[কোনো এক কারণে এক পোস্টে পুরো গল্পটা আসছে না। ইতোমধ্যেই যাঁরা পড়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের কাছে আমি দুঃখিত]
কুমড়া বিষয়ে ভাল একটা ফয়সালা করে এসপি সাহেব মাথায় হাত দিয়ে দেখলেন তেমন গরম নেই। তিনি ক্রীড়াবিদ পোশাক পরতে থাকলেন খুবই খুশি মনে। কিন্তু যেই না টেনিস কোর্টের পাশে গাড়িটা পার্ক করেছেন ডিসি সাহেবকে দেখে তাঁর দুপুরের অপমানটা আবার মাথা-চাড়া দিয়ে উঠল। নেমেই সম্ভাষণ করলেন প্রথমে ডিসি সাহেবকে, তারপর অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটকে। তারপরই আর না বলে পারলেন না “আচ্ছা ডিসি সাহেব, আমাদের ডিলিং-এর মধ্যে রাণাসাহেব এসব ছোটখাট ইস্যু এনে কাজটা ভাল করলেন?” এসপি আসলেই দুপুর থেকে টেঁশে আছেন। তা না হলে তাঁর ধরে নেবার কোনো কারণ নেই যে ডিসিও ঘটনাটি জানেন। কার্যতঃ ডিসি সাহেব ফ্যালফ্যাল করেই তাকিয়ে থাকলেন। ম্যাজিস্ট্রেটরাও বটে। ঘটনাটা শূন্য থেকে বলতে গিয়ে বাস্তবিকই এসপি সাহেব উত্তেজিত হয়ে পড়লেন।
ডিসি সাহেব ক্রীড়ারসিক মানুষ। সরকারী অফিসারদের টেনিস খেলবার জায়গাটাকে তিনি নিজের মনের মতো করে সাজিয়েছেন। সামনে-পেছনে বল ঠেকাতে লোহার গ্রিল দেয়ার জন্য যা পয়সা ছিল তাতে পনেরো ফুট উঁচু করে গ্রিল দেয়া যেত। ডিসি সাহেব অধস্তন সহকর্মীদের সুবিধের কথা ভেবে এদিক-ওদিক থেকে টাকা যোগাড় করে পঁচিশ ফুট উঁচু করে গ্রিল দিয়ে দিয়েছিলেন। তাতেও বল পাশের বাড়িতে চলে যাচ্ছিল। অধিকাংশ সময়েই বল-বয়দেরকেই খেলোয়াড় মনে হতো, খেলোয়াড় অফিসারদেরই বরং দর্শক মনে হতো। দুইজন বল-বয় দিয়ে আর কুলাচ্ছিল না। এসপি সাহেব এসে এই প্রসঙ্গ উত্থাপনের আগে ডিসি সাহেব সহ-খেলোয়াড়দের, মানে সহকর্মীদের, সঙ্গে শলাপরামর্শ করছিলেন পুরোটা গ্রিলের একটা ছাদ বানিয়ে দিলে কেমন হয়। তিনি যুক্তি দিচ্ছিলেন, দেখতে একটু খারাপ দেখালেও বল দূরে যাবে না। এবং প্লেয়ারেরা এ্যাকচুয়েলি বেশিক্ষণ খেলতে পারবেন। এরই মধ্যে এই এসপি। বন্ধুত্ব-বিপর্যয়ের আশু আশঙ্কায় ডিসি সাহেব টেনিস কমপ্লেক্সের ফোনে তাড়াতাড়ি ফোন করতে লাগলেন।
হাফপ্যান্ট পরে হারুন ডাক্তারের মোটর সাইকেলের পেছনে উঠবার সময় কী মনে করে রাণা ডাক্তার জেনারেল ওয়ার্ডে একবার মিন্টুকে দেখতে গেলেন। মিন্টু বেশ ক্লান্ত তখন, তবু প্রসন্নতা তখনো পুরো কাটেনি। শুধু ওষুধ আর ইঞ্জেকশনে ওর খিদে পেয়েছে। কোমরে, পায়ে ব্যথা টনটন। ডাক্তারকে আবার আসতে দেখে ও ভাবে খিদের কথাটা বলবে। ডাক্তারই বলেন প্রথম কথা Ñ
“কী? কেমন?”
“হ্যাঁ, ছার।”
“তোমার জন্য কথা বলতে গিয়ে কী অবস্থা জানো? এখন সালিশ বসছে।”
“কোথায় ছার?” সালিশের কথা শুনে মিন্টু তড়াক করে বসতে গেল।
“আহা তোমার সালিশ না।”
“ছার আমি তো বাদী।” মিন্টু বলে।
“স্যার, সালিশ শব্দটা ব্যবহার করে ঠিক করেননি বোধহয়।” এবারে হারুন ডাক্তার বলে।
“ছার আমি তো বাদী।” মিন্টু আবার বলে।
“না না সে সালিশ নয়। এটা হলো গে আমার সালিশ। আমার সালিশ বসবে।” রাণা ডাক্তার পরিত্রাণ খোঁজেন।
“তাইলেও ছার আমি যাব। আপনাকে নিয়ি সালিশ বইসবে ... আমি যাব না?”
নিজের কৃতকর্মের জের হিসেবে এরপর রাণা ডাক্তার ড্রাইভার ডেকে সিভিল সার্জনের গাড়ি বের করেন। মুখচোখ তেবড়ে মিন্টু দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। মুগ্ধ বিস্ময়ে সকল রোগী বিছানা থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে থাকে। আর তাদের আত্মীয়রাও। একজন নার্স নিজে থেকে এগিয়ে এসে মিন্টুকে গাড়ি পর্যন্ত ধরে নিয়ে যায়। হাত লাগায় ড্রাইভার। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মিন্টু গিয়ে গাড়িতে ওঠে সন্ধ্যার মুখে।
ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব আর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবেরা টেনিসের সম্ভাব্য গ্রিলঘরের দুরূহ স্থাপত্য নিয়ে ভাবা বাদ দিয়ে, এমনকি সান্ধ্যকালীন টেনিস-বল-পেটাপেটি খেলা বাদ দিয়ে অপেক্ষা করে ছিলেন রাণা ডাক্তারের জন্য। রাণা ডাক্তার নামার পর যখন তাঁর কাঁধে হাত রাখা মিন্টুকে দেখা গেল তখন এসপি ডিসিকে বললেন Ñ
“দেখলেন, দেখলেন? সঙ্গে নিয়ে এসেছে।”
ডিসি পরিস্থিতির জটিলতা আন্দাজ করে বেশ ভড়কে গেলেন। গলা চড়িয়ে হালকা করতে চাইলেন পরিবেশ Ñ
“কী ডাক্তার সাহেব বাদী সাক্ষী সব সঙ্গে করে নিয়ে এলেন?”
“দেখলেন ছার, আমি বাদী!” মিন্টু খুশি হয়।
“কী যে বলেন না! ছেলেটা আসতে চাইল। তাই নিয়ে এলাম।” ডাক্তার বলেন।
“আমাদের রিলেশন্স-এর মধ্যে আজকে আপনি হঠাৎ একদম ইমপ্রোপার টার্মস নিয়ে এসেছেন ডাক্তার সাহেব। আমি না বলে পারছি না।”
এসপি আসলেও না বলে পারছিলেন না। এতক্ষণের উত্তেজনায় তাঁর মুখ লাল হয়ে গেছে। একটু দূরে আমসি মুখে বসে আছেন হারুন ডাক্তার। চারজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং টিএনওর সঙ্গে আড্ডা জমানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের সকলেরই ভাবটা ছিল এমন যে এটা বড়দের ডিলিংস এবং তাঁরা ভিন্ন আড্ডা দেবার ব্যবস্থা করতেই পারেন। কিন্তু সেটা কিছুতেই জমছে না। এখন রাণা ডাক্তার মিন্টুকে নিয়ে এসে পুরো পরিস্থিতি জটিল করে দিয়েছেন। এখন নিশ্চিন্তে স্ট্যাটাস কুয়ো রাখা মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে। সকলেই টেনশন নিয়ে বসে।
“আমি কীভাবে টার্মস ইমপ্রোপার করলাম? হাসপাতালে চুন থেকে পান খসলে টেলিফোনে আপনি হুকুম করেন না? সেটা কী তাহলে?”
“হুকুম করি! বলতে পারলেন এ কথা? সেগুলো তো ফ্রেন্ডলি সাজেশন!” এসপির প্রেশার বাড়তে থাকে।
“আচ্ছা আপনারা করলে ফ্রেন্ডলি সাজেশন। আর আমরা আপনাদের ডেপার্টমেন্ট নিয়ে কথা বললেই তা ইমপ্রোপার টার্মস।”
মিন্টু এইরকম একটা সালিশ দেখে মাথামুণ্ডু কিছুই বোঝে না। কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে ভেবে মাটিতে নিজেই বসে পড়ে। বসতে গিয়ে মুখচোখ তেবড়ে ফেলে একবার। টেনিস কর্মচারীরা সবগুলো বাতি ভালমতো জ্বালিয়ে দেয়। সাহস করে মিন্টু ডিসির দিকে তাকিয়ে বলে বসে Ñ
“ছার, আপনি মুরুব্বি মানুষ। আপনিই বইলে দেন।”
ডিসি মিন্টুর দিকে রাগত চোখে তাকাতে যাবেন, এমন সময় এসপি বলেন Ñ
“হ্যাঁ, হ্যাঁ সেই ভাল।”
ডিসি দিব্যি বুঝতে পারেন এখন বয়োজ্যেষ্ঠতা নিয়ে কথা হচ্ছে। পদজ্যেষ্ঠতা নিয়ে নয়। এত সহজে এসপি এসব ছেড়ে দেবার লোক নয়। সে কারণেই তিনি চরম হতাশ আর সন্দিগ্ধভাবে এসপির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু সে ক্ষণকাল মাত্র। অচিরেই তিনি বুঝতে পারেন যে একটা সুযোগ তাঁর হাতে শেষমেশ কুমড়াওয়ালাই দিয়েছে। আর সেটা হাতছাড়া করা ভাল হবে না।
“শোনেন এই কুমড়ো কিন্তু আমাদের রিলেশনে একটা মেটাফরও।”
“ইয়েস আই ডু এ্যাগ্রি। আমাদের সেন্স অব বিলংইং-এর একটা পরীক্ষা।” এসপি মাথা নেড়ে বলেন।
“আমাদের সোশ্যাল রেসপন্সিবলিটিরও।” রাণা ডাক্তার বলেন।
ডিসি প্রমাদ গোনেন। কিন্তু কর্তব্যচ্যুত হন না।
“চলেন আমরা আমাদের এ্যাসোসিয়েশনটা আজ কুমড়ো দিয়ে সেলেব্রেট করি। রাতে আজও বসি চলেন। আমি ভেবেছিলাম বাসায় একটু তাড়াতাড়ি ফিরব আজ। কিন্তু এটা আরো সিরিয়াস। আমি বাসায় ফোন করি। আপনাদের ভাবি কুমড়ো দিয়ে আর বেশন না কি যেন দিয়ে যা একখানা চপ বানায় না! লুচি আর কুমড়োর চপ! কী বলেন!”
ভুরু নাচিয়ে ডিসি বলে চলেন। স্তম্ভিত মুখে সেদিকে তাকিয়ে থাকেন এসপি। তাকিয়ে থাকে মিন্টুও। স্তম্ভিতভাবেই। ডিসি আবারো বলেন Ñ
“ব্যস। তাস, লুচি আর কুমড়োর চপ! হ্যাঁ? আর এখানেই এই কেইস মধুরেণ সমাপন। আমরা আবার আগের জায়গায়। কী বলেন?”
দুর্ঘটনাটার দিকে এসপি বিস্ফারিতভাবে তাকিয়ে থাকেন। মানে ডিসির মুখের দিকে। আর এতক্ষণ যাঁরা কার্যত কিছুই না শুনবার খেলা করছিলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেটকুল একসঙ্গে বেজায় হৈচৈ করে বলে বসেন Ñ
“স্যার, বেস্ট সল্যুশন স্যার। আর কিছুই হতে পারত না স্যার। স্যার আপনি গ্রেট স্যার।”
এসপি সাহেব কাতর চোখে কার দিকে তাকাবেন কিছুতেই বুঝতে পারলেন না। পুরো সালিশটা তাকে রেখেই হয়ে যাচ্ছে দেখে মিন্টু ভীষণ মনোকষ্টে ছিল। এই সময়ে ডিসি তাকেও সম্পৃক্ত করলেন Ñ
“কী হে! তোমার কুমড়োর কপাল দেখলে?”
“কুমড়ো কিন্তু ছার ভাল তরকারি।”
নিজের কপালের এরকম হালও মিন্টুর মাথায় আসে না। সে কুমড়ার সম্মান নিয়েই মনোযোগী।
“সে তো বটেই। তা না হলে সবাই এত খুশি হতো! খেতাম আমরা কুমড়ো? বলো খেতাম?”
“ছার ... ।”
“হ্যাঁ বলো।”
ইতস্তত করেও মিন্টু বউয়ের কথা তুলতে পারে না। অথচ কুমড়ার পর তার এই এজেন্ডাটাই ছিল।
“ ... গিন্নির হাতে পইড়লে ছার কুমড়োর তুলনা থাকে না।”
“আচ্ছা আচ্ছা তা তুমি জানলে কীভাবে?”
“কী যে বোলেন ছার ... আমি জাইনবো না!” লজ্জা পায় মিন্টু।
“তুমি কি আমাদের কথা শুনছিলে এতক্ষণ?”
ডিসি সাহেব ভাবেননি যে মিন্টু তাঁদের কথা বুঝেছে ঠিকমতো। অমনি সবাই, এসপি আর ডাক্তার ছাড়া, এক সাথে Ñ
“স্যার ও বোধহয় ওর গিন্নির কথা বলেছে, ভাবির কথা বলেনি।”
“ও।”
জিভ কেটে মাথা দোলায় মিন্টু।
“ছি ছি! কী যে বোলেন না ছার। আমি কি তাই বইলতে পারি? ওনাকে তো আমি বইলতাম ... কী বইলতাম ..”
“ম্যাডাম, ম্যাডাম ...” পেছন থেকে এক ম্যাজিস্ট্রেট বলেন।
“আপনারা দেখি আমার চাকরিটা খাবেন।” ডিসি আর্তনাদ করেন।
“কেন স্যার কী হলো?” একসাথে তিনচার জন।
“আহা, ম্যাডামের একটা প্রোটোকল আছে না? এখন আমার বাড়ির লোককে ম্যাডাম ডাকলে চলবে?”
“ও হো হো। এই শোন ভাবি ডাকবে, ভাবি।” মিন্টুর দিকে সবাই বলে। মিন্টু সায় দেয়।
“আহা, ভাবি ডাকার কী দরকার!” ডিসি সাহেব সচকিত হয়ে ওঠেন Ñ
“শোনেন, তাহলে প্রোগ্রাম পাকা। কী এসপি সাহেব চুপ কেন? কুমড়োটা আনান।”
“হ্যাঁ? হ্যা হ্যা।”
সকলের প্রবল উত্তেজনায় কেউ আর এসপি সাহেবের কাতর মুখটাকে খেয়াল করেন না। কেবল মিন্টু তখন একঝলক দেখে ফেলল। এবং পরম এক আত্মীয়ভাবে তাদের দুজনের চোখাচোখি হয়। এসপি সাহেব তাঁর কাতর চোখ মেলে রাখেন মিন্টুর চোখে। মিন্টুর মাথা খুলে যায়। সে তার থুতনি চুলকাতে শুরু করে Ñ
“ছার, এতগুইলো মানুষ ... কুমড়ো দুইটা হোইলেই ভাল হয়। আমি বাড়ি থেইকি আর একটা নিয়ি আসি।”
কারোরই আপত্তি ছিল না। আর এসপি সাহেবের ধড়ে প্রাণ ফিরে এল।
“শোন তোমার বাড়ি থেকে একটা, আর আমার বাসা থেকে একটা। বুঝতে পেরেছ?”
“হ্যাঁ ছার।” মিন্টু মাথা নেড়ে নিশ্চিত করে যে সে বুঝেছে। এসপি সাহেবও বুঝতে পারেন।
“যা করার তাড়াতাড়ি করো বাপু।” ডিসি সাহেব চপের গন্ধ পাচ্ছেন।
“আমার ড্রাইভার নিয়ে যাবে। এই ...” এসপি গলা চড়ান অনেকক্ষণ পরে।
“কেন আমার ড্রাইভার নিয়ে যেতে পারে না?” রাণা ডাক্তার বলেন।
চতুর্থ আর পঞ্চম কুমড়ার নিকেশ করে মিন্টু ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে গিয়ে রাণা ডাক্তারের কানের কাছে দাঁড়াল। গাছে পাকা কুমড়া মিন্টু গুণেছে ছয়টা। কানে মুখ ঠেকিয়ে বলল Ñ
“গাড়ি একটা নিলিই হয় ছার। আপনার বাসাতে যাবই।”
“কেন কেন?” ফিসফিসিয়ে বলেন ডাক্তার।
“কুমড়ো ছার আপনার বাসাতিই কেবল জবাই হয়নি। সব বাসাতেই হইয়েছে। একটা দিয়ি আসব।”
এবারে গোলগোল হয় রাণা ডাক্তারের চোখ। এসপি উৎসুক চোখে তাকিয়ে থাকে মিন্টুর দিকে। অন্য সকলে সালিশে খুশি। ঘুরে মিন্টু মাটিতে গেড়ে বসে ডিসির দিকে তাকায় Ñ
“ছার, একটা কথা ...”
“হ্যাঁ বলো ...”
“ছার ... আমার গিন্নিকে নিয়ি আসি। ম্যাডামকে হাত লাগাতে পাইরবে।”
“আহা হা তুমি তো কুমড়ো দিয়ে দিলেই হয়। তোমারও তো আসার দরকার নেই।” ডিসি বলেন।
“না না নিয়ে আসো। সমস্যা নেই। আমি গাড়ি করে পৌঁছে দিয়ে আসব।” এসপি এক গলা চড়িয়ে বলেন।
“ঠিক আছে, যাও।” ডিসি বলেন। “আর শোন, ওই ইয়ে ... আপাই ডেকো বুঝলে?”
মিন্টু আবারো মাথা নেড়ে সায় দেয়। ডিসি সাহেব এসপি সাহেবের ড্রাইভারকে ডেকে বুঝিয়ে দেন বিধিব্যবস্থা।
ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে এসপির গাড়ির দিকে যায় মিন্টু। একগাল হাসি সমেত হাত নেড়ে সী অফ করেন এসপি। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে। এত খুশিতে কেবল বিজয় দিবসের স্যালুটটাই নিতে দেখা যায় তাঁকে। রাণা ডাক্তার বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবার।
(৪ঠা জানুয়ারী Ñ ৭ই জানুয়ারী ২০০৫। হিগাশি-হিরোশিমা)প্রকাশ: স্রোতচিহ্ন, ৩য় সংখ্যা, ২০০৫
কৃত্তিবাস, ২য় সংখ্যা, ২০০৫