somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

The Difference Between Amateurs and Professionals

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেন এরকম হয় যে কিছু লোক ব্যপকভাবে সফল হচ্ছে এবং সাথে অনেক কাজই করছে যেখানে কিনা আমাদের অধিকাংশই প্রচুর খেটেও কোন উন্নতি দেখছি না? উত্তরটা জটিল আর সম্ভবত বহুমুখী।

একটা দিক হল মানসিকতা - ঠিক করে বলতে গেলে, অ্যামেচার আর প্রফেশনাল এর মধ্যে পার্থক্য।আমরা বেশিরভাগই অ্যামেচার।
পার্থক্যটা কি? আসলে, অনেক পার্থক্যই আছেঃ

=> কোন কিছু অর্জন করতে পারলেই অ্যামেচার থেমে যায়(সে ভাবে আমি তো বিরাট কিছু করে ফেলেছি)। প্রাথমিক অর্জন যে শুরুমাত্র সেটা প্রফেশনলারা ভালমতই বুঝে।

=> অ্যামেচারদের একটা লক্ষ্য থাকে। আর প্রফেশনালরা থাকে প্রসেস নিয়ে।

=> অ্যামেচাররা ভাবে তারা সবকিছুতেই পারদর্শী। নিজেদের দক্ষতার সীমাগুলো( circles of competence) প্রফেশনালরা বুঝে।

=> ফিডব্যাক আর দিকনির্দেশনা পেলে অ্যামেচাররা মনে করে তাদের সমালোচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রফেশনালরা জানে যে তাদের উইক স্পট আছে আর তারা গঠ্নমূলক সমালোচনা খুজে।

=>অ্যামেচাররা পারফর্ম করলে সবচেয়ে ভালটাই আমলে নেয়। চিন্তা করেন এমন একজনের কথা যে কিনা কঠিন ক্যাচগুলার মধ্যে একটাই ধরতে পারছে। প্রফেশনালরা নিয়মিত হওয়ার দিকে নজর রাখে। তারা চিন্তা করে, এই একই কঠিন ক্যাচটা ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই ধরতে পারব কিনা?

=>অ্যামেচাররা ঝামেলা হওয়ার প্রথম লক্ষণ দেখামাত্রই হার মানে আর মনে করে তারা ফেল্টুস। প্রফেশনালরা ব্যার্থতাকে সফল ও পারদর্শী হয়ে উঠার অংশ মনে করে।

=>অ্যামেচাররা প্রাকটিসকে হালকাভাবে নেয়। প্রাকটিসে যা হবে সেটাই যে বাস্তবে কাজে আসবে তা প্রফেশনালরা বুঝে।

=>অ্যামেচাররা নিজেদের দুর্বলতা খুজে তা ইম্প্রুভ করার উপর নজর দেয়। প্রফেশনালদের নজর থাকে নিজেদের শক্তির উপর আর তাদের নিজেদের উইক পয়েন্টগুলোতে যেসব লোকেরা শক্তিশালী তাদের খুজে।

=> অ্যামেচাররা মনে করে জ্ঞানই শক্তি। প্রফেশনালরা বিচক্ষণতা আর উপদেশকে দাম দেয়।

=>অ্যামেচাররা যথাযথ হওয়ার উপরই নজর দেয়। প্রফেশনালরা সবচেয়ে ভাল ফলের উপর ফোকাস করে।

=>অ্যামেচাররা first-level thinking এর উপর নজর দেয়। প্রফেশনালরা second-level thinking এর উপর।

=>অ্যামেচাররা মনে করে ভাল ফল হচ্ছে তাদের ব্রিলিয়ান্সের ফসল। কখন দৈবগুণে ভাল ফলাফল আসে প্রফেশনালরা সেটা বুঝে।

=> অ্যামেচাররা শর্ট টার্ম এর উপর নজর দেয়। প্রফেশনালরা লং টার্ম এর উপর।

=> >অ্যামেচাররা অন্যদের নিচে নামাতে চায়। প্রফেশনালরা সবাইকে সফল করার দিকে নজর দেয়।

=>অ্যামেচাররা কয়েকজন মিলে কমিটির মত করে সিদ্ধান্ত নেয় যাতে ব্যার্থ হলেও একজনের উপর দোষ না পড়ে। প্রফেশনালরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়। ব্যর্থতার দায়িত্বও সেই নেয়।

=> অ্যামেচাররা অন্যকে দুষে। প্রফেশনালরা ব্যর্থতা মেনে নেয়।

=> অ্যামেচাররা অনিয়মিত। প্রফেশনালরা প্রতিদিনই এগিয়ে চলে।

=> অ্যামেচাররা তাড়াহুড়া করে আগায়। প্রফেশনালরা আগায় আরো উন্নতির দিকে।

=>প্রথম কোন আইডিয়া মাথায় আসার সাথে সাথেই অ্যামেচাররা সেটা বাস্তবায়ন করে। প্রথম আইডিয়া যে খুব কম সময়ই সর্বোৎকৃষ্ট আইডিয়া হয় সেটা প্রফেশনালরা বুঝে।

=>অ্যামেচাররা এবসোলিউট(absolute) এর কথা বিবেচনা করে। প্রফেশনালরা করে প্রোবাবিলিটির(probability) কথা।

=>অ্যামেচাররা ভাবে যে, তাদের দ্বারা সবচেয়ে ভালো আইডিয়া পাওয়ার সম্ভাবনার পরিমাণ খুব জোরালো। প্রফেশনালরা নিজেদের ব্যাপারে এর উল্টোটা ভাবে।

=>অ্যামেচাররা মনে করে, বাস্তবতা হল তারা যা দেখতে চায় সেরকমই। যা সত্য তাই বাস্তবতা- এটা প্রফেশনালরা জানে।

=> মতের অমিল হওয়াকে অ্যামেচাররা হুমকি হিসেবে ভাবে। প্রফেশনালরা এটাকে আরোও শিখার সুযোগ হিসেবে দেখে।



এই লেখাটি এই আর্টিকেল এর অনুবাদ প্রচেষ্টা মাত্র। তো পাঠক, কি কি মনে আসতাছে? আপনি অ্যামেচার নাকি নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে ভাবেন? উক্ত পয়েণ্টগুলোর বাইরেও কি আরো কিছু আছে? অনুবাদ কেমন লাগল? উত্তরের অপেক্ষায় আছি......







সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×