একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এর মধ্যে গণহত্যা সংঘটনের ষড়যন্ত্র, হত্যা, ব্যাপক নিধনযজ্ঞ, দেশান্তর, নির্যাতন, সম্ভ্রমহরণ ও রাজনৈতিক কারণে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তার পরিকল্পনায় ও পরামর্শে একাত্তরের ২৫ জুলাই ভোরবেলায় রাজাকার, আল-বাদরসহ সেনাবাহিনী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রাম ঘিরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষ লোকদের হত্যা করে এবং মহিলাদের সম্ভ্রমহরণ করে। ঘটনার দিন থেকে উক্ত গ্রাম বিধবাপল্লী নামে সর্বমহলে পরিচিত। সেদিন ওই গ্রামে ১২০ জনকে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের দেয়া অভিযোগপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোহাগপুরে যাদের হত্যা করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছেÑ নিয়ামত আলী, কমেদ আলী, রহম আলী, মনতাজ আলী, আবুল বাশার, শাহেদ আলী, ক্বারী হাছেন আলী, ইব্রাহিম, সফর উাদ্দিন, বেয়াহত আলী, রহিমুদ্দিন, বাবর আলী, কুটুমুদ্দিন, কিতাব উদ্দিন, আলী, মোমিন আলী, মুন্নাস আলী, ছফির উদ্দিন, রেজাত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, হাফেজ উদ্দিন, মালেক ফকির, খেজুর আলী, আলী হোসেন, জমির উদ্দিন, আনসার আলী, লতিফ আলী, হাসান আলী, বশিরা, আকবর, ছহুল উদ্দিন, সিরাজ আলী, ময়েজ উদ্দিন, নেকবর আলী, হারুন আলী, দুদু, আব্দুল আজিজ, সালাম, নুর মোহাম্মদ, কানচা শেখ, আব্দুর রহমান, সহর তালুকদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২০ জন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




