জি+ আইডিয়ার মধ্যে প্রাইভেসি ইস্যুর বড় জায়গা আছে। প্রাইভেসি নিয়া গুগোলের অনুমানটা ভুল। প্রাইভেসি বেশি বলে জি+ নিয়া মানুষের আগ্রহ বেশি হবে, ফেসবুকের তুলনায়--অনুমানটা মোটামুটি এই রকম। কিন্তু প্রাইভেসি নিয়া মানুষের আচরণ জটিল। প্রাইভেসি আক্রমণ ও আত্মরক্ষার টুল মাত্র; পুঁজিবাদ আসলে মানুষকে বেশি এক্সহিবিসনিস্ট করে তোলে, অন্যদিকে, অন্যের প্রাইভেট স্পেসে উঁকি মারাতেও থ্রিলের মাত্রা বাড়ায়। ইউজারের প্রাইভেসি বেশি থাকার অর্থ আপনার একার তথ্য অন্যকে দেখতে না দেয়ার বিনিময়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজারের তথ্য আপনি দেখতে পারতেছেন না। এইটা ব্যক্তির মনস্তত্বের জন্য ডিজাস্টারাস। যা দেখাইতে চাই না তা কেউ দেখতে পারবে না, আর যা দেখাইতে রাজি তা আসলে দেখাইতে চাই--যত বেশি সম্ভব; একই সাথে অন্য ইউজার যা দেখাইতে চায় না, তা আমি দেখতে চাই।
জি+ এ আন্ডারলাইং প্রাইভেসির কিছু উদাহরণ (ফেসবুকের তুলনায়):
১. ছবিতে আপনাকে নোটিফাই না করা হলে আপনি দেখতে পাবেন না।
২. অন্য কে কারে বা কারে কারে নোটিফাই করলো তার খবর আপনি পাইবেন না।
৩. এইগুলা ফেসবুকের নোট, স্ট্যাটাস, ভিডিও, ট্যাগ, কমেন্ট ধরনে জি+ এ যা কিছু আছে সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
৪. জি+ আপনারে সাজেসন দেয় কিন্তু আপনে কাউরে সাজেস্ট করতে পারবেন না।
খুঁজলে হয়তো আরো পাওয়া যাইবে। গুগোল বোঝে নাই যে, সামাজিক যোগাযোগ মানেই প্রাইভেট স্পেসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া। সামাজিক মানুষের কাছে প্রাইভেসি কোন ডিজ্যায়ার না, ব্যক্তির অন্য ডিজ্যায়ারগুলি চরিতার্থতার সাময়িক উপায়মাত্র।
ফেসবুক নোট:: ৩০ জুলাই ২০১১