ভারতীয় বংশোদ্ভূত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৮-১৯০৮ইং)'র বই থেকে কিছু ঈমানবিধ্বংসী আপত্তিকর কথাবার্তা-
১ মুসলমানদের জাহান্নামী ও কাফের আখ্যা দেয়াঃ
"আমাকে (ইলহামের মাধ্যমে) জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, যেই লোক তোমাকে সনাক্ত করার পরেও তোমার সাথে দুশমনি রাখে এবং তোমার বিরোধিতা করে সে জাহান্নামী"। (দেখুন, তাযকিরাহ ১৬৮; দ্বিতীয় এডিশন)। রূহানী খাযায়েন এর অত্র পৃষ্ঠাটি দেখুন
" প্রত্যেক মুসলমান যিনি হযরত মাসীহে মওঊদ (মির্যা কাদিয়ানী)'র বয়াতে শামিল হয়নি, সে যদিও হযরত মাসীহ মওঊদের নামও শুনেনি, এমন ব্যক্তিও কাফের এবং ইসলাম থেকে বাহিরে।" (আয়নায়ে সাদাক্বাত, পৃষ্ঠা ৩৫; মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ)।
ডকুমেন্ট
২ মির্যার দৃষ্টিতে তাকে অমান্যকারীরা বেশ্যার সন্তানঃ
"(আমার) এই কিতাবগুলো এমন, যা সব মুসলমানই মুহাব্বতের দৃষ্টিতে দেখে আর তার জ্ঞান দ্বারা উপকৃত হয় এবং আমাকে গ্রহণ করে ও সত্যায়ন করে শুধুমাত্র যুররিয়্যাতুল বাগাইয়া তথা বেশ্যার সন্তানেরা ছাড়া। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা (আমাকে) কবুল করবেনা" (দেখুন, রূহানী খাযায়েন খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৫৪৭-৪৮)।
উল্লেখ্য কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মিথ্যুক ধোকাবাজ পণ্ডিতেরা আরবী শব্দ "আল বাগাইয়া" (البغايا) এর বিকৃত অর্থ করে উক্ত অভিযোগ অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। তাই আমি মির্যা কাদিয়ানীর বইয়ের অপরাপর আরো দুই স্থান থেকে অর্থসহ "বাগাইয়া" শব্দের উল্লেখ করে দিয়েছি। আপনারা দেখুন, খোদ মির্যা কাদিয়ানী থেকেই "বাগাইয়া" এর অর্থ রয়েছে, অসতী নারী (রূহানী খাযায়েন ৮/১৬৮) এবং বেশ্যা বা ব্যভিচারিণী নারী (রূহানী খাযায়েন ১৬/৩৭১)।
তাই আহমদীবন্ধুরা! সত্যকে মিথ্যার চাদরে ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। বরং অপ্রিয় হলেও আপনাদের মেনে নিতে হবে যে, কাদিয়ানের কথিত নবী ও ইমাম মাহদী দাবিদার মুরতাদ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (মৃতঃ ১৯০৮ইং) সকল মুসলমানকে "অসতী নারীর সন্তান কিবা বেশ্যার সন্তান" বলে গালি দিয়ে গেছেন! ফলে এদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনো মুসলমান-ই মির্যার এই অশ্রাব্য গালি থেকে রক্ষা পায়নি। কাজেই এখন প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক যে, এমন একজন হিংসুটে অশ্রাব্য গালিবাজ যেখানে ভদ্র মানুষ হয়না সেখানে সে 'ইমাম মাহদী' হয় কিভাবে? এমন ব্যক্তি নবী রাসূল হতে পারা তো বহুত দূর ক্যা বাত, তাই নয় কি? জ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলে কিনা!
ডকুমেন্ট
৩ কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে খোদা দাবীঃ
"স্বপ্নে দেখলাম আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম আসলেই তাই।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৫৬৪)।
ডকুমেন্ট
৪ মির্যা কাদিয়ানীর হাতে খোদার বাইয়াতঃ
"আল্লাহ তায়ালা আমার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছেন।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৮ পৃষ্ঠা ২২৭)।
ডকুমেন্ট
৫ খোদার সাথে সহবাসঃ
"হযরত মসীহে মওঊদ (মির্যা কাদিয়ানী) একবার নিজের অবস্থা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, কাশফ (আধ্যাত্মিক ধ্যাণ)'র অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহীলা মনে হল। আর আল্লাহ তা'য়ালা পৌরুষত্বের শক্তি আমার উপর প্রকাশ করছেন। জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।" নাউযুবিল্লাহ। দেখুন (মির্যা কাদিয়ানীর কথিত এক অনুচর কাজী ইয়ার মুহাম্মদ সাহেব রচিত) 'ইসলামী কুরবানী ট্রাকট, পৃষ্ঠা নং ৩৪।
৬ পবিত্র কুরআনের অবমাননাঃ
[মির্যার কথিত ইলহাম] "কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি।" (দেখুন, মির্যার কথিত ইলহামি কিতাব 'তাযকিরাহ' পৃষ্ঠা ৫৯; চতুর্থ এডিশন)।
"হ্যাঁ বাস্তবিকই কুরআনের ভেতর 'কাদিয়ান' এর নাম উল্লেখ আছে।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ১৪০)।
ডকুমেন্ট
"অতপর স্বীকার করতেই হবে যে, কুরআন শরীফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি এবং কুরআন কঠোর ভাষার রাস্তা ব্যবহার করেছে।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ১১৫)।
"কুরআন আল্লাহ'র কিতাব ও আমার মুখের কথা।" (দেখুন তাযকিরাহ পৃষ্ঠা ৭৭)।
৭ রাসূল (সাঃ)-এর অবমাননাঃ
"রাসূল (সাঃ)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি। তিনি পূর্ণ প্রচার করেননি। আমি পূর্ণ করেছি।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৭ পৃষ্ঠা ২৬৩)।
ডকুমেন্ট
"আমার আলামত (মুজিজা) দশ লক্ষ"। (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ২১ পৃষ্ঠা ৭২)।
ডকুমেন্ট
" রাসূল (সাঃ) এর মুজিজা (মাত্র) তিন হাজার।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৭ পৃষ্ঠা ১৫৩)।
ডকুমেন্ট
উল্লেখ্য, রূহানী খাযায়েন এর ২১ খন্ডের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে আলামত আর মুজিজা একই।
ডকুমেন্ট (রূহানী খাযায়েন ২১/৬৩ হতে)
"এটা একদম সহীহ এবং বিশুদ্ধ কথা যে, প্রত্যেক ব্যক্তি উন্নতি লাভ করতে পারে। বড় থেকে বড় মর্যাদা অর্জন করতে পারে। হাত্তা কে মুহাম্মদ (সাঃ) চে বিহি বাড় ছেকতা হে। অর্থাৎ এমনকি মুহাম্মদ (সাঃ) থেকেও আগে বাড়তে পারবে।" (দেখুন, কাদিয়ানিদের পত্রিকা 'আল ফদ্বল' নং ৫, জিলদ ১০, তারিখ ১৭ জুলাই ১৯২২ ইং)। প্রিয়পাঠক! চিন্তা করে দেখুন, এর চেয়ে মারাত্মক নবী অবমাননা আর কী হতে পারে?
৮ ঈসা (আঃ) এর অবমাননাঃ
(মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেঃ) "ইউরোপের লোকদের মদ এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কারণ হল, (তাদের নবী) ঈসা মদ পান করত।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা ৭১)।
একই পৃষ্ঠায় আরো লিখা আছে "ঈসা (আঃ) মদ পান করত। হতে পারে অসুস্থতার কারণে কিংবা পুরনো অভ্যাসের কারণে।" নাউযুবিল্লাহ। (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা ৭১)।
ডকুমেন্ট
"স্মরণ থাকা দরকার যে, তাঁর (ঈসা)ও মিথ্যা বলার অভ্যাস ছিল।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১১ পৃষ্ঠা ২৮৯)।
ডকুমেন্ট
"ঈসা (আঃ)-এর অধিকাংশ ভবিষ্যৎবাণী পূরণ হয়নি।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ২২ পৃষ্ঠা ১৮৩)।
উল্লেখ্য, মির্যা সাহেব লিখেছেন - যে ব্যক্তি আপনা দাবিতে মিথ্যাবাদী তার ভবিষ্যৎবাণী কখনো পূরণ হয়না। (দেখুন, আয়নায়ে কামালাতে ইসলাম ৩২৩; রূহানী খাযায়েন খন্ড ৫)। একবার ভেবে দেখুন, মির্যা সাহেবের ছোড়া এই তীরটি কোন দিকে গেল!
"উনার (ঈসা) গালি দেয়ার এবং খারাপ ভাষা ব্যবহারের খুব বেশি অভ্যাস ছিল। সামান্য সামান্য ব্যাপারেই তিনি রেগে যেতেন"। (দেখুন, রূহানী খাযায়েন খন্ড ১১ পৃষ্ঠা ২৮৯)।
"ঈসার তিন (৩) জন নানী আর দাদী ব্যভিচারিনী এবং দেহ ব্যবসায়ী ছিলেন। যাদের রক্তে ঈসার জন্ম।" নাউযুবিল্লাহ। (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১১ পৃষ্ঠা ২৯১; দ্বমীমায়ে আঞ্জামে আথহাম)।
ডকুমেন্ট
"কিন্তু সত্য কথা হল, ঈসার কোনো মুজিজা-ই ছিলনা।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ১১ পৃষ্ঠা ২৯০)।
"কেননা এই মাসীহ ইবনে মরিয়ম স্বীয় পিতা ইউসুফ নাজ্জারের সাথে বাইশ (২২) বছর পর্যন্ত কাঠুরিয়ার কাজ করেছিলেন"। (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ৩ পৃষ্ঠা নং ২৫৪)। মির্যা কাদিয়ানী এই বাক্যে ঈসা (আঃ)-এর পিতা ছিল দাবী করেন! যা পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরান এর ৪৭ নং আয়াতের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।
ডকুমেন্ট
"আমরা ঈসা (আঃ) একজন মদ্যপ আর কাবাবি হওয়া যাকগে মেনে নিলাম, কিন্তু তিনি তো কখনো কখনো শুয়োরের গোস্তও খেয়েছিলেন।" (দেখুন, রূহানী খাযায়েন খন্ড ১২ পৃষ্ঠা ৩৭৩)।
ডকুমেন্ট
৯ হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর অবমাননাঃ
" অতএব এই উম্মতের ইউসুফ তথা এই অধম (মির্যা) বনী ইসরাইলী ইউসুফ (আঃ) অপেক্ষা (মর্যাদায়) এগিয়ে। কেননা এই অধম (মির্যা)'র দোয়াতে কারাবন্ধীর কারামুক্তি হয়েছে আর অপর দিকে ইউসুফ বিন ইয়াকুবকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে।" (দেখুন, বারাহিনে আহমদিয়া, ৫ম খন্ড, রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ২১ পৃষ্ঠা ৯৯)।
ডকুমেন্ট
১০ হযরত মরিয়ম (আঃ)-এর অবমাননাঃ
" দেখ এটা কত যে আপত্তিকর! মরিয়মকে মন্দিরের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল। ফলে সে বায়তুল মুকাদ্দাসের জন্য আজীবনের সেবক হয়ে থাকল। জীবনভর বিয়েও করলেন না। কিন্তু যখন তিনি ছয় মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লেন তখন নিজ সম্প্রদায়ের মুরুব্বীগণ ইউসুফ নাজ্জার নামক একজনের সাথে তাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তিনি (স্বামীর) ঘরে যাওয়ার এক বা দুই মাসের ভেতরই একটি সন্তান হয়ে গেল। সেই সন্তানটিই ঈসা বা ইসোয়া।" (দেখুন, চশমায়ে মাসীহ, রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ২০ পৃষ্ঠা নং ৩৫৫-৫৬)।
১১ পবিত্র হাদীসের অবমাননাঃ
"সমর্থনের জন্য আমরা ওই সব হাদীসও উল্লেখ করি যা কুরআন মোতাবেক এবং আমার ওহীর সাথে সাংঘর্ষিক নয়। এ ছাড়া অন্য সব হাদীসকে ডাস্টবিনের ময়লার মত আমরা নিক্ষেপ করি।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৯ পৃষ্ঠা ১৪০)।
ডকুমেন্ট
১২ মক্কা মদীনার অবমাননাঃ
"ছায়া হজ্জ (কাদিয়ানের জলসা) ব্যতীত মক্কার হজ্জ রসহীন।" (দেখুন পয়গামে সুলহ ১৯ এপ্রিল ১৯৩৩ ইং)।
"এই সরকারের (ব্রিটিশ সরকার) অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনাতেও পাওয়া সম্ভব নয়।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৫ পৃষ্ঠা ১৫৬)।
ডকুমেন্ট
১৩ ব্রিটিশ সরকারের আনুগত্য ইসলামের অংশঃ
"আমি বরাবরই আমার মত প্রকাশ করেছি যে, ইসলামের দুইটি অংশ। প্রথমত আল্লাহর আনুগত্য করবে। দ্বিতীয়ত এই (ব্রিটিশ) সরকারের আনুগত্য করবে যে নিরাপত্তা দিয়েছে। (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ৬ পৃষ্ঠা ৩৮০)।
ডকুমেন্ট
অপ্রিয় হলেও সত্য, মির্যা সাহেব নিজেকে ব্রিটিশের লাগানো চারাগাছ পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। (দেখুন মাজমু'আয়ে ইশতিহারাতঃ খন্ড নং ৩ পৃষ্ঠা ২১)।
১৪ জিহাদের অবমাননাঃ
"আমি বিশ্বাস রাখি যে, আমার মুরিদ (অনুসারী) যেই হারে বাড়ছে সেই হারে জিহাদের উপর বিশ্বাসীর সংখ্যাও কমছে। কেননা, আমাকে মাসীহ মওঊদ এবং ইমাম মাহদী মেনে নেয়াই 'জিহাদ' অস্বীকার করা।" (দেখুন, মাজমু'আয়ে ইশতিহারাত খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ১৯)।
১৫ নবুওত দাবীদারের উপর মির্যা কর্তৃক অভিশাপ অতপর নিজেই নবুওত দাবী করেনঃ
"এটা একদম সুস্পষ্ট যে, আমরাও নবুওত দাবিদারের উপর অভিশাপ করে থাকি।" (দেখুন মাজমু'আয়ে ইশতিহারাতঃ খন্ড নং ২ পৃষ্ঠা ২৯৭-৯৮)।
"আমি হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর পর অন্য যে কোনো নবুওত এবং রেসালত দাবিদারকে মিথ্যাবাদী এবং কাফের মনে করি।" (দেখুন মাজমু'আয়ে ইশতিহারাত খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২৩০)।
ডকুমেন্ট
"আমার দাবী, আমি একজন নবী ও রাসূল।" (দেখুন মালফূজাত [নতুন এডিশন] খন্ড নং ৫ পৃষ্ঠা ৪৪৭)।
ডকুমেন্ট
"সত্য খোদা তো সেই খোদা যিনি কাদিয়ানে আপনা রাসূল প্রেরণ করেছেন।" (দেখুন দাফেউল বালা, রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৮ পৃষ্ঠা নং ২৩১)। উল্লেখ্য মির্যা সাহেব নিজেই নিজের ফতুয়াতে অভিশপ্ত, মিথ্যাবাদী এবং কাফের সাব্যস্ত হলেন।
ডকুমেন্ট
১৬ ঈসা (আঃ)-কে জীবিত ও সশরীরে আকাশে বিশ্বাসকরা শিরক কিন্তু মূসা (আঃ)-কে জীবিত ও আকাশে বিশ্বাসকরা ফরজঃ
(ক) "এ কথা বলা যে, ঈসা (আঃ) মারা যাননি, এটি সুস্পষ্ট শিরিকি কথা।" (দেখুন রূহানী খাযায়েন খন্ড ২২ পৃষ্ঠা ২৬০)।
ডকুমেন্ট
(খ) "ইনি সেই মূসা মর্দে খোদা। পবিত্র কুরআনে যার সম্পর্কে ইংগিত রয়েছে যে, তিনি জীবিত। আমাদের উপর তিনি আকাশে (সশরীরে) জীবিত বিদ্যমান এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেননি এবং মৃতদের অন্তর্ভুক্ত নন, একথায় ঈমান রাখা ফরজ।" (দেখুন, নূরুল হক ১ম খন্ড পৃষ্ঠা নং ৫০; রূহানী খাযায়েন খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯)। স্কিনশট দেয়া হল
প্রিয় সচেতন দেশবাসী ভাই ও বোনেরা! এই তো অতি সামান্য। আরো বহু আপত্তিকর উক্তির প্রমাণ আছে। কিন্তু তার অনুসারী আহমদী বা কাদিয়ানিরা মির্যার বইগুলো পড়ার যোগ্যতা রাখেনা বলেই আজ তাদের নিকট এই উদ্ধৃতিগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
পরিশেষঃ দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমি প্রমাণ করলাম যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন ভন্ড মুরতাদ এবং ব্রিটিশদের লাগানো বিষবৃক্ষ। তাই আমাদের সবার একটাই দাবী, তা হল পাকিস্তান গভমেন্ট ১৯৭৪ সালের ৭ ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের ২৬০ দফা অনুচ্ছেদের যেই ধারায় কাদিয়ানিদের ইসলাম বহির্ভূত অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা দিয়েছিল সেই একই ধারায় এদেশেও অমুসলিম ঘোষণা দেয়া হোক।
(বিঃ দ্রঃ উল্লিখিত উদ্ধৃতিগুলোর প্রমাণ হিসেবে স্কিনশট এখানে ক্লিক করুন)।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।