somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যাকিং এবং হ্যাকার নিয়ে কিছু কথা।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যাকিং এবং হ্যাকার শব্দ দুটি দেখলেই যেন কিশোর মনে শিহরণ জাগিয়ে তোলে। তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্যরকম এক এডভ্যাঞ্চার হলো এই দুটি শব্দ। এইতো কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে এই শব্দ দুটি খুব বেশি পরিচিত ছিল না। হ্যাকার মানেই সবার মনের পর্দায় ভেসে উঠতো এমন একজনের ছবি যে অন্যের ব্যাংক আইডি চুরি করে নিজের জন্য টাকা ডাকাতি করে। তবে এখন সময় বদলেছে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি সচেতন।

হ্যাকিং কি?
হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে।যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার।এসব কথা আমরা প্রায় সবাই জানি।আমরা প্রায় সবাই জানি হ্যাকিং বলতে শুধু কোন ওয়েব সাইট হ্যাকিং আবার অনেকের ধারনা হ্যাকিং মানে শুধু কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা,আসলে কি তাই?না আসলে তা না।হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। আমাদের মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং,বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে।হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে।

এবার আসি হ্যাকার কে বা কি?
যে ব্যাক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে।এরা যে সিস্টেম হ্যাকিং করবে ঐ সিস্টেমের গঠন, কার্য প্রনালী, কিভাবে কাজ করে সহ সকল তথ্য জানে।আগেতো কম্পিউটারের এত প্রচলন ছিলনা তখন হ্যাকাররা ফোন হ্যাকিং করত।ফোন হ্যাকারদের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হয় Phreaking।এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করত।
তিন প্রকারের হ্যাকার রয়েছেঃ
প্রথমেই বলে রাখি হ্যাকারদের চিহ্নিত করা হয় Hat বা টুপি দিয়ে।
1. White Hat Hacker
2. Grey Hat Hacker
3. Black Hat Hacker

White Hat Hacker:
সবাই তো মনে করে হ্যাকিং খুবই খারাপ কাজ তাই না? না হ্যাকিং খুব খারাপ কাজ না। White Hat Hacker হ্যাকাররাই প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না।যেমন একজন White Hat Hacker একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটিগুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রুটি দ্রুত জানায়।সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্‌ একটি ওয়েব সাইট, একটি সফটওয়্যার ইত্যাদি।


Grey Hat Hacker: এরা হচ্ছে দু মুখো সাপ। কেন বলছি এবার তা ব্যাখ্যা করি। এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রুটি জানাতেও পারে অথবা ইনফরমেশনগুলো দেখতে পারে বা নষ্টও করতে পারে। আবার তা নিজের স্বার্থের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

Black hat hacker: আর সবচেয়ে ভয়ংকর হ্যাকার হচ্ছে এরা।এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রুটি কে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভবিষ্যতে নিজে আবার যেন ঢুকতে পারে সে পথ রাখে। সর্বোপরি ঐ সিস্টেমের অধিনে যে সকল সাব-সিস্টেম রয়েছে সেগুলোতেও ঢুকতে চেষ্টা করে।

হ্যাকাররা অনেক বুদ্ধিমান এটা সর্বোজন স্বীকৃত বা সবাই জানে। অনেক ভালো ভালো হ্যাকার জীবনেও কোন খারাপ হ্যাকিং করেনি। কিন্তু তারা ফাঁদে পড়ে বা কারো উপর রাগ মিটানোর জন্য একটি হ্যাকিং করল। তখন আমরা তাকে উপরের কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো? সেও Grey Hat Hacker কারন তার হ্যাকিংটা নির্ভর করছে তার ইচ্ছে বা চিন্তার উপর।


নিচে আরো কয়েক প্রকারের হ্যাকারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিঃ
Anarchists: এরা হচ্ছে ঐ সকল হ্যাকার যারা বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিট সিস্টেম বা অন্য কোন সিস্টেম কে ভাঙতে পছন্দ করে। এরা যেকোন টার্গেটের সুযোগ খুজে কাজ করে।
Crackers: অনেক সময় ক্ষতিকারক হ্যাকারদের ক্র্যাকার বলা হয়। খারাপ হ্যকাররাই ক্র্যাকার। এদের শখ বা পেশাই হচ্ছে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটওয়্যার তৈরি করা।ক্ষতিকারক সফটওয়্যারকে Warez বলে। এসব ক্ষতিকারক সফটওয়্যারকে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে অথবা বিক্রি করে দেয় নিজের লাভের জন্য। (আপনি কি এদের একজন? তাহলেতো আপনিই হচ্ছেন হ্যাকিং এর কিং।)
Script kiddies: এরা কোন প্রকৃত হ্যাকার নয়। এদের হ্যাকিং সম্পর্কে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। এরা বিভিন্ন Warez ডাউনলোড করে বা কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করে হ্যাকিং ।


হ্যাকিং এর পদ্ধতিগুলোঃ

পিশিং: পিশিং সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই কিছু জানি।

Denial of Service attack: সংক্ষেপে DoS Attack একটি প্রক্রিয়া যেখানে হ্যাকাররা কোন একসেস না পেয়েও কোন নেটওয়ার্ক এ ঢুকে তার ক্ষমতা নষ্ট করে। DoS Attack এ নেট কানেকশন বা রাউটারের ট্যারিফ বাড়িয়ে দেয়।

Trojan Horses : হচ্ছে একটি প্রোগ্রাম যা অন্যান্য প্রোগ্রামকে নষ্ট করে। এটিকে সবাই ভাইরাস নামেই চিন। Trojan Horses ব্যবহার করে অন্যান্য প্রোগ্রাম নষ্টের পাশা পাশি পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য তথ্য হ্যাকারদের কাছে সংকৃয় ভাবে পৌছিয়ে দেয়।

Back Doors: Back Doors খুজে বের করে হ্যাকাররা কোন সিস্টেম কে কাজে লাগায়। Back Doors গুলো হচ্ছে প্রশাসনিক সহজ রাস্তা, configuration ভুল, সহজে বুঝতে পারা যায় এমন passwords, এবং অসংরক্ষিত dial-ups কানেকশন ইত্যাদি। এরা কম্পিউটার এর সাহায্যে এ ত্রুটি গুলো বের করে। এ গুলো ছাড়া ও অন্যান্য দুর্বল জায়গা ব্যবহার করে কোন নেটওয়ার্ক কে কাজে লাগায়।

Rogue Access Points :
কোন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য হ্যাকাররা Rogue Access Points ব্যবহার করে।
এছাড়াও আরো অনেক ভাবে হ্যাকাররা হ্যাকিং করতে পারে যা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। আমার এগুলো জানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমে যেন এ ধরনের ত্রুটি না থাকে।


হ্যাকিং থেকে বাঁচার কিছু অতি প্রয়োজনীয় ট্রিক্সঃ

১. কোন অপরিচিত সফটওয়ার ডাউনলোড করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন এমনকি তা যদি আপনার বন্ধুও বলে ব্যবহার করতে(সব বন্ধু না, আপনি যাদের বিশ্বাস করেন আবার করেননা)।যদি কোন সফটওয়্যার নিত্তান্তই ডাউনলোড করা লাগে আগে তার সম্পর্কে নেটে সার্চ করে জেনে নিন ।
২. কোন সাইটে লগ-ইন করার সময় সাইটের এডড্রেসটা ভালোভাবে চেক করে নিন।মেইল থেকে পাওয়া লিঙ্ক দিয়ে কোথাও লগ-ইন করা থেকে বিরত থাকুন।
৩.আপনি যদি একজন Developer হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাধারন ব্যবহারকারী থেকে আরো ভালো করে সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
৪. পাসওয়ার্ড সব সময় ৮ ডিজিটের বেশি দিন।কী জেনারেটর সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে সাধারন কম্পিউটার দিয়ে এর বেশি ডিজিটের পাসওয়ার্ড ভাংতে পারেন। যত পারেন নাম্বার দিয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।আর এখন প্রায় সব সাইটেই ইউনিকোড সাপোর্ট করে, তাই যদি কোন শব্দ ব্যবহার করেন তাহলে নিজে দেশের শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার মনে রাখতে সহজ হয়। তাই বলে ভাববেননা যে আমি আপনাকে শব্দ ব্যবহার করতে বলছি।যত পার শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ইংরেজী শব্দকে সম্পূর্ন না বলুন।মাঝে Space ব্যবহার করুন।
৫. আর অপরিচিত সাইটে লগ-ইন করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. কয়েক সপ্তাহ বা ১-২ মাস পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ফেসবুকের “Forgot password?” অপশনটি ব্যবহার করুন।
৭.এমন কোন তথ্য প্রোফাইল ইনফোতে ব্যবহার করবেন না যা আপনার ইমেইল অথবা ফেসবুক একাউন্ট এর পাসওয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব সাইটে ব্যাক্তিগত তথ্য যত কম প্রদান করবেন ততই আপনি সুরক্ষিত।
৮.এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা প্রোফাইল ছবি দেখেই ফ্রেন্ড লিস্টে এড করে বসেন। কোন অপরিচিত রিকোয়েস্ট এলে তাদের ইনফো আগে যাচাই করে নিন।দেখুন তার ফ্রেন্ডলিস্টের সংখ্যা কেমন।তার অন্যান্য ইনফো সঠিক কিনা। তাছাড়া আপনাদের মাঝে কোন ফ্রেন্ড কমন আছে কিনা তাও দেখে নিন। তারপর স্বীদ্ধান্ত নিন। এমন কাউকে লিস্টে যুক্ত করবেন না যাদের প্রোফাইল ছবি পর্যন্ত নেই।
৯.এমন অনেক ফিশিং ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা ব্যবহারকারীদের ভুল ইনফো দিয়ে একটি ওয়েব লিঙ্ক প্রদান করে। সাবধান!এসব লিঙ্ক এ ক্লিক করার আগে এপলিকেশনটির Terms and Condition পড়ে নিন। কোন বন্ধুও যদি আপনাকে এধরনের লিঙ্ক এ ক্লিক করার রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে থাকে তবে তা ফিশিং ওয়েবসাইট কিনা তা যাচাই করে নিন।মনে রাখবেন, ফেসবুক বা ফেসবুকের কোন এপলিকেশন আপনার ফেসবুকের বা ইমেইল এর পাসওয়ার্ড চাইবে না।
১০.হ্যাকাররা এখন ফেসবুক হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে ইমেইল কে বেছে নিয়েছে। কোন ওয়েব সার্ভিস আপনার কাছে ব্যাক্তিগত তথ্য চাইবে না। যেমন ফেসবুক কখনোই আপনাকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের কোন নোটিশ ইমেইল করবেনা অথবা ব্যাক্তিগত তথ্য হালনাগাদের অজুহাত দিবে না। যদি এরকম কিছুর প্রয়োজন পড়েই তবে ফেসবুক আপনাকে হোমপেজ অথবা আপনার setting এ গিয়ে পরিবর্তনের জন্য বলবে। তাই কোন ইমেইল থেকে প্রাপ্ত Offer যাচাই না করেই তথ্য দিয়ে বসে থাকবেন না।
১১.আপনি যে ইমেইল দিয়ে আপনার ফেসবুকে লগ ইন করে থাকেন, সেই ইমেইল এর পাসওয়ার্ড নিয়মিত হালনাগাদ রাখুন। তা নাহলে আপনার ইমেইল একাউন্ট হ্যাকিং হলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট ও হ্যাকিং হতে সময় লাগবে না। এ ব্যাপারে আমার পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুক একাউন্টের জন্য আলাদা একটি ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করুন। তাছাড়া “Security Question” অপশন টিতে কোন ব্যাক্তিগত তথ্য সম্বলিত উত্তর রাখবেন না।


বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপগুলোর নাম ও পরিচিতিঃ
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ হ্যাকিংএর দিক থেকে অন্যান্যদেশের তুলনায় একটি সম্মানজনক অবস্থানে রয়েছে। দেশের কিছু নতুন ও মেধাবী প্রজন্ম হাল ধরেছে বাংলাদেশের হ্যাকিং ওয়ার্ল্ডের। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার যখন নিশ্চুপ তখন এদেশের হ্যাকাররাই প্রতিবাদ জানায় প্রতিপক্ষ দেশ বা প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর প্রতি। তারা তাদের এই প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যাবহার করে হ্যাক করে প্রতিপক্ষের ওয়েবসাইট।

বাংলাদেশের হ্যাকিং জগত মুলত গ্রুপ ভিত্তিক। নামকরা অনেক গ্রুপই আছে বাংলাদেশে। দেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষায় তারা নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশের হ্যাকিং গ্রুপ গুলোর শুরুটা হয়েছিল Bangladesh Cyber Army ( BCA ) থেকে। এর পর 3xp1r3 । BCA ভেঙে Bangladesh Black Hat Hackers ( BBHH ) । নতুন গ্রুপ হিসেবে আসলো Bangladesh Grey Hat Hackers ( BGHH ) । এর মধ্যে হয়েছে আরও অনেক গ্রুপ ( যেমন ANON BANGLADESH ) ইত্যাদি । কিছুদিন আগে দেখা গেলো আরও একটি নতুন গ্রুপ TEAM BD SEVEN । গ্রুপ বানানোর যেন ধুম লেগেছে । গ্রুপ বাড়ছে , হচ্ছে নতুন নতুন সদস্যও । কিন্তু আসল যে উদ্দেশ্য ভাল হ্যাকার হওয়া সেটি কি আসলে হচ্ছে ?

এই গ্রুপ গুলো যারা পরিচালনা করছেন অর্থাৎ গ্রুপ এডমিন তাদেরই হ্যাকিং দক্ষতা কততুকু ?
Bangladesh Cyber Army কিংবা 3xp1r3 Cyber Army এদের দক্ষতা নিয়ে আশা করি কারো কোন সন্দেহ নেই । নিঃসন্দেহে এরাই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান হ্যাকিং গ্রুপ ।
এবার জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের কিছু প্রথম কাতারের কিছু হ্যাকার গ্রুপ সম্পর্কে-
• বাংলাদেশ সাইবার আর্মি
• এক্সপায়ার সাইবার আর্মি
• বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস
• হেক্সরোসিস্ট
• বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস
• সাইবার ৭১

Bangladesh Cyber Army: বাংলাদেশের প্রথম সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান এবং হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি যাত্রা শুরু করে ২০১০ এর ডিসেম্বরে। প্রাথমিক অবস্থায় কয়েকজন হ্যাকার মিলে ডিসেম্বরে আগে শুরু করে ওয়েবসাইট হ্যাকিং প্র্যাকটিস। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে তোলে বাংলাদেশ সাইবারআর্মি নামের হ্যাকার গ্রুপ। তাদের গ্রুপের ট্যাগ লাইন বা নীতিকথা হল-

United as a Single ONE,Divided by ZERO.
Our work is for our country,Our fight is for humanity.
We want Justice.We are Bangladesh Cyber Army.

এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এথিকাল হ্যাকিং গ্রুপ।এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা শাদ্মান তাঞ্জিম।এর প্রথম দিকের সদস্যরা হলেন : শাহী মির্জা, Lucky FM Chayasathi( Masba Uddin Fahad),পুদিনা পাতা ( ?) , সায়েম ( Script Kidde) , আল্মাস (Alams Ethical Hacker) বাংলাদেশ সাইবার আর্মিতে ক্রিও হিসেবে আছেন ৫০+ মেম্বার । তাদের মধ্যে থেকে কিছু নাম ।
• Bedu33n
• N!1l
• Rex0Man
• ManInDark
• Escape X0ne(Eclipse )
• JingoBD
• Annihilat0r_BD
• 00xnull
• 34GL3_3Y3
• 5!L3NT @55@55!N
• s1l3n7 BD
• Rudr0 Akash
• p5YcH0 d0d93r

গ্রুপটি শুরু থেকেই তাদের নিত্যনতুন ডিফেসমেন্ট দিয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দেশের মানুষদের। তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে। বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের সময় বেশিরভাগ সাইট হ্যাক করে এই গ্রুপের ক্রু মেম্বাররা। ভারতের অনেক সরকারী ও বেসরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক করে ভারত সরকারের দৃষ্টি কাড়ে। অন্যান্য অনেক উদ্দেশ্যের পাশাপাশি মুলত বাংলাদেশ এবং ভারত সাইবার যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধ করা। সেসময়য় ভারতের প্রায় সহস্রাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে সাইটের প্রধান পেইজে ঝুলিয়ে দেয় বিএসএফ এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানির ছবি।
বাংলাদেশ সাইবার আর্মির আরও কয়েকটি বড় অর্জন হল, প্রতিষ্ঠাতা এডমিন সাদমান তানজিমের গুগল ল্যাব ডাটাবেস ইঞ্জেক্টিং ত্রুটি খুঁজে বের করা এবং বাংলাদেশ সাইবার আর্মির আরেকজন এডমিন নীল নিরব দ্বারা নাসার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। এছাড়াও বিশ্বের নামকরা কিছু হ্যাকিং কমিউনিটির ওয়েবসাইট হ্যাক করার কৃতিত্বও আছে তাদের।
ওয়ার্ল্ড এর অন্যতম পর্ণ নেটওয়ার্ক Creampaie ধ্বংস করে । Google.com ডাটা ব্যাস হ্যাক করার দক্ষতা দেখায় বিসিএ অ্যাডমিন Bedu33n.
এ ছাড়াও ওয়ার্ল্ড এর বেশ কিছু হ্যাকিং কমিউনিটি ওয়েব সাইট তারা হ্যাক করে ।


Expire Cyber Army: বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আরেকটি পরিচিত মুখ হল এক্সপায়ার সাইবার আর্মি। এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৩ জন s1r-3xp1r3( সোহেল আলি ), _sYs_ ( শোয়েব নযরুল), NoPM ( সাজিদ আহমেদ )।এ ছাড়াও গ্রুপটির প্রথম দিকের সদস্যরা হলেনঃ
• t3rr0r
• 3xp1r3-61
• pr1nc3$$_3xp1r3

তাদের বর্তমান একটিভ ক্রিও-দের নাম দেওয়া হল ।
• s1r-3xp1r3
• 3xp1r3-61
• Ethical BD Haxor
• 3xp1r3-t3rr0r
• N3r0b
• NoPM
• split0_0fire
• rEd X-3xp1r3
• 3xp1r3-Dr3@m3r
• Jack Roy Hardy
• sYs
• 3xp1r3-Mind
• Damage Brain
• Aj0b_3xp1r3
• Orions Hunter
• 3xp1r3_d3c0d3r
বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের আগমুহূর্তে ২০১১এর ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া এই গ্রুপটি বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধে অন্যান্যদের মত বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইট হ্যাক করে। তাছাড়া তারা সাইবার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বেশকিছু বাংলাদেশী ওয়েবসাইট পূর্বের অবস্থায় ফিরেয়ে নিতে সহযোগিতা করে। গ্রুপটিতে রয়েছে বেশকিছু তরুন এবং মেধাবী মুখ কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করার কারণে কিছুটা বিতর্কের মাঝে পড়ে যায় গ্রুপটি। এক্সপায়ার তাদের ট্যাগলাইন হিসেবে ব্যাবহার করে “We Never Give Up”.
এক্সপায়ারের রয়েছে সুগঠিত কোডার ইউনিট যারা নিত্য নতুন টুল তৈরি ও মোডিফাই করে ব্যাবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে। তাদের তৈরি করা ম্যাস ডিফেসমেন্ট টুল AK-47 বেস জনপ্রিয়। এবং তাদের রয়েছে ওয়েবসাইট মিরর তৈরি করার জন্য HACK-DB নামের একটি ওয়েবসাইট যেখানে বিশ্বের অনেক হ্যাকাররা কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রমাণস্বরূপ মিরর তৈরি করে রাখে


Bangladesh Black Hat Hackers: বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় গ্রুপ হল বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস। বিভিন্য মিডিয়াতে পাওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের সুচনা হয়েছিল এই বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপের হাত ধরে।এই গ্রুপটিই সর্বপ্রথম ইন্ডিয়ানদের প্রতিবাদ জানায় এবং ইন্ডিয়াকে শক্ত আক্রমন করে।এর প্রতিষ্ঠাতা Black Burn Moonlit . BCA তে থাকা কালীন BCA র জন্য লোগো , ব্যানার তৈরি করত & চাইনিজ সাইট IIS মেথড হ্যাক করত। Cyber Space এ Trojon ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাকে BCA থেকে বহিষ্কার করা হয় ।পরে তিনি BBHH প্রতিষ্ঠা করেন । গ্রুপটির অন্যতম অংশীদার Back Bone, BD Xtor, Orion Hunter.এর শুরুর দিকের সদস্যরা ছিলেন ।
• Raiyan Ahmed
• Rdx Crew
• Arafat Alam Akash
• Luge Racer
• I'm Rock
• Illûmïnåté Ðëmøñ
• Mehedi Hsan
• Sharif Ahmed
• Oritro Ahmed
বর্তমানে তাদের অবস্থা খুব একটা চোখে পড়ার মত না। তাদের নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দলের জন্যই তাদের অবস্থা আগের তুলনায় খারাপ হয়ে গেছে। অনেক পুরাতন মেম্বার পদত্যাগ করে নতুন টিমের সাথে যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকে হ্যাকিং ছেড়ে ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা যায়।


Team Haxorsistz: অনেকটাই নতুন তৈরি হওয়া এই গ্রুপটি তাদের মেধা এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে অনেক উপরে স্থান করে নিয়েছে। তাদের গ্রুপের সূচনা লগ্ন থেকে নিত্য নতুন ওয়েবসাইট এর ত্রুটি বের করা শুরু করে এই গ্রুপটি। বাংলাদেশী হ্যাকার ফোরস এক্স এর হাত ধরে জন্মলাভ করে এই গ্রুপটি। কম দিনেই গ্রুপের একটিভ ক্রু মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সম্মানজনক অবস্থানে চলে এসেছে এই গ্রুপটি। কিছুদিন আগে ভারতীও টিভি চ্যানেল জি-বাংলায় প্রচারিত কমেডি শো মিরাক্কেলে বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা হয় এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ জি নেটওয়ার্কের বেশ কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করে আলোচনায় আসে বাংলাদেশের এই হ্যাকার গ্রুপ।



Bangladesh Grey Hat Hackers: বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এর নাম আপনারা অনেকেই জানেন। দেশের সাইবার স্পেস রক্ষাকরাই তাদের লক্ষ। দেশের অন্যান্য গ্রুপের মধ্যে ভালো অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস। ইতিমধ্যে বেশকিছু হ্যাক হওয়া বাংলাদেশী সাইট রিস্টর করে সুনাম কুড়িয়েছে। জানাগেছে বাংলাদেশ পুলিশের সাথেও তাদের কাজের কথা।এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা BD Xtor এটি BBHH এর আগে বানানো Black Burn Moonlit & Back Bone এর অনুরুধে তিনি BBHH আসেন । তিনি BDvsIN ওয়ারে খুব ভাল পারফারমেন্স দেখান ।
BBHH ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আবার BGHH আবার চালু করেন । বর্তমানে তিনি কাজের বেস্ততার কারনে গ্রুপে বেশি সময় দিতে পারেন না ।
গ্রুপে বলার মত ২ জন সদস্য আছেন Rotating Rotor & Fredous Mahbub .



Cyber-71 Team : দেশের নতুন আরেকটি হ্যাকার গ্রুপ হল সাইবার৭১। তারা দাবি করে বাংলাদেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষা করাই তাদের দায়িত্ব। দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই জন্ম লাভ করে বাংলাদেশের এই গ্রুপটি। গ্রুপটি চালু হবার পর থেকেই গ্রুপের এডমিন এবং ক্রু মেম্বাররা নিত্য নতুন ডিফেসিং কৌশল দেখিয়ে অবাক করে দিচ্ছেন সবাইকে। বাংলাদেশের সাইবার জগতের পরিচিত মুখ সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান এলুমিনিয়াম সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা আলমাস জামান এই গ্রুপের একজন এডমিন হিসেবে আছেন। দেশের জন্য ভালো কিছু দিবে এমনটাই আশাকরা যায় এই গ্রুপের কাছে।


Anonymous Bangladesh: এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা Core Anon নামের ১জন প্রবাসী বাঙালীর ।
তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখ করার মত কোন কাজ করতে পারে নাই । International Anonymous এর সাথে তাদের ভাল যোগাযোগ আছে । আর Anonymous Bangladesh >> International Anonymous থেকে আনুমোদন প্রাপ্ত গ্রুপ ।
এই গ্রুপটি বাংলাদেশের সব গুলা গ্রুপকে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করছে ।

Team BD7 : এই গ্রুপটি সম্পর্কে ভালোভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না । তারা নিজেদেরকে আন্ডার গ্রাউন্ড গ্রুপ দাবি করে । এর সদস্য কারা এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি ।
তবে গ্রুপটির ৭জনের সাইবার নিক পাওয়া যায় ।

• S4K3-BD.$3V3N,
• HAXOR-BD.$3V3N
• MR.BD.$3V3N
• $N1P3R-BD.$3V3N
• $T3W@RD-BD.$3V3N
• GH0$T.BD.$3V3N
• P5YCH0_BD.$3V3N
গ্রুপটি এখন পর্যন্ত আহামারি কিছু করতে পারে নাই ।


বাংলাদেশে হ্যাকারদের নিয়ে রয়েছে সম্ভাবনাঃ

আপনি কি জানেন বাংলাদেশে বিশ্বমানের অনেক হ্যাকার রয়েছেন? তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বের সেরা হ্যাকার TiGER-M@TE।
TiGER-M@TE : তাকে ওয়ার্ল্ড এর অন্যতম সেরা হ্যাকার হিসেবে ধারণা করা হয় । ১ দিনে সর্বোচ্চ ৭ লাখ সাইট হ্যাক করার কৃতিত্ব দেখান । যেটা আজ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসেবে আছে । অনেকের ধারনা তার নাম ইমরান ( Imran) । আজ পর্যন্ত কেউ অনার সম্পর্কে কোন কোন তথ্য দিতে সমর্থ হয়নি ।zone-h তার স্থান প্রথম ৩ জনের ১ জন।আর তিনি আমাদের বাংলাদেশের কৃতিসন্তান।
বিশ্বে বিশ্ব হ্যাকারদের হ্যাকিং সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা হ্যাক মিরর সাইটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী পৃথিবীর ৯১৮টি হ্যাকার টিমের মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস। একই সঙ্গে এই হ্যাকার টিমটি জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা ৫০টি টিমের মধ্যে ৩২তম স্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের হ্যাকার টিমের মধ্যে দলগতভাবে এ কৃতিত্ব অর্জনের ঘটনা এবারই প্রথম।
বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে উঠে আসার আগে ইন্দোনেশিয়ান, ইরান, তুরস্কের হ্যাকাররা এগিয়ে ছিল। ইন্দোনেশিয়া ছিল প্রথম স্থানে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশের হ্যাকাররা ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক হামলা চালালে তারা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সাইবার যুদ্ধ চলাকালীন সে দেশের সরকারি উদ্যোগে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে পিছু হটে ইন্দোনেশিয়ান হ্যাকাররা। এমন নানান সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হ্যাকার টিম এখন বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। এদিকে এই হ্যাকার টিমটি সম্প্রতি জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা ৫০টি হ্যাকার টিমের মধ্যে ৩২ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। মাত্র দুই বছরের একটু বেশি সময় ধরে হ্যাকিং নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এই শীর্ষ স্থানে চলে এলো। তবে এককভাবে জোন-এইচে বাংলাদেশের আরেক সেরা হ্যাকার টাইগার ম্যাট এই মুহূর্তে ২০ নম্বর স্থানে অবস্থান করছেন। তিনি এর আগে ৭ম স্থানে ছিলেন। মূলত অনিয়মিত হ্যাকিংয়ের কারণে তিনি ক্রমশ নিচের দিকে চলে আসছেন। জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় হ্যাক মিরর এবং ২০০২ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় জোন-এইচ। তুলনামূলক পুরনো সময়ের হ্যাকারদের একক রাজত্বকালে গত ১১ বছর ধরে কিছু হ্যাকার টিম শীর্ষ স্থানে ছিল। তবে এখন হ্যাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করার ফলে ক্রমশ এই তালিকা থেকে কিছু টিম পিছে চলে যাচ্ছে। আর কিছু টিম দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশেরও একটি টিম এগিয়ে চলেছে (বর্তমানে ৩২তম)। আর ঠিক কত দিনে জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা হ্যাকারদের সরিয়ে প্রথম স্থানে আসা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসের এডমিন রোটেটিং রটোর এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এখন যে গতিতে এগুচ্ছি তা নিয়মিত করতে পারলে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে আমরাই হব পৃথিবীর সেরা এবং শক্তিশালী হ্যাকার টিম। বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসের এডমিন রোটেটিং রটোর বলেন, র্যাং কিংয়ে আমরা এগিয়ে থাকার ফলে সারা বিশ্বের হ্যাকারদের চেয়ে আমাদের হ্যাকাররা যে অনেক দক্ষ তাই প্রমাণিত হল। যেখানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হ্যাকাররা কাজ করেও কোন অবস্থানেই নেই সেখানে আমরা কোন সাহায্য না পাওয়া সত্ত্বেও ১ নম্বরে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছি। এর ফলে আমাদের দেশের সাইবার স্পেসের ওপর হ্যাকারদের হামলা অনেক কমে যাবে। যদিও বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসের প্রক্সি টিম বিশ্বের অনেক দেশেই আছে। যাদের কাজ হল বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে হামলা হলেই তাদের উপরে পাল্টা হামলা চালানো। রটোর তাদের হ্যাকিং নিয়ে সাফল্যের গল্প সম্পর্কে বলেন, আমাদের অনেক সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোন বাংলাদেশী সাইট হ্যাক হলে তৎক্ষণাৎ রিস্টোর করে দেয়া, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বানানো এবং শ্রীলংকার সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের দেশের সব সরকারি ওয়েবসাইট সিকিউর করা। ভবিষ্যতে আশা করছি আমাদের মাধ্যমে সাইবার স্পেস অনেক সুরক্ষিত থাকবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস টিমে ৩০ জন ক্রু কাজ করছেন। তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন মূর্খ মানব, ইনাম, আশিক ইকবাল, শাহজাহান এবং হিমেল। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী হ্যাক মিররে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস হোম ডিফেস দিয়েছে ৮৮৩৪টি, স্পেশাল ডিফেস বা সরকারি সাইট হ্যাক করেছে ৯৬০টি, ইউনিক আইপি বা সার্ভার হ্যাক করেছে ৩২৬৪টি এবং সব মিলে ডিফেস দিয়েছে ২৩১৩১টি। এছাড়া জোন-এইচের তথ্যানুযায়ী সেখানে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস সিঙ্গেল ডিফেস বা সার্ভার হ্যাক করেছে ৫৪৮৩টি, মাস ডিফেস বা ২৪ ঘণ্টায় হ্যাক করেছে ৩৪৪১৪টি, হোম পেজ ডিফেস দিয়েছে ১৮৪৫৩টি, সাব-ডোমেইন ডিফেস দিয়েছে ২১৪৪৪টি এবং সব মিলে ডিফেস দিয়েছে ৩৯৮৯৭টি। প্রসঙ্গত, হ্যাক মিরর এবং জোন-এইচ মূলত বিশ্ব হ্যাকাররা কে, কয়টি, কীভাবে সাইট হ্যাক করেছে তা মিরর করে। হ্যাকাররা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই প্রমাণ করে থাকে। ৯১৮ হ্যাকার টিমের শীর্ষে বাংলাদেশ!
আমাদের দেশের সাইবার অবস্থা খুবই দুঃখজনক। প্রত্যেকটা সরকারি ওয়েবসাইট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সেই মান্ধাতা আমলের ওয়েব ডেভলপার দিয়ে সরকার এই সব সাইট ডেভেলপ করছে। অথচ আমাদের দেশের এই সব মেধাবী হ্যাকারদের কেন সরকার ব্যবহার করছে না? উন্নত বিশ্বে হ্যাকারদের যেখানে সরকারি সাইবার নিরাপত্তায় নিয়োগ দিয়ে রাখা হয় সেখানে বাংলাদেশে কেন হ্যাকারদের ঐভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না? আমার মনে হয় সরকার যদি মেধাবী এই তরুণ হ্যাকারদের কাছে সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে চায় তাহলে খুশি মনে এবং বিনামূল্যে এই দায়িত্ব নিবে। শুধু একবার সুযোগ যদি সরকার দেয় তাহলেই হ্যাকাররা দেখিয়ে দিবে তাদের ক্ষমতা।
বর্তমানে ভারত ধীরে ধীরে আইটি সেক্টরে ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। ভারত সরকার খুব বেশিদিন হয়নি আইটি সেক্টরকে গুরত্ব দেয়া শুরু করেছে সেই তুলনায় ভারত অনেক তাড়াতাড়িই সফলতা দেখতে শুরু করেছে। ফ্রীল্যান্সিং এ ভারতের অবস্থান বেশ পাকাপোক্তই বলা যায়। জনসংখ্যাবহুল পাশের দেশ ভারত যদি পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমাদের কেন পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হচ্ছে না?
বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন অনেক সেক্টরেতো অনেক টাকা খরচ করলেন এবার আইটি সেক্টরে একটু খেয়াল করুন। মেধাবী তরুণদের নিয়ে সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে এগিয়ে আসুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
(আমার এই লেখাটি বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে একসাথে করা।তাই সম্পূর্ণই মিল পাবেন)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×