‘আবূ দাউদ শরীফ’ ও মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, “হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, একদা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন এবং আমার হাত মুবারক ধরে আমাকে জান্নাতের ওই দরজাটি দেখালেন, যেই পথে আমার উম্মতগণ প্রবেশ করবেন।’ তখন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি আরজ করলেন, ‘ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কতোই না আনন্দিত হতাম, যদি আমি আপনার সঙ্গে থেকে প্রবেশদ্বারটি দেখতে পেতাম।’ এটা শুনে হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘হে আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম! জেনে রাখুন, আমার উম্মতের মধ্যে আপনিই সর্বপ্রথম বেহেশতে প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ উনিই আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া তথা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনিই প্রথম খলীফা, প্রথম দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারী এবং উনিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনারই বিছাল শরীফ হচ্ছে ২২ জুমাদাল উখরা। এদিনে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা সমস্ত দেশের সরকারপ্রধানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।