somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বড়পুকুরিয়া ও বিভিন্ন কয়লা উত্তোলন পদ্ধতি

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বড়পুকুরিয়া ও বিভিন্ন কয়লা উত্তোলন পদ্ধতি

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌগলিক অবস্থান ও ইতিহাস
১৯৮৫ এর এপ্রিলে পাওয়া বড়পুকুরিয়ায় কয়লার ব্যাপক মজুদ সম্পর্কে জানার পর বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ (জিএসবি) এর মাধ্যমে এই প্রকল্প প্রথম গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৬-৮৭ সালে জিএসবি পরবর্তী গবেষণা চালনা করে যেটা থেকে সেখনাকার কয়লার অবস্থা,ওজন,চৌম্বক প্রভাব আর ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারা যায়। সেখানে বলা হয়,বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ৩০৩ মিলিয়ন টন অত্যন্ত উন্নত মানের কয়লা,ছয়টি স্তরে রয়েছে যা ৬.৬৮ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত। বাংলাদেশ তেল গ্যাস এবং খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা),ওভারসেজ ডেভলপমেন্ট এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ওডিএ) এর সহযোগিতায় কারিগরি-অর্থনৈতিক ধারণার উপর ভিত্তি করে ভূতাত্ত্বিক এবং জল-ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ওয়ার্ডেল আর্মস্ট্রং (ইংল্যান্ড) ১৯৯১ সালে ঐ বিষয়ের উপর গবেষণা করে নিম্নোক্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।

• প্রধান প্রধান গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো
কয়লার মজুদঃ ৩৯০ মিলিয়ন টন
কয়লার গভীরতাঃ ১১৮-৫০৯ মিটার
কয়লা-স্তরঃ ৬ টি
কয়লা জোর-মুখের গড় পুরুত্বঃ ৬ মিটার
কয়লার গঠনঃ ছাই ১২.৪%,সালফার .৫৩%,আর্দ্রতা .১০%
কয়লার ধরণঃ বিটুমিনাস (উচ্চ মাত্রার পরিবর্তনশীল)
কয়লার ক্যালোরিফিক মানঃ ২৫.৬৮ মেগাজুল/কিলোগ্রাম (১১০৪০BTU/Ib.)
বার্ষিক উৎপাদনঃ ১ মিলিয়ন টন
কয়লা উত্তোলন পদ্ধতিঃ মাল্টি-স্লাইস লং ওয়াল
[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/marjubd_1426447030_1-IMG_20150305_230430.jpg
• উদ্দেশ্য
প্রতি বছর খনি থেকে ১ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হবে, যার ৬৫% ব্যবহার করা হবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং বাকি ৩৫% ইট ভাটা ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজে।
• প্রকল্প বাস্তবায়ন
১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালে,চাইনিজ কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (CMC),চায়না মেশিন বিল্ডিং ইন্টারন্যাশনাল (CMBI),চায়না কোল ওভারসেজ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (CODCO)কোম্পানিসমূহ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। তারা একটি টেকনো ইকোনোমিক এসেসমেন্ট প্রস্তুত করে যা পূর্ববর্তী তথ্যের উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছিল।
১৯৯৩ সাল থেকে উক্ত তিন চীনা কোম্পানি একত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ব্যাংক অফ চায়না এই কোম্পানিগুলোকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থের যোগান দিয়ে আসছে। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে পেট্রোবাংলা,ইন্টারন্যাশনাল মাইনিং গ্রুপ অব কনসালটেন্ট (IMCGC) এর সাথে চুক্তি করে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইংল্যান্ড তত্ত্বাবধান গ্রহণ করে।
১ জুন ১৯৯৪ সালে,৬০ মাসের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত ও কার্যকর হয়। প্রথম এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোম্পানি প্রকল্পের মেয়াদ বর্ধিত করে এবং পেট্রোবাংলা আলোচনার মাধ্যমে সিএমসি এর সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করে। আধুনিক কয়লা খনি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১ জুন ১৯৯৪ সালে,যার সম্ভাব্য বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ১,০০০,০০০ টন। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এর পর সিএমসি ১৯৯৫ সালের মে মাসে ডিজাইন রিভিউ জমা দেয়। প্রাথমিক এই মডেলের আলোচনায় জানানো হয় যে,একটি সম্পূর্ণ কলাকৌশল এবং তিনটি আধুনিক যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লং ওয়াল পদ্ধতিতে এটা খনন করা হবে,কারণ আধুনিক সময়ে সরাসরি খনন বা বিস্ফোরণ পদ্ধতি যথাযথ নয়। ১৯৫০-৬০ এর সময়কার লং ওয়াল পদ্ধতির চেয়ে বর্তমান সময়কার লং ওয়াল পদ্ধতি অনেক উন্নত। এই বেসিক মডেল পেট্রোবাংলা ১২ আগস্ট গ্রহণ করে।
১০ই সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে ব্যবসায়িক উৎপাদন শুরু হওয়ার পর থেকে,সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত M&P চুক্তির উৎপাদন বছর হিসেব করা হয়। M&P চুক্তি-কারক চূড়ান্তভাবে ১১১০ লং ওয়াল ফেস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল ২০০৬ সালে,২০০৭ সালে এবং চূড়ান্তভাবে ২০০৮ সালের তেজস্বী চেষ্টার পর।


কয়লা উত্তোলনের বিভিন্ন পদ্ধতি
কয়লা মূলত চার পদ্ধতিতে উত্তোলন করা হয়।
 লং ওয়াল পদ্ধতি
 রুম এন্ড পিলার পদ্ধতি
 উন্মুক্ত পদ্ধতি
 আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেসন
নিম্নে এগুলোর বর্ণনা দেওয়া হল।
• লং ওয়াল পদ্ধতি
আন্ডার গ্রাউন্ড পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের যতগুলো পদ্ধতি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এই লং ওয়াল মাইনিং পদ্ধতি।


এ পদ্ধতিতে পুরো খনি অঞ্চলকে কতগুলো প্যানেলে ভাগ করা হয়। একেকটি প্যানেল ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার প্রশস্ত এবং ৩০০০ থেকে ৪০০০ মিটার বা আরও বেশী লম্বা হতে পারে। একটা শিয়ারার বা কাটিং মেশিন প্যানেলের প্রস্থ বরাবর ডান থেকে বাম দিকে আবার বাম থেকে ডান দিকে যাওয়া আসা করতে করতে মাংসের স্লাইস কেটে নেয়ার মতো করে কয়লার বেড থেকে কয়লা পৃথক করতে থাকে, যেগুলো কোন ঘুরন্ত কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে খনির বাইরে চলে যায়। কাটিং মেশিন একবার ডান থেকে বাম দিকে চলাচলের ফলে কয়লার বেড থেকে কয়লা কমতে থাকে।


ফলে একই সাথে দুটো ঘটনা ঘটে- প্রথমত,একদিকে প্যানেলের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে অর্থাৎ কাটিং মেশিন ডান বাম করে কয়লা কাটতে কাটতে প্যানেলের দৈর্ঘ্য বরাবর এগিয়ে যেতে থাকে। এভাবে মেশিনটি সপ্তাহে ৫০ থেকে ১০০ মিটার এগোতে পারে। দ্বিতীয়ত,যতটুকু বর্গক্ষেত্রের কয়লা কোল বেড থেকে কেটে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে বাইরে পাঠানো হয়,ঠিক ততটুকু পরিমাণ স্থানে শূন্যতা তৈরি হয়,এ শূন্য স্থানকে বলা হয় “গুফ”। মাটির উপরের স্তরকে সাপোর্ট বা ঠেকা দিয়ে রাখত যে কয়লাস্তর,সেটা পুরোটাই কেটে সরিয়ে নেওয়ার ফলে উপরের স্তরের মাটি পাথর ইত্যাদি মাটির গভীরের শূন্যতা পূরণ করতে নীচের দিকে নেমে আসে অর্থাৎ ভূমিধ্বস ঘটে। কাটিং মেশিন যতক্ষণ কোন একটি স্থানের কয়লা কাটতে থাকে ততক্ষণ সেইস্থানের উপরে একটি হাইড্রোলিক কৃত্রিম ছাদের (ক্যানপি) মাধ্যমে উপরের মাটিকে ঠেকা দিয়ে রাখে। মেশিনটি কয়লা কাটতে কাটতে সামনে এগোয়,সাথে সাথে ক্যানপিও সামনে এগোয়। কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেইস্থান থেকে ক্যানপি সরিয়ে নেওয়ার পরপরই ভূমিধ্বস ঘটে। লং ওয়াল মাইনিং পদ্ধতির সাথে এ ভূমিধ্বস পদ্ধতিগত ভাবেই জড়িত। যেকারণে এটাকে বলা হয় পরিকল্পিত ভূমিধ্বস বা প্লানড সাবসিডেনস।

• রুম এন্ড পিলার পদ্ধতি
রুম এন্ড পিলার পদ্ধতিতে ভূমিধ্বস যেন না ঘটে সেজন্য মাটির নীচ থেকে পুরো কয়লা না কেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর কতগুলোর পিলারের আকারে কয়লা রেখে দেওয়া হয়, যেগুলো উপরের মাটিকে ঠেস দিয়ে রাখে,ফলে ভূমি ধ্বসে পরে না।


এভাবে পিলারের আকারে স্থানে স্থানে কয়লা রেখে দেয়ার ফলে কয়লা আহরণের পরিমাণ কমে যায়, যে কারণে পুরো কয়লা উত্তোলন করে অধিক মুনাফা অর্জনের লোভে কয়লা কোম্পানিগুলোর কাছে আজকাল রুম এন্ড পিলার পদ্ধতির চেয়ে লং ওয়াল পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয়।


• উন্মুক্ত পদ্ধতি
লং ওয়াল মাইনিং এর চেয়েও ভয়ংকর উন্মুক্ত খনি। সাধারণত কয়লা-স্তরের অবস্থান যদি মাটির ১২০-১৫০মিটার গভীরতার মধ্যে হয় এবং কয়লাস্তরটির উপরে যদি কোনো পানিবাহীস্তর, জনবসতি,উর্বর আবাদি জমি না থাকে;তাহলে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি প্রয়োগ করে অর্থাৎ কয়লা-স্তরের ওপর থেকে সব মাটি ও পাথরের স্তর সরিয়ে কয়লা উত্তোলন করা হয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ অস্ট্রেলিয়া।


এই পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করলে তা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে,যাতে আশেপাশের বায়ুও চরমভাবে দূষিত হয়। এতে ঐ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হওয়ারও আশঙ্কা থেকেই যায়। তুলনামূলক কম খরচ হলেও এই পদ্ধতিতে যে চরম ক্ষতিসাধন হয় তা বলা বাহুল্য।


• আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেসন
আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেসন (Underground Coal Gasification, UCG) একটি নতুন পদ্ধতি। ইউসিজি পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে একটি বোরহোল করে তার মধ্য দিয়ে অক্সিজেন ও পানি বা স্টিম পরিচালনা করে কয়লা-স্তরকে ভূগর্ভে জ্বালানোর পর ভূ-অভ্যন্তরে যেসব গ্যাস উৎপন্ন হয়,তা ভূপৃষ্ঠ থেকে অপর একটি বোরহোলের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। এ পদ্ধতিতে কয়লা-স্তরকে সম্পূর্ণরূপে পোড়ানো হয় এবং প্রাপ্ত গ্যাস হলো মূলত হাইড্রোজেন-মিথেন মিশ্রণ এবং সামান্য পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড।


কোনো মাইনিং না করেই শুধু ইউসিজি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেও ভূগর্ভস্থ সম্পূর্ণ কয়লার ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে। বিশ্বের প্রধান প্রধান কয়লা উৎপাদনকারী দেশগুলো বর্তমানে এ প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
এ প্রযুক্তির প্রধান প্রধান সুবিধাসমূহ-
• প্রচলিত মাইনিংয়ের তুলনায় বিনিয়োগ-কৃত মূলধন ও উত্তোলন খরচ খুবই কম এবং অতিদ্রুত ইউসিজি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
• উৎপাদিত গ্যাস দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন,হাইড্রোজেন উৎপাদন,ডিজেল ও মিথানলের মতো তরল জ্বালানি উৎপাদন করা যায়।
• এ প্রক্রিয়ায় কঠিন বর্জ্য পদার্থ ভূগর্ভেই আটকা পড়ে থাকে বলে এটা পরিবেশ-বান্ধব।
• উৎপাদিত গ্যাস থেকে রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ যেমন,অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য সার উৎপাদন করা যায়।
• ভূপৃষ্ঠের পানি-দূষণের তেমন কোনো ভয় থাকে না।
ইউসিজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাইলট প্রজেক্টে সাফল্য অর্জনকারী দেশগুলো হলো— সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন,চীন,অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাষ্ট্র,স্পেন,ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ প্রযুক্তি সর্বপ্রথম ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করে পাওয়ার সেক্টরে বিপ্লব ঘটায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। এরপর ইউরোপে এ প্রযুক্তি প্রথম ব্যবহার করা হয় উত্তর স্পেন,ব্রিটেন ও বেলজিয়ামে। ২৩ আগস্ট ইউসিজি অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, (http://www.ucgassociation.or)অস্ট্রেলিয়া,চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইউসিজি ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং ভারত,কানাডা ও যুক্তরাজ্য শুরু করার পথে রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে যেসব দেশে পাইলট প্রজেক্ট চলছে সেগুলো হলো—দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল ও পেরু। এশিয়ার জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীন, রাশিয়া, কাজাকিস্থান, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, আফ্রিকা অ্যাঙ্গোলা, ও বতসোয়ানা, অস্ট্রালিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং ইউরোপের অনেক দেশ। কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ইউসিজি কোম্পানি Ergo Exergy’র মতে,অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ইউসিজি প্রজেক্ট করার আগে কয়লা-বেসিনগুলোর যে চারটি প্রধান ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন,
সেগুলো হলো—
• কয়লা-স্তরের পুরুত্ব হতে হবে সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৩০ মিটার বা তার অধিক।
• কয়লা-স্তরের ঢাল শূন্য থেকে ৭০ ডিগ্রির মধ্যে হতে হবে।
• কয়লা-স্তরের গভীরতা হতে হবে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৮০০ মিটার বা তার অধিক এবং
• তাপ-জননক্ষমতা হতে হবে প্রতি কিলোগ্রাম কয়লায় ৮-৩০ মেগাজুল।


বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দধিপুকুরের কাছে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।


এটাতে ১২৫ মেগাওয়াটের দুইটি ইউনিট অবস্থিত। এই কয়লা থেকে উৎপন্ন পাওয়াড় স্টেশন ২০০৬ সালে কমিশন্ড হয়েছিল এবং এটি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃক পরিচালিত হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×