somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রশাসনে সুশাসন নেই:আমলা-কামলার দ্বন্দ্ব

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর মরি মরি দশা।সেকালে রাজার সাথে সেনাপতি আর উজিরের সাথে নাজিরের দ্বন্ধের বহুত কেচছা আমরা কেতাবে পড়েছি,আর এখন দেখছি আমলাদের সাথে কামলাদের (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) সাপ-বেজির লড়াই।প্রশাসনে নেই কোন সমন্বয়,সচিবরা যে যার মত কাজ করছেন, উপর্ওয়ালাদের কোন নসিয়ত্ই এরা শুনছেন না।কারন, ক্ষমতার পালাবদলে এরাও এখন আওয়ামীলীগার,যে কয়টা ভিন্নমতের মনে হয়েছে ওদেরকে আগেই ওএসডি করে বৃন্দাবনে পাঠানো হয়েছে,তাই ওখানে মেধার খরা চলছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন এমপিদের তদ্বিরের ভারে আমলাদের নতজানু অবস্থা।কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের অনুগত আমলাদের ই বা দাপট কম কিসে?অসহ্য হয়ে তারা ও দিচ্ছেন সবগুলো ফাইল আটকে, আর যায় কোথায়? প্রশাসনের গতি যাচ্ছে থেমে,উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পড়ে থাকছে ঐ টেবিলের উপর ই। আর এ পাটা-পুতায় ঘষাঘষি লেগে মরিচের মত হতভাগা জনগণের হয় মরণ। বিচিএ এ দেশ, বিচিএ তার সবকিছুই।এমন কি বিচিএতা আছে আমাদের উপরওয়ালাদের কাজ-কর্ম,কথা-বার্তা আর চিন্তা-চেতনায় ও! সিদ্ধান্ত যিনি নিচ্ছেন তিনি জানেননা আসলেই কী হতে পারে তার ফল? আর যার উপর দায়িত্বটা চাপিয়ে দেওয়া হচেছ তিনি বুঝতেই পারছেন না তার কাজটা আসলে কী। সবমিলে প্রশাসনে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। নেই যেন তার কোন সফল উত্তরণ! জনপ্রতিনিধিরা ভাবছেন তাদের কর্মীরা আহারে কত কষ্ট করে তাদের জিতিয়েছেন , সুতরাং তাদের দু-চারটা আবদার তো মানতেই হয়,তাছাড়া ভবিষ্যত বলে একখান কথা আছেনা! তাই এসব বাবুজিরা মেতে উঠেন কর্মী পুনর্বাসনের কাজে। নিয়োগের বন্যা ব্ইয়ে দেন সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে। তাদের তদ্বির এর ভারে আর অসহনীয় চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েন আমলারা,আর তাই চুলও বাধা হয়না, ভাত ও রাধা হয়না।পুরো সিস্টেমটাই পড়ছে ভেঙ্গে। জানিনা এ জাতির কপালে কী আছে??
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×