somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আমি প্রথম আলোর সাংবাদিক"

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পোস্টিং। প্রতিদিনকার মতো সেদিনও ইনডোর রাউন্ড শেষ করে এসে আউটডোরে রোগী দেখতে বসেছি। হাসপাতালে তখন আমিই একমাত্র ডাক্তার। যা ভাবছেন তা না। ভাবছেন অন্য ডাক্তাররা ফাঁকি দিয়ে ঢাকায় গিয়ে বসে আছে নিশ্চয়ই। তা না। তখন ঐ হাসপাতালে আমিই একমাত্র ডাক্তার হিসেবে পোস্টেড ছিলাম। এরকম আমাকে ২ বছর ৮ মাসের চাকরী কালে অনেক সময়ই থাকতে হয়েছে। তো সেদিন যথারীতি চারপাশে ২০-২৫ জন রোগী টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। দম ফেলানর সময় নেই। একটার পর একটা রোগী দেখে প্রসক্রিপশন লিখে দিতে হচ্ছে। কতটুকু সময় দেওয়া যায় সেটা আপনারাও বুঝতে পারবেন। যাই হোক, এসব কথা বলার জন্য শুরু করি নাই।

রোগী দেখার ফাঁকে হঠাৎ দেখি একজন ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করছে। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। উনাকে থামতে বলে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কে? ভিডিও কেন করছেন? উনি বেশ ভাব নিয়েই বললেন- আমি প্রথম আলোর সাংবাদিক। শুনে আরও মেজাজ খারাপ হোল। কেন? সেটা অন্য আরেকদিন বলবো। আমি বললাম- আপনি যেই হন না কেন, একজন মানুষের ছবি তুলতে গেলেও তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়, সেখানে আপনি রীতিমতো ভিডিও করা শুরু করেছেন। আপনার সংবাদ পত্র কি আপনাকে এই মিনিমাম এটিকেটটাও শেখায় নাই? সংবাদ সংগ্রহ করাই আপনার কাজ। কিন্তু সেটা নিশ্চয়ই এইভাবে না? উত্তরে উনি যা বললেন তা মোটামুটি এই দাঁড়ায় যে উনি যেহেতু প্রথম আলোর সাংবাদিক তাই উনার ধারণা ছিল যে আমি উনাকে চিনবো। তাই উনি অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে উনাকে চিনে রাখা...

বিগত কিছুদিনে ডাক্তার সাংবাদিক ক্যাচালের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক একটি নিয়ম জারী করেছেন যে, ঢাকা মেডিকেলে কোন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে ঢুকতে চাইলে তাকে পরিচালকের অনুমতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। পরিচালকের অনুপস্থিতিতে, অর্থাৎ অফিস আওয়ারের পর হলে তাকে দায়িত্বরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। এই নিয়মে আমাদের সাংবাদিক মহল বেজায় চটেছেন। উনারা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই নিয়ম বাতিল না করা হলে। কিন্তু আমি অনেকবার ভেবেও বের করতে পারলাম না, এখানে অন্যায় কি করা হয়েছে? আপনাদের সংবাদ পত্র অফিসে কি যে কেউ হুট করে ঢুকে তার যা তথ্য প্রয়োজন সেটা নিয়ে আসতে পারে? আমি ঠিক জানিনা। যেহেতু কোন সংবাদ পত্র অফিসে সেভাবে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। একটু জানাবেন কেউ প্লীজ?
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×