somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্ম সংযমের মাধ্যমে যৌনতাকে নিয়ন্ত্রনের ব্যর্থ চেষ্টা না করে বরং বিবাহ করার নির্দেশ দেয় ইসলামে

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-১০৫) বেকাররা গরীব মেয়েদের বিয়ে করবে । গরীব মেয়েদের বিয়ে করা মানেই সদকায়ে জারিয়া মানে অবিরত দান-খয়রাত । আর সদকা মানেই জান্নাত । অসহায় মেয়েকে বিয়ে করা মানে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা । হয়তো বা আপনি তাকে বিয়ে না করলে মেয়েটি বিপথে যেতে পারতো । আপনি নিজেও পথ হারাতে পারতেন । মুহাম্মদ (স) অসহায় বিধবা নারীদের বিয়ে করতেন । ফলে তারাও পথ পেত ।
বেকার যুবক যদি আল্লাহ খুশি করার জন্যে বিয়ে করে তবে আল্লাহ বলেন :
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)

মুহাম্মদ (স) বলেছেন : তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা’আলা নিজ দায়িত্ব মনে করেন । ১)যে বিবাহিত যুবক যে চরিত্র হেফাজতের জন্যে বিবাহ করে ২) যে মুজাহিদ আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে ।”(তিরমিযি , নাসায়ী , মিশকাত )






-104) খাওয়ানোর চিন্তা বেশী বেশী করা প্রমান করে আমাদের ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে
বিয়ে না করলে কোটিপতি হয়ে যেতাম না ।
আর বিয়ে করে কোন কোটিপতি রাস্তায়ও নামেনি ।
বিয়ে না করলেই কেউ ব্যরিস্টার হয়ে যায় না ।
আর বিয়ে করলেই বেকার বসে বসে খেতে হবে । এমনটিও নয় ।

বিয়ে করলেই ভীতু আর না করলেই কেউ সাহসী হয় যায় না
বরং যারা বিয়ে করতে পারে না । নিজের অধিকার আদায় করতে পারে না । তারাই কাপুরুষ । হিজরার দল । এবং ব্যভিচারের রশি

সবই শয়তান কতৃক ভয়

-১০৩) শুধু নিজের বউ নয় , বরং সকলের জন্যে চক্ষু শীতল বউ কামনা করা ওয়াজিব ।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন সূরা ফুরকানে বলেন : এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (সূরা: ফুরকান ৭৪)

উপরুক্ত আয়াতুল কারীমাতে আমাকে চক্ষুশীতলকারী বউ দান করার কথা বলা হয় নি । বরং আমাদের বলা হয়েছে । তারমানে অপর ভাই যেন চক্ষু শীতলকারী বউ পেতে পারে সে কামনা করতে হবে ।
মনে রাখবা অপর পৃথিবীতে প্রথম গুনাহ কাবিল হাবিলের সুন্দরী বউয়ের সুখ সহ্য করতে পারে নি ।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদেরকে(শুধু আমাকে নয়) স্ত্রীদের দান করার মাধ্যমে বিকৃত যৌনাচার থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাভাবিক সুন্দর জীবনে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন ।


-১) আর বর্তমান যুগে দেখা যায় যোগ্যতা অর্জনের লড়াই ভালো পাত্রীর জন্যে । আরে ভাই ভালো পাত্রীর জন্যে বি.সি.এস , এফ.সি.পি.এস করতে গিয়ে কেউ যদি নপুংশক হয়ে যায় । তাহলে লাভ কি ?
সামনের সুই দেখেন কিন্তু পিছনের কুড়ালটা কেন দেখছেন না ? আমও গেল ছালাও গেল । কথায় আছে না অতি লোভে তাতী নষ্ট ।
লেবু বেশী কচলাইলে তিতা হয় ।



-১০১) বিয়ে করলে কি যে শান্তি তা কেবল আল্লাহই ভালো জানেন ।
তরুনদের এ সুখ আমি দেখতে চাই ।
আসমানে প্রথম গুনাহ হিংসা । আদমের সুখ ইবলিছ সহ্য করতে পারে নি ।
দুনিয়াতে প্রথম গুনাহ হিংসা । হাবিলের সুন্দরী বউ আকলিমার সুখ কাবিল সহ্য করতে পারে নি
তারমানে অপরের অনিষ্ট করাই সবচেয়ে বড় অপরাধ ।
অন্যদিকে মুহাম্মদ (স) অপরের দু:খ সহ্য করতে পারবেন না । কেউ কষ্ট পেলে বা দু:খের কাহিনী বর্ণনা করলে মুহাম্মদ(স) কে হাউমাউ করে কাদতে দেখা যেত ।

-১০০) তরুনরা মনে করে এখন বয়স ২৫ আরও পাচ বছর যাক । টাকা কামিয়ে লাইফটাকে আরো গুছিয়ে নেই । তারপর বিয়ে করব ।
কিন্তু বাস্তবতা হলো পাচ বছর পর সে কোটিপতি হতে পারে না । বরং চুল ঝরে যায় ও যৌবনের পাওয়ার কমে যায় । আসলে প্রেরিত মহাপুরুষ হযরত মুহাম্মদ (স) বুদ্ধিতে না চলে নিজে নিজে বুঝতে গেলে সুবিধার বদলে অসুবিধায় হয় । আমও গেল , ছালাও গেল ।
নিজের গেছে যাক আরেক ভাইকে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলার দাওয়াত দেন । দেখবেন কাল কেয়ামতের ময়দানে সবগুলি নেকি আপনার উপর এসে পড়ছে । হতাশ হবেন না । কেননা অতীতে যা হয়েছে তা তকদ্বীর কতৃক হয়েছে । দুনিয়ার জীবন বেশী দিনের নয় ।
-৯৯) জাহিলিয়াতের যুগে যেমন পথভ্রষ্ট বাবারা কন্যা সন্তানকে জীবন্ত দাপনের জন্যে মাটি খুড়ত , বর্তমান যুগের পথভ্রষ্ট বাপেরা মুহাম্মদ(স) এর বানীর তুয়াক্কা না করে দেরিতে বিয়ে দিয়ে জাহান্নামের সুড়ঙ্গ খুড়ে ।উভয় পথভ্রষ্টের মূল উছিলা দুনিয়াবী স্বার্থ ও খ্যতি অর্জন ।
বর্তমানে আত্মহত্যা বেড়েই চলছে । যার ৯০% ই প্রেম ঘটিত । একটু মাথা খেলালেই দেখতে পাবো যে আমাদের বাপেরা এমন সিস্টেম করে রেখেছে যে তরুনদের প্রেম করা খুবই সহজ । কিন্তু বিয়ে করা কঠিন ।
সুতরাং মহাবিচারক আল্লাহ রব্বুল আলামিন কাল কেয়ামতের ময়দানে কথাকথিত তিনবার হজ্জ্ব করে যারা যাদের তাহাজ্জুদের নামায কাযা হয় না এরুপ নাটের গুরুর বিচার করবেন ।


-৯৮) মোহরানা ৫,০০০ টাকা হলেই বেশী । বিশ্বাস না করলে মতিউর রহমান মাদানীর ভিডিও দেখুন ।

-৯৭) বাথরুমে যেতে না দিলে যেমন পায়খানা মূত্র দ্বারা বিছানা নষ্ট হবে তেমনি বিবাহ না দিলে বীর্য দ্বারা বিছানা নষ্ট হবে । সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে ।
হাদিসে আছে “বিবাহ লজ্জাশীলতা বাড়ায় ।”
-৯৬) বিবাহ রহমত স্বরুপ বিধায় বেকার যুবকরা বিবাহ করলে তার দাম বেড়ে যায় ।
অন্যদিকে চাকুরীজীবিদের বিবাহ দেরিতে হলে সমাজের মানুষ একে ঘৃনার চোখে দেখে । কেউ তাদের সাথে কথা বলতে চায় না । সমাজে তাদের কোন মূল্য থাকে না ।
তারমানে বিবাহের কোন বিকল্প নেই ।
-৯৫) প্রেম ইসলামে নিষিদ্ধ কেন বা প্রেম ভিত্তিহীন ক্ষতিকর কেন ?
বিবাহ পূর্ববর্তী একটি মেয়ের প্রতি বিশেষ আসক্তি । ফলে ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যায় । যদিও ঐ মেয়ের সাথে বিবাহিত নয় তদুপরি সে শুধু ঐ মেয়েটিকেই পেতে চায় যা নিশ্চিত পথভ্রষ্টতা ও বোকামি । কেননা ব্যক্তি মনে করে তার প্রেমিকাই সবচেয়ে সুন্দর । তাকে নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে । যার ভিত্তি নেই । কেননা যেকোন মুহুর্তেই ছ্যাকা খেতে পারে । প্রেম অনেকসময় একতরফা হয়ে থাকে ।
প্রেম দুই প্রকার : উভয় প্রকারই ক্ষতিকর ও ইসলামে নিষিদ্ধ
১) একতরফা প্রেম : এতে যে কোন একজন ডিক্লাইন করলে অপরজন খুব কষ্ট পায় । যেহেতু তাদের মধ্যে চুক্তি ছিল না । এবং ভিত্তিহীন ভাবে আরেকটি মেয়েকে নিয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনা করা তারপর ব্যার্থ হলে নিজেই আবার ভেঙ্গে পড়ার আংশকা থাকে । ফলে আত্মহত্যাও হতে পারে । ক্ষতিকর দিক বেশী থাকায় এ ধরনের প্রেম বা আসক্তি সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ।
২) উভয় তরফ থেকে প্রেম : অত্যধিকহারে অশ্লীলতা এবং এক পর্যায়ে ব্যভিচার হওয়ার সম্ভবনা থাকায় এটি নিষিদ্ধ ।
তারমানে ইসলামে ভিত্তিহীন কাজ করা নিষেধ । যাতে ঐ ব্যক্তির ক্ষতি হয় । এবং ঐ ব্যক্তি নিজেই কনফিউজড ।
প্রেমের অন্যতম ক্ষতিকর দিক হলো আল্লাহর বড়ত্বে আস্থা হারিয়ে ফেলা । পৃথিবীতে আল্লাহর নিয়ামত গুনে শেষ করা যাবে না । সেখানে তার প্রেমিকাকেই শ্রেষ্ঠ ভাবা নিসন্দেহে অন্ধত্বের প্রমান ।
তবে স্ত্রীকে শ্রেষ্ঠ ভাবা ও মর্যাদাবান মনে করা সওয়াবের কাজ ।
ইসলামে কোন কনফিউশন নেই । আমাদের শক্ত আকিদা রাখতে হবে প্রেমিকার আসক্তি শয়তান কতৃক , আর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা আল্লাহ কতৃক । দুটি কখনই এক জিনিস নয় । একটি ব্যভিচার আর হতাশা বাড়ায় আরেকটি ব্যভিচার ও হতাশা রোধ করে । আপনি স্ত্রীকে যতবেশী ভালবাসেন তত শান্তিতে আছেন , যতবেশী প্রেমিকাকে ভালোবাসেন ততবেশী টেনশনে আছেন যদি হাতছাড়া হয়ে যায় ।

-৯৪) আত্ম সংযমের মাধ্যমে যৌনতাকে নিয়ন্ত্রনের ব্যর্থ চেষ্টা না করে বরং বিবাহ করার নির্দেশ দেয় ইসলামে । কেননা শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখা যায় না । যদিও গার্জেনরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রানপন চেষ্টা করছেন ।
বাংলা একটি প্রবাদ আছে “খাড়া দন্ড আর ভিজা যোনী বিবেকের ধার ধারে না । ”
জাবির হতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসুল (দঃ) একবার একজন স্ত্রীলোক দেখতে পেলেন। সুতরাং তিনি তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নবের নিকট গেলেন এবং তার সাথে সঙ্গমে মিলিত হলেন। জয়নব তখন একটি চামড়া ট্যান করছিলেন। সঙ্গম শেষে রাসুল সাহাবীদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন – সাক্ষাৎ শয়তান মেয়ের রূপ ধরে আমার কাছে আসল। সুতরাং তোমরা কেউ যদি এরূপ মেয়ের মুখোমুখী হও, তৎক্ষনাৎ নিজের স্ত্রীর নিকট চলে যাবে। এভাবেই কেবল অন্তরের কু-বাসনার নিবৃত্তি সম্ভব।

তার মানে একবারসেক্স উঠে গেলে বীর্যপাত হওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষের মাথা বিগড়ে থাকে । সুতরাং একবার চিন্তা করেনতো এই ক্ষেত্রে অবিবাহিত যুবকরা পর্ণ দেখে হস্তমৈথুন ছাড়া কিভাবে থাকতে পারবে । সুতরাং আমাদের উচিত ইসলামের আলোকে যৌন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষনা করা । তাহলেই কেবল সমাধান সম্ভব ।

অন্যদিকে বিবাহিত যুবকরা বেখেয়ালে পর্ন দেখা শুরু করলে তা বন্ধ করে তৎক্ষনাৎ স্ত্রীর সাথে সহবাস করে যৌন চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে হবে ।কেননা বীর্যপাত হয়ে গেলে আর কেউ পর্ন দেখে না ।



-৯৩) বেকার যুবকদেরও লিঙ্গ থাকে । থাকে বিবাহ করার স্বাধ ।
যুবকরা পর্ন ও হস্তমৈথুনকে ধীরে ধারে স্বাভাবিক ও বৈধ যৌনাচার মনে করতে শুরু করেছে । কিন্তু ব্যপারটি হলো বর্তমান যুগই হলো বিগত ১৪০০ বছরের মধ্যে সব্বোর্চ বিকৃত যৌনাচারের যুগ ।
একহাতে তালি বাজে না । সমাজের সকলের দায়িত্ব এ বিকৃত অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার পন্থা বের করা । কিন্তু গার্জেনরা বিবাহ দিতে অনিচ্ছুক । অন্যদিকে তরুনরা দুধের স্বাদ ঘোলে মিশিয়ে এতো অভ্যস্ত হয়েছে যে বিবাহকে অসম্ভব ও বিকল্প পদ্ধতিকেই স্বাভাবিক মনে করতে শুরু করেছে । মানে উভয় দিকেই আগুনে ঘি ঢালা হচ্ছে । ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন ।
সত্যি কথা বলতে কি সময়ের জিনিস সময়ে না পেলে মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা যায় । এ হতাশা থেকে জন্ম নেয় আত্মহত্যা

-৯২) ছেলে হস্তমৈথুন করে কিনা , সেটা না জানলে আপনি পথভ্রষ্ট ।
পথভ্রষ্ট মানে কনফিউজড । কাফেররা আল্লাহ কয়জন এতে কনফিউজড । তারা মনে করে হয়তো তিন জন , হতে পারে ৩৩ কোটি , আবার হতে পারে ১০ জন । ইত্যাদি । মানে তারা সঠিকটি জানে না ।
ইসলামে পথভ্রষ্টতার কোন সুযোগ নেই । ইসলাম আগেই বলে দিয়েছে তরুনরা নিজেকে সামলাতে পারবে না । এজন্যে বিবাহ ওয়াজিব করে দিয়েছে ।
সুতরাং বিবাহ করালে ক্ষতি হবে এমন মনগড়া শয়তানি আকিদা বাদ দিয়ে গার্জেনদের উচিত দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেওয়া । বিবাহ মানেই বরকত । হস্তমৈথুন মানেই ধ্বংস আর গযব ।
আর একথাও তো মনে রাখা উচিত রিযিকের মালিক আল্লাহ । আর বিবাহ দ্রুত করলে রিযিক বাড়বে । আর হস্তমৈথুন করলে গযব আসবে ।
তারপরেও কি গার্জেনরা একটু সচেতন হবে ?




-৯১) একদিকে বিবাহের বয়স পিছাচ্ছে অন্যদিকে ইন্টারনেট উন্নত হচ্ছে
পরিনাম দাড়াচ্ছে ভয়াবহ । বর্তমান যুগকে সাধারন যুগ বললে দারুন ভুল হবে । কেননা ১০ বছর আগেই গার্জেনরা স্টার মুভিস আর এইচ.বি.ও নিয়ে চিন্তিত ছিল ।
আর বেকার যুবকদের একদিকে বেকারত্বের কষ্ট । অন্যদিকে বিবাহ করতে পারবে না । এ ধরনের ভূল ধারনা থেকে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে ।

-৯০) ততদিন পর্যন্ত কেয়ামত কায়েম হবে না , যতদিন না মানুষ রাস্তাঘাটে গর্দভের ন্যায় ব্যভিচার করে ।
এখানে সব রাস্তা-ঘাটে এমন হতে হবে তা নয় । বরং বর্তমানে বিদেশে নাড বীচ , পার্ক ইত্যাদির অভাব নেই । এবং সকল দেশের ছেলে পিলেরাই এ রাস্তাঘাটে সহবাসের ভিডিও দেখছে ।
এতো ফিতনা , আবার হাদিসে ওয়ার্নিংও দিয়ে রেখেছে । তারপরেও আমাদের বাপরা বিয়ের কথা শুনলেই চোখ রাঙ্গায় ।
বস্তবতা থেকে দূরে তারা এক স্বপ্নের জগতে আছেন ।
It is the era of hyper-sexuality .এর পরেও যদি বিয়ে পিছানো হয় । তাহলে কি তা আগুনে ঘি ঢালা নয় ?
-৮৯) অতিরিক্ত নামায না পড়ে স্ত্রীর শারীরিক হক আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন মুহাম্মদ (স)
আমাদের গার্জেনদের একটু মাথা খেলানো দরকার ছেলেদের বিবাহ যদি এভাবে পিছাতে থাকি । তাহলে তারা শারিরীক হক্ব মিটাবে কিভাবে ?
মুহাম্মদ ইব্‌ন মুকাতিল (রহঃ) হযরত আবদুল্লাহ্‌ইব্‌ন আমর ইব্‌নুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, হে আবদুল্লাহ্‌! আমাকে কি এ খবর প্রদান করা হয়নি যে, তুমি রাতভর ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাক এবং দিনভর সিয়াম পালন কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূল (সাঃ) ‌! তিনি বললেন, তুমি এরূপ করো না, বরং সিয়ামও পালন কর, ইফতারও কর, রাত জেগে ইবাদত কর এবং নিদ্রাও যাও। তোমার শরীরেরও তোমার ওপর হক আছে; তোমার চোখেরও তোমার উপর হক আছে এবং তোমার স্ত্রীরও তোমার ওপর হক আছে।
সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ বিয়ে-শাদী হাদিস নাম্বারঃ ৪৮২০

-৮৮) হস্তমৈথুনের গুনাহ মাফের উপায় ।
আপনি হস্তমৈথুন ও পর্ন দেখে অনেক গুনাহ কামিয়েছেন । এখন আপনি বিবাহিত । এবং মাফ নিয়ে চিন্তিত ।
আরে ভাই , এতো চিন্তার কি আছে , আপি কাটা দিয়ে কাটা তুলুন । আপনার সামনে হাজারো ভাই আছে যারা পর্ন ও হস্তমৈথূনে লিপ্ত আছে । তাদেরকে বিবাহের জন্যে উতসাহিত করেন । আপনার কারনে উতসাহিত হয়ে যদি ৬ মাস আগে বিবাহ করে , তাহলে ৬ মাস হস্তমৈথুন করলে যে গুনাহ হতো , তার সমপরিমান সওয়াব আপনি পেয়ে যাবেন ।

-৮৭) কেননা আমার লেখনির কারনে যদি দশ হাজার লোক হস্তমৈথুন বাদ দিয়ে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়ে তুলে তাহলে আমার বেহেশতে যাওয়া খুবই সহজ হবে ।
আজকাল ছেলেরা তাদের যৌবনের এতো বেশী অংশ খু্‌ইয়ে ফেলেছে যে তারা এখন বিকল্প পথে কিভাবে বউকে খুশি রাখবে , সে বিষয়ে আলোচনা করছে ।
-৮৬) মা-বাবা মনে করে তার ছেলেদের যৌনাঙ্গ নিখুত । কোনদিন হস্তমৈথূন করে নি । তাই তারা বিয়ে দিয়ে তার সন্তানের যৌনাঙ্গের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করাতে চান না ।
কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশী ছেলেরা গড়ে সপ্তাহে দুই দিন হন্তমৈথুন করায় তাদের যৌবন ৭০% শেষ । গার্জেনের এই ভুল ধারনার কারনে । মানে দরকার শুধুমাত্র ভুল ভাঙ্গানো । সামান্য একটু উদ্যোগ । আপনার একটা লাইক আরেক জনের কাছে পৌছে গেলে সেও আয়ডিয়া পাবে । তাও জীবন বাচবে ।
মনে রাখবা , ব্যপারটি খুবই সহজ । ওয়ান-টু ব্যপার । আমরা একেই তীব্র কঠিন করে রেখেছি । অত:পর আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত চিন্তা না করে সমাজ কল্যানে নেমেছি । কেননা আমার লেখনির কারনে যদি দশ হাজার লোক হস্তমৈথুন বাদ দিয়ে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়ে তুলে তাহলে আমার বেহেশতে যাওয়া খুবই সহজ হবে ।
-৮৫) ফিতনা মানে পরীক্ষা বা কনফিউশন । বিয়ে আর হস্তমৈথুনের মধ্যে কনফিউশন ।
বিয়ে হালাল বৈধ অধিকার । এ কথা তরুনরা মালূম ভূলে গেছে ।প্রমান হিসেবে হস্তমৈথুন করার পর ধার্মিক যুবকরা তওবার চিন্তা করে । নামায পড়ে মাফ চায়। কিছু টাকা অনেকে দান করে দেয় । তরুনরা বহু সংগ্রাম করছে এ থেকে বাচার জন্যে । লুল । অথচ যৌন কাজ থেকে বেচে থাকতে আল্লাহ বলেন নি ।বরং স্ত্রীর সাথে বৈধ কাজে বিরাট অংকের সওয়াব নিহিত ।
তারমানে হস্তমৈথুন থেকে বাচার জন্যে দুয়া করা , কিংবা নামায পড়া এগুলি ভালো । কিন্তু এগুলি বেশীদিন ঠিকে না । প্রবাদ আছে “খাড়া দন্ড আর ভিজে যৌনী বিবেকের ধার ধারে না । ”
সুতরাং সঠিক আকিদা হলো বিয়ের জন্যে সংগ্রাম করা । আর যেসকল ছেলেদেরকে আগে বিয়ে করার জন্যে আমরা বাপজুইট্টা বলে ডাকি । তারাই তো আজকের জমানায় সাহাবীর সমান মর্যদাতুল্য । তাদের কারনেই তো আমরাও বিয়েতে সাহস পাচ্ছি । ধীরে ধীরে বিয়ে কায়েম করুন ।
আজ থেকে ২০ বছর আগে মেয়েরা বাংগালী বোরকা ও হিজাব পরতো না । এখন তারা পড়ছে । জাস্ট চেষ্টা করুন । কোন কিছুকে ছোট ভাববেন না । কুরআনে আছে “যে অনু পরিমান ভালো কাজ করবে সে তাও দেখতে পাবে । ”
-৮৪) সঙ্গিনীর জন্যে অস্থির না হয়ে আদম(স) হাওয়াকে পান নি ।
আপনিও বিয়ে করতে চান এমন ভাব গার্জেনকে দেখাতে না পারলে বিয়ে আর করতে হবে না । পর্ন আর হস্তমৈথুন করে আর দুই বছর কাটান । কেননা ৩ বছরের গ্যরান্টি দিতে পারি না । পর্নাসক্তরা সহজেই আত্মহত্যা করে । হায় রে কপাল গার্জেনরা যদি এটা বুঝত । তারা বুঝবেন আত্মহত্যার পরে । কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট ”
তাই বলি ভাই , বিয়ের কথা বলতে সাহস করুন । আর নাইলে পরবর্তিতে আপনি ক্ষেপে গিয়ে কি করেন তার ঠিক নাই । সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড় । এতো ভীতু হলে চলে না ।
-৮৩) ক্যান্সারে (পর্নে) আক্রান্ত সন্তানের আগে ক্যান্সারের চিকিতসা করুন । পরে লেখাপড়ার চিন্তা করুন ।
আজকের ৯৯% নবম শ্রেনীর ছাত্ররা পর্ন ও হস্তমৈথুনে আসক্ত । এমতাবস্থায় গার্জনের উচিত বিবাহের মাধ্যমে আগে এ থেকে মুক্তি । অত:পর তার পড়াশুনার চিন্তা করা ।
ধরুন আপনার ছেলের ক্যান্সার হয়েছে । আপনি যদি তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠান । তাহলে কিন্তু কিছুদিন পর তাকে গোরস্থানে পাঠাতে হবে । মানে অতি লোভে তাতী নষ্ট ।

-৮২) হস্তমৈথুন শিখার আগেই ছেলেদের বিয়ে দিতে হবে । প্রথমবার হস্তমৈথুন করার পর যুবকের জন্যে বিবাহের জন্যে পাগলামি করা ওয়াজিব হয়ে যায় ।
যে ব্যক্তি কোনদিন মদ খায়নি , সে তার থেকে উত্তম যে আগে মদ খেত এখন ছেড়ে দিয়েছে । যে ব্যক্তি কোনদিন হস্তমৈথুন করেনি সে তার থেকে উত্তম যে বিবাহের আগে হস্তমৈথুন করত ।
১৫ বছরকে হস্তমৈথুন শিখার স্ট্যান্ডাড বয়স ধরলে । ২৫ এ বিবাহ হলে যুবকটি ১০ বছর হস্তমৈথুন করে এসেছে যা কাম্য নয় । অন্তত ১৮ তে বিয়ে দিলে মাত্র ৩ বছর হস্তমৈথুন করেছে । এবং যদি ধর্মীয় শিক্ষাও বাড়ানো যায় ও পর্ন বন্ধ করা যায় । তাহলে একে শূন্যের কোঠায় নামানো সম্ভব ।
আর একে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নির্দেশ ।
রাসূলে পাক (স) এরশাদ করেন : সাত শ্রেনীর মানুষের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষন করেন, হাশরের দিন আল্লাহ পাক তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে বলবেন : "তোমরা জাহান্নামীদের সাথে প্রবেশ কর।" তারা হচ্ছে (১) সমকামী, (২) যার সাথে সমকাম করা হয়, (৩) পশুর সাথে সঙ্গমকারী, (৪) কোন মহিলা ও তার মেয়েকে একত্রে বিয়েকারী, (৫) বোনের সাথে ব্যাভিচারী, (৬) কণ্যার সাথে ব্যাভিচারি, (৭) হস্ত মৈথুনকারী। তবে তওবা করলে আল্লাহ পাক মাফ করতে পারেন।"



-৮১) পর্ন দেখার সময় আর হস্তমৈথুন করার সময় লজ্জা থাকে না । লজ্জা পান বাবাকে বলার সময় । কেননা এ লজ্জা শয়তান কতৃক ।
এমনিতে বন্ধুকে এককাপ চা দিতে দেরি হয়ে গেলে মাকে আধা ঘন্টা ঝাড়ি দিতে পারেন । কিন্তু বিয়ের কথা বলার সময় চিন্তা করেন মা যদি কষ্ট পায় । মানে সেটাও শয়তান কতৃক ।
আপনি বিয়ে করে হালাল পথে ফিরে আসলে শয়তানের লস ।

-৮০) হস্তমৈথুনের বয়স হিসাব ?
৯ম শ্রেনী বা ১৫ বছর বয়সকে স্ট্যাটার্ড ধরে হস্তমৈথুন হিসাব করা হয়।
আপনার বয়স যদি ২৫ হয় তাহলে আপনার হস্তমৈথূনের বয়স ১০ ।
মানে আপনি ১০ বছর ধরে হস্তমৈথুন করছেন ।
অথচ আমরা ছোট বেলায় দেখেছি গ্রামের মেয়েদের রজ:স্রাব শুরু হওয়ার আগে বাল্য বিবাহ দিতে । মানে ক্লাস সিক্স বা সেভেনের মেয়েদের । মানে ১৫-২ =১৩ বছর বয়সে । পরে তারা কান্নাকাটি করে এসে পড়ত ।
বর্তমান যুগে মেয়েদের ২৫ এ বিবাহ হয় । মানে হস্তমৈথুন শিখার ১০ বছর পরে । আর অতীতে ১৩ তে হতো মানে হস্তমৈথুন শিখার ২ বছর আগে । এগুলি মাত্র ২০ বছর আগের কথা ।
এ কারনেই বর্তমান যুগে এতো বিকৃত যৌনাচার । অন্তত ১৮ বছর বয়সে কোন মেয়ের অবিবাহিত থাকা উচিত নয় । এটা সরকারও অনুমোদন করে ।

-৭৯) বিবাহ কি বিকৃত যৌনাচার পর্ন বা হস্তমৈথুন রুখতে পারবে ?
অবশ্যই । কেননা মানুষ হট হয়ে গেলে পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করে তার যৌন ক্ষুধা মিটানোর জন্যে । হস্তমৈথুন করার পর কেউ পর্ন দেখে না ।
স্ত্রী সহবাস করার পরও নারীর গোপনাঙ্গও একটি সাধারন জিনিস হয়ে যায় । এটা দেখে লাভ কি ? তখন একটা ঘুম দেন ।
বিবাহ করলে যে কি শান্তি । এটা না করলে বুঝবেন না ।
-৭৮) ২০০৩ এ একটা গান শুনেছিলাম “দেশটা রসাতলে গেল হিন্দি ফিলিমে ।” তারমানে তখন মাত্র হিন্দী ফিল্ম আসতে শুরু করেছে । তখন শহরের বাড়িতে ডিস থাকতো ।
২০০৬ এ আমি সর্বপ্রথম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল দেখতে পাই । কোচিং এর এক ভাই ১০,০০০ টাকায় কিনেছিলেন । ২০০৭-২০০৮ এ মোবাইলে পর্ন দেখা অনেক কঠিন ছিল । ভালো ভিডিও তুলতে পারে এমন মোবাইল ৩০,০০০ এর উপরে ছিল । কিন্তু তখন জনপ্রিয় হয়ে যায় ডি.ভি.ডি
২০০৮ এ অল্প টাকায় মাত্র ২০০০ টাকায় ডি.ভি.ডি কিনে টিভির সাথে কানেন্ট করে তরুনরা পর্ণ ফিল্ম দেখত ।
২০১০ এ জাভা মোবাইল দেখতে পাই । কিন্তু তখন মানুষ স্থির পর্ণ ফটোতে অভ্যস্থ হয় । এবং নকিয়ার সেট কিনে থ্রি.জি.পি ভিডিও দেখত । যার কোয়ালিটি ভালো ছিল না ।
২০১১ তে আরেকটু আপগ্রেড হলো ততদিনে ব্যপকহারে ডেস্কটপ কমপিউটার কিনা শুরু করল । সেখানে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড অবস্থায় পর্ণ ভরে রাখত তরুনরা ।
২০১২ তে অনেকে ব্রডব্যন্ড লাইন নিল । সাথে সাথে গ্রামে গঞ্জে কেউ কেউ ল্যাপটপও কিনা শুরু করল । তবে তখন কমদামি ল্যাপটপ ছাড়ার জন্যে বাজারে প্রতিযোগিতা শুরু হয় । দোয়েল , বিজয় ইত্যাদি ।
২০১৩ তে ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ও সিমপনি অ্যন্ড্রয়েড এতো সহজলভ্য হয়ে গেল যে গ্রামের ছেলেও খুজে পাওয়া যায় না । যে পর্ন দেখে নি ।
২০১৪ তে কোয়ালিটি আরো বাড়ল । পর্ন দেখতে দেখতে আগে যে অপরাধ বোধ ছিল সেটা নেই । এবং পর্ণ নিয়ে আলোচনাও কিছুটা কমে গেল । কারন এতে আলোচনার ইন্টারেস্ট নেই । এটা স্বাভাবিক । যখন দরকার পড়ে তখন জাস্ট দেখে নেওয়া ।
তারমানে বহুদিন ধরেই (বছরের পর বছর)আমরা তরুন সমাজ বিকৃত যৌনাচারের সাথে জড়িত থাকলেও , হালাল বিবাহ আমাদের কাছে এখনও অসম্ভব । কেয়ামতের আগে হালাল হাতে আগুর রাখার মতো কঠিন হবে ।
সবকিছুরই একটা লিমিট থাকা উচিত । ধরেন ১৬ বছরে পর্ন দেখা শুরু হলো ১৮ বা ১৯ এ বিয়ে হয়ে গেলো । তাহলে মেনে নিতাম। কিন্তু তা তো না । ৩০ এও হচ্ছে না । অনেক হতভাগাকে ৩৫ এ বিয়ের জন্যে গার্জেনসহ পাগল হয়ে ঘুরতে দেখা যায় ।


-৭৭) প্রশ্ন : আমার বয়স ২১ । নিজেকে সামলাতে পারি না । সপ্তাহে তিন দিন হস্তমৈথুন করি । পর্ন দেখতে দেখতে অপরাধ বোধ হয় । মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে । কোন উপায় আছে কি ?
বর্তমান সমাজের থিওরী : মাত্র ২০ বছর। কিছুই করার নাই । আরও ১০ বছর হস্তমৈথুন করেন ও পর্ন দেখেন ।এছাড়া বাউ নাই ।তাছাড়া ইদানিং অনেকেই আত্মহত্যা করছে । বেশী খারাপ লাগলে তাই করেন ।
ইসলামিক থিওরী : আপনি চোখের ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছেন বিধায় আপনার জন্যে বিবাহ ওয়াজিব । আপনি বিবাহ করতে চান আর নাই চান আপনি বিবাহ করতে এখন বাধ্য ।
চিন্তা করেন ,বর্তমান সমাজ যেখানে বলে সম্ভব নয় , ইসলাম সেখানে সম্ভব বলেই থেমে থাকেনি । বরং জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে বল প্রয়োগে আপনাকে বিয়ে দিতে বাধ্য করছে ।
মুহাম্মদ (স) বলেছেন : তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা’আলা নিজ দায়িত্ব মনে করেন । ১)যে বিবাহিত যুবক যে চরিত্র হেফাজতের জন্যে বিবাহ করে ২) যে মুজাহিদ আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে ।”(তিরমিযি , নাসায়ী , মিশকাত )
সুতরাং শুধু নিজে বিবাহ করবেন না । বরং বিবাহ কায়েম করেন । আরেক ভাইকে বিয়ে দেন । সমাজে বিয়ের নজির গড়ে তুলুন । যৌবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করুন । পথভ্রষ্ট যারা বিবাহের বিপক্ষে তাদের সাথে উত্তম ভাষায় বিতর্ক করুন ও সংগ্রাম করুন । আত্মহত্যা মহাপাপ ।



-৭৬) মুহাম্মদ (স) বলেছেন “তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা’আলা নিজ দায়িত্ব মনে করেন । ১)যে বিবাহিত যুবক যে চরিত্র হেফাজতের জন্যে বিবাহ করে ২) যে মুজাহিদ আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে ।”(তিরমিযি , নাসায়ী , মিশকাত )
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা বিবাহকে কঠিন করেছে । যা ইসলামের শিক্ষা নয়। সমস্যা হলো তরুনরা মানসিক দাসত্ব বরন করে বিবাহকে অসম্ভব মনে করতে শুরু করেছে “এ যুগে জন্মেছি তো ৩০ এর আগে বিবাহ নয় । ”
যেহেতু তারা গার্জেনের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে যে গার্জেন কোনদিন মেনে নিবে না । তাই গার্জেনকে বলার চেষ্টাও করে না । অথচ গার্জেনরা মেনে নিত ।
তারমানে এই নয় যে তরুনরা গার্জনকে খুব ভয় পায় এবং ভালো ব্যবহার করে । বরং বন্ধুকে কেন এককাপ চা দিতে দেরি হলো সে জন্যে মাকে এক ঘন্টা গালিগালাজ করতে পারবে । কিন্তু বিবাহের ব্যপারে কথা বলতে তাদের দারুন লজ্জা এবং অসম্ভব মনে করা । সর্বনাশ । এ লজ্জা শয়তান কতৃক । অথচ পর্ন যে দেখে অনেক সময় মায়ের কাছে ধরাও খায় । সেখানে লজ্জা থাকে ।
আর এইভাবেই তরুনরা স্ত্রীর আদর থেকে বঞ্চিত হয়ে যৌবন হারাচ্ছে । তার কারন না গার্জেন না সমাজ বা অর্থ । বরং সংকোচ ও লজ্জা যা শয়তান তৈরি করেছে । উদ্যোগের অভাব ।
তাছাড়া মানুষের শারীরিক গঠন সমান মজবুত নয় । অনেকে যৌবন ৩৫ পর্যন্ত আবার অনেকের ৫০ পর্যন্ত । ৩০ এ বিয়ে করলে থাকেই বা কি ?
আর এভাবে বঞ্চিত হওয়ার জন্যে আল্লাহও বলে নাই । গার্জেনও বলে নাই । আপনার সংকোচের কারনেই আপনি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছেন ।

-৭৫) ১০০% মাদকমুক্ত ও হস্তমৈথুন মুক্ত সমাজ গঠন করার নির্দেশ আছে কুরআনে ।
-৭৪) বাবা মা কখনই সন্তানের খারাপ চায় না । তবে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক বাবা-মার হিংসের উদ্যেগ হয় বলে কিছু আলেম উল্ল্যেখ করেছেন।
আমি ব্যপারটি শিউর না । তবে হিংসা জিনিসটি মানুষের মধ্যে খুবই প্রবল ।
কেননা আকাশে প্রথম যে গুনাহ হয়েছিল সেটি ছিল হিংসা । ইবলিশ আদমের সুখ সহ্য
-৭৩) বউ পেতে অসমর্থ নাকি টাকা পয়সা অসমর্থ ? কোনটি ?
যে ব্যক্তি অসমর্থ (বউ পেতে )সে যেন রোজা রাখে ।
হাদিস ঘাটলে জানা যায় যাদের কিছু নেই একেবারেই নিস্ব তারাও কুরআনের সূরা মুখস্ত করিয়ে বিয়ে করছে । তাদের মোহরানা ছিল কুরআনের আয়াত ।
সুতরাং বউ পেতে যে অসমর্থ সে যেন রোজা রাখে । এখানে এটি সঠিক।
কারন ধরেন আমি রাস্তার ফকির রেললাইনে চাদর বিছিয়ে থাকি ।তারপরেও যদি একজন মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে চায় । তাহলে সে বিয়ে কি অবৈধ হবে ? মানে এটা কি ব্যভিচার হিসেবে গন্য হবে ? না মোটেও না ।
মনে রাখবা , বেকার যুবকদেরও লিঙ্গ থাকে । থাকে বিবাহ করার স্বাধ ।

-৭২) যে ব্যক্তি অসমর্থ (বউ পেতে )সে যেন রোজা রাখে ।
আপনি দুই পয়সা আয় করেন আর নাই বা করেন । আপনি যদি বউ পেতে সমর্থ হন তাহলে আপনার জন্যে বিয়ে ওয়াজিব ।
এখানে যে বউ পায় না । তাকে বলা হয়েছে । রোজা রেখে বউ খুজতে ।
কিন্তু আমরা মনে করি আগে স্ট্যাবল একটা চাকুরী। আসলে তা নয় । আপনি চাকুরী পান আর নাই পান । যদি কেউ বিয়ে না করে মানে বউ না পায় তাহলে রোজা রাখতে হবে ।
এ ক্ষেত্রে যদি উপযুক্ত নারী পাওয়া না যায় বা বিবাহের মোহরানা আদায়ের সামর্থ না থাকে তবে তা সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত ব্যবস্থা না হবে ততদিন পর্যন্ত রোজা রেখে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। রোজার দ্বারা শান্ত রাখা সহজ হয়।

-৭০) রাসূলুল্লোহ (সাঃ) এরশাদ করেন, "বিবাহ আমার আদর্শ। যে তা থেকে মুখ ফিরায় সে আমার দলভুক্ত নয়।
-৬৮) অন্ধ ব্যক্তি সম্পূর্ন বঞ্চিত । আর যে বিবাহ করতে পারল না । সে অর্ধেক বঞ্চিত ।
আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে অন্ধ করল সে কি বেহেশতে যে পারবে ?



-৬৭) আল্লাহ স্নেহশীল জননীর চেয়ে ৭০ গুন বেশী স্নেহশীল ।
আল্লাহ বিভিন্ন খাবারে বিভিন্ন স্বাদ তেরী করেছেন । এতেই থেমে নেই ।
যৌন কাতর বান্দার প্রতি আল্লাহ বরই মেহেরবান । তিনি চান না হস্তমৈথুন বা অন্য কিছু করে বান্দা যৌবন নষ্ট করুক ।
এমনকি পিতাকে বিয়ে না দিয়ে সন্তানের যৌবন ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার দেন নাই । বরং বালেগা হওয়া মাত্রই বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
অন্যদিকে ইসলামে ছেলেদের বিয়েতে বাবার অনুমতিই লাগে না ।
যদিও বর্তমানে পথহারা কনফিউজড পিতারা পুত্রকে মানুষ করতে গিয়ে দেরিতে বিবাহ দিয়ে যৌবন খুইয়ে ফেলছেন । পথহারা পুত্ররাও উত্তম ভাষায় বাবকে বুঝাতে ভুলে গেছে । ফলে যৌবন হারিয়ে পুত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট”

-৬৬) কুরআনে কোন কনফিউশন নাই । আল্লাহ এক এতে যেমন কনফিউশন নাই । তেমনি বিবাহ না করে বিকল্পপথ বেছে নিলে জাহান্নামে যেতে হবে । এতেও কোন কনফিউশন নাই ।
আজকের যুগে তরুনরা এবং তাদের গার্জেনরা পথভ্রষ্ট । মানে তারা কনফিউজড । যে আসলেই কি এখুনি বিয়ে করে ফেলতে হবে । নাকি কয়েক বছর পরে করলেও চলবে । ২০ বছরে বিয়ে নাকি ৩০ এ ।

বলতে পারেন জাহান্নামে যাওয়ার তো আরও অনেক রাস্তা আছে । না রাস্তা খুবই কম ।
রাসুল (সা.) বলেন,,,, “যে ব্যক্তি তার জিহবা ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, তার জান্নাতের জিম্মাদারী আমার।

তাই আরও ১,০০০ হাদিস বের করেন । কোন কনফিউশন পাবেন না । আল্লাহ এক এতেও না । বিবাহে দেরি করে হস্তমৈথুন করলে আগুনের লাকড়ি এতেও না ।

তাছাড়া কেয়ামতের আগে ব্যভিচার ব্যপক আকার ধারন করবে । সেটা বাস্তব হয়েছে । কুরআনে হাদিসে কোথাও কোন কনফিউশন নাই ।

বিবাহ না দিলে তরুনরা হস্তমৈথুন করবে পর্ন দেখবে তাতেও কনফিউশন নাই ।
আর হস্তমৈথুন কইরা আজকে মরলে কালকে জাহান্নামের লাকড়ী হবেন তাতেও কুরআনে কনফিউশন নাই ।

মানে আপনার বাপ বিয়েতে বাধা দিয়ে আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাচ্ছে এবং নিজে সমান গুনাহের হক্বদার । তাতেও কনফিউশন নাই ।

মানে কুরআন একেবারেই কনফিউশনমুক্ত আল্লাহর কিতাব । খালি বাপকে পড়ে শুনান আর নিজে একটু মাথা খেলান ।


-৬৫) পথভ্রষ্টতা ফিতনা বলতে কি বুঝায় ?
ধরেন আপনি হাসপাতালে যাবেন । আপনি জানেন না হাসপাতালটি কোনদিকে । যার ফলে আপনি হয়তো উল্টোপথে হাটছেন । কেননা আপনি কনফিউজড । আপনার কাছে মনে হচ্ছে আপনি ঠিক পথেই হাটছেন । আসলে উল্টো ।
আজকের যুগে তরুনরা এবং তাদের গার্জেনরা পথভ্রষ্ট । মানে তারা কনফিউজড । যে আসলেই কি এখুনি বিয়ে করে ফেলতে হবে । নাকি কয়েক বছর পরে করলেও চলবে ।

কিন্তু কুরআন হাদিসে কোন কনফিউশন নাই । কুরআন জোরালো কন্ঠে ঘোষনা করছে । এখুনি বিবাহ । নতুবা বিকল্পপথে মানে হস্তমৈথুন বা পর্ন দেখে সময় পার করলে জাহান্নামের লাকড়ি হতে হবে । মানে রাস্তা একটিই । সেটি বিবাহ ।বিকল্প চিন্তার সময় নাই । দরকারও নাই ।

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন :
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।(মুমিনূন ৬-৮)
যেমন বর্তমানে কাফেররা কনফিউজ । আল্লাহ কয়জন ? কিন্তু কুরআনে কোন কনফিউশন নাই । আল্লাহ এক এতে যেমন কনফিউশন নাই । তেমনি বিবাহ না করে বিকল্পপথ বেছে নিলে জাহান্নামে যেতে হবে । এতেও কোন কনফিউশন নাই ।





-৬৪) হস্তমৈথুনকে তরুন সম্প্রদায় স্ত্রী সহবাসের ন্যায় বৈধ বানিয়েছে ।
অথচ এতে তরুনরাই ঠকে যাচ্ছে । দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানো যায় না ।
করুনাময় আল্লাহ ইচ্ছা হলো তরুনরা যেন নারী থেকে পূর্ন স্বাদ পান ।
আল্লাহ বলেন :
‘তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ [সূরা রুম : ২১]


সুতরাং হস্তমৈথুন আর স্ত্রী মিলন এক নয় । এটি সমাজের লোকদের বুঝাতে হবে । তরুনদের বিয়ের সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে ।
সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।


-৬৩) পবিত্র কুরআনে স্বামী ও স্ত্রীকে পরস্পরের পোষাক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা কি?

অত্র আয়াতে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের জন্য পোষাক দ্বারা একে অপরের ইয্যতের হেফাযতকারী, পরস্পরের আশ্রয়স্থল এবং পরস্পরের হৃদয়ের প্রশান্তি বুঝানো হয়েছে। যেমন পোষাক পরিধানে দেহে স্বস্তি ও প্রশান্তি আসে। ‘পোষাক’ শব্দ ব্যবহারে এ বিষয়ে ইঙ্গিত রয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে অতীব নিবিড় ও দৃঢ় বন্ধনযুক্ত, যা ছিন্ন করার নয়। যেমন পোষাক মানুষের অতীব প্রিয় যা থেকে সে কখনোই বিচ্ছিন্ন হ’তে চায় না।
এছাড়া পোষাক যেমন মানুষকে নানাবিধ ক্ষতি থেকে বাঁচায়, স্বামী-স্ত্রীর এই পবিত্র বন্ধনও তেমনি উভয়কে বহুবিধ গুনাহ থেকে রক্ষা করে



-৬২)দরকার সামান্য একটু সচেতনা ।দরকার সামান্য একটু বাপকে বলার সাহস ।এটি না করতে পারায় একদিকে দুনিয়াতে হারিয়ে ফেলছে যৌবন ও অন্যদিকে চির-জাহান্নামী হয়ে যাচ্ছে । আসলে ছেলেরা মুখ খোলার কৌশল হারিয়ে ফেলেছে । আমি শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে বাপকে বলবেন । এটি সহজ নয় । ব্যপক আন্দোলন দরকার । এমন আন্দোলন করেন যাতে আমার লেখাগুলো ঘুরিযে প্যচিয়ে আপনার বাপের কান পর্যন্ত যায় । আগে মাকে পড়ে শুনান । ধীরে ধীরে মানে “ঝিকে মেরে বউকে শিখানো ” সবতো আমিই করে দিলাম । তারপরও যদি না পারেন । তাহলে কিভাবে । তাছাড়া আমি আপনার সাথে তো আছিই ।
এবারের সংগ্রাম বিবাহের সংগ্রাম । এবাবের সংগ্রাম হস্তমৈথুন থেকে বাচার সংগ্রাম । এবারের সংগ্রাম জাহান্নাম থেকে বাচার সংগ্রাম ।

-৬১) রাসূল (সা:) বলেছেন : সৌভাগ্যবান তারাই যারা ফেতনা থেকে বেচে থাকে । সৌভাগ্যবান তারাই যারা ফেতনা থেকে বেচে থাকে ।
সৌভাগ্যবান তারাই যারা ফেতনা থেকে বেচে থাকে । সৌভাগ্যবান সে যে পরীক্ষার সম্মুখ্খীন হলো এবং ধৈর্য্য ধারন করল । (আবুদাউদ)

বর্তমানযুগে আমরা জানি সবচেয়ে বড় ফিতনা পর্ন ও হস্তমৈথুন । সুতরাং যে ব্যক্তি সংগ্রাম করে বিবাহ করতে পারলো সে ফিতনা থেকে বেচে গেল । এবং সে সৌভাগ্যবান । তার চেয়েও সৌভাগ্যবান হবে যে ব্যক্তির প্রচারনার কারনে হাজারো তরুন বিকৃত যৌনাচার ছেড়ে দিয়ে পবিত্র স্ত্রী পেয়ে যায় ।
রাসূল (সা:) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে না দেখে শেষ জামানায় আমার একটি সুন্নত আদায় করবে, আমার সাহাবাদের সমান তার সওয়াব হবে।

ফিতনার সময় ঈমানের ওপর অটল ব্যক্তির নেক আমলের সওয়াব পশ্চাশজন ঈমানদার ব্যক্তির সমান হবে ।

বর্তমানযুগে আমরা জানি সবচেয়ে বড় ফিতনা পর্ন ও হস্তমৈথুন ।
কিন্তু আমরা যদি সমাজে বিবাহ কায়েম করার চেষ্টা করে যেতে থাকি তবেই আমরা এই সওয়াব কিংবা এর অধিক সওয়াবের ভাগিদার হবো ।





-৬০) মানুষের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যে তখন তারা পরওয়া করবে না সে তা হালালভাবে উপার্জন করছে না হারাম ভাবে । (বোখারী)
বর্তমানে আমদের দেখতে পাচ্ছি তরুন সমাজ হস্তমৈথুনকে স্ত্রী মিলনের মতোই হালাল মনে করছে । আমাদের বাপেরা তা জেনেও শুধু চুপ করে বসে থাকে নি । বরং তারাইতো উল্টো বিয়ের পথে বাধা । কারন পার্থিব লোভ । ডিগ্রী নিয়ে ছেলেকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার লোভে হারিয়ে ফেলেছে চৈতন্য ।
ফলে যৌবন হারিয়ে পুত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট”


সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।


-৫৯) রাসূল(সা:) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল “কোন পাপের কারনে সবচেয়ে বেশী লোক জাহান্নামে যাবে ? তিনি বললেন মুখ ও লজ্জাস্থানের কারনে” (তিরিমিযি)

হায় । আফসোস । এই হাদিস যদি আমাদের যুব সম্প্রদায় ও সম্প্রদায়ের পিতারা বারবার পড়ত এবং জ্ঞান খাটাতো । তাহলে দুনিয়াতে তাদের যৌবন হারায়ে আত্মহত্যা করতে হতো না । আখিরাতেও জাহান্নামে যেতে হতো না ।
বস্তুত আমরা এবং আমাদের বাপেরা হস্তমৈথুনকে স্বাভাবিক যৌনাচার মেনে নিয়েছে । তাই তারা বিয়েতে উদগ্রীব নয় । যেমনি লূত (আ) সম্প্রদায়ের লোকেরা সমকামিতাকে স্বাভাবিক যৌনাচার মনে করত ।
আমরা মনে করি বয়স মাত্র ২০ । এখনতো ছেলেপিলেরা পর্ন আর হস্তমৈথুন দেখবে । কি আর করা । বিয়ে হবে নে ২৫ এ । যেমন এ বিকৃত যৌনাচারে আমাদের কোন মাথা ব্যাথাই নাই । অথচ এমন সম্প্রদায়কে আল্লাহ আগে পাথর বর্ষন করে ধ্বংস করেছেন ।বেশীদিন দেরি নয় । আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে উল্কা পিন্ড ও ভূমিকম্প ।

সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।


-৫৮) আর আমাদেরকেও সংগ্রাম করে যেতে হবে ।সমাজে বিবাহ কায়েম করতে হবে । এ সংগ্রাম হালাল প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম । এ সংগ্রাম হারাম থেকে বেচে থাকার সংগ্রাম ।
ঘোরের মধ্যে থেকে তরুন সমাজ বিবহের অধিকারের কথা ভুলে গিয়ে হস্তমৈথুনকে বিবাহের সমতুল্য মনে করা শুরু করেছে বিধায় তারা তাদের বাপকে বুঝানোর চেষ্টাও করছে না । বরং হস্তমৈথুন করে বছরের পর বছর চালিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক মনে করছে ।
১৮ বছরের ছেলে বিবাহ না করেই খুশি আছে হস্তমৈথুন করে । বিয়ের কথা সে চিন্তাতেও আনবে না ।এটিই মানসিক দাসত্ব । ২২ হলে
হস্তমৈথুনের আপত্তি কিছুটা মিটে গিয়ে বিয়ের জন্যে আফসোস করে । যদি বিয়েটা করে ফেলকে পারতাম । তবু সে বিয়ের জন্যে পাগলামি শুরু করে না ।
এভাবে বয়স ৩৫ গড়াবে । তারপরও কোন আন্দোলন নেই । নেই বাপকে বুঝানোর নূন্যতম চেষ্টা ।
এগুলি বিকৃত যৌনাচার ও কেয়ামতের আলামত ।
রসুলুুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে না দেখে শেষ জামানায় আমার একটি সুন্নত আদায় করবে, আমার সাহাবাদের সমান তার সওয়াব হবে।

-৫৭)
হস্তমৈথুন বা পর্নে অভ্যস্ত যুবকের জন্যে মা-বাবা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যে কোন মূল্যে পাগলামি করে বিয়ে করা ওয়াজিব । এটাই কুরআন সুন্নাহর শিক্ষা । এমতাবস্থায় আপনি যদি বিয়ের জন্যে পাগলামি না করেন । তাহলে গুনাহের দায়ভার আপনাকেই দিতে হবে ।
কারন ইসলামের শিক্ষা হলো বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ । দুই তিন বছর হস্তমৈথুন ও পর্ন দেখার ফলে সে যৌবন হারিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে ।
প্রথমবার হস্তমৈথুন বা পর্ন দেখার আগে বিবাহ সুন্নত থাকে । যেদিন প্রথম আপনি কুকাজটি করে ফেলেছেন সেদিন থেকে আপনার জন্যে বিয়ে পাগল হওয়া ওয়াজিব । আপনি যদি বিয়েতে ব্যর্থ হয়ে কুকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন তবে গুনাহ হবে । কিন্তু আপনারা বাবা যদি অতিরিক্ত টাইপের পথভ্রষ্ট হয় তাহলে গুনাহের ৯০% শেয়ার উনাকে নিতে হবে ।


সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।







-৫৬) বিয়ে দিলে পড়াশুনার ক্ষতি হবে । এটাকে রিভার্স করুন ।
বিবাহ ইচ্ছুক তরুনদের উচিত এরকম ভাব দেখানো যে বিয়ে না দিলে তারা মরেই যাবে । পড়াশুনা একমাসের জন্যে বাদ দিন । লুকিয়ে লুকিয়ে পড়বেন । কলেজ বাদ দিন । চাকুরী করলে যাবেন না । গেলে লুকিয়ে । যাতে বাপরা বুঝতে পারে বিয়ে না দিলে তার এই হতাশা পাগালামি বন্ধ হবে না ।
পড়াশুনার ক্ষতি যাতে না হয় তারাতো সেজন্যে বিয়ে দিতে চাচ্ছিল না । । যার ফলে আপনি যদি এমনিতেই পড়াশনা-চাকুরী ছেড়ে হতাশ এরূপ ভাব দেখান তাহলে তারা মনে করবে “বিয়ে করতে পাগল হইছে । বিয়ে না দিলে ঠিক হবে না । ”
গার্জেনরা যদি দেখে আপনি এমনিতেই স্বাভাবিক আছেন তাহলে তো আরও বিয়ে দিতে চাইবে না ।

পাগলামি বাড়িয়ে “বিয়ে দিলে পড়াশুনার ক্ষতি হবে । এটাকে রিভার্স করুন । মানে এমন ভাব দেখান যে বিয়ে না হলে পাগলামি কমবে না । বরং বিয়ে দিয়ে দেই । ”

যে যে কারনে বিবাহ বিলম্বিত হচ্ছে প্রত্যেকটি কারনকে রিভার্স করতে হবে ।
একজন আলেম হিসেবে শুধু বিয়ের উপকারিতা বর্ননা করা নয় বরং কিভাবে সফলমূলকভাবে বিয়েটা করে ফেলতে পারবেন । পুরোটাই দায়িত্ব আমাদের ।
মনে রাখাবা , হস্তমৈথুন বা পর্নে অভ্যস্ত যুবকের জন্যে মা-বাবা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যে কোন অবস্থায় পাগলামি করে বিয়ে করা ওয়াজিব ।

সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।


-৫৫) সন্তানের হাসি-মাখা মুখে আড়াল হয়ে যাচ্ছে প্রকৃত তত্ত্ব ।
গার্জেনরা কুরআন সুন্নাহ ও বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে স্বপ্নের জগতে বাস করছে । আর সন্তানের ভাবও এমন যে সেও মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছে ও স্বাভাবিক আছে । তাদের হাসি-মাখা মুখ দেখে বুঝার উপায় নেই ভিতরে ভিতরে তারা ধ্বংসের পথ ধরেছে ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্লাস টেনে পড়া ছাত্ররা সপ্তাহে দুইবার হস্তমৈথুন করে । এটাই সত্যি । এটাই বাস্তব । কিন্তু গার্জেনরা যে জগতে বাস করে তা বাস্তব নয় । স্বপ্নের জগত ।
এক পর্যায়ে নষ্ট হওয়া ছেলেরা বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ ।
সুতরাং বিবাহ ইচ্ছুক তরুনদের উচিত এরকম ভাব দেখানো যে বিয়ে না দিলে তারা মরেই যাবে । যাতে বাপেরা বাস্তব রিয়েলাইজ করতে পারে ।
অন্যদিকে বাপদের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সন্তানের আত্মহত্যার রেইট ।

সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।



-৫৩) বর্তমানযুগে আরেকটি বড় সমস্যা হলো পাত্রী দেখা । এককেন্দ্রিক সমাজে কেউ কারোও না । আর আগের যুগের মতো বর্তমানযুগের পথভ্রষ্ট বাপেরা কোনদিনই পাত্রী দেখবে না ।
মূল বিষয় হলো হারাম পর্ণ দেখা যতো বেশী সহজ হয়েছে , তত কঠিন হয়েছে হালাল কোন কাজ করা ।
হে ! আল্লাহ পথভ্রষ্ট(কনফিউজড কখন বিয়ে দিবে) বাপদের মৃত্যু কায়েম কর যাতে আমরা বিয়ে করতে পারি , নতুবা আমাদের মৃত্যু কায়েম কর যাতে হস্তমৈথুন থেকে বেচে যেতে পারি ।

-৫২) সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না । ব্যপকহারে বাপের মৃত্যু আর ধ্বংস কামনা করতে থাকেন ।যেন আপনার বাপ টের পায় । আসলে আপনি তাদের মৃত্যু চাচ্ছেন না । লোকে যেন আপনার বাপকে মোবাইল করে বলে ‘আপনার ছেলে তো আপনার মৃত্যু কামনা করে ’ আপনার বাপ সাময়িক মনে কষ্ট পেয়ে বিয়ে দিয়ে দিতে চাইবে ।
সত্যি কথা বলতে কি তাদের মনে কিছু কষ্ট না দিয়ে তাদেরকে সঠিক পথে আনতে পারবেন না । অপারেশন করে টিউমার দূর করতে হলে আপনাকে কিছু কষ্ট পেতে হবে । নতুবা টিউমার দূর হবে না ।
বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ বিসর্জন ইসলামে বৈধ । কোন ছেলে যখন মুসলিম হতে চায় তখন অমুসলিম বাবা মা কিছু কষ্ট পায় । কিন্তু তাতেও আপনাকে মুসলিম হতে হবে । যেহেতু আপনি ইচ্ছা করে তাদের কষ্ট দিচ্ছেন না । বরং সঠিক পথ দেখানোর জন্যে কৌশল অবলম্বন করছেন বিধায় আল্লাহ আপনাকে মাফ করে দিবে ।

ব্যপারটি হলো তারা যদি দেখতে পায় আপনি বিয়ে ছাড়াই খুশি আছেন তাহলে তো আরও বিয়ে দিতে চাইবে না । তারা যেন দেখতে পায় আপনার মন খুবই খারাপ । এমনকি এক পর্যায়ে তাদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিন ।


-৫১) কেয়ামতের আলামত হলো ফিতনা ফ্যাসাদে আক্রান্ত মানুষ মৃত্যু কামনা করবে ।
বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি , হস্তমৈথন ও পর্ন দেখতে দেখতে তরুনরা একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে । তারা বুঝতে পারছে এ সমাজে বিবহ সম্ভব নয় । হালালভাবে বাচা সম্ভব নয় । ফলে ইদানিং তারা নিজেদের মৃত্যু কামনা করছে যেন হারামের পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।
তাছাড়া মানুষের যৌবনকাল মাত্র ৪০ বছর পর্যন্ত । বাপেরা ছিনিয়ে নেয় ৩০ বছর । বর্তমানে গড় আয়ু বাড়ায় সমস্যাটি আরো ব্যপক আকার ধারন করেছে ।
তরুনদের মনে বৃদ্ধমূল বিশ্বাস জন্মে গেছে বিবাহ কোন দিনই বাপেরা মেনে নিবে না ।
এমতাবস্থায় পথভ্রষ্ট বাপদের মৃত্যু কামনা করা অবৈধ নয় । বরং কেয়ামতের ময়দানে সন্তানেরা পথভ্রষ্ট বাপদের বিরুদ্ধে লানত করবে । হে আল্লাহ “ধ্বংস কর তাদের যারা আমাদের সুন্দর জীবন ছিনিয়ে নিয়েছিল ।”


-৫০) কেয়ামতের একটি আলামত হলো ভাল কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে না । যা কুরআনের নির্দেশ ।
বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বয়ং আমাদের জন্মদাতা পিতা-মাতাই অশ্লীল নৃত্যু , সিগারেট ও প্রেম খারাপ কাজে বাধা দিচ্ছে না
বরং বিবাহে বাধা দিয়ে উল্টো খারাপ পথে ঠেলে দিচ্ছে ।

মুহাম্মদ (স) বলেছেন সবার্ধিক লোক জাহান্নামী হবে লজ্জাস্থানকে হেফাজত করতে না পারায় । বর্তমানে এ ভবিষ্যত বানীটি সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে ।

মুহাম্মদ(স) বলেছেন কেয়ামতের আগে হারামকে মানুষ হারাম মনে করবে না । হালাল হাতে আগুন রাখার চেয়ে কঠিন হবে ।
বর্তমানে বিবাহ করা মা-বাবার চোখে সবচেয়ে বড় অপরাধ ।
আপনি টিভিতে ন্যংটা নাচ দেখেন , আপত্তি করবে না , সিগারেট খান আপত্তি করবে না । আপনি যে পর্ন দেখেন ও হস্তমৈথুন করেন । তাও তারা জানে । কোন আপত্তি করবে না ।
কিন্তু তাদের চোখে সবচেয়ে খারাপ কাজ হলো বিবাহ । এটি করলে তারা আপনাকেই খুন করে ফেলতে চাবে ।
ফলে যৌবন হারিয়ে পুত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট”





-৪৯) বিবাহ করা নয় বরং কায়েম করতে হবে ।
কুরআন বলছে “ভালো কাজের আদেশ দাও । মন্দ কাজের নিষেধ দাও ”
তাহলে বিয়ে ভালো কাজ । এই কাজের আদেশ দিতে হবে । যাতে মন্দকাজ হস্তমৈথুন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে ।
কিন্তু বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো । কেননা বর্তমান সমাজ বিয়েকে অপরাধ হিসেবে দেখাচ্ছে । ৩০ এর আগে বিয়ে করাতো লম্পট ও বাপজুইট্টাদের কাজ ।
সুতরাং আগুনের অধিবাসী না হতে চাইলে বিয়ের জন্যে চেষ্টা আজই শুরু করুন । সংগ্রাম করুন ।


-৪৮)কুরআনে বর্নিত ‘উফ’ বলা যাবে না এমন বাবার অস্তিত্ব বর্তমান পৃথিবীতে নেই বললেই চলে থাকলেও খুবই অল্প ।
অবস্থার পরিপেক্ষীতে ইসলামি শরীয়া চেঞ্জ হয়ে যায় । যেমন পানিতে ডুবন্ত বেগানা নারীকে তুলে আনা ওয়াজিব।
বাস্তবতা দেখার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম । বাস্তবতা হলো আপনার গার্জেন আপনি টিভিতে ন্যংটা নাচ দেখেন , আপত্তি করবে না , সিগারেট খান আপত্তি করবে না । আপনি যে পর্ন দেখেন ও হস্তমৈথুন করেন । তাও তারা জানে । কোন আপত্তি করবে না ।
হ্যা আপত্তি করবে যখন আপনি জুব্বা পড়বেন , আপত্তি করবে যখন দাড়ি রাখবেন , আপত্তি করবে যখন আপনি বিবাহ করতে চাবেন । আপনি খুন করলে আপনাকে তারা বাচানোর চেষ্টা করবে । কিন্তু তাদের চোখে সবচেয়ে খারাপ কাজ হলো বিবাহ । এটি করলে তারা আপনাকেই খুন করে ফেলতে চাবে ।

এমতাবস্থায় কুরআনের হুকুম ‘উফ’ বলা যাবে না । কায়েম থাকে না । কেননা তাতে আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন । আপনাকে পর্ন দেখেই সারাজীবন কাটাতে হবে ।
বরং উত্তম ভাষায় তাদের সাথে বিতর্ক করতে হবে । এটা জিহাদের অন্তভূক্ত ।
মনে রাখবা , আপনি বিয়ের জন্যে উদগ্রীব নন বলেই সমস্যাটি হচ্ছে । বাপকে দোষ দিবেন ঠিকই কিন্তু আসল দোষ আপনার । আপনি চেষ্টা কিভাবে করতে হয় নাকি করার দরকার নেই কনফিউজড ।

-৪৭) দাড়িওয়ালা ধর্মপ্রান যুবকরাও বিয়ে করতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন ?
আসলে মাদ্রাসার ছাত্ররাও হস্তমৈথুনে জড়িয়ে গেছে । তাদের ঈমান কমে যাওয়ায় তারা শুধু বিয়ের জন্যে দুয়া করতে পারছে । কিন্তু প্রতিবাদ , দুয়া, যুদ্ধ , প্রচার , প্রতিষ্ঠা সবগুলি করতে দরকার খুবই শক্ত ঈমান । এবং আল্লাহর সাহায্য ।
যে প্রতিবাদ করে ধর্মের জন্যে বিবাহ করতে পেরেছে তার ঈমান তার থেকে শক্ত যে ব্যর্থ হয়েছে ।
কুরআনে মুহাম্মদ (স) কে ঘোষনা করা হয়েছে “সিরাজাম মুনিরা” মানে উজ্জল নক্ষত্র । যেমন নজরুল বাংলা সাহিত্যে উজ্জল নক্ষত্র । মানে অনেক মানুষ কবিতা লেখে , কিন্তু তার কবিতা কেউ পড়ে না ।

আপনি যদি হাজারো মানুষকে বিয়েতে অনুপ্রানিত করতে পারেন । তবে আপনিও একজন স্টার । তবে ছোট স্টার ।
মুহাম্মদ (স) হলেন বড় নক্ষত্র । কানাডা , অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় , সৌদিতে তার নাম পাচবার ঘোষিত হয় ।

হে আল্লাহ আমাকে মাফ কর ও ঈমান আনান অন্তরে বত্রতা দান করিও না । আমার দাওয়াত বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পৌছে দাও ।

-৪৬) বিবাহের জন্যে শুধু দুয়া করা ইসলামের শিক্ষা নয় ।
মুহাম্মদ (স) কে আমরা প্রতিবাদ , বিতর্ক করা , যোদ্ধারত অবস্থা ও দুয়া করা প্রত্যেকটি অবস্থায় দেখতে পাই ।
তারমানে বিয়ের জন্যে বেচে নিতে হবে সংগ্রামের পথ । উদহরনস্বরূপ আমি যদি এই স্ট্যটাসটি না লিখে কেবল দুয়া করতাম । তাহলে কি এত মানুষ উপকৃত হতো ?
তাহলে এটি হলো প্রচার । তারমানে মসজিদে বসে শুধু দুয়া ইসলামের শিক্ষা নয় ।
দরকার:
১)উত্তম ভাষায় পিতার সাথে বিতর্কের সুযোগ সন্ধান করা
২) দুয়া করা
৩) রোজা রাখা ।
৪) প্রচার করা (ফেসবুকে ও স্বশরীরে )
৫) ব্যপকহারে আলোচনা করা (কুরআনে যদি লজ্জা ভেঙ্গে সমকামিতার কথা আমাদের না বলতো তাহলে আমরা এটি যে গুনাহ সেই তথ্য পেতাম না । )
৬) ধৈয্য: বাবার সাথে বিতর্ক করার ক্ষেত্রে ধৈর্য্য লাগবে । ধান্ধা ব্যতীত হস্তমৈথুনের কথা তার সামনে বলতে পারবেন না । তবে কাহিনী বানান । প্রথমে বন্ধুর কথা দিয়ে বলেন ”আমার বন্ধু সারাদিন পর্ন দেখে । পরের দিন হস্তমৈথুনের কথা বলুন । আস্তে আস্তে ইজি হয়ে যান ।বিয়েতে বাধ্য করেন । এই সংগ্রামই ইসলাম ।”
৭) পিতার কড়া কথা বলা : বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ করা যায় । যেহেতু সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না । একটু আধটু আপত্তিকর কথা যদি আপনি আপনার বাবাকে বলেই ফেলেন এতে গুনাহ হবে না ।

কুরআন ও হাদিসে ব্যপক(ডীপ লেভেল) যৌন আলোচনা রয়েছে । কিন্তু সমস্যা হলো আমরা এগুলি আলোচনা এমনকি ফেসবুক স্ট্যটাস দিতে লজ্জা পাই । কিন্তু পর্ন মুভি দেখার সময় লজ্জা থাকে না ।

-৪৫) পুত্রবধু আনলে মাসে দুইহাজার টাকা খরচ বাড়তে পারে । এই ভয়ে বাপরা পুত্রকে ঠেলে দিচ্ছে ১০ বছর , ১৫ বছর , ২০ বছর হস্তমৈথুনের দিকে । অথচ বাপদের ইনকাম ৫০,০০০ টাকা ।
এখন যারা ২,০০০ টাকার ভয়ে বিয়ে দিচ্ছেন না । শীঘ্রই জাহান্নামে তাদের আগুনে অনন্তকাল জ্বলতে দেখা যাবে ।
কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট”


মনে রাখাবা , হস্তমৈথুন বা পর্নে অভ্যস্ত যুবকের জন্যে মা-বাবা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যে কোন অবস্থায় পাগলামি করে বিয়ে করা ওয়াজিব ।


-৪৪) বর্তমানে হস্তমৈথুন ব্যপাক আকার ধারন করেছে কেন ?
একদিকে ইন্টারনেট কম্পিউটার উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে । অন্যদিকে পড়াশুনার সময়কাল বাড়ছে । ফলে দীর্ঘটাইম ছাত্র থাকতে হচ্ছে । ছাত্র থাকা মানে ইনকাম না করা ।
অন্যদিকে বাড়িতে বউ আনলে ২,০০০ টাকা খরচ বেড়ে যেতে পারে । সেই চিন্তায় পথভ্রষ্ট অভিবাবকরা বিয়ে করাতে চান না ।
ফলে ১০ বছর , ১৫ বছর ধরে হস্তমৈথুন করা যুবকরা আত্মহত্যার দিকে ঝুকে যাচ্ছে ।
কথা হলো তথাকথিত বাপেরা এগুলি রিয়েলাইজ করতে না পারার কারন তাদের মধ্যে টাকার লোভ বেড়ে যাওয়া ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা কাজ করা । তারা দেখেও না দেখার ভান করছে ।
ফলে তাদের সন্তানরা আসলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । অনেকে মাদকাসক্ত হচ্ছে ।
আবার কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান না থাকায় তরুন সমাজ কিভাবে নেটে সার্চ করে HD পর্ন বের করতে হয় জানলেও উত্তম ভাষায় প্রতিবাদ করতে পারছে না ।

পুত্রবধু আনলে দুইহাজার টাকা খরচ বাড়তে পারে । এই ভয়ে বাপের পুত্রকে ঠেলে দিচ্ছে ১০ বছর , ১৫ বছর , ২০ বছর হস্তমৈথুনের দিকে । অথচ বাপদের ইনকাম ৫০,০০০ টাকা ।
এখন ২,০০০ টাকার ভয়ে যারা বিয়ে দিচ্ছেন না । শীঘ্রই জাহান্নামে তাদের আগুনে অনন্তকাল জ্বলতে দেখা যাবে ।

আর যারা বলছে সমাজ আগের মতোই আগে , তারা স্বপ্নের জগতে আছেন । ক্রমেই বাড়ছে বিকৃতি যৌনাচার ।

-৪৩) দুই হাজার টাকার জন্যে বাপ-পুত দুটিই জাহান্নামের লাকড়ি হবে ।
বিয়ে করালে বাড়তি খরচ বাড়বে এই হিসাব করতে উনারা যতটুকু পারদর্শী , বিয়ে না করালে পর্ন ও হস্তমৈথুনের দিকে ঝুকবে এটি তারা ভুলে গেছে । শয়তান ভুলিয়ে দিয়েছে । ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে । তারা খরচের ভয় পায় , জাহান্নামের ভয় পায় না ।
অন্যদিকে শয়তান তাদের কেবল বিবাহের অপকারিতাগুলি দেখায় । ফলে তারা বিবাহ মানে খরচ ,অশান্তি ইত্যাদি খুজে পায়
অথচ এর ফলে তারা ছিনিয়ে নিচ্ছে সন্তানের যৌবন । একপর্যায়ে যৌবনহারা যুবক বাধ্য হচ্ছে আত্মহত্যায় ।
অন্যদিকে ব্যভিচারে সমাজ ভরে গেছে ।

আপনার বাবা পাচতালা বিল্ডিং করতে পারবে । কিন্তু বৈধ যৌনাচার বিবাহে স্বীকৃতি দিবে না । তারাতো এও জানে যে আমরা স্বীকৃতি না দিলে সন্তানরা ব্যভিচার ও হস্তমৈথুন করবে ।
তা সত্ত্বেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি ।

তারা আপনাকে জন্ম দিয়েছে ভালো কথা । কিন্তু জন্ম দিয়ে তারা আপনাকে ঠেলে দিয়েছে ব্যভিচার ও হস্তমৈথুনের পথে । আর হস্তমৈথুন আপনাকে এবং আপনার বাবাকে ঠেলে দিবে জাহান্নামে । তাদের অন্তরে চেপে বসেছে খরচের ভয় । যা শয়তান সৃষ্ট । হারিয়ে ফেলেছে জাহান্নামের ভয় । মানে তারা ঈমান হারিয়ে ফেলেছে ।
কিন্তু কুরআন বলছে বিবাহ করলে আসবে স্বচ্ছলতা । এগুলির প্রতি তাদের কোন বিশ্বাস নেই ।




-৪২)
হে আল্লাহ ফিতনা ফ্যাসাদের যুগে, ২০ বছরের কোন যুবককে অবিবাহিত রেখো না । ১৪০০ বছরের মধ্যে বর্তমান যুগই সব্বোর্চ্চ বিকৃত যৌনাচারের যুগ ।
ধ্বংস কর তাদের যারা বিবাহের ব্যপারে কোন বাহানা তৈরী করে এটাকে দেরি করে । ধ্বংস কর তাদের যারা আমার দাওয়াতি কাজে বাধা দেয় ।
অবিবাহিত যুবকরা কোন অবস্থাতেই হস্তমৈথুন ছাড়া বাচতে পারে না । তাই পথভ্রষ্ট(কনফিউজড সঠিক পথ জানে না ।কভন বিয়ে দিতে হবে তা নিয়েও কনফিউজড) বাপেরা এগুলি জেনেও বিয়েতে বাধা দিচ্ছে ।
সুতরাং এরাতো তাদের মতোই যাদের জন্যে লূত (আ) গযবের দুয়া করেছিলেন । সুতরাং এদের উপর পাথর বর্ষন কর যেমনটি করেছিলে লূত (আ) এর সম্প্রদায়ের উপর । তবে তারা নয় যাদের হেদায়ত রয়েছে । কারন রাসুল (সঃ) বলেছেন সন্তানের দোয়া অবশ্যই কবুল হবে ।
যাতে আমি যুব সম্প্রদায়কে দ্রুত বিয়ে দিতে পারি । এ আল্লাহ আমার এ দাওয়াত তুমি মানুষের নিকট পৌছে দাও ।

-৪১) বর্তমান থিওরী : ক্লাস এইট থেকে হস্তমৈথুন করতে হবে । বিবাহ হবে আর ১৫ বছর পরে মানে ৩০ বছরে । এই থিওরী অনুযায়ী চললে বেহেশতে যেতে পারবেন না ।
আমার সবাই এগুলি জেনেও মুখ খুলছি না । ফলে অন্যায় মেনে নেওয়ায় সবাই গুনাহের ভাগিদার ।
আল্লাহ বলেন : ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)

হে আল্লাহ আমাদের পথভ্রষ্ট বাপদের দ্রুত মৃত্যু কায়েম কর । তাদের জীবিত অবস্থায় বিবাহ সম্ভব নয় । ফলে আমরা ব্যভিচারী হিসেবে জাহান্নামী হবো ।
তবে যে সকল বাপরা হেদায়ত প্রাপ্ত হবে তাদেরকে তুমি জানো । তাদেরকে হেফাজত কর ।


-৪০)বিয়ে করলেই কি সব হয়ে গেল ?
আসলে তা নয় । কিন্ত বিবাহ না করে বিকৃত যৌনাচার করলে জাহান্নামের জ্বালানী হবেন । কিন্তু বিবাহ পরবর্তী শান্তিতে থাকুন আর অশান্তিতে থাকুন বৈধ যৌনাচারে গুনাহ নেই । সেটিই বড় জিনিস ।
আল্লাহ বলেন :
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।(মুমিনূন ৬-৮)
যেহুতু রাস্তা একটাই তাই । বসে বসে হস্তমৈথুন না করে কিংবা চটি বই না পড়ে বিবাহের জন্যে আন্দোলন করেন । বাবাকে বলেন “তুমি বিবাহ না দেওয়ায় সপ্তাহে ৩ দিন হস্তমৈথুন করি । এই পাপের ভার নিতে না চাইলে , আজকেই আমাকে বিয়া দাও । নতুবা তোমার ব্যপারে আমি জাহান্নামের আগুনের ভয় করি

-৩৯) ইসলাম থেকে ফারাক হওয়ায় আমাদের আজকে এ অবস্থা । বিবাহের কথা বলতে লজ্জা পাই । পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করা আমাদের অভ্যাস । বিবাহ করতে লজ্জা শয়তান কতৃক । চেষ্টা করুন এ লজ্জা ভাঙগতে । আর নামায ও কুরআনকে খুব শক্তভাবে ধরুন । আজকে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা তো ইসলাম থেকে সরে আসার জন্যেই হয়েছে । ফলে আম-ছালা দুটিই গেল । যৌবনও হারালেন । ফলে একসময় বাবার প্রতি রাগ হবে । শেষ বয়সে বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে জাহান্নামেও গেলেন । সবই শেষ । তাই কুরআনকে আগে ধরুন । ফজরের পর তেলাওয়াত শুরু করেন । আর আমার সাথে আন্দোলন করেন ।

-৩৮)ইসলাম প্রচারে , বিয়ের জন্যে সর্বক্ষেত্রে ফেসবুকই ব্যবহার করেন ।অন্তত ৪৫০০ হাজার ফ্রেন্ড রাখেন ।
আপনারা আল্লাহর নাম লইয়া খালি লাইক শেয়ার দিয়া যান । যে বিবাহ সচেতনতা মিশনে নেমেছি ৪৫০০ ফ্রেন্ড আছে । আর লাইক দিলে যারা ফ্রেন্ড নয় তারাও দেখতে পারে । মানে কয়েক বছরে লাখখানেক মানুষ আমার এ স্ট্যটাসের আওতাধীন হয়ে যাবে । মানে অন্তত একবার হলেও স্ট্যাটাস পড়েছে । আপনারাও স্ট্যাটাস বানাতে থাকেন । সময় না থাকলে লাইক মারেন ।
হে আল্লাহ আমাদের সম্মিলিতভাবে ব্যভিচার দূর করার তৌফিক দান কর ।


-৩৭

-৩৬) আপনার একটি উক্তি আলোড়ন তৈরী হতে পারে । আমার এ স্ট্যাটাসগুলি পড়ে ছেলেরা বাবার সাথে তর্কে লিপ্ত হবে । ছেলেরা সাময়িক সমস্যায় পড়লেও খুব দ্রুত তারা একটি সমাধান পেয়ে যাবে । বাপ রাজি হয়ে যাবে । আর তাদের পর্ন দেখে যৌবন হারিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে না
সমকামিতায় লিপ্ত সম্প্রদায়কে বিবাহমুখী করতে লূত (আ) চেষ্টার কোন এুটি করেন নি । লূত (আ) বললেন-হে আমার কওম, এ আমার কন্যারা রয়েছে, এরা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্রতমা।(সূরা : হুদ ৭৮)
তারা বলল তুমি তো জানই, তোমার কন্যাদের নিয়ে আমাদের কোন গরজ নেই। আর আমরা কি চাই, তাও তুমি অবশ্যই জান। (সূরা : হুদ ৮০)


-৩৫) বেকার যুবকরা জাহান্নামে যাবে । এই থিওরী ইসলামে নাই ।
বর্তমান থিওরী : বেকার তাই বিবাহ করতে পারবেন না । ফলে আপনাকে পর্ণ ও হস্তমৈথুন করে কাটাতে হবে । এবং মৃত্যুর পরে জাহান্নামে যেতে হবে । এ ধরনের কোন কুরআনের আয়াত নেই । এমনকি একটি হাদিসও নেই ।
গ্রামের একটি মেয়ে বিয়ে করে ফেলা কোন কঠিন কাজ হলো নাকি ভাই ? বিয়ে করলে আপনার বাপ ছাতাও করতে পারবে না । লুল । দরকার সচেতনা ও উদ্যোগ ।
বিবাহ করলে স্বচ্ছলতা আসার কথাও কুরআনে আছে ।

-৩৪) আমাদেরকে পৃথিবীর আলো দেখাল আমাদের বাপরা । অত:পর বিবাহে বাধা দিয়ে ঠেলে দিল ব্যভিচারের পথে । তারপর আপনারা জাহান্নামের অন্ধকারও দেখবেন । তখন ঠিকই আপনি আল্লাহ নিকট বাপকে ভালো বলে ফরিয়াদ করবেন না ।
বরং বলবেন “আমার বাপ আমাকে বিভ্রান্ত করেছেন । সুতরাং তারপর নাযিল কর অভিশাপ । ও জাহান্নামে আমাদের থেকে তাকে দ্বিগুন শাস্তি দাও । ”


-৩৩) সমাজ ও বাপেরা বিয়েকে কঠিন করেছে । এজন্যে একে সহজ করতে হলে আমাদের রিভার্স উল্টো পথে হাটতে হবে ।
যেমন ২০ বছরে কোন ছেলে বিবাহ করলে সমাজ ও বাপেরা তাকে বাপজুইট্টা উপাধি দিচ্ছে । আমাদের বসে থাকলে চলবে না । সেই ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সমাজের উপাধি দিতে হবে নষ্ট সমাজ । বাপের উপাধি হবে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী পথভ্রষ্ট বাপ। কান টানলে মাথা আসবে , সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠলে মুহাম্মদ(স) কে কাফিরদের বিরোদ্ধে তরবারি ধরতে হতো না ।



-৩২) লূত (আ) এর যুগ আবার ফিরত এসেছে । হস্তমৈথুন ও সমকামিতায় সমাজ ভরে গেছে । এমতাবস্থায় পূর্বের ন্যয় পাথর বর্ষনের ও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা হাদিসে উল্লেখ আছে ।

হে আল্লাহ , আমার ভাইদের তুমি এ আযাব ও গযব থেকে হেফাজত কর । পাথর বর্ষণ কর তাদের উপর যারা হালাল বিবাহে বাধা দিয়ে আমাদের যৌবন ছিনিয়ে নিয়েছিল , আমাদের ঠেলে দিয়েছিল ব্যভিচার আর হস্তমৈথুনের পথে।

হে আল্লাহ, সম্প্রদায়ের পিতারা শয়তানের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করছে । সুতরাং সত্বর তাদের ধ্বংস কর । তাদের নয় যারা আছে সুপথে কিংবা যারা সুপথপ্রাপ্ত হবে ।


-৩১) পথভ্রষ্ট বাবাদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাতে আমাদের আন্দোলন করতে হবে । তাদের বুঝাতে হবে আপনার ছেলের বিবাহে বাধা দিলে আপনার ছেলে যদি পর্ণ দেখে ও হস্তমৈথুন করে তাহলে আপনারা জাহান্নামের জ্বালানী হয়ে যাবেন । আমাদের উদ্দ্যেশ্য মা-বাবার বিরোধিতা করা নয় । বরং পথভ্রষ্ট বাপদের কুরআন সুন্নাহের পথে নিয়ে আসা ।
বর্তমানে যুব সমাজ ধ্বংসের মূল নাটের গুরু বাবারাই । কেননা তরুনরা বিয়ের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের গুনাহ থেকে বাচতে চাইছে । বাধা দিচ্ছে বাপেরা । যা ইসলামপরিপন্থী ও জাহান্নামের যাওয়ার কারন ।

আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনার বাবা ৫ বছর পরে হয়তো রাজি হবে , তাহলে মস্ত বড় ভুল করবেন । কেননা পাচ বছর পরেও ইবলিশের প্ররোচনা শেষ হয়ে যাবে না । তারা নতুন বাহানা বানাবে। আপনার যৌবন শেষ হয়ে যাবে । তারপর আপনি যখন রিয়েলাইজ করতে পারবেন তখন প্রতিশোধ নিতে চাইবেন । চরম প্রতিশোধ । এজন্যে বৃদ্ধাশ্রমের বাবাদের দেখলে হাসি পায় । এদের মৃত্যু ছাড়া বিবাহ যেমন সম্ভব নয় তেমনি সমাজকে ব্যভিচার থেকে বাচানো সম্ভব নয় । মৃত্যুর পরেও এরা চিরজাহান্নামী হবে । কেননা এরা আল্লাহর বিধানকে পাত্তা দেয় নি ।


-২৯) ক্লাস টেন এ পড়ুয়া বাংলাদেশী ছাত্ররা গড়ে সপ্তাহে দুইবার হস্তমৈথুন করে । কিন্তু কেউ হালাল বিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্যে আন্দোলন করে না । কেউ চেষ্টা করে না ।
কেন জানেন ?
কেউ যদি ১০,০০০ টাকায় নিজ এলাকায় চাকুরী পায় , তাহলে কি সে ১২,০০০ টাকার জন্যে ১০০ মাইল দূরে যেতে চাইবে ।
মাউস ক্লিকেই পর্ন দেখে যৌন চাহিদা মিটিয়ে ফেলা যায় ৬০% । কি দরকার বিয়ের জন্যে সংগ্রামের ?
আমাদের বাবারা কেন বিষয়গুলি রিয়েলাইজ করতে পারছে না ?
কারন তারা কুরআন সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত নয় । তারা কুরআন নিয়ে ব্যস্ত নয় । তারা ব্যস্ত আপনার পড়ুশুনা ডিগ্রী ও টাকা পয়সা তথা ভোগবাদী সভ্যতায় । তারা লোভী হয়ে গেছে । আল্লাহর বিধানকে তারা পাত্তাই দিচ্ছে না ।



-২৯) সন্তানের হক্ব বিবাহ কেড়ে নিয়ে বিপদে পিতা-মাতারাই।
হাদিসে আছে “কেয়ামতের আগে সন্তান পিতাকে দূরে ঠেলে দিবে ও পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে ”
আমি বলি এক হাতে তালি বাজে না ।কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা পথভ্রষ্ট পিতা-মাতারাই তখন খারাপ ব্যবহারের যোগ্য হয়ে যাবেন । ফলে স্থান হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে । ইসলামের শিক্ষা ছিল উভয়পক্ষ থেকে হক্ব আদায় করা ।
একদিকে তারা বিয়েতে বাধা দিয়ে যৌবন ছিনিয়ে নিচ্ছে , অন্যদিকে তারা পড়াশুনায় (বি.সি.এস, এফ.সি.পি.এস) চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।

সেদিন তো বেশী দূরে নয় ছেলে মসজিদে বসে বাপের মৃত্যুর জন্যে দুয়া করবে । কেননা পথভ্রষ্ট বাবার মৃত্যু ব্যতীত হালাল বিবাহ প্রতিষ্ঠা করা কি বর্তমান জমানায় আদৌ সম্ভব ?





-২৮) সমাজ ঠিক আছে । এটা বললে আপনি স্বপ্নের জগতে আছেন । বরং ১৪০০ বছরের মধ্যে বর্তমান যুগই সর্বাধিক বিকৃত যৌনাচারের যুগ ।
বিয়ে কঠিন ভালো কথা । পৃথিবীতে টাকা কামানো, বিয়ে অনেক কিছুই কঠিন । কিন্তু যদি বলেন হালাল বিয়েকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে তরুনরা সংগ্রাম করছে তা সম্পূর্ন ভুল । তরুনরা বিপথগামী হয়ে পর্ন ও হস্তমৈথুনে মেতে উঠেছে ।
যুগে যুগে সমাজ ব্যবস্থায় ঘুনে ধরে যায় । মহান ব্যক্তিরা এই গুনে ধরা সমাজের সংস্কার করেন । আপনারা কি পারেন না ? হালাল বিয়ে পুন:প্রতিষ্ঠা করে হস্তমৈথুন ও পর্নের প্রচলনকে তুলে দিতে ?

-২৭) সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না । আপনি যতই বুঝান আপনার বাপ বিয়েতে রাজি হবে না ।
তাই ফতোয়া বানালাম “পর্ন দেখে ছেলে জাহান্নামে যাবে বাবা। কেননা বাবাই বিবাহে বাধা দিয়ে ব্যভিচারের পথে ঠেলে দেয়।”
কিন্তু কথা হলো এটি বাবার কানে পৌছাবেন কিভাবে ? আপনার বাপ যদি ফেসবুক না ইউস করে ? কিংবা সরাসরি বলবেন কিভাবে ?
আমার বাবা কোন মতেই বিবাহে রাজি ছিল না ।আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম ধান্ধায় । কখন বাবাকে ফতোয়াটি বলতে পারবো । ঘটনাক্রমে একদিন বাবা আম্মাকে বললো , এবার আমাকে নিয়ে হজ্জে যেতে । এই আমি ইস্যু পেয়ে গেলাম । বললাম হজ্জ্ব করে লাভ হবে না । আগে চরিত্র ঠিক করতে হবে ।এই টাকা দিয়ে আগে বিয়া । তারপর “পর্ন দেখে ছেলে ......” ফতোয়াটি পড়ে শুনালাম। এই ফতোয়া তার মনে এতো আন্দোলন দিল , পরদিন সবার সামনে ঘোষনা দিল “তোমরা রাজি থাকলে আমার আপত্তি নাই ”

-২৬) মাদকাসক্ত ব্যক্তি যেমন মদকে স্বাভাবিক খাবার মনে করে , হস্তমৈথুনকারীও একে স্বাভাবিক যৌন আচরন মনে করে । যা ইসলামে পাপ ।
সুতরাং আমি “মাদক নিরাময় কেন্দ্র” এর মতো হস্তমৈথুন নিরাময় কেন্দ্র খুলব । যা ফেসবুক ভিত্তিক । আর ওষুধ বিবাহ । ওষুধ বানানো মানে পথ-ভ্রষ্ট পিতাদের বুঝিয়ে কুরআন সুন্নাহর পথে আনা ।

হে আল্লাহ আমাদের বাপদের ধ্বংস কর, তারাই বিবাহে বাধা । তবে তাদের নয় যারা আছে সুপথে কিংবা তারা যারা হেদায়ত প্রাপ্ত হবে ।

-২৫) শয়তানের ইচ্ছা পথভ্রষ্ট পিতা-মাতার সমতুল্য
আল্লাহর ইচ্ছা : দ্রুত বিবাহ কর । নতুবা ব্যভিচার (চোখের ব্যভিচার পর্ন) হয়ে গেলে দুনিয়া ও আখিরাত দুটিই শেষ ।
শয়তান : বিবাহ করলে লাইফই শেষ ।
পিতা-মাতা: বিবাহ করলে জীবন ধ্বংস ।

তারমানে আমাদের পিতা-মাতারা কুরআন সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত নয় । এবং তাদের বোকামির কারনেই সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ।
একদিকে তারা বিয়েতে বাধা দিয়ে যৌবন ছিনিয়ে নিচ্ছে , অন্যদিকে তারা পড়াশুনায় (বি.সি.এস, এফ.সি.পি.এস) চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।




-২৪) যৌন সুড়সুড়ি অনুভব করা প্রাকৃতিক । এতে গুনাহ নেই।
আল্লাহ আমাদের তৈরী করেছেন । তিনি জানেন বারবার আমাদের ক্ষিদা পাবে । তাই তিনি আমাদের জন্যে আম , লিচু , ভাত তৈরী করেছেন । কিন্তু কথা হলো এগলি খাবার পর সারা শরীর সতেজ হয় । লিঙ্গে রক্তের সাথে পুষ্টি সরবরাহ হওয়ায় আমরা যৌন সুড়সুড়ি অনুভব করি । মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এ বিষয়টি অবগত । এবং তিনি অত্যন্ত মেহেনবান বিধায় এ যৌন ক্ষুধাটি মেটানোর জন্যে নারীদের তৈরী করে রেখেছেন । সুবহানআল্লাহ ।

নারীদের সাথে মিলনে শারীরিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এটি মানসিক শান্তিও বৃদ্ধি করবে বলে আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেন : তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। (সূরা :৩০:২১)

কিন্তু আমাদের বাপরা আমাদের জন্যে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকলেও ইবলিশের প্ররোচনায় তারা বিয়ে দিতে নারাজ যা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ইচ্ছার সাথে চরম সাংঘর্ষিক ও আল্লাহর অসন্তুষ্টি । কেননা বান্দার যৌবন তারা বিনা কারনে ছিনিয়ে নিচ্ছেন ।



-২৩) বর্তমানে ছাত্রদের মাঝে আত্মহত্যা বাড়ছে কেন ?
কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করলে দুটি উপাদান পাওয়া যায় । যা মানুষের অন্তরে তৃপ্তি দিতে পারে । ১) আল্লাহর জিকির ২) স্ত্রী
যেমন :আল্লাহ বলেন : আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সূরা :৩০:২১)
কিন্তু কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা পথভ্রষ্ট বাপেরা ছেলের পি.এইডি.ডি করার জন্যে চাপ দিয়ে যৌবনের সুখ ছিনিয়ে নিচ্ছে । হস্তমৈথূন আর পর্ণ দেখতে দেখতে একসময় মনের শান্তি উঠে গিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য হচ্ছে । কথায় আছে না “অতি লোভে তাতী নষ্ট”
একদিকে তারা বিয়েতে বাধা দিয়ে যৌবন ছিনিয়ে নিচ্ছে , অন্যদিকে তারা পড়াশুনায় (বি.সি.এস, এফ.সি.পি.এস) চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।


-২২) ইসলামে হস্তমৈথুন নিষেধ কেন ?
হস্তমৈথুন মানে হাতে করা । দয়াময় আল্লাহ এ জন্যে নারীদের তৈরী করে রেখেছেন যাতে তোমরা আমের বাকল না খেয়ে আম খেতে পারো ।
কিন্তু সমস্যা হলো আল্লাহ রব্বুল আলামিন বুঝলেও বুঝেন না কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা আমাদের দয়াল বাপজানরা ।

আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ইচ্ছাকে তারা পাত্তাই দিতে চান না ।
বরং শয়তানের ইচ্ছাকেই তারা বাস্তবায়ন করে চলেছে । তাদের কারনেই সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে , কোয়েল মল্লিকের হাটু থেকে মিনি স্কার্ট দুই ইঞ্চি উপরে থাকার কারনে নয় ।


-২১)হস্তমৈথুন করলে গুনাহ হবে কিনা ?
আল্লাহ বলেন “তিনি তোমাদের সাধ্যতীত কোনকিছু চাপিয়ে দেন না । ” সূরা বাকারা ।
তারমানে কেউ যদি ফালতু অজুহাতে রোজা ভাঙ্গে বা নামায ছেড়ে দেয় তাহলে গুনাহ হবে ।
কিন্তু তার পক্ষে যদি রোজা রাখা অসম্ভব হয় তাহলে গুনাহ হবে না ।
আমরা জানি কোন অবিবাহিত যুবকের পক্ষেই হস্তমৈথুন সামলানো সম্ভব নয় । তাই গুনাহটি হবে তথাকথিত মহান বাবার যিনি বিবাহে বাধা দেন । যিনি মুহাম্মদ (স) এর নির্দেশের পরোয়া করেন না ।


-২০) কোয়েল মল্লিকের মিনি স্কার্ট হাটু থেকে এক ইঞ্চি না দুই ইঞ্চি উপরে তার জন্যে দেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে না । বরং আমাদের লোভী বাপদের ভোগবাদি দেরিতে বিবাহ দেওয়ার মনমানসিকতাই তরুন সমাজকে পর্নের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।
মনে রাখবা , হস্তমৈথুন করার পর কেউ পর্ণ দেখে না । তার মানে আল্লাহ সৃষ্ট শারীরিক সুড়সুড়ি অনুভব করার করনে সে বৈধ স্ত্রী না পেয়ে সে পর্ণ দেখতে বাধ্য হয় । বাপদের বাধার কারনেই আমরা বৈধ স্ত্রী পাই না ।


-১৯) ইব্রাহিম (আ) কে তার পিতা মূর্তিপূজক আযরের বিরুদ্ধে মার্জিত ভাষায় বিতর্ক লিপ্ত হতে দেখা যায় ।
যখন তিনি তার পিতাকে বললেনঃ হে আমার পিতা, যে শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর? (সূরা মারইয়াম:৪৫)
হে আমার পিতা, আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে; যা তোমার কাছে আসেনি, সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাব।? (সূরা মারইয়াম:৪৬)
হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য।(সূরা মারইয়াম:৪৭)
দেরিতে বিবাহ শয়তানের চাল । আমরা কি পারিনা মার্জিত ভাষায় তাদের বুঝিয়ে তাদের ভুল ভেঙ্গে দিয়ে দ্রুত বিবাহ করতে ?


-১৮) দাজ্জাল বিবাহের অপকারিতা দেখাচ্ছে
দাজ্জালের এক চোখ কানা হবে । মানে সে শুধু হারাম জিনিসগুলির উপকারিতা দেখাবে । ও হালালের অপকারিতা দেখাবে।যেমন ইদানিং আমরা বিয়ের অপকারিতা খুজে পাই । অথচ বিবাহ মানে শান্তি , সমৃদ্ধি , আরামপ্রদ ।
আদম(স) জান্নাতে থেকেও অশান্তিতে ছিলেন সঙ্গিনীর অভাবে ।
আল্লাহ বলেন :
এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (সূরা: ফুরকান ৭৪)


-১৭) আব্বাজান আপনার কথায় দেরিতে বিবাহ করলে মানে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করলে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শয়তান আমাকে প্ররোচনা দিতে পারে । আমি শয়তানের কাছে সিকিউরিটিহীন অবস্থায় থাকার কারনে , শয়তান আমাকে দ্রুত আক্রমন করার সুযোগ পাবে । ফলে হস্তমৈথুন বা পর্ন জাতীয় বস্তুতে আকৃষ্ট হয়ে যেতে পারি । আর আপনি বিবাহে বাধা দেওয়ায় আপনিও এই গুনাহের সমান ভাগিদার হয়ে যাবেন । এখন আপনিই বলেন আপনার কথা মানলে ভালো হবে , নাকি মুহাম্মদ (স) এর কথা মানলে ভালো হবে ।


-১৬)সমাজ ব্যবস্থায় বিবাহ কঠিন হওয়ায় অবিবাহিত তরুন-তরুনীরা বিবাহ করার জন্যে সংগ্রামের পথ বেচে নেয় নি । বরং বেচে নিয়েছে বিকৃত যৌনাচারের পথ ।
অবিবাহিত তরুন-তরুনীরা হালাল বিবাহকে প্রতিষ্ঠিত করার করার জন্যে সংগ্রামের পথ বেচে নেয় নি , বেচে নিয়েছে ব্যভিচারের পথ
দেরিতে বিবাহ হলে এভাবেই জাতি বিপথগামী হবে , তাইতো মুহাম্মদ(স) বালেগা হওয়ামাত্র বিবাহ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ।
আর নয় চোখের ব্যভিচার । সবাই বিকৃত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এটাই কাম্য ।

-১৪) বিবাহ মানেই যৌনাচার নয় । কিন্তু যৌনকাজ বিবাহের মাধ্যমেই করতে হবে । নতুবা গুনাহ হবে । পথ একটাই এটি হলো বিবাহ
আল্লাহ বলেন :
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।(মুমিনূন ৬-৮)
যেহুতু রাস্তা একটাই তাই । বসে বসে হস্তমৈথুন না করে কিংবা চটি বই না পড়ে বিবাহের জন্যে আন্দোলন করেন । বাবাকে বলেন “তুমি বিবাহ না দেওয়ায় সপ্তাহে ৩ দিন হস্তমৈথুন করি । এই পাপের ভার নিতে না চাইলে , আজকেই আমাকে বিয়া দাও । নতুবা তোমার ব্যপারে আমি জাহান্নামের আগুনের ভয় করি । ”

-১৩) অবিবাহিত যুবক-যুবতীরা বসে নেই । তারা খুব শক্তভাবেই বিকৃত যৌনচার(হস্তমৈথুন , পর্ন , ব্যভিচারে) অভ্যস্ত হয়ে গেছে । বিধায় তারা পাপ করতে করতে আর এটাকে পাপ মনে করছে না ।
দীর্ঘদিন একটি ভুল কাজ চলতে থাকলে এটিই সমাজের রীতি হয়ে যায় । ধীরে ধীরে সবাই আমরা এটাকে মেনে নিয়েছি । তারপরই একজন সতর্ককারী আসে । তারপর শুরু হয় গযব ।

কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা বর্তমান যমানার পথভ্রষ্ট বাপেরাই এর জন্যে দায়ী ।

-১২) আমি সন্তানের বাবাদের ব্যপারে আগুনের ভয় করি , যা তাদের গ্রাস করবে সন্তানকে বিবাহে বাধা দিয়ে পরোক্ষভাবে ব্যভিচারে ঠেলে দেওয়ার জন্যে ।
হে আল্লাহ আমাদের বাপদের দ্রুত মৃত্যু কায়েম কর । তাদের জীবিত অবস্থায় বিবাহ সম্ভব নয় । ফলে আমরা ব্যভিচারী হিসেবে জাহান্নামী হবো । তবে তাদেরকে নয় যারা সুপথে আছে কিংবা হেদায়তের আশা আচে । তুমি তো গায়েব জানো ।

-১১) বিয়ে থামিয়ে রাখা যায় । যৌন চাহিদা থেমে থাকে না ।
ফলে বিয়ে না করলে তা রূপ নেয় বিকৃত যৌনাচারে । যা আজকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন , তার মূল কারন দেরিতে বিবাহ । আর বিবাহে মূল বাধা কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা বর্তমান যমানার পথভ্রষ্ট পিতারা ।

-১০) মা-বাবার অতি আত্মবিশ্বাসে সত্য গোপন হয়ে যাচ্ছে ও
সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । সব মা-বাবাই মনে করে ৯৯% ছেলেরাই পর্ন ও হস্তমৈথুনে ডুবে আছে তবে তার ছেলেটি বাদে ।

কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকায় বর্তমান যমানার পথভ্রষ্ট পিতা-মাতারা আল্লাহর নির্দেশ দ্রুত বিবাহের ঘোর বিরুধী ।


-৯) আসলে ব্যপারটি হচ্ছে হস্তমৈথুন ও পর্ন যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই । তার চেয়েও বড় সত্য । এ বিষয়টি বন্ধু-বান্ধবের কাছে বলা যত সহজ মা বাবার কাছে বলা তত কঠিন ।
কেউ তো আর বলতে পারে না “আব্বা আমি সপ্তাহে ৪ দিন পর্ন মুভি ও ৩ দিন হস্তমৈথুন করি । এখন আমাকে বিয়ে দিয়ে বাচান । ”এখানেই মূল সমস্যা ।


-৮)
আসলে মা বাবা আমাদের শত্রু নয় । তাদেরকে ‘উফ’ বলাও কুরআনে নিষেধ করা হয়েছে ।তারাই পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে আপনজন । আমাদের শত্রু শয়তান ।
সামান্য একটু সচেতনতা ও উদ্যোগই পারে এ সকল সমস্যার সমাধান করতে । শয়তান বিবাহবিরোধী । মা-বাবা নয় । শয়তান আপনার যৌবন ছিনিয়ে নিতে চায় । মা-বাবা নয় । মা-বাবা শুধুমাত্র শয়তানের ওয়াসওয়াস শিকার । ফলে কিছুটা ধাক্কা তাদের লাগবে । তারা যদি সঠিক পথে থাকতো তাহলে তাদের উফ বলার দরকার আমাদের ছিল না ।
সমাজব্যবস্থা ব্যাপারটিকে জটিল করে ফেলেছে মাত্র ।
"নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল ।" -(সূরা আন নিসা: ৭৬)
বিয়ের ব্যপারে প্রথমে আপনার হতাশা দূর করতে হবে । হতাশা কুফরীর লক্ষন । ভাবতে হবে বর্তমান যুগেও বিবাহ সম্ভব । তারপর মাকে বলুন । মা আপনার বাবকে বুঝাবে ।
শুধু শুধু মা বাবাকে দোষ না দিয়ে সমাজ সচেতনতা গড় তুলুন । এমনকি আপনি আমার লেখাটা লাইক বা শেয়ার দিলেও অনেকে পড়ছে । তাও সচেতনতার মধ্যে পড়বে । নিজেকে খুব শক্ত রাখুন । আত্মহত্যার চিন্তা বাদ দেন ।

-৭)
হস্তমৈথুন করলে কি গুনাহ হবে ?
আল্লাহ সাধ্যের অতিরিক্ত কাউকে কোন কিছু চাপিয়ে দেন না। [সূরা বাকারা, আয়াত- ২৮৪]
যেহেতু এটা আপনার পুরোপুরি কন্ট্রোলে নেই । তাছাড়া ৫ ওয়াক্ত কেন ১০ ওয়াক্ত নামায পড়াও এর সমাধান নয় । কুরআন-হাদিসে এর সমাধান বিবাহ
সুতরাং আপনার গুনাহ হবে তবে মূল গুনাহটি হবে আপনার বাপের । কেননা তার ভয়েই তো বিয়ে করতে পারেন নি ।
কাল কেয়ামতের ময়দানে পূত্রদের হস্তমৈথুনের কারনে অনেক বাবাকে জাহান্নামে যেতে দেখা যাবে ।
আল্লাহ বলেন : ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)

আপনার বাবা বিয়েতে বাধা দিয়ে আপনাকে ১০ বছর , ২০ বছর হস্তমৈথুনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন ।
হে আল্লাহ আমাদের বাপদের দ্রুত মৃত্যু কায়েম কর । তাদের জীবিত অবস্থায় বিবাহ সম্ভব নয় । ফলে আমরা ব্যভিচারী হিসেবে জাহান্নামী হবো ।


-৬)
রাসূলে পাক (স) এরশাদ করেন : সাত শ্রেনীর মানুষের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষন করেন, হাশরের দিন আল্লাহ পাক তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে বলবেন : "তোমরা জাহান্নামীদের সাথে প্রবেশ কর।" তারা হচ্ছে (১) সমকামী, (২) যার সাথে সমকাম করা হয়, (৩) পশুর সাথে সঙ্গমকারী, (৪) কোন মহিলা ও তার মেয়েকে একত্রে বিয়েকারী, (৫) বোনের সাথে ব্যাভিচারী, (৬) কণ্যার সাথে ব্যাভিচারি, (৭) হস্ত মৈথুনকারী। তবে তওবা করলে আল্লাহ পাক মাফ করতে পারেন।"

সারাদিন চটি বই আর পর্ন দেখে বিয়ের স্বপ্ন না দেখে সাহাস থাকলে হাদিসটি বাবাকে পড়ে শুনান । ধীরে ধীরে লজ্জা ভাঙ্গুন । আপনি সপ্তাহে দুই বার হস্তমৈথুন করেন । তাও বলে দিন । আর এও বলে দিন “বিয়ে না দিলে জাহান্নামী হবে তুমি”

-৪) সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন সমকামিতায় লিপ্ত ছিল । তখন লূত (আ) হা করে বসে থাকেন নি । তিনি সমকামী যুবককের সাথে সমাজের কন্যাদের বিয়ে দিয়ে বিয়ের সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন ।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন :
লূত (আঃ) বললেন-হে আমার কওম, এ আমার কন্যারা রয়েছে, এরা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্রতমা।(সূরা : হুদ ৭৮)
তারা বলল তুমি তো জানই, তোমার কন্যাদের নিয়ে আমাদের কোন গরজ নেই। আর আমরা কি চাই, তাও তুমি অবশ্যই জান। (সূরা : হুদ ৮০)
লূত (আ) এর জাহিলিয়াত আবার ফিরে এসেছে । সমাজের তথাকথিত ভদ্র মানুষ দেখেও না দেখার ভান করছে । আলেমদের কথা কেউ পাত্তা দিচ্ছে না ।
কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা পথভ্রষ্ট পিতা-মাতারাই দেরিতে বিবাহের প্রধান কারন ।
হে আল্লাহ আমাদের বাপদের দ্রুত মৃত্যু কায়েম কর । তাদের জীবিত অবস্থায় বিবাহ সম্ভব নয় । ফলে আমরা ব্যভিচারী হিসেবে জাহান্নামী হবো ।তবে তাদেরকে নয় যারা আছে সুপথে কিংবা হেদায়ত প্রাপ্ত হবে ।


-৩)
কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে কোনো পুরুষ এতটাই অসামার্থ যে সে একেবারে নিস্বম্বল, অক্ষম। নিজের মাথা গোজারমতো এতটুকু ঠাই নেই তবে এক্ষত্রে তাকে রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ের ইচ্ছে থাকলেও সক্ষম পুরুষ বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে।

অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়।কারণ রাসূল সা. বিবাহিত ব্যক্তিকে আল্লাহ কতৃক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্জন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)







-২)
বউকে খাওয়াবে কি ?
আসলে শয়তান বিয়েকে বানচাল করে ব্যভিচারে ভরিয়ে দিতে এমন কোন কূটকৌশল নেই যে সে প্রয়োগ করে না । নয়তো বা বিয়ে করতে গেলেই সে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরে । যেমন বউকে খাওয়াবে কি ?
বাস্তবতা হলো গরীব মানুষ ও অযোগ্যরাই আগে বিয়ে করে ।
১৯৭১ এ এদেশের মানুষ আরও গরীব ছিল , তারা আগে বিবাহ করত । এখন দিন দিন মাথাপিছু আয় বাড়ছে আর বিবাহ পিচাচ্ছে । সুতরাং এ বিবাহ পিছানো শয়তানে চাল । বউকে খাওয়ানোর জন্যে বিবাহ পিছাচ্ছে না ।



-১
বিয়ের জন্যে যে মানুষ সংগ্রাম করছে না বা আশাহত তার আরেক প্রমান হলো যে পরিমান পর্ন সাইট ভিজিটর সে পরিমান ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর নেই । ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর একেবারেই অল্প ।সে সকল সাইটে নতুন মেয়ে পাওয়াই যাচ্ছে না ।

আশাহত যুবকেরা বিয়ের জন্যে সংগ্রাম বা চেষ্টা করছে না বরং পর্ন আর হস্তমৈথুনের পথ বেছে নিচ্ছে । ফলে আল্লাহ সেই পথই তাদের জন্যে সহজ করে দিচ্ছেন ।

বিবাহ বিমুখী হওয়ার দ্বিতীয় প্রমান : শহরের একজন ২২ বছরের অবিবাহিত যুবককে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে গাড়ি কিনবে । কারন সে জানে গাড়ি কিনা দরকার । গাড়ি কিনা সম্ভব । সে বিবাহের কথা বলবে না , কারন সে মনে করে বিবাহ বলে কিছু নেই , পরিবার মেনে নিবে না । বিবাহ দরকার থাকলেও ইহা সম্ভব নয় ।

গ্রামের একটি ছেলেকে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে পাচ লাখ টাকা দিয়ে ক্ষেত কিনবে ও বাকি পাচ লাখ দিয়ে সে বিবাহ করবে ।

তারমানে যোগ্যতা নয় , মানসিকভাবে বিবাহকে অসম্ভব মনে করার যে ফিতনা সমাজে তৈরী হয়েছে । তাই এখন মা-বাবা ৩০ এর আগে বিয়ে নয় । ১০ বছর পরে ৪০ এর আগে নয় । ৫০ বছর পরে বিয়ের দরকার নাই । তারপর কিয়ামত ।





০)
সত্যি কথা বলতে কি , বছরের পর বছর রোজা রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি অবিবাহিত যুবকের হস্তমৈথুন থেকে বাচাও সম্ভব নয় ।
দেখুনতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

হে আল্লাহ আমাদের বাপদের দ্রুত মৃত্যু কায়েম কর । তাদের জীবিত অবস্থায় বিবাহ সম্ভব নয় । ফলে আমরা ব্যভিচারী হিসেবে জাহান্নামী হবো ।তবে তাদেরকে নয় যারা আছে সুপথে কিংবা হেদায়ত প্রাপ্ত হবে ।





১)
সমাজ হস্তমৈথুন আর পর্নে কলুষিত হয়েছে ।
এমতাবস্থায় ইসলাম আমাদের এগুলি হা করে তাকিয়ে দেখতে ও নীরবে সহ্য করতে বলে নি ।
আল্লাহ বলেন : ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)
আমাদের সকলের উচিত । এ অবস্থা থেকে মুক্তি । এ অবস্থা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে হবে তাও কুরআন হাদিসে বলে দেওয়া আছে । আমরা সবই জানি । শুধু দরকার একটু চেষ্টা ও সচেতনতা ।
আমরা জানি কুরআন সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা পথভ্রষ্ট পিতা-মাতারাই দেরিতে বিবাহের প্রধান কারন । সুতরাং চটি বই আর পর্ণ দেখা বাদ দিয়ে তাদেরকে কিভাবে বুঝানো যায় । সেই ধান্ধা বের করার চেষ্টা করতে থাকুন ।হালাল প্রতিষ্ঠার এ চেষ্টা করলেও অনেক সওয়াব পাবেন ।



ইসলাম সিঙ্গেল থাকাকে কখনই সমর্থন করে না ।
স্ত্রীকে রেখে চার মাসের বেশী সফর করতে পারবে না স্বামী । অথচ আপনার বয়স এখন ২৫ । চাকুরী পেয়েছেন । আরও ১০ বছর টাকা কামিয়ে ৩ তালা বাড়ি করে দিলে আপনার বাবা আপনাকে বিয়ে দিবে ।
আপনার বাবা যেখানে বলে বিয়ে আর ১০ বছর দেরি ,সেখানে ইসলাম বলে ৪ মাস ।




তরুনরা বিয়ের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের গুনাহ থেকে বাচতে চাইছে ।
কিন্তু দিচ্ছে না তথাকথিত ৩ বার হজ্জ করে আসা , পাচ ওয়াক্ত নামাযী , কোনদিন বেগানা মহিলার দিকে তাকায় নি এরূপ মহান বেহেশতি বাবারা ।
এরূপ মহান বেহেশতি বাবারাই বিয়েতে অনুমতি না দিয়ে ছেলেক পরোক্ষভাবে পর্ন , হস্তমৈথুন আর ব্যভিচারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ।
কারন তবলিগ জামাত ও হজ্জ করে আসা লম্বা দাড়ি ওয়ালা বাবারা কুরআনে বিবাহের আয়াতের তাফসির জানেন না । এই মহান বাবাদের জ্ঞান মাত্র ১০ টি সূরা । ফীল থেকে নাস পর্যন্ত ।


আপনার বাবার বিবাহে বাধা আপনাকে ব্যভিচারে ঠেলে দিচ্ছে আর ব্যভিচার আপনাকে ও আপনার বাকে জাহান্নামে দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।
হস্তমৈথুনের মতো পাপাচারকে তরুনসমাজ বৈধ স্ত্রী সহবাসের মতো বানিয়ে ফেলেছে । বিষয়টি এমন হালাল বানিয়েছে যেন অবিবাহিত যুবককে হস্তমৈথুন করার বৈধতা ইসলাম দিয়ে রেখেছে । যেন সকাল বেলার চা-কফি । বিবাহের চিন্তা তাদের মাথায় নেই ।থাকলেও লাভ নেই । বাপ রাজি নেই । তারা যা করছে তাকেই স্বাভাবিক মনে করছে । যেমন লূত (আ) এর সময়ে সমকামিতায় লিপ্ত মানুষ সমকামিতাকে স্বাভাবিকই মনে করত ।

এই দায় কার ?
যেহেতু মানুষ যৌন চাহিদা কন্ট্রোল করতে পারে না । সেহেতু সম্পূর্ন দোষ যে পর্ন দেখছে তার নয় । বরং যে তাকে বিবাহে বাধা দিয়েছিল । মানে তার বাবা সেই প্রকৃত দোষী ।



ইসলামের উপর চললে ধর্মপ্রান যুবক নিজকে এমনিতেই সামলাতে পারবে বিয়ে করার দরকার পড়বে না । এ কথা কিন্তু কুরআন হাদিস বলে নাই । বরং দ্রুত বিয়ের নির্দেশ দিয়েছে ।
যুবক নিজেকে সামলাতে পারবেনা । এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে ইসলাম প্রয়োজনে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতিও দিয়েছে ।
এই দায় কার ?
যেহেতু মানুষ যৌন চাহিদা কন্ট্রোল করতে পারে না । সেহেতু সম্পূর্ন দোষ যে পর্ন দেখছে তার নয় । বরং যে তাকে বিবাহে বাধা দিয়েছিল । মানে তার বাবা সেই প্রকৃত দোষী ।



নদীর পানিকে যেমন তার প্রবাহে আটকিয়ে রাখলে পানি গ্রামে প্রবেশ করবে ও গ্রাম বিনষ্ট করবে ।
তেমনি বিবাহ দেরি করার বিষয় নয় । দেরি করলে সেটি বিকৃত যৌনাচারের রূপ নিবে ।
তাই ছেলেকে বিয়ে দিতে এতো অনীহা থাকলে তার লিঙ্গ কেটে ফেলুন নতুবা বিয়ে দেন । যেকোন একটি করেন ।
না হলে কিন্তু পুত্রের পাপ আপনার ঘাড়ে নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে । কারন পুত্র বিয়ে করে সুন্দর জীবন বেচে নিতে চেয়েছিল, আপনার কারনে বিবাহে সাহস পায় নি ।



সমাজ বারবার কলুষিত হয়ে পড়ে । তখন মহান ব্যক্তির আন্দোলন দরকার পড়ে ।
যেমন আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে বেগম রেকেয়ার নারী জাগরনের আগে মেয়েরা মানসিক দাসত্ব বরন করেছিল । তাদের মনে এ আকিদা ঢুকে গিয়েছিল যে আমরা তো মেয়ে , আমাদের শিক্ষা দীক্ষার দরকার কি ? এটাকেই তারা স্বাভাবিক মেনে নিয়েছিল । বেগম রোকেয়া এ থেকে বেরিয়ে আসেন । তিনি বলেন , “মেয়ে হয়েছি তো কি হয়েছে , পড়াশুনা করতে তো নিষেধ নাই ।”

আজকের ছেলেরা “ বিবাহ অসম্ভব । এ যুগে জন্মেছি তো ৩০ এর আগে বিবাহ নয়। কিংবা বি.সি.এস না হলে বিবাহ নয় ।“ এরুপ মানসিক দাসত্ব বরন করেছে । আমাদের উচিত বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা আন্দোলনের মতো “১৮ হতেই বিবাহ চাই এ ধরনের মানসিক প্রস্তুতি গড়ে তুলা । ও সচেতন করা ও আন্দোলন গড়ে তুলা ”

নারীশিক্ষা যে মেয়েদের অধিকার বেগম রোকেয়ার আন্দোলনের আগে মেয়েরা জানতো না , তেমনি বিবাহ ১৮ বছরের ছেলের অধিকার এটা আমরা ভুলে গিয়ে বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত হচ্ছি যার পরিনাম জাহান্নাম ।




কোন ১৮ বছরের ছেলে বিবাহ করলে আমরা তাকে বাপজুইট্টা , বাটপার মনে করি । তাকে নিয়ে আমরা হাসাহাসি করি । সে যেন বড় একটা ক্ষতি করেছে । এটি কি কেয়ামতের আলামতের মধ্যে পড়বে ?
উত্তর : কেয়ামতের আগে মানুষ হালালকে হারাম মনে করবে । আবার হারামকে(প্রেম-ব্যভিচার) হালাল মনে করবে । হালাল বিবাহ আমাদের নিকট অশোভনীয় ও অপরাধ মনে হচ্ছে । বরকতকে ক্ষতিকর মনে হচ্ছে । ও হারাম প্রেম ও বিকৃত যৌনাচার স্বাভাবিক মনে হচ্ছে । বিধায় এটি কেয়ামতের অন্যতম আলামত ।





১০
আবার অনেকে ছেলে চাকুরী পাওয়ার সাথে সাথে বিয়ে দিতে চান না । তারা চান চাকুরীর টাকায় তাদেরকে তিন তালা করে দিয়ে আরও ১০ বছর পরে বিয়ে দিতে ।
আমি বলব , পুত্রের যৌবন ছিনিয়ে দেওয়ার অধিকার আল্লাহ আপনাকে দেন নাই । আও পুত্র যদি মেনে নেয় সেও অপরাধী । কেননা হত্যাকারী ও আত্মহত্যা দুটিই অপরাধ ।


১১
পুত্রের জন্যে সব করলেও আপনি বিয়ে না দিলে তার কোন হক্বই আদায় করলেন না ?
আপনি পুত্র পড়াশুনা করার জন্যে লাখ লাখ টাকা খরচ করলেন । এসি রুমে রাখলেন । সবই করলেন । কিন্তু ৩০ এর আগে বিয়ে মানে এ.ফ.সি.পি.এস এর আগে বিয়ে নয় । আবার অনেকে ছেলে চাকুরী পাওয়ার সাথে সাথে বিয়ে দিতে চান না । তার চান তাদেরকে তিন তালা করে দিয়ে আর ১০ বছর পরে বিয়ে দিতে ।
তাহলে আপনি বড় জুলুম করলেন

কারন : আদম (আ) কে আল্লাহ জান্নাতে সবকিছু দেওয়া সত্বেও আদম (আ) ছটফট করতেছিলেন । সঙ্গীনির অভাবে । জান্নাতের নিয়ামতের তুলনায় আপনি পুত্রকে যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তা তো কিছুই না । সুতরাং পুত্রের যৌবন ছিনিয়ে নেবার অধিকার আল্লাহ আপনাকে দেয় নি ।


১২
মুহাম্মদ (স) বলেন কম বয়সে বিবাহ , আব্বা বলেন এখনি কিসের বিবাহ ? কে ঠিক ?
অবিবাহিত যুবক নিজেকে সামলাতে পারবে না । এ কমনসেন্স আপনার বাপের না থাকতে পারে মুহাম্মদ (স) এর ছিল ।
তাছাড়া আপনার পিতা মহোদয় আপনাকে বিয়ে করতে না দিলেও কিন্তু প্রেম করতে দিচ্ছে । প্রেম করলে যুবক যে ব্যভিচার ছাড়াও থাকতে পারে না । সেই কমনসেন্সটুকুও আপনার বাবার নেই ।

১৩
আমার ছেলে পর্ন দেখবে আর আমি হইব গুনাহগার । এই হাদিস কই পাইছেন ?
ধরেন আমি আমার এক রুম মেটের সাথে মেসে থাকি । সে সারাদিন পর্ন মুভি দেখে । আর আমি তাতে বাধা না দিলে বা তাকে নামাযের প্রতি আহবান না করলে আমার গুনাহ হবে । এখন চিন্তা করেন । বাবা-ছেলের সম্পর্ক বড় নাকি রুমমেটের ?


আমার উদ্দেশ্য :আমার এই কথাগুলি যেকোন মূল্যে বাংলার বাপদের নিকট প্রচার করতে হবে । যাতে বিয়ের জন্যে আপনাকে চিন্তা করতে না হয় । আপনার বাপেরই তো উচিত চিন্তায় ঘুম না হওয়া । কেননা আমার ছেলে পর্ন দেখবে আর আমি হইব গুনাহগার ।এই চিন্তা যখন বাপদের মাথায় ঢুকে যাবে তখন সমাজ পবিত্র হয়ে যাবে ।

মুহাম্মদ (স) হলেন প্ররিত পুরষ । তার প্রতি অহি নাযিল হয়েছিল । আপনার বাবা অহী পায় নি । তাই মনে হয় । দুজনের মতামত এক হতে পারে নি ।
বর্তমান জমানা বিবাহকে সামাজিক অপরাধ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।
আপনার বাপ দেরিতে বিবাহ দিয়ে আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে ব্যভিচার আর হস্তমৈথুনের পথে । আর হস্তমৈথুন আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে জাহান্নামের পথে।


১৪
আমার ছেলে পর্ন দেখবে আর আমি হইব গুনাহগার । এই হাদিস কই পাইছেন ?
উত্তর : আল্লাহ বলেন : ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)
উপরের আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয় আপনার ছেলেতো দূরের কথা আপনার পরিচিত বা যে কেউই হোক না কেন অন্যায় থেকে ফিরানো ও ভালো মানে বিবাহের দিকে উতসাহ দেওয়া আপনার দায়িত্ব ছিল ।

মন্দ কাজকে নিষেধ না করলে আপনি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হবেন :
বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামপুত্র ঈসার মুখে (ভাষায়) অভিশাপ দেয়া হয়েছে। কারণ, তারা অবাধ্য হয়েছে এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত তা থেকে। তারা যা করত তা কতই না মন্দ! (সূরা আল মায়েদা, আয়াত : ৭৮-৭৯)




১৫
আপনার ছেলে সংকোচের কারনে দ্রুত বিয়ের কথা বলছে না । বাবা হিসেবে আপনি ছেলের পর্ন দেখার ব্যাপরটি যে জানতেন শুধু তাই নয় , তাকে বিবাহ দিয়ে এ পাপাচার থেকে ছেলেকে মুক্ত করার সুযোগও আপনার ছিল।

অবিবাহিত যুবক নিজেকে সামলাতে পারবে না এটি আল্লাহও জানে , মহানবীও জানতেন , বাপও জানে , সমাজের মানুষও জানে ।

না জানলে দায় নাই । যেহেতু আমরা জানি । নবী এসেছে । কুরআন এখনও আছে । পর্ন ফিরাতে না পারলে দায় সমাজের সকলকে নিতে হবে । দেরিতে বিবাহের কারনে এগুলি হচ্ছে তাও জানি ।
সবকিছু জেনেও উদ্যোগ না নিয়ে চুপ থাকায় বড় গুনাহ ।
ছেলেকে পর্ন থেকে না ফিরানোর দায়
ভাইকে না ফিরানোর দায়
চাচাতো ভাইকে না ফিরানোর দায়
বন্ধুকে না ফিরানোর দায়

সমাধান : সমাধান কি তাও জানি । দুই তিনবার হজে না গিয়ে সেই টাকা দিয়ে নিজের ছেলেকে বিয়ে দেন । নতুবা পর্ন দেখে ছেলে , জাহান্নামী হবে বাবা । কিন্তু একজনের দোষ আরেকজনের উপর চাপবে কেন ?
কারন ছেলে ১৬ বছর থাকতেই বিয়ে করে সুন্দর জীবন বেচে নিতে চেয়েছিল । বাবা বিবাহে বাধা দেওয়ায় সে ব্যাভিচারের পথ ধরে ।
ছেলে যে গুনাহটি করেছে তা স্বভাবসুলভ ।যে সকল গুনাহে মানুষের ক্ষমতা থাকে না । সে সকল গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন । কিন্তু বাবার ক্ষমতা ছিল । তাই বাবা জাহান্নামী ।


১৬
বিয়ের পরেও তো অনেকে বউসহ পর্ন দেখে । তাহলে বিয়ে করে কি লাভ ?
কিছু ৫% লু্চ্ছা থেকে যায় যারা বিয়ের পরেও বউ সহ পর্ন দেখে ।
বিয়ের পরে যারা পর্ন দেখছে তারা মূল জিনিস অর্থাত হস্তমৈথুন করছে না। বরং পর্ন থেকে উত্তেজনা নিয়ে বৈধ স্ত্রী সহবাসই করছেন। যার ফলে বেসিকালি তারা যৌবন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না ।

১৭
হস্তমৈথুন কেন ইসলামে নিষিদ্ধ ?
আল্লাহ চান না একজন বান্দা তার যৌবনে স্ত্রী সহবাস থেকে বঞ্চিত হোন । আবার হস্তমৈথুন করে আপনার লিঙ্গ দুর্বল করলে আপনার স্ত্রীর হক নষ্ট করলেন । সে নিখুত দেহ পায় নি ।












১৮
নাটের গুরুর বিচার হবে ।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন হলেন “আল-লতিফ” মানে সূক্ষদর্শী । তিনি যে অপরাধ করছে শুধু তাই জানেন না , বরং তিনি এও জানেন অপরাধী কি কারনে অপরাধ করছে ।
ব্যাপারটি এরকম :
কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ রব্বুল আলামিন ফেরেশতাদের ডেকে বলবেন “আবুলকে জাহান্নামে নিয়ে যাও। ”
আবুল ডাকবে “মা’বুদ গো আমাকে কেন জাহান্নামে দিলা ?”
আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন “১০ বছর পর্ন দেখছ । অহন জাহান্নামে যাও।”
আবুল বলবে “মাবুদ গো , তুমি যে রিযিক দিছিলা ভাত , ডাল , গোস্ত । যখন এগুলি খাইতাম । তার একটা অংশ রক্তের মাধ্যমে চোখে চলে যেত । ফলে চোখে দেখতাম । তার একটা অংশ হাতে চলে যেত ফলে হাত নাড়াতে পারতাম । তুমি যে রিযিক দিছিলা , তার একটা অংশ লিঙ্গে চলে যেত ফলে সুড়সুড়ি অনুভব করতাম । এই সুড়সুড়ি ফিরাতে পারতাম না । এটা আমার নিয়ন্ত্রনে ছিল না । সুতরাং আমারে কেন জাহান্নামে নিবা ?জীবনে এক ওয়াক্ত নামায কাযা করি নাই , কুরআন পড়তাম । খুন করি নাই । চুরি করি নাই । ”

আমার আল্লাহ বলেন “আমি তোমাদের সৃষ্টিকর্তা । তোমাদের কি সমস্যা তা আমি ভালো করে জানি । অবিবাহিত যুবক নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে না । এটা আমি আল্লাহ জানি দেইখ্যা দয়ার নবী , মায়ার নবীরে পাঠাইছি । কুরআন নাযিল করছি । আর তোমাদের দ্রুত বিয়ার নির্দেশ দিছি । বিয়া কেন কর নাই ”

আবুল ডাকতেছে মাবুদগো ‘ আমি বেসিকালি খারাপ না । ১৬ বছর বয়সে বিয়া কইরা সুন্দর জীবন গড়তে চাইছিলাম । কিন্তু আমার বাবা মকবুল । বাধা দিছে । এই বাধা দেওয়ার কারনে আমি বাধ্য হয়ে ব্যাভিচারে লিপ্ত হই । ’

আমার আল্লাহ বলেন ‘ফেরশতারা যা , মকবুলরে ধইরা লইয়া আয় । তার কাছে জাহান্নামের সংবাদটাও দিয়া দে’
মকবুল ডাকতেছে ‘ মাবুদগো আমি কেন জাহান্নামে যাবো । জীবনে কোনদিন বেগানা নারীর দিকে তাকাই নাই । কোনদিন নামায কাযা করি নাই , কোন দিন কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করি নাই । ’
আমার আল্লাহ বলেন “আজ আমর বিচারে তুই ব্যাভিচারী পাপী। তোর বিবাহে বাধা দেওয়ার কারনে তোর ছেলে ব্যভিচার করতে বাধ্য হইছে । তোদের মতো বাবা নামের কলঙ্কের কারনে সমাজে ধর্ষন বেড়েছিল , ব্যাবিচার বেড়েছিল । কুরআনের নির্দেশ দ্রুত বিবাহকে তোরা অবমাননা করেছিলে । কেউ দ্রুত বিবাহ করে ফেললে তাদের লুইচ্ছা উপাধি দিতে । তোরা হইলে নাটের গুরু । তোরা জাহান্নামে যা । আর তোর ব্যভিচারী ছেলে তোর নেক আমলগুলি লইয়্যা জান্নাতে যাবে । ”





১৯
পর্ন দেখে ছেলে , জাহান্নামী হবে বাবা । কিন্তু একজনের দোষ আরেকজনের উপর চাপবে কেন ?
কারন ছেলে ১৬ বছর থাকতেই বিয়ে করে সুন্দর জীবন বেচে নিতে চেয়েছিল । বাবা বিবাহে বাধা দেওয়ায় সে ব্যাভিচারের পথ ধরে ।

ছেলে যে গুনাহটি করেছে তা স্বভাবসুলভ ।যে সকল গুনাহে মানুষের ক্ষমতা থাকে না । সে সকল গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন । কিন্তু বাবার ক্ষমতা ছিল । তাই বাবা জাহান্নামী ।



২০
ইসলামে ছেলের বিবাহের জন্যে বাবার অনুমতি লাগে না ।কেননা বিয়ে না দিয়ে ছেলের যৌবন ছিনিয়ে নেয়ার অধিকার বাবাকে দেওয়া হয় নি ।
তদুপরি ছেলেকে ত্যজ্যপূত্র করার বিধানও ইসলামে নাই ।হিন্দু ধর্মে আছে । ফলে আপনি বিবাহ করলে আপনার বাবা আপনার ও আপনার স্ত্রীর ভরনপোষন নিতে বাধ্য । ইসলাম জানুন । অধিকার আদায় করুন ।


হ্যা বিয়ে মানেই যৌন কাজ নয় । কিন্তু যৌনকাজ শুধু বিয়ের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে । নতুবা গুনাহ হবে ।

এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। (সূরা : মুমিমূন ২৩:৬)



২১
যোগ্যতা অভাবে বিয়ে করতে পারছে না । কথাটা ভুল ।অযোগ্য ছেলেদের জন্য অযোগ্য মেয়েরা রয়েছে । বরং অযোগ্য ছেলেরাই আগে বিয়ে করে ফেলে ।
মানসিক ভাবেই যোগ্য ছেলেপিলেরা বিবাহবিমুখী হয়েছে ও পর্ন মুখী হয়েছে যা কেয়ামতের আলামত । যেমন এম.বি.এস পাস করা ছেলেরা নিজেদের যোগ্যভাবে না । এ.ফ.সি.পি.এস এর জন্যে । ঢাবির বি.এস.সি পাস করা ছেলেরা পি.এই.ডি এর জন্যে চিন্তা করে , কিন্তু বিবাহের চিন্তা করে না । তারা ভাবে পি.এই.ডি না করে কিসের বিবাহ ।
একারনে সমাজে পর্ন ও ব্যাভিচার বেড়ে গেছে । দরকার বিবাহমুখী করা ও সচেতনতা বৃদ্ধি । বিবাহের প্রতি উতসাহ প্রদান ।
বিবাহ বিমুখী হওয়ার দ্বিতীয় প্রমান : শহরের একজন ২২ বছরের অবিবাহিত যুবককে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে গাড়ি কিনবে । কারন সে জানে গাড়ি কিনা দরকার । গাড়ি কিনা সম্ভব । সে বিবাহের কথা বলবে না , কারন সে মনে করে বিবাহ বলে কিছু নেই , পরিবার মেনে নিবে না । বিবাহ দরকার থাকলেও ইহা সম্ভব নয় ।

গ্রামের একটি ছেলেকে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে পাচ লাখ টাকা দিয়ে ক্ষেত কিনবে ও বাকি পাচ লাখ দিয়ে সে বিবাহ করবে ।

তারমানে যোগ্যতা নয় , মানসিকভাবে বিবাহকে অসম্ভব মনে করার যে ফিতনা সমাজে তৈরী হয়েছে । তাই এখন মা-বাবা ৩০ এর আগে বিয়ে নয় । ১০ বছর পরে ৪০ এর আগে নয় । ৫০ বছর পরে বিয়ের দরকার নাই । তারপর কিয়ামত ।


২২
বাপের হুমকিতে (ইশারা-ইঙ্গিত) ছেলে চুপটি করে বসে থাকলে বা মেনে নিলে বিবাহ সম্ভব নয় । বরং ছেলের পাগলামিতে বাপ বিবাহ দিতে বাধ্য হবে । বিবাহটি ছেলের বাপের নয় । তাই ছেলেকে এটি পেতে পাগলামি করতে হবে ।
বাপের সাথে যুদ্ধ না করে কেউ বিবাহ করতে পারে না ।
এখনি যুদ্ধ শুরু করেন । কেননা ১০ বছর পরেও তারা একই বাহানা দেখাবে। এখনই কিসের বিবাহ ?
সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না । যতদিন লজ্জা ভেঙ্গে বলতে না পারবেন আর ছোট খাট সংঘর্ষ হবেই । ইহা মোকাবিলা করতে না পারবেন ততদিন বিয়ে ছাড়াই থাকুন ।

*************************************************************




*************************

২৩

বিবাহ পিছানোর কারনগুলি :
১) সুন্দরী খুজলে আর বিবাহ করতে হবে না । এটা বোকামি । বরং অনেকের ভাগ্যে সুন্দরী মিলে যায় । তাদের কপাল ভালো । কিন্তু আপনি যখন সুন্দরী খুজতে থাকবেন তখন আপনার আর বিয়েই হবে না ।
২) আপনার বাপ



২৪
বিয়ে করলে বউকে খাওয়াবে কি ?
ব্যভিচার করার আশংকা থাকলে মানে আপনি যদি পর্নে (চোখের ব্যাভিচারে) অভ্যস্থ থাকেন । তাহলে ভিক্ষা করে খেলেও আপনাকে বিয়ে করে ফেলতে হবে ।


যৌন চাহিদা বেশী থাকলে মা-বাবার অবাধ্য হয়ে বিবাহ করা ওয়াজিব । ও জিহাদ করার সমতুল্য ।

সত্যি কথা বলতে কি , বছরের পর বছর রোজা রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি অবিবাহিত যুবকের হস্তমৈথুন থেকে বাচাও সম্ভব নয় ।
দেখুনতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

এখন আমার প্রশ্ন ?
মা-বাবার কথা শুনে ১০ বছর হস্তমৈথুন আর পর্ন (চোখের ব্যাভিচারে) ডুবে থেকে বেহেশতে যেতে পারবেন তো ? না পারবেন না । ব্যাভিচারী হিসেবে কেয়ামতের ময়দানে চিহ্নিত হয়ে জাহান্নামী হয়ে যাবেন ।
ক্লাস এইটে থাকতে ১৬ বছর বয়সে ছাত্ররা পর্ন আর হস্তমৈথুন শুরুকরে বিবাহ করে ১৫ বছর পর ৩১ বছরে । আপনার কি মনে হয় ১৫ বছর পর্ন দেইখ্যা খুব নেকি কামাইছে ?
এত্তো পরিমান নেকি লইয়্যা কোন জান্নাতে যাইবেন ?
সুতরাং কেয়ামত পূর্ববর্তী এ ফিতনায় আপনাকে বেহেশতে যেতে হলে মা-বাবার অবাধ্য হয়ে বিয়ে করে জিহাদ করতে হবে । বইসা বইসা মা বাবার কথা শুইন্যা পর্ন দেখলে বেহেশতে যেতে পারবা না ।

অন্যদিকে মা-বাবার কথা মান্য করাও ইবাদত । কিন্তু মা-বাবার কথা মান্য করে শিরক করা যাবে না , ব্যাভিচার করা যাবে না , নামায বাদ দেওয়া যাবে না ।


২৫
মা-বাবা ব্যাভিচার করতে কখন বলল ?
মা-বাবা আপনাকে ১০ বছর পরে মানে এস্টাব্লিস হওয়ার পর বিয়ে দিতে যায় ।এভাবে পরোক্ষভাবে আপনাকে ব্যভিচারে ঠেলে দিচ্ছে ।

আপনার মোবাইল , ল্যাপটপ আল্লাহ আপনাকে বাড়িতে দিয়া যায় নাই । তাই আল্লাহ বাড়িতে বউ দিয়া যাইব এটা না ভেবে কুরআনে আল্লাহ বিবাহের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করেন ।

আপনি চেষ্টা না করলে কোনদিনই কাজ হবে না । এভাবেই তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবেন । এরুপ বহু রেকর্ড আছে । কেউ আপনাকে মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিবে না । বাবা মা নবী-রসুল নয় । তাদের উদাসীনতায় আর তারা বিয়ে দিয়ে দিবে এ আশা করলে লাইফ শেষ ।

আপনার জন্যে আল্লাহ ও বউ নিয়ে আসবেন না , বাবা মাও না । আপনার কাজ আপনাকে করতে হবে । পাচ বছর পর আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন না । আর পাচ বছর পরও আপনাকে সংগ্রাম করতেই হবে । বাবা মা তখনও কিছুটা ভেজাল করবে । খামাকা আপনার জীবন শেষ হবে


২৬
বিবাহ বিমুখী হওয়ার দ্বিতীয় প্রমান : শহরের একজন ২২ বছরের অবিবাহিত যুবককে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে গাড়ি কিনবে । কারন সে জানে গাড়ি কিনা দরকার । গাড়ি কিনা সম্ভব । সে বিবাহের কথা বলবে না , কারন সে মনে করে বিবাহ বলে কিছু নেই , পরিবার মেনে নিবে না । বিবাহ দরকারন থাকলেও ইহা সম্ভব নয় ।
গ্রামের একটি ছেলেকে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে পাচ লাখ টাকা দিয়ে ক্ষেত কিনবে ও বাকি পাচ লাখ দিয়ে সে বিবাহ করবে ।


***************************
২৭
ব্যাপকহারে মানুষকে জাহান্নামে নিতে হলে ব্যাভিচার করাতে হবে । কিন্তু ইউরোপ , আমেরিকার মতো মুসলিম দেশ গুলিতে ছেলে পিলেরা সরাসরি ব্যাভিচারে আসছে না । তাই বলে থেমে শয়তান থেকে থাকে নি । সে নতুন বুদ্ধি বের করল । সরাসরি ব্যাভিচার নাই বা করুক চোখের ব্যাভিচার করাবো । পর্নে যুব সমাজকে ডুবিয়ে রাখব । আর এভাবে দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস করে দিয়ে জাহান্নামে ঢুকাবো ।

কিন্তু পর্নে (চোখের ব্যাভিচারে) মশগুল করে রাখবো কিভাবে ?
বুদ্ধি আছে । বিবাহকে কঠিন ও অসম্ভব ও লজ্জাজনক হিসেবে উপস্থাপন করব । ওয়াসওয়াসা দিয়ে যুব সমাজকে বিবাহ বিমুখী ও পর্নমুখী করে তুলব । ফলে তাদের কাছে মনে হবে বিবাহ করলে ক্ষতি , পড়াশুনার ক্ষতি , অমুক ক্ষতি-তমুক ক্ষতি । অন্যদিকে বিবাহ না করলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে ও কোটিপতি হয়ে যাবে এমন মনে হবে আমার ওয়াস ওয়াসার কারনে । প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নাম করে আমি তাদের বিবাহবিমুখী করে তাদের যৌবনের সুখ ছিনিয়ে নিব । সমাজে ব্যাভিচার ভরিয়ে দিব । আমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে ।
আমি অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই তাদের (পথভ্রষ্ট করার) জন্য আপনার সরল পথে বসে থাকব” (সূরা আরাফ : আয়াত ১৬)

আমি ভালো করেই হাদিসটি জানি “আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)”

সত্যি কথা বলতে কি , বছরের পর বছর রোজা রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি অবিবাহিত যুবকের হস্তমৈথুন থেকে বাচাও সম্ভব নয় ।
দেখুনতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)”

এখানে রোজা রাখা বিয়ের বিকল্প নয় ।
দশ বছর রোজা রাখলেই যে সামর্থবান হয়ে যাবে তা নয় , বরং সে অসুস্থ হবে

আসলে হাদিসটি হলো সান্ত্বনামূলক ও সাময়িক সমাধান মূলক । হাদিসটি দ্বারা ২০ বছর , ৫০ বছর রোজা রাখতে বলা হয় নি ।
বরং উম্মত যাতে অস্থির হয়ে না যায় , সে জন্যে রোজা রাখা , দুয়া করা , ধৈর্য্য ধারন করা ও ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

আমার ঐকান্তিক চেষ্টায় বিবাহকে একজন ২০ বছরের যুবক অসম্ভব , বিভীষিকাময় , লজ্জাজনক, অপরাধ, পরিবার মেনে নিবে না ও অলীক স্বপ্ন ভাবতে শুরু করেছে ।
এটা যে তার অধিকার মালুম ভুলে গেছে ।
বরং সে লিপ্ত হচ্ছে পর্নগ্রাফিতে ও হস্তমৈথুন প্রাকটিসে । সমাজে
দীর্ঘদিন চলতে থাকায় এটাকেই স্বাভাবিক মনে করতে শুরু করেছে ।

শুধু তাই নয় , ইদানিং ছেলেরা এটাকেই মেনে নিয়ে অনেকটা
মানসিকভাবে দাসত্ব বরন করেছে

বিবাহের আলোচনায় আমি লজ্জা তৈরী করি । বিবাহ করতে লজ্জা শয়তান কতৃক । কেননা পর্ন দেখার সময় ও হস্তমৈথুন করার সময় তোমার লজ্জা কোথায় থাকে ?
আমার আর অনেক কাজ খুব ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছি । পরে আরও লিখব ।
ইতি আপনাদের বহুল পরিচিত : ইবলিশ ভাই ।





২৯
হে আল্লাহ নিজেকে বিবাহ করার তাওফিক দাও ও অন্যকেও বিবাহ করানোর তাওফিক দাও ।হে আল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নাম করে শয়তান আমাদের যৌবন ছিনিয়ে নিচ্ছে সামজে ব্যাভিচার ছড়িয়ে দিচ্ছে । বিবাহকে যুব সমাজের সামনে অসম্ভব ও লজ্জাজনক হিসেবে দেখাচ্ছে । অথচ এটি হালাল ও অধিকার ।

দাড়ি রাখাকেও শয়তান কঠিন করে দেখায় । অনেক নামাযী ৫০ বছরেও দাড়ি রাখতে লজ্জা পায়

***********************************
আপনার মোবাইল , ল্যাপটপ আল্লাহ আপনাকে বাড়িতে দিয়া যায় নাই । তাই আল্লাহ বাড়িতে বউ দিয়া যাইব এটা না ভেবে কুরআনে আল্লাহ বিবাহের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করেন ।

আপনি চেষ্টা না করলে কোনদিনই কাজ হবে না । এভাবেই তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবেন । এরুপ বহু রেকর্ড আছে । কেউ আপনাকে মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিবে না । বাবা মা নবী-রসুল নয় । তাদের উদাসীনতায় আর তারা বিয়ে দিয়ে দিবে এ আশা করলে লাইফ শেষ ।

আপনার জন্যে আল্লাহ ও বউ নিয়ে আসবেন না , বাবা মাও না । আপনার কাজ আপনাকে করতে হবে । পাচ বছর পর আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন না । আর পাচ বছর পরও আপনাকে সংগ্রাম করতেই হবে । বাবা মা তখনও কিছুটা ভেজাল করবে । খামাকা আপনার জীবন শেষ হবে ।
*****************************

৩০
উপযুক্ত আয় করতে না পারেন, তাহলে বিবাহ করার দরকার নাই। রোজা রাখেন। "
কথাটা বলা সোজা । কিন্তু বাস্তবতা দেখুন । দেখানতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

রোজা রাখার হাদিসটি কেবল তাদের জন্যে যাদের একেবারেই মাথাগুজার ঠাই নেই । যার একবার আহার জুটে তো আরেকবার জুটে না।এবং তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারে না । । এ হাদিসকে ইস্যু বানিয়ে অনেকে বিবাহকে বিলম্বিত করতে চায় তা ঠিক নয় । অথচ ইসলামিক চিন্তাবিদরা ছাত্রদের বিবাহকেও সমর্থন করেন যদি তাদের পরিবারের মানে ছাত্রের পিতারসমর্থথাকে


***************************
৩১
আসলে দাড়ি রাখা , বিয়ে করা , জুব্বা পড়া ইত্যাদি ওয়ান টু এর ব্যপার। আপনি তো আর খুন করছেন না । শয়তানই এখানে লজ্জা ঢুকিয়ে এগুলি কঠিন হিসেবে প্রদর্শন করে । গ্রামের একটি মেয়ে বিয়ে করে ফেলা কোন কঠিন কাজ হলো নাকি ভাই ? বিয়ে করলে আপনার বাপ ছাতাও করতে পারবে না । লুল । দরকার সচেতনা ও উদ্যোগ ।
বিবাহ করলে স্বচ্ছলতা আসার কথাও কুরআনে আছে ।
আসলে বিবাহ মানে বরকত । বিবাহ মানে রহমত ।
আসলে বিবাহ মানে বরকত । বিবাহ মানে রহমত ।
অবিবাহিত মানে ব্যাভিচার , পর্ন আর ধ্বংস ।





**********************

৩৩
প্রতিষ্ঠিত না হয়ে কিসের বিয়ে ?
আচ্ছা আমি কবেই বা প্রতিষ্ঠিত হবো । আর কতকাল অপেক্ষা । প্রতিষ্ঠিত কখনই হতে পারবো না । প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নামে আমার যৌবন ধ্বংস হবে । প্রতিষ্ঠিত হওয়া ভাগ্যে থাকলে বিয়ে করেও হবে ।

৩৪
আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)
এখানে রোজা রাখা বিয়ের বিকল্প নয় ।
দশ বছর রোজা রাখলেই যে সামর্থবান হয়ে যাবে তা নয় , বরং সে অসুস্থ হবে ।
আসলে হাদিসটি হলো সান্ত্বনামূলক ও সাময়িক সমাধান মূলক । হাদিসটি দ্বারা ২০ বছর , ৫০ বছর রোজা রাখতে বলা হয় নি ।
বরং উম্মত যাতে অস্থির হয়ে না যায় , সে জন্যে রোজা রাখা , দুয়া করা , ধৈর্য্য ধারন করা ও ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

ব্যপারটি এরকম নয় যে , আমি রোজা রাখছি , বিয়ের বদলে । আমার বিবাহ দরকার নেই ।

সত্যি কথা বললে খারাপ লাগে , কিন্তু আমাকে সত্যি কথাই বলতে হবে , বছরের পর বছর রোজা রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি অবিবাহিত যুবকের হস্তমৈথুন থেকে বাচাও সম্ভব নয় । সুতরাং আসুন শয়তানের প্ররোচনা থেকে বেচে বিবাহের সুন্নাহের জন্যে আন্দোলন গড়ে তুলি । বিবাহ করতে লজ্জা শয়তান কতৃক । কেননা পর্ন দেখার সময় তোমার লজ্জা কোথায় থাকে


****************
৩৫)
হালাল বিবাহ হাতে আগুন রাখার মতো কঠিন ও বিকৃত যৌনাচার পানির মতো সস্তা হয়ে গেছে ।

হে আল্লাহ আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে হেফাজত কর ।
বিবাহ বৈধ অধিকার এটি আমরা ভুলে গেছি । এটাকে আমরা লজ্জাজনক ও অপরাধ মনে করা শুরু করেছি ।

বর্তমান যুগে বিবাহকে একজন ২০ বছরের যুবক অসম্ভব , বিভীষিকাময় , লজ্জাজনক , অপরাধ, পরিবার মেনে নিবে না ও অলীক স্বপ্ন ভাবতে শুরু করেছে । এটা যে তার অধিকার মালুম ভুলে গেছে ।

বরং সে লিপ্ত হচ্ছে পর্নগ্রাফিতে ও হস্তমৈথুন প্রাকটিসে । সমাজে দীর্ঘদিন চলতে থাকায় এটাকেই স্বাভাবিক মনে করতে শুরু করেছে ।
শুধু তাই নয় , ইদানিং ছেলেরা এটাকেই মেনে নিয়ে অনেকটা মানসিকভাবে দাসত্ব বরন করেছে । যেমন আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে বেগম রেকেয়ার নারী জাগরনের আগে মেয়েরা মানসিক দাসত্ব বরন করেছিল । তাদের মনে এ আকিদা ঢুকে গিয়েছিল যে আমরা তো মেয়ে , আমাদের শিক্ষা দীক্ষার দরকার কি ? এটাকেই তারা স্বাভাবিক মেনে নিয়েছিল । বেগম রোকেয়া এ থেকে বেরিয়ে আসেন । তিনি বলেন , “মেয়ে হয়েছি তো কি হয়েছে , পড়াশুনা করতে তো নিষেধ নাই ।”

৩৬
আজকের ছেলেরা “ বিবাহ অসম্ভব । এ যুগে জন্মেছি তো ৩০ এর আগে বিবাহ নয়। কিংবা বি.সি.এস না হলে বিবাহ নয় ।“ এরুপ মানসিক দাসত্ব বরন করেছে । আমাদের উচিত বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা আন্দোলনের মতো “১৮ হতেই বিবাহ চাই এ ধরনের মানসিক প্রস্তুতি গড়ে তুলা । ও সচেতন করা ও আন্দোলন গড়ে তুলা ”
নারীশিক্ষা যে মেয়েদের অধিকার বেগম রোকেয়ার আন্দোলনের আগে মেয়েরা জানতো না , তেমনি বিবাহ ১৮ বছরের ছেলের অধিকার এটা আমরা ভুলে গিয়ে বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত হচ্ছি যার পরিনাম জাহান্নাম ।
হে আল্লাহ “আমাদের কুপ্রথা থেকে হেফাজত কর ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান কর । ”

৩৭
সমাজ অলরেডি ব্যপকহারে বিবাহবিমুখ হয়েছে তার প্রমান :
১) সমাজ ব্যবস্থা বিবাহবিমুখ হয়ে যাচ্ছে । ঠিক বিবাহবিমুখ নয় বরং অধিক বয়সে (৩০+) বিবাহমুখী হচ্ছে । যা সত্যিই ভয়াবহ ২) একজন আরেকজনকে দেখে শিখছে , আমার এলাকার ভাই আমাকে বললো আপনি আমার থেকে ৪ বছরের বড় (মানে ২৫ বছর) , আপনারই বিয়ে হয় নি । তাহলে আমার আরও ৫ বছর পর্ন দেখেই কাটাতে হবে । মানে আশাই ছেড়ে দিচ্ছে । হালাল বৈধ অধিকার বিয়ের জন্যে কিন্তু সে সংগ্রামের পথ বেছে নেয় নি । বেছে নিয়েছে পর্ন আর হস্ত মৈথুনের পথ ।

৩৮) বিয়ের জন্যে যে মানুষ সংগ্রাম করছে না বা আশাহত তার আরেক প্রমান হলো যে পরিমান পর্ন সাইট ভিজিটর সে পরিমান ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর নেই । ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর একেবারেই অল্প ।সে সকল সাইটে নতুন মেয়ে পাওয়াই যাচ্ছে না ।

আশাহত যুবকেরা বিয়ের জন্যে সংগ্রাম বা চেষ্টা করছে না বরং পর্ন আর হস্তমৈথুনের পথ বেছে নিচ্ছে । ফলে আল্লাহ সেই পথই তাদের জন্যে সহজ করে দিচ্ছেন ।



৩৯
কেন বিবাহ ইসলামে এতো প্রয়োজনীয় ?
বিবাহ করছেন না মানেই ব্যভিচার করছেন । কিছুটা আল্লাহভীতি থাকলে সরাসরি ব্যভিচার না করলেও চোখের ব্যভিচার (পর্ন) করছেন ।আর যদি আরও বেশী ধার্মিক হয়ে থাকেন তাহলে অপেক্ষাকৃত কম হলেও ব্যভিচার (পর্ন +হস্তমৈথুন ) করছেন ।


ব্যাপারটি এরকম (অবিবাহিত মানেই আপনি ব্যভিচারী): কারন আমরা যে খাবার খাচ্ছি তা আমাদের সারা শরীরে পুষ্টি জোগায় । রক্ত হিসেবে তা চোখে চলে যায় ফলে আমরা দেখি , লিঙ্গে চলে যায় ফলে যৌনতা অনুভব করি । তা কোন দোষ নয় ।
অবিবাহিত ধার্মিক নন : তারা সরাসরি ব্যভিচার করছেন
অবিবাহিত আংশিক ধার্মিক : তাহলে চোখের ব্যাভিচার পর্ন ও হস্তমৈথুন করছেন ।
অবিবাহিত ও ধার্মিক : তাহলে চোখের ব্যাভিচার পর্ন ও হস্তমৈথুন করছেন সীমিত আকারে ।
তারমানে বিবাহ করতেই হবে । তাছাড়া এটি আমাদের মৌলিক অধিকার । যুগে যুগে তো সমাজ কলুষিত হয়েছে । আর তা সংস্কার করেছেন মহান ব্যক্তিরা । রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা বিনাশ , ঈশ্বরচন্দ্র বিধবা বিবাহ প্রচলন , বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা ইত্যাদি । আমরা কি পারি না । ব্যপারটিকে আন্দোলনে রুপ দিতে ।
বিবাহ করতে যে লজ্জা তা শয়তান কতৃক অথচ পর্ন দেখা ও হস্তমৈথুনের সময় লজ্জা থাকে না ।


*************************************

৪০
উপযুক্ত আয় করতে না পারেন, তাহলে বিবাহ করার দরকার নাই। রোজা রাখেন। "
কথাটা বলা সোজা । কিন্তু বাস্তবতা দেখুন । দেখানতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

রোজা রাখার হাদিসটি কেবল তাদের জন্যে যাদের একেবারেই মাথাগুজার ঠাই নেই । যার একবার আহার জুটে তো আরেকবার জুটে না।এবং তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারে না । । এ হাদিসকে ইস্যু বানিয়ে অনেকে বিবাহকে বিলম্বিত করতে চায় তা ঠিক নয় । অথচ ইসলামিক চিন্তাবিদরা ছাত্রদের বিবাহকেও সমর্থন করেন যদি তাদের পরিবারের মানে ছাত্রের পিতার সমর্থ থাকে ।

ইসলামে ব্যক্তির স্বাবলম্বী ও সক্ষমতার বিভিন্ন ধরণসাপেক্ষে বিয়েকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

ওয়াজিব বিয়ে : যখন শারীরিক চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে বা তার পরিবারের এতোটুকু সামার্থ থকে যে তাদের ভরোণ-পোষনে কোনো সমস্য থাকবে না। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হতে হবে।


৪১
ফরজ বিয়ে : নূন্যতম সামর্থ থাকার সাথে সাথে যদি শারীরিক চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যাভিচার বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ। ব্যাভিচারের আওতায় যেগুলো পড়ে তা হলো- কুদৃষ্টি, পর্নগ্রাফী আসক্ততা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক বা লিভটুগেদার, হস্তমৈথুনের মতো হারাম কাজ ইত্যাদি।

কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে কোনো পুরুষ এতটাই অসামার্থ যে সে একেবারে নিস্বম্বল, অক্ষম। নিজের মাথা গোজারমতো এতটুকু ঠাই নেই তবে এক্ষত্রে তাকে রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ের ইচ্ছে থাকলেও সক্ষম পুরুষ বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে।

অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়।কারণ রাসূল সা. বিবাহিত ব্যক্তিকে আল্লাহ কতৃক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্জন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)





সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×