somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইহা একটি ইশপের গল্প B-) B-) :#>

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা আধুনিক ইশপের গল্প শোনাই। হাতে টাইম থাকলে এককাপ চা নিয়া বইসা পড়েন।

এক সিংহর একবার যাচাই করার ইচ্ছে জাগলো, বনের পশুরা তারে কেমন মান্যিগণ্যি করে। সে প্রথমে হরিণের কাছে গেলো। যায়া দেখে হরিণ, তার দেবরের সাথে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছে। ডিপজলেন মতো এগিয়ে গিয়ে সিংহ বললো, বলতো বনের রাজা কে ? হরিণ ভয়ে ভয়ে বললো - আপনে । সিংহ কৈলো যাহ আইজ তর কথায় খুশি হৈছি। খামুনা তরে । যাহ।

এরপর দেখলো এক বান্দর - "ফেসবুকের গুরুত্ব ।। ডায়েবেটিক ও উচ্চরক্তচাপে ইহার প্রভাব" শীর্ষক , সেমিনারে হেভি সেক্সি টাইপ বান্দরনি আর হনুমান পত্নিদের নিয়ে ফ্লগর ফ্লগর করতাছে। (জিগান আমারে ফ্লগর জিনিসটা খায় না পিন্দে । কথা বেশি কইলে সেটারে কয় বকর বকর। ব্লগিং বেশি করলে ব্লগর ব্লগর, ফেসবুকিং বেশি করলে ফ্লগর ফ্লগর )। সিংহ যায়া গলা খাকারি দিয়া কইলো, বান্দর একটা বিড়ি আর আর লাইটার নিয়া এইদিক আয়তো। বান্দর দেখলো কথা না হুনলে ফেসবুক আর মাইয়া দুইডাই যাইবো। কইলো জি জনাব বলেন। এই বলে বিড়িতে আগুন ধরায়ে দিলো। সিংহ গব্বর সিং এর মতো করে বললো - তেরা ক্যায়া হোগা রে কালেয়া? বান্দর কয় পচা কথা কন ক্যান? সিংহ কয় কি কৈলি। পচা কথা কুনডা ? বান্দর কয়, হোগা না কি যানি কৈলেন? সিংহ কয় , বেদ্দপ হিন্দি বুঝোস না?

বান্দর কয় না বস কি হৈছে কন ছে? সিংহ কয় ক তো এই বনের রাজা কেডা?

বান্দর মনে মনে কয় আলার্ফুতালা আমারে চোখখে দেহিস না। মুখে অর্থমন্ত্রী সুলভ হাসি ফুটিয়ে বললো - জ্বি আপনি বাদশাহ নামদার। সিংহর মেজাজ টা সিবিচে সূর্যস্নানরত বক্ষ আর কোমরবন্ধনী পরিহীত মেয়েদের দেখলে যে অবস্থা হয়। সেইরকম হইলো। সে বললো চালায়া যা বান্দর। যখন যা লগে কবি। আর কেউ তোর লগে ফাপড় নিলে আম্রে কবি। নগদে রিপ্লাই দিমু বান্দির পুত রে ।

এই বলে সে এক কামরার ব্যাচেলর গুহার দিকে এগুতে লাগলো। পথে দেখে এক হাতি মনের সুখে কলাগাছ উজাড় করতেছে। দেইখ্যাই বুঝা যায়, সদ্য ছ্যাকা খাইছে। মাথা মুথা আউলায়া সব ভাংতাছে। যত বেশি মনে পড়তাছে গার্লফ্রেন্ডের কথা, ততবেশি কাবজাব করতাছে। মাথার মধ্যে ঘুরতাছে – “শোনো তোমার চে, ফেভিকলের ঐ হাতি বেশি পার্ফেক্ট। অনেক স্মার্ট। সিক্স প্যাকড। হাংকড। পালসারড। হাতে গলায় চেইন পড়ে। রাইত হৈলে শিকার করে। তুমার তো একহালি কলার কিনার ও ট্যাকা নাই। এভাবে চলে না বুঝলা। তোমার মতো ধ্বজভংগ হাতির আমার দরকার নাই। ভাগ হালারপুত।“

হস্তিনীরা বড়ই নির্বোধ। ভালুবাছা বুঝে না। কলা বোঝে খালি। এরকম একটা ডিসিশান টেনে - শোকে দু:খে সে শুড় উচিয়ে টারজান রে ডাকতে লাগলো। ওওওওওওওওওওওওও ওওওও । সিংহ ভাবলো যাই এইডার কাছে ফাপড় দেই এইবার। দাঁতের ফাকে একটা টুটপিক নিয়ে কামড়াতে কামড়াতে হেভিই পাট মাইরা হাতির দিকে আগাইতে লাগলো।

হাতির তো শোকপিনিক তখন তুঙ্গে। কলাগাছ, গাবগাছ, কচুগাছ, লালশাক গাছ, ফুলগাছ, মূলবাঁশ যা পাইতাছে কোপায়া ভাংতাছে। সিংহ যায়া কয়। ঐ ব্যটা হুন । হাতি একবার চায়া দেখলো। কোনো উত্তর দিলো না। সিংহ কয় – মাlদারচোদ, ভ্যাড়াচোদা কথা কানে যায় না। এইদিক হুন । হাতি আগাইলো। কি কইবেন কন?

সিংহ কয় বনের রাজা কেডা ক তো ? হাতি খানিক্ষণ চায়া থাকলো। তারপর জর্জবুশের ইরাক আক্রমণের মতো বিনা নোটিশে সিংহরে শুড় দিয়া প্যাচায়া দিলো এক আছাড়। সিংহ বোকাচোদা হয়া গেলো। রহিমুদ্দিন ভরসা যদি সিচুয়েশনটার ধারাভাষ্য দিতো, তাহলে বলতো – মাননীয় স্পিকার, আছাড় খেয়ে সিংহ টি চোদনা হয়ে গেলো।

সিংহ প্রথমে বুঝতে পারলো না ব্যপারটা। ফ্যালফ্যাল করে চায়া থাকলো। দেবদাসরে পার্বতি ছ্যাকাকুমড়া খাওয়ানোর পর যেরকম কার্টুনের মতো গোল গোল চোখ করে সে পার্বতির দিকে আর তার বুক বরাবর তাকিয়ে ছিলো । ঠিক সেরকম করে। সে ভাবলো হাতি ভুল করছে বোধহয়।

বুক-মুখ আসমানের দিকে তাক করে পিছনের পা দুটো মাটিতে সাপোর্ট দিয়ে, আর সামনের পা দুটো মাথার নিচে সাপোর্ট দিয়ে জ্যাকি চ্যানের মতো লাফ দিয়ে উঠি দাড়ালো। কান টান ঝেড়ে , কেশড় ল্যাংচিয়ে গিয়ে বললো – ঐ হালা , ক এই বনের রাজা ক্যাডা?

হাতির মেজাজ তখন অষ্টম আসমানে উইঠ্যা গেছে। এমনেই ছ্যাক খাইছে। তারপর এই বালছাল কৈত্তে আয়য়া পেইন দেয়া শুরু করছে।

ফট কইরা শুড় দিয়া সিংহের প্যাট জড়ায়া মাথার উপ্রে তুইলা মারলো এক আছাড়। সর্বশক্তি দিয়া।

এইবার সিংহ পুরাই ল্যাব্দা খায়া গেলো। লজ্জাশরমের মাথা খায়া উইঠা দাঁড়াইলো। তারপর হাতির সামনে গিয়া কইলো।

“বড়দা, আগেই কইতেন , বনের রাজা ক্যাডা আপনে সেইটা জানেন না? হুদাহুদি আমারে মারলেন ক্যা :’( “

.... গপ্পো শ্যাষ।



সিংহ, বান্দর , হরিণ = জনগণ (জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস)

হাতি = সরকার বাহাদুর ( যেকোনো সময়ে , যে কোনো টার্মে যারা ক্ষমতায় থাকেন।)

মোরাল: হাতিদের মন নানা কারণে সবসময় খারাপ থাকে। সিংহদের ফাপড় নেয়ার আগে বোঝা উচিত , সেটা বান্দর হরিণ, নাকি ছ্যাকা খাওয়া হাতি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৪
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×