"বইটি জীবনানন্দ দাশ উৎসর্গ করেন হুমায়ুন কবিরকে।
হুমায়ুন কবির ফরিদপুরের লোক, কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হলে তিনি ভারতে থেকে যান, যদিও ফরিদপুর পাকিস্তানের অংশ হয়। পাকিস্তান থেকে যাওয়া জীবনানন্দ এসময় কলকাতায় চাকরি খুঁজছিলেন। আর হুমায়ুন কবির ছিলেন একাধারে কংগ্রেস সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের অধীনে ভারতের যুগ্ম শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান।
‘সাতটি তারার তিমির’ প্রকাশিত হবার পরে জীবনানন্দ দাশ ‘স্বরাজ’ নামে এক দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক নিযুক্ত হন। ‘স্বরাজ’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুমায়ুন কবির।"
পড়েন সাতটি তারার তিমির:: http://arts.bdnews24.com/?p=3827
নোট:: বিডিনিউজে কাম করতাম; সেই সুতায় এই ই-বুক বানাইছিলাম; ভূমিকাও লিখছিলাম একটা; উপরে সেই ভূমিকা থেকেই একটা অংশ দিলাম।
এই কবির মরণ নিয়া আরো দুইটা কথা কই এইখানে; পাকিস্তান থেকে যাওয়ার পর কোলকাতায় মন্ত্রী হুমায়ুন কবিরকে বই উৎসর্গ কইরা পরে জনাব দাশ কলেজে চাকরি পান ভালো; ওনার বউও স্কুলে চাকরি পান; তাতে অভাব যায়। বাট অভাবের দিনে আগে বাসা সাবলেট দিছিলেন এক মহিলারে; সেই মহিলার কাছে বহু মদ্দা মানুষ যাওয়া আসা করতো। অভাব আর না থাকা শুরু হবার পরে সেই মহিলারে নোটিশ দেন কবি; বাট মহিলা বাসা ছাড়ে না। কবি তখন প্রেমেন্দ্র মিত্ররে খোঁজা শুরু করেন; জনাব মিত্র কংগ্রেসে প্রভাবশালী, কবির প্ল্যান ছিলো কংগ্রেসী প্রভাব খাটাইয়া সেই মহিলারে উচ্ছেদ করতে পারবেন। প্রেমেন্দ্র কোলকাতার বাইরে আছিলেন, ফলে কবি খুঁইজা পাইতেছিলেন না।
কবিতায় 'অবৈধ' প্রেমের নিন্দাকারী ব্রাহ্ম কবি অনটন কাটাইয়া ওঠার পরে অমন প্রেম উচ্ছেদ করতে না পারার বেদনা পাইতেন নিশ্চই; পোলা-মাইয়া বখে যাবার ভয় ছিলো। সেই উৎকট ঝামেলা থেকে প্রেমেন্দ্র বাঁচাইতে পারতেন তাঁরে; বাট তিনি তো নিখোঁজ; এমন সমূহ বিপদে ট্রামের হর্ন না শোনারই কথা বটে। প্রেমেন্দ্রের দায়িত্ব ট্রাম নেবার কারণে কবির মরণ হইলো, তবে সেটিও ঐ উৎকট ঝামেলা থেকে মুক্তিই বটে।
ফেসবুক থেকে: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭