রাজাকার সাঈদীর আত্মগোপন : সূচনা বক্তব্যের ১১৮ নম্বর প্যারায় বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাজাকার সাঈদী নিজের অপরাধ আড়াল করতে অস্ত্রসহ যশোরের রওশন আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করে। অনেকদিন পর মুক্তিযুদ্ধে তার কর্মকা- জানাজানি হলে পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যায় সাঈদী। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সে প্রকাশ্যে আসে এবং ভুয়া মাওলানা পরিচয়ে ১৯৮৬ সালে পিরোজপুরে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে। এভাবেই সে ‘আল্লামা ও মাওলানা’ পরিচয়ে ‘৭১-এর অপরাধ’ আড়ালের চেষ্টা করে।
ধর্মান্তরিতকরণ : প্যারা নম্বর ১১৪তে বলা হয়েছে, সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাত। তাদের বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন করাসহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিত। পরে লোকজন সব হারিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। যারা যেতে পারেনি এ রকম মধুসূদন ঘরামী, অজিত কুমার শীল, বিপদ সাহা, নারায়ণ সাহা, গৌরাঙ্গ পাল, সুনীল পাল, হরিলাল, অমূল্য হাওলাদার, শান্তি রায়, জুরান, ফকির দাস, জোনা দাসসহ ১০০-১৫০ জন হিন্দুকে রাজাকার সাঈদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করে। জোরপূর্বক তাদের নিয়ে সে মসজিদে নামায পড়াতো, তাদের মুসলমান নামও দেয় সে। স্বাধীনতার পর হিন্দুধর্মে ফিরে যাওয়ার এলাকায় এখন তারা ‘ধর্মান্তরিত’ বলে পরিচিত।
সাঈদীর ভাষাগত যোগ্যতা ও পাকবাহিনীর নৈকট্য : সূচনা বক্তব্যের ৯৭ প্যারায় বলা হয়েছে, সাঈদী উর্দু ভাষায় পারদর্শী এবং বাকপটু। এ কারণে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এজাজের সঙ্গে ছিল তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এসব যোগ্যতার কারণে সে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হতে সক্ষম হয়। আর কমান্ডার হয়ে সাঈদী ক্যাপ্টেন এজাজসহ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অন্যদের পিরোজপুরের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু এলাকার মেয়ে, তরুণীদের সম্ভ্রমহরণে সহায়তা করতো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




