
ব্যাবসা করার উদ্দেশ্যে প্রথমে কুঠি নির্মাণ করেছিল বণিকেরা, তারপরের ইতিহাস আপনারা সবাই জানেন।
পৃথিবীর এলিট ক্লাস বা স্বাধীন রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারে এমন দেশের সংখ্যা খুবই সীমিত, যদিও কাগজে কলমে বলা হয় স্বাধীন। যাইহোক, বন্দর নিয়ে কথা হচ্ছে। চট্টগ্রাম পোর্ট আমেরিকান কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার কথা হচ্ছে, আমি বলবো পায়তায় চলছে। কেননা সব খরচ বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম পোর্টের বাৎসরিক আয় এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা। পাটকল কিংবা চিনিকলে লস থাকলেও, পোর্ট হচ্ছে লাভজনক ব্যাবসা। এর চাইতে বড় বিষয় পোর্ট জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। স্বাধীন দেশের পোর্ট সেই দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকাই যথার্থ।
কিন্তু বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে ভারতের স্থলে আমেরিকার হিস্যা দরকার, লাভ দরকার। আর এই লাভের অংশ পেতে চায় আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি।
যারা আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানির ইতিহাস পড়তে চান, শুধু কলা যুদ্ধ বা Banana War লেখে সার্চ করুন, পেয়ে যাবেন।
চিটাগং পোর্ট বড়জোর বিদেশী কনসালটেন্সি ফার্ম নিয়োগ করতে পারতো, যাতে পোর্ট ব্যাবস্থাপনাকে উন্নত করা যায়। দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট পরিচালনায় দায়িত্ব বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার মানে হলো ন্যাশনাল সিক্যুরিটি কম্প্রোমাইজ করা।
যারা বলছেন অন্যসব দেশ, তাদের বলি, পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশের আছে-টা কী? জার্মানি কিংবা জাপানের মতো দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি কোথায় খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
-
খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গি এলো দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিব কিসে?
ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


