somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয়টেক এর সাথে ফ্রিল্যান্সার ইকরাম ভাইয়ের ইন্টারভিউ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোঃ ইকরাম। একাধারে তিনি ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৯
সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে তিনি আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস শেখেন। এরপর হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করে এ সম্পর্কে তার অনেক ধারণা হয়ে যায়।
দুই বছর পর ২০০১ সালে এলিফ্যান্ট রোডে একটি কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেন। হার্ডওয়্যার নিয়ে তার প্রচণ্ড আগ্রহের কারণে এখানে দুই বছর থেকে আরো বেশি এক্সপার্ট হয়ে যান।
এরপর তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানেই হার্ডওয়্যার সাপোর্ট দিতে থাকেন।

তিনি দেশের একটি বড় সাংবাদিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট বিজেম এ ৫ বছর ধরে আইটি এডভাইজার হিসেবে হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং সাপোর্টসহ সবধরনের আইটি সাপোর্ট দিচ্ছেন। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধু ইফতেখারের
সহযোগিতায় কাঁটাবনে ওয়েব ডিজাইন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন
যেখানে তিনি কোম্পানীর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মার্কেটিং,
হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক্স ডিপার্টমেন্টের দেখাশোনা করতেন। আট মাসে তাদের অবস্থান প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হলেও সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে সে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। সে সময় তার পার্টনার তাকে চ্যালেঞ্জ দেয় আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকে তিনি আইটিতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা করেন। প্রথম প্রথম বিভিন্ন সিডি কিনে এবং বই পড়ে প্রথম দক্ষ হন ফ্লাশ এনিমেশনের ওপর। বাচ্চাদের জন্য একটা এনিমেটেড সিডিও তৈরি করেন তিনি। এরপরের পরিকল্পনা ছিল ওয়েবডিজাইন শিখার। সেটাও গুগল থেকে সাহায্য নিয়ে শিখে ফেলেন। তিনি ওয়েব ডিজাইন শিখে প্রথম কাজটাই পেয়েছিলেন একটি বড় কোম্পানীর। কোম্পানীর নাম গিভেন্সী গ্রুপ। তিনি বলেন, আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচরনা এবং এখনও চলছে। তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য তিনি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকেন । তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ইকরাম সম্পর্কে আরো জানতে তার ফেসবুক ও ব্যক্তিগত সাইট এ যোগদান করতে পারেন।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?

মোঃ ইকরাম: আমি যখন প্রথম
ওয়েবসাইট বানাই তখন থেকেই বাইরের কাজ কিভাবে যোগাড় করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। মূলত তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধারনা পেতে শুরু করি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?

মোঃ ইকরাম: আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?

মোঃ ইকরাম: paybdt ব্যবসা করার কারনে অনেকে আমার কাছ থেকে ইনকামের ব্যাপারগুলো নিয়ে সাহায্য চাইত। আমি নিজে কাজ শুরুর আগেই মানুষকে এই ব্যপারে সহযোগিতা শুরু করি। পরে কখন যে নিজেও এই জগতের সাথে যুক্ত হয়ে যাই তা টেরই পাইনি!

প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?

মোঃ ইকরাম: ২০০৯ থেকে আমি এই জগতে পা রাখি। এফিলিয়েশন কাজ বেশি করি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?

মোঃ ইকরাম: http://www.freelancer.com, http://www.flippa.com,
http://fiverr.com

প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয়ই সাইটের তফাৎ কি?

মোঃ ইকরাম: যেকোন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা freelancer.com এর
বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করে ডলার আয় করতে পারে যেটা অন্য অনেক উপায়ের তুলনায় অনেক সহজ পদ্ধতি। fiverr.com আপনাকে বায়ার খুজতে হয়না, বায়ার আপনাকে খুঁজে বের করবে। এই সাইটের কাজগুলো মাত্র ৫ ডলার হওয়ার কারনে অনেকেই এখানে কাজ করতে আগ্রহ পায় না। কিন্তু তাদের জন্য বলি, আমার এ
(প্রিয় টেক) মোঃ ইকরাম। একাধারে তিনি ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ব্লগার, এসইও, আউটসোর্সিং এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে তিনি আতাউর রহমান সোহেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম মাইক্রোসফট অফিস শেখেন। এরপর হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করে এ সম্পর্কে তার অনেক ধারণা হয়ে যায়। দুই বছর পর ২০০১ সালে এলিফ্যান্ট রোডে একটি কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেন। হার্ডওয়্যার নিয়ে তার প্রচণ্ড আগ্রহের কারণে এখানে দুই বছর থেকে আরো বেশি এক্সপার্ট হয়ে যান। এরপর তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানেই হার্ডওয়্যার সাপোর্ট দিতে থাকেন।

তিনি দেশের একটি বড় সাংবাদিক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট বিজেম এ ৫ বছর ধরে আইটি এডভাইজার হিসেবে হার্ড।ওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং সাপোর্টসহ সব ধরনের আইটি সাপোর্ট দিচ্ছেন। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধু ইফতেখারের সহযোগিতায় কাঁটাবনে ওয়েব ডিজাইন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনি কোম্পানীর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মার্কেটিং, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক্স ডিপার্টমেন্টের দেখাশোনা করতেন। আট মাসে তাদের অবস্থান প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হলেও সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে সে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। সে সময় তার পার্টনার তাকে চ্যালেঞ্জ দেয় আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকেই তিনি আইটিতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা করেন। প্রথম প্রথম বিভিন্ন সিডি কিনে এবং বই পড়ে প্রথম দক্ষ হন ফ্লাশ এনিমেশনের ওপর। বাচ্চাদের জন্য একটা এনিমেটেড সিডিও তৈরি করেন তিনি। এরপরের পরিকল্পনা ছিল ওয়েবডিজাইন শিখার। সেটাও গুগল থেকে সাহায্য নিয়ে শিখে ফেলেন। তিনি ওয়েব ডিজাইন শিখে প্রথম কাজটাই পেয়েছিলেন একটি বড় কোম্পানীর। কোম্পানীর নাম গিভেন্সী গ্রুপ। তিনি বলেন, আমার প্রথম ওয়েবডিজাইন মাত্র ১ মাস নিজে নিজে শেখার পরেই করি। এই কাজের পর থেকেই আবার সবার সামনে নিজেকে অন্য পরিচয়ে নিয়ে আসি। শুরু হয় নতুন জীবনের পদচরনা এবং এখনও চলছে। তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। বাংলাদেশে যারা অনলাইনে আয় করা ডলার ক্যাশ করতে সমস্যায় পরেন তাদের জন্য তিনি পেপ্যালসহ অন্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সাপোর্ট দিয়ে থাকেন । তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পেবিডিটি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে। ইকরাম সম্পর্কে আরো জানতে তার ফেসবুক, ব্যক্তিগত সাইট এ যোগদান করতে পারেন।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেলেন কিভাবে?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন প্রথম ওয়েবসাইট বানাই তখন থেকেই বাইরের কাজ কিভাবে যোগাড় করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। মূলত তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধারনা পেতে শুরু করি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমি যখন দেশের বাইরের কাজ যোগাড় করার চিন্তা করি, তখন মাথাতে আসে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা করার। এই পরিকল্পনা থেকে আমি আমার এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে সে দেশে ব্যবসা করার লাইন্সেস নেই। একটা ই-কমার্স সাইট বানাই আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। তখন এই ব্যবসার জন্য পেপ্যাল, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড এর ব্যবস্থা করি। ৫ টা অষ্ট্রেলিয়ান ওয়্যার হাউজের সাথে চুক্তিও শেষ করি। কিন্তু যে ধরনের সেটআপ দরকার সেটার ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। তখন আপাতত সেটার পরিকল্পনা বন্ধ রাখলাম। আবার অন্যদিকে আমার কাছে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে জানার পর অনেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য আমার সাহায্য নেয়া শুরু করল। তখন অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে শুরু করি অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট ব্যবসা। এই প্রজেক্টের নাম দেই পেবিডিটি। সেটা করার পর আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক অলিগলি সম্পর্কে জানতে পারি। কারন যারা অনলাইনে উপার্জন করে তাদের অনেকে ডলার আনার জন্য পেবিডিটি'র সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখি, অনেকে অনেক জায়গা থেকে ইনকাম করে। অনেক অজানা পদ্ধতিগুলো জানতে পারি। মূলত এই ব্যবসা করতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে ভাল ভাবে উদ্ধুদ্ধ হই।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন কোথা থেকে?

মোঃ ইকরাম: paybdt ব্যবসা করার কারনে অনেকে আমার কাছ থেকে ইনকামের ব্যাপারগুলো নিয়ে সাহায্য চাইত। আমি নিজে কাজ শুরুর আগেই মানুষকে এই ব্যপারে সহযোগিতা শুরু করি। পরে কখন যে নিজেও এই জগতের সাথে যুক্ত হয়ে যাই তা টেরই পাইনি!

প্রিয় টেক: কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
মোঃ ইকরাম: ২০০৯ থেকে আমি এই জগতে পা রাখি। এফিলিয়েশন কাজ বেশি করি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার প্রিয় সাইট কোনগুলো?
মোঃ ইকরাম: http://www.freelancer.com , http://www.flippa.com, http://fiverr.com

প্রিয় টেক: অন্য সাইট গুলো থেকে আপনার সব থেকে প্রিয়ই সাইটের তফাৎ কি?
মোঃ ইকরাম: যেকোন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা freelancer.com এর বিভিন্ন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করে ডলার আয় করতে পারে যেটা অন্য অনেক উপায়ের তুলনায় অনেক সহজ পদ্ধতি। fiverr.com আপনাকে বায়ার খুজতে হয়না, বায়ার আপনাকে খুঁজে বের করবে। এই সাইটের কাজগুলো মাত্র ৫ ডলার হওয়ার কারনে অনেকেই এখানে কাজ করতে আগ্রহ পায় না। কিন্তু তাদের জন্য বলি, আমার একজন ক্লায়েন্ট এই সাইট থেকে একমাসে ২৪০০ ডলার ইনকাম করে সেটা আমার মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করেছে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে অনলাইনে যারা উপার্জন করে তারা সবাই এক জায়গাতেই দৌড়ায়। যখন ডাটা এন্ট্রির হাওয়া ছিল তখন সবাই মিলে এই কাজটাই করেছে। যখন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এফিলিয়েশন শুরু হল সবাই এই জায়গাতে ঝাপিয়ে পড়ল। এখন চলছে ওডেস্কের হাওয়া, সবাই এখন এখানে সাতার কাটছে। কিন্তু অনলাইন ইনকাম মানে শুধু মাত্র ওডেস্ক, এফিলিয়েশন না। আরও অনেক উপায় আছে, যেগুলা আমরা জানিনা। সেগুলা মানুষকে জানানোর জন্য আমার একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে। সেটা বর্তমানে প্রতি মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাতে "অনলাইনে ইনকামের ১০০ উপায়" শিরোনামে ছাপা হচ্ছে। এখানে আমি অনলাইনে ইনকামের সত্যিকারের ১০০ টা উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছি। ভবিষ্যতে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ এখন পর্যন্ত আপনার অর্জন কতটুকু?

মোঃ ইকরাম: অর্জনের ব্যপারে বলতে গেলে বলতে পারি, আমি অনেকগুলো উপায়ে উপার্জন করেছি যেগুলো আমাদের দেশের খুব কম মানুষ জানে। এই অর্জনটুকুই আমি বড়ভাবে দেখছি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা প্রথম টাকা কিভাবে পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: আমার নিজের পেপ্যাল কার্ডের মাধ্যমে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কোন কাজ করেছেন এবং প্রথম পেমেন্ট কত পেয়েছিলেন?
মোঃ ইকরাম: fiverr.com এ ফ্লাশ ব্যনার বানানোর কাজ দিয়ে আমার শুরু। ওখানে তো আসলে মাত্র ৫ ডলার পেমেন্ট করে থাকে।

প্রিয় টেক: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা কেমন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভাল অবদান রাখার সম্ভাবনা আছে। আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য কম দেখে বায়াররা এসব কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহবোধ করে। এদেশে বর্তমানে মানুষদের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এই ব্যপারে। অনেকে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সংগঠিতভাবে অন্যকে দক্ষ করে তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা অনেক ভাল লক্ষণ। ইতিমধ্যে বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে।

প্রিয় টেক: বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিক কোন গুলো ?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টারনেট সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। এই দিকগুলোতে সমস্যা দূর করা গেলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আরো অনেক লোক প্রস্তুত হবে এই কাজ করার জন্য।

প্রিয় টেক: আপনার কাছে দেশের তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কি কি?
মোঃ ইকরাম: আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। তারপর অনেক মানুষের চেষ্টাতে আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।
অনেক ব্লগ এবং ফেসবুক আপনি দেখে থাকবেন অনেক সফল ব্যক্তি তাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও যেকোন ধরনের সাহায্য কেউ চাইলে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও তারা অনেক দক্ষ লোক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে এদেশের সব জায়গাতে এখন কলুষিত হয়ে গেছে, সেখানে আইটি জগতের এই রকম সৎ পরিবেশ আমাকে বড় স্বপ্ন দেখায়। এটা আমাদের তথ্য প্রযুক্তির অনেক ভাল দিক।

প্রিয় টেক: প্রথম প্রথম ইন্টারনেট কি কাজে ব্যবহার করতেন আর এখন ইন্টারনেটে কি নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মোঃ ইকরাম: প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি ১৯৯৯ সালে আর প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি ২০০০ সালে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র গান, ওয়ালপেপার সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। এখন ইন্টারনেটে খুব বেশি দেশি বিদেশি ব্লগের লেখা পড়ে, বিভিন্ন পত্রিকার কলাম পড়ে সময় কাটে। নিজেও বিভিন্ন ব্লগে রেগুলার লেখি। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

প্রিয় টেক: তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য সরকারের কি কি করা উচিত ?
মোঃ ইকরাম: এই মুহুর্তে ২টা দাবি সরকারের কাছে। বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে হবে, ইন্টারনেট সেবা দেশের সবজায়গাতে সহজলভ্য করতে হবে।

প্রিয় টেক: ইন্টারনেটেই যেহেতু আয় তো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের ইন্টারনেট সার্ভিস আগে থেকে অনেকগুন উন্নত হয়েছে। তবে অনেক ভাল করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সরকারের এই জায়গাতে নিয়ন্ত্রন অনেক কম। যে যার মত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরকারকে এখনই জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সাধারণত কোন সময় করেন?
মোঃ ইকরাম: রাতের সময়টা ছাড়া এই কাজ করার মত সময় এখন পাইনা।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে কোন প্রতিবন্ধকতায় বেশি পড়েছেন?
মোঃ ইকরাম: দক্ষলোকের অভাবের কারনে অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখনও অনেক কিছুই করতে পারছি না।

প্রিয় টেক: স্বাধীনভাবে নাকি দলগত ভাবে কাজ করছেন?
মোঃ ইকরাম: দলগতভাবে।

প্রিয় টেক: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: আমাদের জাতিগতভাবে ধৈর্য্য অনেক কম। সেই সমস্যা থাকার কারনে অল্পদিনেই অনেক কিছু চাই। যেটা ফিল্যান্সিংয়ের অনেক জায়গাতে এখনও আমাদের ভাল অবস্থান থাকলেও ভবিষ্যতে সেটা হয়ত খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

প্রিয় টেক: ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান নাকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে চান?
মোঃ ইকরাম: অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার স্বপ্ন দেখি।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে সরকারের কাছে কি কোনো চাওয়া আছে?
মোঃ ইকরাম: ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়া উচিত। পেপ্যাল সার্ভিস শুনেছি জানুয়ারিতে চালু হবে। সেটা যেন আর না পিছায় যায় সেই দিকে সরকারকে খেয়াল রাখা উচিত।

প্রিয় টেক: বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কেমন মূল্যায়ন করে বলে মনে করেন?
মোঃ ইকরাম: বাংলাদেশের অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক স্বীকৃতি পেয়েছে। এ জন্য আমাদের দিকে বায়ারদের আগ্রহ ও আস্থা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো পারফরমেন্স করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
মোঃ ইকরাম: সবার আগে বলব ইংরেজী জানতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য এটা জরুরী। ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। কম্পিউটারের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারনত এসইও, গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ডিজাইন জানা লোকদের ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল চাহিদা করতে পারে।

প্রিয় টেক: ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিবেন?
মোঃ ইকরাম: আগে কিছু শিখার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। এখন যেকোন কিছুর জন্য অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগগুলো থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই। আগেই টাকার জন্য কাজ না করে, দক্ষ হওয়ার জন্য কাজ করুন। যখন আপনি দক্ষ হবেন তখন টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×