একটা কাজে মালেশিয়া গিয়েছিলাম। যদিও এর আগে আরো ২ বার গিয়েছি বেড়াতে কিন্তু এবারের যাওয়া ছিল অন্য রকম। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা হওয়ার কারণে মালেশিয়ার ভিসা পেয়েছি মাল্টিপল+১ বছর। বর্ডার কান্ট্রি হিসাবে যখন তখন যাওয়া আসার সুবিধার্থে............। আমার বস্ তো গাড়ীর তেল ভরতেও ওপারে চলে যাই। অর্ধেকেরও দাম কম।
এবারের ভ্রমনটা কাজ নিয়ে গেলেও ঘোরা-ফেরাতো হয়েছে। চোখে পড়েছে নেতিবাচক দিকগুলো। এবারই প্রথম আমাদের দেশের ওয়ার্কারদের সাথে দেখা করা বা তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল।
এটিএন বাংলায় প্রচার হওয়া "তোমার দোওয়ায় ভালো আছি মা" এর বাস্তব চিত্র দেখলাম। নাটকটি ওখানে ভীষণ জনপ্রিয়। কেউ নিজেকে হালকা করবার জন্য কাঁদতে চাইলে ইচ্ছে করেই নাটকটি দেখে আর কাঁদে। শত যন্ত্রণার মধ্যে তাদের বাস্তব সমস্যা বা অবস্থাটা নিয়ে নাটক নির্মান করেছে তাতে তাদের গর্বের শেষ নেই।
নাটকটি বাংলাদেশে বসে যখন দেখেছি তখন মনে হয়েছিল, অতিরঞ্জিত কিছু। কিন্তু বাস্তবে যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে প্রতিটি দৃশ্য-রই রেফারেন্স আছে পরিচালকে কাছে। যেমন এয়ারপোর্টে ওয়ার্কারদের নিতে না আসার ঘটনা মালেশিয়া+সিঙ্গাপুরের পত্র পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছিল। ৩/৪ দিন না খেতে পাওয়া বাঙালীদের শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাঙালীরা চাঁদা তুলে চিড়া খাইয়েছিল ইত্যাদি।
সব দেখে মনে হলো সিঙ্গাপুরের ওয়ার্কাররা হাজার গুণে ভালো আছে তবে এর জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের দুরদর্শীতা স্বীকার করে এখানকার সবাই। যেমন ওয়ার্কারের লেভী এখান কার সরকার কোম্পানীর দায়বদ্ধতা করে দিয়েছে। কিন্তু মালেশিয়াতে ওয়ার্কারদের ওপর দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের সরকার সর্বনিম্ন পে ১৪ ডলার দিন প্রতি নির্ধারিত করেছে যা দৈনিক ৮ ঘন্টা ও শনিবার অর্ধেক এবং রবিবার ছুটি প্রাপ্তীর শর্ত সাপেক্ষে। অর্থাৎ সবচেয়ে নীচের লেবেলের কাজ যেমন ক্লিনারের কাজ....ইত্যাদি। এর উপরেতো বিভিন্ন পে সিস্টেম আছে।