somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুস বনাম গ্রামীণ ব্যাংকের ডঃ ইউনুস

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষের দ্বৈত সত্তা থাকতেই পারে। বলা হয়ে থাকে একজন সাধারণ মানুষ যখন খুন করে অথবা যখন সে খুনি হয়েই যায়। তার আর বোধ শক্তি থাকে না! ধরে নিন আপনি অনেক অনেক ধনী একজন মানুষ এবং আপনার অনেক অনেক সম্মান সমাজে। আপনি আপনার অবস্থান ধরে রাখতে চেষ্টা করবেন বৈ তা কমিয়ে ফেলতে চাইবেন না। এর বাইরেও কথা আছে আর তা হল- একজন জ্ঞানী মানুষকে অর্থ দেয়া হল উনি জ্ঞানার্জনের জন্যই আগে চেষ্টা করবেন, আর যে ব্যবসায়ী সে অর্থ দিয়ে তিনি তার ব্যবসাই বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এ নিয়ে প্রবাদ সম একটি গল্পের কথা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন।আমাদের ইউনুস কোন দিকে যাচ্ছেন তা এই মুহূর্তে পরিষ্কার পানির মতন টলমলে। উনি বিদেশীদের দ্বারস্থ হচ্ছেন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্তৃত্বের জন্য!

সব কিছু মিলেই আমি অর্বাচীন জানার চেষ্টা করছি আসলেই আমাদের নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুস কোন দিকে যাচ্ছেন। ফলাফল আমি এখন হতাশার সাগরে ডুবে যাচ্ছি বৈ ভাসছি না। দেশটা তো আর ডঃ ইউনুস আর সরকারের একার না। এ দেশ আমাদের সবার। আফসোসের কথা হচ্ছে সরকার শেষ পর্যন্ত বিচার ব্যবস্থার দিক নির্দেশনা অনুসরণ করার চেষ্টা করছে আর আমাদের ইউনুস চেষ্টা করছেন বিচার ব্যবস্থাকে হেলা করে বিদেশীদের দিয়ে হুমকি প্রদর্শনের!

প্রবাসে থাকা অনেকেই বলে থাকেন- আমাদের অর্জন আর সম্মান আর পরিচিতি একটি বড় মাধ্যম এখন ডঃ ইউনুস। সে কথাও অনস্বীকার্য। কিন্তু নিজ ব্যক্তি-স্বার্থকে বড় করে দেখা আমাদের ইউনুসকে এখন আমাদের ইউনুস ভাবতে আমাদের কষ্ট হয়ে। যখন দেখি আমাদের ইউনুস দেশের জনগণকে সাথে না নিয়ে, দেশের জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা না করে, দেশের সুশীলদের আগে ঐক্যবদ্ধ না করে, দেশের গণমাধ্যমকে সাথে না নিয়ে, যে দেশের নাগরিক তিনি সে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে অঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিকার ভাবে দৌড়াতে থাকেন বিদেশে। তখন আমি আমজনতার অবাক লাগে, আমি বিস্মিত হই, আমি ব্যথিত হই, আমি আশংকা করি, এই নোবেল দিয়ে যা অর্জন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ক্ষতি আমাদের ইউনুস মাননীয় নোবেল লরিয়েট নিজ হাতেই করে দিলেন! তিনি পারতেন দেশে থেকেই দেশের মানুষকে নিয়েই প্রতিবাদ করতে। তিনি পারতেন ব্যাপারটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে। তিনি পারতেন নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংক এর মতন উনার অনেক প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে একটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে, বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়ে, নিজেকে আরও আরও অনেক উচ্চ আসনে সামিল করতে। কিন্তু কি এক অদৃশ্য ইশারায় উনি ব্যাপারটি অনেক অনেক ঘোলাটে করেই ফেললেন!

তাই সে গল্পের ব্যবসায়ীর মতন একজন ডঃ ইউনুসকে আমরা পাচ্ছি, যিনি কিনা অর্থ এর জন্য নিজেকে মহানুভব করে তোলার চেষ্টা করেন নি। আমরা নোবেল লরিয়েট, একজন জ্ঞানী, একজন সম্মানীয়, একজন দেশকে বিশ্বের দরবারে উঁচু করে তোলার মতন ডঃ ইউনুসকে বোধহয় হারাচ্ছি। আমার শঙ্কা সে জায়গাটিতেই।

গায়ের জামা যতই দামী আর মহামূল্যবান হোক না কেন। সে জামায় যদি ক্ষতি হয় তাতে যে পরিধান করে সে বোকা হলে তা পরিধান করবে। ডঃ ইউনুস সর্বোপরি আমাদের মহান ডঃ ইউনুস দেশের জন্য দামী এবং মহামূল্যবান পরিধেয় একটি অলংকার এবং একটি জামা। সে জামাকে ভর করে এ রাষ্ট্রের যদি ক্ষতি হয়েই যায়, আপনি তা সমর্থন করতে পারেন আমি তা সমর্থন করতে পারি। সবাই কি তা সমর্থন করবে? একটু নিচের তলার মানুষদের ভাবনাগুলো নিয়ে বিচার করেই দেখেন, যারা এ রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর যাই করেন মাননীয় ডঃ ইউনুস দেশকে মাথার উপর রাখবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি, পায়ের তলায় না!

কেউ কি বলতে পারবেন নোবেল লরিয়েট এর সম্মান বড় নাকি গ্রামীণ ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ? মালয়েশিয়ার কিংবদন্তি প্রধানমন্ত্রী ডঃ মাহাথির মোহাম্মদ চাইলেই আমৃত্যু থাকতে পারতেন সে দেশের সর্বোচ্চ পদটিতে আসীন থাকতে। তিনি তা করেননি। নতুন নেতৃত্ব আর নতুন সৃষ্টিকে উদ্ভাসিত করার, অনুপ্রাণিত করার দৃষ্টান্ত তো মহান ব্যক্তিরাই করবেন। আমাদের ডঃ ইউনুসকে মনে রাখতে হবে উনি আমাদের কাছে মহান। উনি গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ের উর্ধেব উনি এখন একজন নোবেল লরিয়েট।

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×