মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের কি আর কোনও যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই ?
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরেই সব নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে ?
শান্তির কপোত এসে বাংলাদেশের সীমানায় 'চিরশান্তি'-র নিশ্চয়তা দিয়েছে ?
তাহলে মিয়ানমার আজ চোখ রাঙায় কেন ? সীমান্তে বাংলাদেশীদের কেন বিচার ছাড়া মরতে হয় ? ইইউ তখন কই থাকে ? সারা বছর যারা বাঙালি বাঙালি বলে চিৎকার চেঁচামেচি করে, নাট্য উৎসব, বারো মাসে তের পার্বণের মচ্ছব বইয়ে দেয়, সেই সব বাঙালি দরদিরা কেন একটিবারও এ নিয়ে কথা বলে না ? উল্টো পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের বিরুদ্ধেই রাত-দিন কথা বলে ! সমস্যা সমাধান তো এদের উদ্দেশ্য নয়, আরও জট পাকানোই যেন আজন্ম সাধনা ।
শুধু নাটক, মেলা, কবিতা, পার্বণ নিয়ে থাকলেই কি একটি জাতির সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ? তার নিরাপত্তা সঙ্কট থাকতে পারে না ! এমন একটি আবহ তৈরির চেষ্টা চলছে যেন আমরা বাংলাদেশীরা শুধু সংস্কৃতি চর্চা করব, আঁৎলামি করব ; যদি কেউ আমাদের নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করে তখন... সঙ্গীত গাইব, তা শুনে সীমান্তে গুলি ছোড়া বন্ধ হয়ে যাবে, সমুদ্রে মিয়ানমার যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে না । ওরা সবাই বলবে.... দেখো দেখো, বাঙালিরা কত সংস্কৃত, কি সুন্দর... সঙ্গীত গায়, কত সুন্দর নাটক করে, আহা হা !! বেচারাদের মেরো না, গুলি ছুড়ো না, চলো ঢাক-ঢোল মন্দিরা বাজিয়ে ওদের সমুদ্র এলাকা ফিরিয়ে দিয়ে আসি !!!
প্রশ্ন গুলি কপি করা , তবে উত্তর আমিও খুঁজছি ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৫