বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার অঙ্গীকার ছিল শেখ হাসিনা সরকারের। মহাজোটের অঙ্গীকার বলা যাচ্ছে না এ কারণে, যে নির্বাচনের পর সরকারের সকল কর্মকাণ্ডে মহাজোটের শরীকদলগুলোর অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল না। অতএব তারা আদৌ ডিজিটাল বাংলাদেশ চান, নাকি অন্যকিছু চান সেটি স্পষ্ট নয়। সে মহাজোট যা-ই করুক আমাদের নির্বাচন কমিশন কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন এবং বিরোধীদলের যারপরনাই আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তারা তা-ই করেছেন। নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে জাতিকে দেখিয়ে দিয়েছেন তারা বিরোধীদল তথা জাতির একটি বড় অংশ কে থোরাইকেয়ার করেন। এ ক্ষেত্রে ই.সি যদি বিরোধীদলকে বাচ্চা শিশু মনে করেন তাহলে তার এই সিদ্ধান্ত ঠিক আছে ধরে নেয়া যায়। কারণ শিশুতো জানে না কীসে তার ভালো কীসে তার মন্দ। কিন্তু বিরোধীদল যদি পূর্ণবয়স্ক এবং পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হয়ে থাকে তাহলে ই.সির এ আচরণ কীসের মতো? শিশুর মতো নাকি গোঁয়ারের মতো? স্বয়ং আল্লাহপাক তার বান্দাহদের ওপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন না। যুদ্ধের ময়দানে রাসুল (স ও তার সাহাবিরা পরষ্পর আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু আল্লাহ’র সিদ্ধান্ত ছিল ভিন্ন তবু আল্লাহ রাসুলের এবং তার সাহাবিদের সিদ্ধান্তকে পাল্টাননি। অথচ তিনি নিশ্চিতভাবেই জানতেন কোন পথে বিপদ কোন পথ সঠিক। এটি এ কারণে করেছেন যে আল্লাহ মানুষকে, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোনও একটি ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে পরষ্পরকে আলোচনা করতে বলেছেন, আলোচনা সাপেক্ষে নেয়া কোনও সিদ্ধান্তকে যদি ভুল বলে মনে হয় আল্লাহ বলেছেন তাতেই তিনি বরকত দিয়েছেন। সিগারেট মদ নেশাজাতীয় দ্রব্য মানুষের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু তাই বলে কি সরকার এর বিপণন বা সেবন বন্ধ করেছেন? করেননি। কেন করেননি? প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি জেনেশুনে এ পথে আসে তাতে সরকারের করণীয় কিছু নেই। সরকার পারে সঠিক তথ্য ও সাবধানবাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, সচেতন করতে। জোর করে সে কারও মাদকসেবন বন্ধ করতে পারে না। তবে পরিবেশের ক্ষতি বা অন্যের ক্ষতি করলে, নির্দিষ্ট সীমার বাইরে গেলে প্রতিহত করার ক্ষমতা তার আছে। তাই অবৈধ বাজারজাত বন্ধে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিধিব্যবস্থা কার্যকর। যেখানে মানুষের স্বাধীনতার প্রতি স্রষ্টা এবং রাষ্ট্রের এহেন সম্মানজনক অবস্থান সেখানে রাষ্ট্রের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন কেন এমন অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করছে?
নির্বাচন কমিশন দলীয় কি নির্দলীয় সে প্রশ্ন আমি তুলছি না। কারণ কোনও দলের প্রতি সমর্থন বা দুর্বলতা থাকলেও মানুষ পেশাগত কারণে নিরপেক্ষ আচরণ করতে পারেন। অতএব কেউ নিরপেক্ষ নয় এই সূত্র দিয়ে তাদের ‘দলীয়’ বলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। বরং আসুন মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখি ই.সির এই গোয়ার্তুমি আচরণের কারণ কী?
মেশিনের প্রতি মানুষের দুর্বলতা আজন্ম। যে কারণে বাজারে কম্পিউটারে চক্ষুপরীক্ষা, সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি ইত্যাদি মেশিনপ্রীতির বিজ্ঞাপন সর্বত্রই চোখে পড়ে। কিন্তু এই মেশিন কি সবসময় সঠিক রেজাল্ট দেয়? ধরা যাক চিকিৎসাবিজ্ঞানে জড়িত যেসব মেশিন ব্যবহার করা হয় সেসব মেশিন কি সবসময় সবক্ষেত্রে নির্ভুল তথ্য দিচ্ছে? বা সঠিক ডায়াগনসিস করতে পারছে? যদি পারতো তাহলে কেউ কেউ জোরগলায় বলতেন না এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করা হয়। মানুষেরও যদি সব যন্ত্রের প্রতি সমান বিশ্বাস থাকত তাহলে বাড়তি খরচ করে ইবনেসিনা বা ল্যাব-এইডে যেত না কিংবা এদেরকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ব্যংকক বা মাদ্রাজ যেত না। অর্থাৎ মেশিনের সীমাবদ্ধতা আছে, থাকবে।
নিজের জীবনের কিছু বাস্তব ঘটনা বলি।
আমার পিসির কীবোর্ডের ক্যাবলটা ইঁদুর কেটে ফেলেছিল। বেশকিছুদিন পুরাতনটাকে এদিক ওদিক করে কষ্টেসৃষ্টে চালালাম; শেষে একদিন নতুন একটা কী-বোর্ড কিনে আনি। কিন্তু তাতে যোগ হলো নতুন সমস্যা। আমি পিসিতে ঢুকতেই পারি না। পাসওয়ার্ড নাকি ভুল।খুব বিরক্ত হলাম। এদিকে এমফিলের সিনপসিস জমা দেয়ার তাগাদা। কিছুতেই সমস্যাটা বুঝতে পারছিলাম না। শেষে ভাইয়ার পিসিতে গেলাম। কিন্তু ওরটায় আবার বাংলা ফন্টে প্রবলেম। সবমিলে মেজাজ যখন খুবই খারাপ তখন কম্পিউটারের আশ্রয় ছেড়ে ম্যানুয়ালে এলাম। তাৎক্ষণিক সমাধান কোনওভাবে হলেও কম্পিউটারের অচলায়তনে একেবারে ভেঙে পড়লাম। কেন এমন হচ্ছে? পাসওয়ার্ড ব্রেক করাতো অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার আমার জন্য।শুনেছি ব্যটারি খুললে পাসওয়ার্ড ব্রেক হয়ে যায়। কিন্তু সেটা আমার জন্য ঝুঁকির। ফোনে অনেকের সাথে কথা বলি….পাসওয়ার্ড ভাঙার বুদ্ধি তারা দিতে পারে না। বায়োস-পাসওয়ার্ড ভাঙা কঠিন। শেষে মাথায় বুদ্ধি এলো ভাইয়ার কীবোর্ডটা এনে আমারটায় লাগালাম, জাস্ট চেক। তাতেই কাজ হলো। পাসওয়ার্ড ঠিকই আছে। এদিকে আমি ভাইয়ার কীবোর্ড দিয়ে কাজ করছি, অন্যদিকে ভাইয়া তার প্রয়োজনে কিছু বকাবাদ্য করে বাধ্য হয়ে আমার কীবোর্ডটা লাগায়। আমার কী বোর্ডটা দিয়ে তার কাজ চলছে। আর আমার পিসিতে তারটা দিয়ে? এ কেমন কেরামতি?
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়া বন্ধু, ছোটভাইদের গালাগাল করি, ওরা বলে এটা কম্পিউটার সায়েন্সের বিষয় না। হার্ডওয়ারে কোনও প্রবলেম থাকতে পারে।…যাইহোক পরে উদ্ধার করা গেলো আমার নতুন কী বোর্ডটায় জেড বর্ণের স্থলে অন্য একটি বর্ণ আসে। পরীক্ষা করে দেখা গেলো আরও ২টা বর্ণেরও সমস্যা আছে। ভাইয়ার সে দুটো বর্ণ প্রয়োজন হয় না। ওর ছেলের নামতো আর জাবির নয় যে জেড বর্ণ দিয়ে পাসওয়ার্ড দেবে!
এতো গেলো কম্পিউটারের সমস্যা।
কম্পিউটারের আরও অনেক সমস্যা আছে। যে সমস্যায় খুব একটাপীড়িত হয় না মানুষ। যেমন সিডি কপি করতে গিয়ে দেখালো ২০মিনিট লাগবে। কয়েকসেকেন্ডের মধ্যে সেটা নেমে এলো ৭মিনিট লাগবে…আরও কয়েক সেকেন্ড পর ৩ মিনিট অতপর: মিনিট কয়েকের মধ্যেই কপি হয়ে গেলো। তাহলে যে শুরুতে বলল বিশ মিনিট লাগবে? মাঝে মাঝে বলে অ্যাপ্রক্সিমেট সময় এতো…কোথায় বিশ মিনিট আর কোথায় ২ মিনিট? অ্যাপ্রক্সিমেট? এরকম হলে কার না মনে হবে কম্পিউটারের সময়জ্ঞান বা গণিতশিক্ষার ঘাটতি আছে।
এরপর আসেন সিএনজি’র মিটার নামক মেশিনটাতে। কিংবা বিদ্যুতের মিটার নামক যন্ত্রটার কথায়। মিটারকে ফাঁকী দিয়ে অনেকেই হিটার ব্যবহার করেন। ক্যালকুলেটরের গোলযোগ আছে, সমস্যা আছে মোবাইল নামক যন্ত্রটাতেও। ক্যাম্পাসে থাকতে আমাদের এক বন্ধু একটা অদ্ভুৎ সমস্যায় পড়লো। ওর ফোন থেকে এর ওর নাম্বারে কল যায়। প্রথমে আমরা এটাকে ওর ফাজলামি বলে গালাগাল দিলাম। একদিন ও নিজেও বেশ বিরক্ত হয়ে ক্লাস শেষে দুপুরে ওর রুমে খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। তারপর দেখায় ফোনের ক্যারিশমা। ফোনটাকে কাঠের আলমিরাটার উপরে রেখে ও আমাদের সাথে বসে গল্প করে। একটু পর দেখি খোকনের নাম্বারে ফোন। আমরা তখনও অবাক হইনি। পরে নিজে ফোনটা এনে লাল বাটন টিপে সব ঠিক ঠাক করে আবার রাখলাম প্রায় সাথে সাথেই ফোন এলো আমার নাম্বারে…রহস্যটার সমাধান আজও হয়নি। হয়ত ও সমাধান পেয়েছে। নয়ত ফোনটা শেষপর্যন্ত ফেলেই দিয়েছে।
এমন অনেক ত্রুটি আছে যন্ত্রের মাঝে তারপরও যন্ত্র ব্যবহার থেকে আমাদের সরে আসার উপায় নেই কারণ, যান্ত্রিক এ জীবনে আমরা একবার যে সুবিধা পেয়ে গেছি তা আর হারাতে চাই না। চাই না গাড়ি হবার পর আর হেঁটে বাড়ি ফিরতে, যতোই দুর্ঘটনা বাড়ুক। তাই বলে যে সাইকেলে চড়তে চায় তাকে জোর করে গাড়িতে ওঠানো কি ঠিক? ই.সির উচিৎ ইভএমটাকে আগে অন্যকিছুতে ব্যবহার করে যেমন বাণিজ্যমেলার গেটে বসিয়ে দিয়ে দেখা হোক প্রতিদিন কতো হাজার লোক প্রবেশ করে। কিংবা শিশুপার্কে…পৃথিবীতে গিনিপিগ হিসেবে কুকুর বেড়ালদের ব্যবহার করা হয় কিন্তু আমাদের ই.সি ইভিএম গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছেন মানুষকে। এ কেমন নিষ্ঠুরতা?
ইভিএম’র কিছু দুর্বলতা এর প্রোগ্রামার বা ডেভেলপাররাও স্বীকার করেছেন। পরিক্ষিত হয়েছে নরায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও। কতগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। ই.সি.র অধিকার নেই একজন মানুষেরও ভোটাধিকার হরণ করার।
শেষে আরও একটা গল্প না বলে পারছি না।...
বাংলাদেশে যখন অ্যাকটেল চালু হলো, গল্পটা সে সময়কার। অনেকদিন থেকেই ভাবছি এবার অ্যাকটেল সিম কিনবো। বাসা থেকে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখি মোটামুটি পরিচিতদের সবার হাতেই অ্যাকটেল পৌঁছে গেছে। যাবেইতো। খুব রিসেন্ট ক্যাম্পাসে অ্যাকটেলের টাওয়ার বাসানো হয়েছে। তো একরাতে আমরা তখন বিসিএস কোচিং করছি , এসময় আমার এক বন্ধু ম্যাসেজ পাঠায় অ্যাকটেল টু বাংলালিংক একদম ফ্রি। কই এমন ঘোষণাতো পত্রিকায় দেখিনি? কীসের কোচিং-ফোচিং….মোবাইল বিল তখন বড় একটা ফ্যাক্ট।….আমরা দৌড়ে গেলাম সন্ধানদাতার রুমে। গিয়ে দেখি আগে থেকেই সেখানে জমজমাট ভিড়। সবাই বাংলালিংক নাম্বার খুঁজছে, যাকে পারছে তাকেই ফোন দিচ্ছে আর একটু পর ফোন কেটে ব্যালেন্স দেখছে…দেখেই লম্ফ ঝম্প….ব্যালেন্স কাটছে না…আমার কাছে তেমন কোনও বাংলালিংক নাম্বার ছিল না। বন্ধুরা একটা নাম্বার দিল। বলাইবাহুল্য একটা মেয়ের নাম্বার….এরপর সাতদিন একটানা কথা বললাম। ফোন না কেটে ক্লাস করা, ক্লাস শেষে রিহার্সেল করা, রিহার্সেল শেষে নামাজ..নাস্তা…ঘুম সবকিছু হচ্ছে ফোন না কেটে…মাঝে মাঝে কেটে গেলে আবার সংযোগ দেই…আর ভাবি কেন অ্যাকটেল এমন সুযোগ দিল?
একদিন কলসেন্টারে যোগাযোগ করলাম। ম্যাসেজ দিয়ে রাখলে ওরা ফোন দিত, সম্পূর্ণ নিখরচায়। জানালাম; ‘এই ব্যাপার ফোনে কথা বলি টাকা কাটে না। ব্যাপারটাকি? নাকি পরে কেটে রাখবেন? তাইলে কিন্তু ভাই বাপের ভিটা বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকবে না’।…ওরা জনেই না ব্যাপারটা। ওরা জানায় ওদের টাওয়ারে এমন কোনও কল রেকর্ড নাই…কল হলে টাকা কাটবেই…ই.সি মহোদয় আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে কারণ যারা যন্ত্রে বিশ্বাসী তারা মানুষকে বিশ্বাস করতে যাবে কোন দু:খে, বরং বলবে ম্যান বিহাইন্ড দ্যা মেশিন…. মেশিনের অপারেটরেরই যতো দোষ! তাই অনুরোধ কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এমন কাণ্ড ঘটেছিল কি না।…
মোবাইল কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা কামায় যে মেশিন দিয়ে তারই যখন এমন অবস্থা তখন আপনার ২টাকার মেশিনে কী ফলাফল দেবে তা নিয়ে জাতির সংশয় আছে। অতএব গোয়ার্তুমি বাদ দিন ইগো বাদ দিন মেশিন ফেলে ম্যানুয়ালি সুষ্ঠু নির্বাচন করুন। অন্যথায় জাতির অধিকার ক্ষুণ্নের দায়ে আপনাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। মনে রাখবেন আওয়ামী লীগ চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আল্লাহ তাদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন। এটা আল্লাহপাকের ওয়াদা।
বরং মেশিনগুলো আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হোক। বিভিন্ন জরিপে কাজে লাগানো হোক। রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে দেয়া হোক তাদের আইটি বিশেষজ্ঞরা দেখুক কোনওভাবে প্রোগ্রাম বদলের মাধ্যমে কোনও কারচুপি করার সুযোগ আছে কি না। তাদেরকেই ডিসাইড করতে দিন তারা মেশিনে ভোট দেবে নাকি কাগজে দেবে। আপনার যতো মঙ্গলই হোক ডাক্তার আপনার কনসাইন ছাড়া বনসই ছাড়া অপারেশন করবে না। ভোট যারা দেবে তাদের পছন্দ অপছন্দ না ভেবে গোঁয়ারের মতো নিজে যা ভালো মনে করছেন তাই কেন জাতির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন? নাকি বাকশালকে আদর্শ হিসেবে নিতে চান?
ই.সির গোয়ার্তুমি এবং মেশিনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন