(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধে করা যাচ্ছে। পুর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)
তৃতীয় কলি (1)
কয়টাস ইন্টারাপশন ঃ যোনির বাহিরে বীর্য্যস্খলনঃ
coitus interruption নামে ইংরেজী ভাষায় একটি টার্ম চালু আছে। এর বাংলা প্রতিশব্দ স্ত্রীযোনির বাইরে বীর্য্যপাত ঘটানো। একজন মুসলমান কয়টাস ইন্টারাপশনের নাম শুনলেই অাঁতকে উঠবেন। তৌবা তৌবা, একেবারেই অনৈসলামিক শয়তানের কাজ এটি। হাজার হলেও পুরুষের বীজ পরম পবিত্র জিনিস, এর আশ্রয়স্থল একমাত্র স্ত্রীযোনি। সেই বৈধ স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বীজ বপনের মতো নোংড়া কাজ একজন মুসলমান করতে পারে? এখন যদি বলা হয় যে নবীজি নিজেই কাপড়ের মধ্যে বীর্য্যপাত ঘটাতেন, তার প্রিয় বালিকা-বধু আয়েশা সেই কাপড় ধৌত করে দিতেন এবং রসুল সেই কাপড় পড়ে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন, কথাটি আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে কি? কথাটি আপনার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, তবে প্রকৃত ঘটনা তাই! মা আয়েশার মুখ থেকে বিষয়টি যাচাই করে নিন তা'হলে।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-1, বুক নং-4, হাদিস নং-231:
সুলাইমান বিন ইয়াছার হতে বর্ণিতঃ
আমি আয়েশাকে বীর্য্যজড়িত কাপড় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর করেন- "আমি রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাপড় হতে বীর্য্য ধৌত করে দিতাম এবং পানির দাগ ভালভাবে না শুকাতেই তিনি তা পড়ে নামাজ পড়তেন"।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-11, হাদিস নং-2161:
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আমার ঋতুকালে রাসুলুল্লাহ (দঃ) এবং আমি একই কাপড়ের নীচে শুয়ে থাকতাম। যদি আমার (শরীর) থেকে কোন কিছু তার কাপড়ে লাগত, তিনি সেই জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না। যদি নিজের স্খলন হতে কাপড়ে দাগ লাগত, তিনি সে জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না; এবং তা পরিধান করেই নামাজ পড়তেন।
এখানে কিছু প্রশড়ব এসে যায়। বধুটি ঋতুমতী, তার সাথে স্বাভাবিক উপায়ে সেক্স করার পথ রুদ্ধ। নবী কি তা'হলে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতেন? কিংবা বালিকা বধুটির কাছে এসে এতটাই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন যে কাপড়ের উপরই তার বীর্য্যস্খলন হয়ে যেতো? পবিত্র বীজ যথাস্থানে না পড়ে কাপড়ের উপর পড়তো? ভাবার বিষয়।
নবীর সেই সব নিশানধারী বরকন্দাজ- ইংরেজীতে যাকে বলে ফুট সোলজার- তাদের অবস্থাই বা কীরুপ ছিল? ইসলামের এইসব প্রাথমিক সেনানীদেরকে যৌনশিকারি বলে অভিহিত করলেও অতু্যক্তি হয় না। কোন কাফের রমনীকে বন্দী করতে পারলে আর রক্ষা নাই, তৎক্ষনাৎ তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে যৌনক্ষুধা মিটিয়ে নিতে একদন্ড বিলম্ব হতো না। এমনকি বন্দিনীটি গর্ভবতী হলেও তার উপর সওয়ার হতে সঙ্কোচ ছিল না তাদের।
বিষয়টি যখন খুবই সিরিয়াস পর্য্যায়ে চলে যায় তখন স্বয়ং আল্লাহপাককে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসতে হয়। বিধান করতে হয়- পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত বন্দিনীদের সাথে সঙ্গম করা যাবে না। গর্ভবতীদের সাথে সঙ্গমও নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে লেগেছিল বলে মনে হয় না, নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে জিহাদিরা তখন বন্দিনীদের যোনিদেশের বাইরে বীর্য়্যস্খলনের পদ্ধতি অনুসরন করতে শুরু করে। ইসলামের এই প্রাথমিক সোলজাররা হতভাগী বন্দিনীদের উপর কীরুপ অশ্লীল এবং অমানবিক যৌননির্যাতন পরিচালনা করতো, সহিহ্ হাদিসগুলিতে তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। আমি এখানে কয়েকটিমাত্র হাদিস উল্লেখ করছি, আশা করি পাঠক পাঠিকারা এথেকেই 'হলি পর্ণোগ্রাফি-লা ইসলামিক ষ্টাইল' উপভোগ করতে পারবেন। (যুদ্ধ-বন্দিনী এবং ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করার বিস্তারিত বিবরণ থাকবে এই সিরিজের 5নং কিস্তিতে)।
সহি বুখারিঃ ভলিউম 7, বুক নং-62, হাদিস নং-137:
আবু সাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
মালে গনীমৎ (war booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্য্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- "তোমরা কি সত্যিই এরুপ কর"? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) - "যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত"।
সহি বুখারিঃ ভলিউম 7, বুক নং-62, হাদিস নং-135:
জাবির হতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহর জীবনকালে আমরা কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতাম।
সহি বুখারিঃ ভলিউম 9, বুক নং-93, হাদিস নং-506:
আবু সাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
বানু মুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে। তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্য্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- "এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত "। ক্কাজা বলেন- "আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -'আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না"।
সহি বুখারিঃ ভলিউম 7, বুক নং-62, হাদিস নং-136:
জাবির হতে বর্ণিতঃ
কোরাণ নাজেল হওয়ার সময় আমরা বাইরে বীর্য্যপাত পদ্ধতি প্রতিপালন করতাম।
উপরোক্ত হাদিসগুলি পাঠ করলে কী মনে হয় পাঠক? এর পরেও কি বুঝার কিছু বাকী থাকে? একদিকে পবিত্র গ্রন্থ নাজেল হচ্ছে, আরেকদিকে ইসলামী জেহাদিরা আশে-পাশের কাফের গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের ধনসম্পদ ও যুবতী নারীদের লুট করে আনছে। মালে গনীমৎ। মালে গনীমতের উপর ইচ্ছেমতো সওয়ার হওয়া কোন দোষের কাজ না, তবে মেয়েগুলির তলপেট ভারী হয়ে গেলে দায়দায়িত্ব এসে যায়। সে দায়িত্বকে পাশ কাটাতে তখন আল্লাহর সৈনিকেরা তাদের পবিত্র বীর্য্য শিকারের যোনিদেশের ভেতরে নিক্ষেপ না করে বাইরে নিক্ষেপ করা শুরু করে এবং এই প্রথার পক্ষে আল্লাহর রাসুলের এ্যাপ্রুভাল নেয়ার চেষ্টা করে। কী দারুন মজা, একবার ভাবুন তো। একদিকে মুখে ঐশ্বরিক আয়াতসমুহের বুলন্দ তেলাওয়াত, আরেকদিকে যোনিপ্রদেশের বাইরে বীর্য্যপাতের মহোৎসব। কী চমৎকার কম্বিনেশন! বাৎসায়নের কামসুত্রও হার মানবে এর কাছে।
মুক্তাসদৃশ এইরুপ আরও গোটাকয়েক হাদিসঃ
সহি মুসলিমঃ বুক নং-008, হাদিস নং-3371:
আবু সিরমা আবু সাইদ আল খাদরিকে (রাঃ) বলেন: হে আবু সাইদ, তুমি কি রাসুলুল্লাহকে (দঃ) 'আজল' প্রথা সম্পর্কে বলতে শুনেছ? তিনি বললেন- হ্যা, শুনেছি। আমরা রাসুলুল্লাহর (দঃ) সঙ্গে বি'ল মুস্তালিকের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়েছিলাম। (সেই অভিযানে) কিছু অপুর্ব আরব রমনী আমাদের হস্তগত হয়। বহুদিন যাবৎ স্ত্রীসঙ্গ হতে বঞ্চিত ছিলাম বিধায় আমরা গভীরভাবে তাদের কামনা করছিলাম, সেইসঙ্গে তাদের বিনিময়ে মুক্তিপণ পাওয়ার লোভও ছিল আমাদের। সুতরাং আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতির মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার সিদ্ধান্ত নেই (মেয়েটি যাতে গর্ভবতী না হয় সেজন্যে বীর্য্যপাতের ঠিক আগ মুহুর্তে স্ত্রীযোনি হতে পুরুষাঙ্গ বের করে এনে বাইরে বীর্য্যপাত ঘটানোকে আজল বলে)। কিন্তু আমাদের মনে হলো- আমরা একটি কাজ করতে যাচ্ছি; আল্লাহর রাসুল (দঃ) যখন আমাদের মাঝে আছেন, তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করে নেই না কেন? সুতরাং আমরা আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন- তোমরা এরুপ কর আর না কর, কিছুই এসে যায় না। যে আত্মা জন্মানোর তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত।
সহি মুসলিমঃ বুক নং-008, হাদিস নং-3373:
আবু সাইদ আল খাদরি (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ কিছু যুদ্ধবন্দিনী আমাদের করায়ত্ত হলে আমরা তাদের সাথে (যৌনসঙ্গমকল্পে) আজল পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইলাম। আমরা এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বললেন- নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার। কিন্তু যে আত্মা জন্মানোর কথা তা জন্মাবেই, হাশরের দিন পর্য্যন্ত।
এখানে একটি ব্যাপার লক্ষনীয়, প্রতিটি জেহাদিই বীর্য্যপাতের ঠিক পুর্বক্ষনে স্ব স্ব লিঙ্গটি বের করে আনার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-11, হাদিস নং-2166:
আবু সাইদ আল-খাদরি হতে বর্ণিতঃ
জনৈক লোক বলল- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ), আমার একটি ক্রীতদাসী আছে। (যৌনসঙ্গমকালে) আমি তার কাছ হতে আমার পুরুষাঙ্গটি বের করে আনি, কারণ আমি চাই না যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ুক। অন্যান্য লোকেরা যা করে, আমিও ঠিক তাই করি। ইহুদিরা বলে যে পুরুষাঙ্গ বের করে আনা কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার মতো। তিনি (নবী) বললেন- ইহুদিরা মিথ্যা বলেছে। যদি আল
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৭:৪০