
আগামী তিন বছরের মধ্যে বিপ্লবী সরকার গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা রিপ্লেস হবে। জানেন তো গণতান্ত্রিক কাঠামোতে চাইলেই সবকিছু করা যায় না। চাইলেই বড় কোন নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে পারবেন না, হত্যা কিংবা গুম করতে পারবেন না; অপরাধী হলেও না। এমনকি বর্তমানে হয়তো বাংলাদেশ তার চিরায়ত গণতান্ত্রিক পরিবেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। যাইহোক, মূল কথায় আসি।
ওবায়দুল কাদের একজন ফুলটাইম পলিটিশিয়ান, সালমান এফ রহমান ব্যাবসায়ী। তারা এই দেশ ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না, দেশেই থাকছেন। সালমান এফ রহমানের ব্যাবসা আছে, অন্যান্যদের আছে রাজনৈতিক প্রভাব। বিপ্লবের জোয়ার ছাড়া এগুলোকে আপনি নস্যাৎ করতে পারবেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক সরকারের পরিবর্তন হলেও আমলাদের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি, অভ্যন্তরীণ সরকারের স্ট্রাকচারাল ড্যামেজ হয়নি। আর একারণেই সাবেক প্রধান বিচারপতি ক্যু'য়ের ডাক দেওয়ার সাহস পান।
তারা হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন কিংবা পরিস্থিতি আর আগের ফর্মে ফিরবে না বলে পালানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
একসাথে সব আওয়ামী নেতা ধরা পড়া কোন কাকতালীয় ব্যাপার না। কেননা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি তাদেরকে জেলে ঢুকাবেন ঠিক, কিন্তু সরাসরি হত্যা করতে পারবেন না৷ সেটা কেবল ৬-৭ই আগস্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় সময় সম্ভব ছিল।
তাদের নিকট হয়তো একের অধিক প্লান ছিল। ধরা পড়লে কী হবে কিংবা পালিয়ে যেতে পারলে কী হবে তার উওর জানা ছিল। তারা ধরা পড়েছেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। তারা গুম কিংবা হত্যার স্বীকার হননি। আদালতে তাদের পক্ষে ফাইট করার জন্য আইনজীবীর কমতি হবে না।
তবে আওয়ামীলীগের পরিণতি কী হবে তা সময়ই বলে দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


