে একটা ছেলে। সে এসে প্রতিদিন তোমাদের রান্না করে দেয়। কিন্তু সেই ছেলেটা আবার সাধারণ ভাত-তরকারী ছাড়া অন্য তেমন কিছু নিজে থেকে রান্না করতে পারে না। তুমি ভেবে দেখলে recipe (রান্নালি) আর উপকরণ দিলে ভুনা খিচুড়িও তার রান্না করতে পারার কথা। যে মাংসের তরকারী রাঁধতে পারে, সে ভুনা খিচুড়ি রান্না করতে পারবে না, সে কী করে হয়! যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তুমি তড়াক করে লাফ দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে পড়লে। কাগজ-কলম হাতে নিয়ে ফোন দিলে তোমার মাকে। তোমার মা একে একে তোমার প্রিয় ভুনা খিচুড়ি রান্নার উপকরণ বলতে শুরু করলেন। সাথে ধাপে ধাপে কখন কী করতে হবে সব সহ বিস্তারিত রান্নার প্রণালিও বলে দিলেন।

০১ পোলাওয়ের চাল: ৭৫০ গ্রাম
০২ মসুর ডাল: ৫০০ গ্রাম
০৩ মুগ ডাল: ৫০০ গ্রাম
০৪ গরুর মাংস: ১ কিলোগ্রাম
০৫ পেঁয়াজ কুঁচি: এক পেয়ালা
০৬ আদা বাটা: দুই টেবিল চামচ
০৭ রসুন বাটা: দুই টেবিল চামচ
০৮ জিরা গুঁড়া: এক চা চামচ
০৯ মরিচ গুঁড়া: এক চা চামচ
১০ ধনে গুঁড়া: এক চা চাম
১১ হলুদ গুঁড়া: দুই চা চামচ
১২ গরম মশলা গুঁড়া: এক চা চামচ
১৩ লবণ: পরিমাণ মত
১৪ লেবুর রস: দুই চা চামচ
কাঁচা মরিচ: কয়েকটা আস্ত
তেল: কম-বেশি দেড় কাপ

উপরের উপকরণগুলো ঘরে আছে কিনা তোমাকে এখন তা দেখতে হবে। না থাকলে রান্নার ছেলেটাকে পাঠিয়েই আনাতে হবে। কেবল টাকা দিলেই হলো। তারপর নীচের মতো করে ধাপে ধাপে রান্না করতে হবে। কখন কী করতে হবে, কখন চুলা বাড়াতে হবে, কখন কমাতে হবে, পেয়াজ কতটা বাদামী হলে আদা-রসুন দিতে হবে, ইত্যাদি হাজারো ছোট-ছোট বিষয় মা বলে দিয়েছেন কয়েক বার করে, যাতে কোন ভুল না হয়। এই না হলে মা! ছেলেটা কাছে থাকে না, এমনিতেই মন পোড়ে, তার ওপর ছেলে খেতে চেয়েছে মায়ের হাতের ভুনা খিচুড়ি!

০১ মাংস কেটে ছোট ছোট টুকরা করো।
০২ টুকরা মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নাও।
০৩ পিয়াঁজ কেটে নাও কুচি কুচি করে।
০৪ আদা ও রসুন ভালো করে বেটে নাও।
০৫ পাতিলে তেল ঢেলে গরম করে নাও।
০৬ পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দাও।
০৭ মাংস অনুযায়ী লবণ যোগ করে দাও।
০৮ আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দাও।
০৯ একটু পরে হলুদ, মরিচের গুঁড়া দাও।
১০ জিরা, ধনে, গরম মসলা গুঁড়া দাও
১১ এক পেয়ালা পানি দিয়ে নেড়ে দাও।
১২ কষতে কষতে মশলার ঝোল হবে।
১৩ তেল উঠে এলে মাংস দিয়ে দাও।
১৪ ভালো করে মাংসে ঝোলে মিশাও।
১৫ কিছুক্ষণ মাঝামাঝি আঁচে রাখো।
১৬ দুই কাপ পানি ও লেবুর রস দাও।
১৭ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করো।
১৮ মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দাও।
১৯ মাংস নরম হলো কিনা দেখো।
২০ মাংস সুস্বাদু হলো কিনা দেখো।
২১ চাল ও ডাল যোগ করে দাও।
২২ কিছুক্ষণ সব মিলিয়ে ভাজো।
২৩ চালের ওপর দুই-ইঞ্চি পানি দাও।
২৪ পানিতে লবণ কেমন হলো দেখো।
২৫ লবণ একটু কটা কটা হতে হবে।
২৬ ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট আঁচে রাখো।

রান্নার প্রণালি তো মায়ের কাছে থেকে পেলে, তারপর উপকরণও সব যোগাড় হয়ে গেলো। কিন্তু ছোট একটা সমস্যা বাঁধলো। রান্নার ছেলেটা ঠিক পড়তে জানে না। কাজেই recipe (রান্নালি) ধরিয়ে দিয়ে তুমি চলে যাবে তা হবে না। তোমাকে বরং ওর সাথে থেকে recipe পড়ে পড়ে কখন কী করতে হবে সেটা বলে দিতে হবে, আর সেটা করতে হবে বেশ খানিকটা ওর আঞ্চলিক ভাষায়। ভাগ্যক্রমে ছেলেটা তোমার একই জেলার। কাজেই সেটা তেমন সমস্যার না। তোমরা তাহলে ভুনা খিচুড়ি রান্না করতে থাকো, আমরা চলি programming শিখতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×