একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে পিরোজপুরে গণহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, জাতিগত নিধন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জামাত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে একাত্তরে গোটা পিরোজপুরে সাঈদীর নৃশংসতা তুলে ধরা হয়। ৮৮ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্যের ১১৫ ও ১১২ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভানু সাহার ‘নিয়মিত সম্ভ্রমহরণ’ করতো সাঈদী। বিপদ সাহার বাড়িতেই সাঈদীসহ রাজাকার সদস্যরা ভানু সাহাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করতো। একইভাবে হুগলাবুনিয়া গ্রামের মুধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামীর সম্ভ্রমহরণ করা হলে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার গর্ভে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন কথা উঠলে লোকলজ্জায় দেশ ত্যাগে বাধ্য হয় শেফালী। বর্তমানে ভানু সাহা ও শেফালী ঘরামী ভারতে অবস্থান করছে।
সাঈদীর বিরুদ্ধে সম্ভ্রমহরণের আরও অভিযোগ : সূচনা বক্তব্যের ১১৫ নম্বর প্যারায় আরও বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৫ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে সাঈদীর নেতৃত্বে উমেদপুর পাড়েরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার তিন বোন মহামায়া, অন্যরানী ও কমলা রানীকে সেনাক্যাম্পে নিয়ে সম্ভ্রমহরণ করা হয়। এছাড়া একইভাবে ২৫ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে পাড়েরহাট বন্দরের কিষ্ট সাহাকে হত্যার পর তার মেয়েসহ হিন্দুপাড়ার অসংখ্য নারীকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে সম্ভ্রমহরণ করা হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




