রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েই জঙ্গি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ কুনীতিকদের শিষ্টাচার শেখাতে নতুন পরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও পরামর্শ দেন। দেশে জঙ্গী তৎপরতা মোকাবিলা এবং তা নিয়ে কুনৈতিকদের অপতৎপরতা তুলে ধরে বুধবার জাতীয় সংসদে এ পরামর্শ দেন বাদল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বাদল টক-শোতে অংশ নেওয়া ব্যাক্তিদেরও সমালোচনা করেন।
শুরুতেই তিনি বলেন, আমার নিজের কাছে প্রশ্ন বাংলাদেশ এখন কোথায় আছে? আমি বার বলেছি, সঠিক পথেই বাংলাদেশ আছে। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আবার কেউ কেউ নতুন নির্বাচনের হেদায়েত করছেন। যারা এসব অনুরোধ করছে তারা কারা। যারা এই নির্বাচনের বিরোধীতা করছে, তারা আমদের দেশের জন্মের বিরোধীতা করেছিল। আন্দোলনের নামে ৪৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হলো, পেট্রোল বোমার মরনৎসব হলো, জনপদ জ্বালিয়ে দিলো, রাষ্ট্রের ওপর বিভসৎ আক্রমণ হলো, নির্বাচনি প্রক্রিয়া ঘুরিয়ে দিতে চাইলো, তাদের ব্যাপারে আন্দোলনকারিরা নিরবতা পালন করছে।যারা সংবিধানে রচিত জাতি সত্মার অস্বীকার করে, যারা মাঝে মধ্যে জঙ্গিবাদের বিপক্ষে সূবচন দেন, অথচ বিশে।বর সর্বত্র জঙ্গিবাদকে উস্কে দেন।
বাদল আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। বিএনপিকে বার বার আহবান জানানো হয়েছে। আসেননি, ভয় দেখিয়েছেন। আমি প্রশ্ন করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী কি করতে পারতেন? পলিটিক্যাল ইসলামের কাছে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে তাকে কি বিসর্জন দিতেন? দারিদ্য সঙ্কুচিত হয়ে ২২ শতাংশে এসেছে, সেখন থেকে কি পিছিয়ে আসতে পারতেন? তিনি প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, পলিটিক্যাল ইসলাম সারা বিশ্বে কি করেছে? ইজিপ্ট, পাকিস্তান, সুদান আলজেরিয়াকে কি করেছে? মওদুদীবাদেরও সমালোচনা করে বাদল বলেন, তিনি ছিলেন সাইয়েদ কুতুব, হাসান আল বান্নার পলিটিক্যাল ইসলামের অনুসারি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সমালোচনা করে বাদল বলেন, ‘ওনি শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছেন। নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ করব তাকে শিষ্টাচার শেখানোর জন্য।তিনি আরও বলেন, আপনাকে মনে করে দিতে চাই। আব্রাহাম লিংকন কেন সেদিন ঐক্য করতে পারেন নি। সিভিল ওয়ারে যে পরিমাণ মানুষ মরেছে যুদ্ধেও তা মরে না। আব্রাহাম লিংকন যদি সেদিন সিদ্ধান্ত নিতে না পারতেন তাহলে আজকে একক আমেরিকার যে অহংকার করে সেটি কিভাবে পেতেন তারা! দুটি আমেরিকা হতো।