ভিলেনরা বার বার ক্রিমিনালী করে দর্শকদের বিরাগভাজন হয়। সবশেষে বার বার ক্রিমিনালী করবার জন্য ধরা পড়েন এবং সিনেমা শেষ হয়। সিনেমার কাহিনী যেমন পরিচালকের হাতে নিয়ন্ত্রিত তেমনি আমাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও একজন পরিচালক নিয়ন্ত্রন করছেন। তিনি হচ্ছেন সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা "আল্লাহ"। কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে? আর মারে আল্লাহ রাখে কে?
গুলতেকিনের সংসার ৩০ বছরের এবং ৪টি সন্তানের জননী তিনি। একটি নারীর জন্য এই হিসেবটি একেবারে কম কিছু নয় মন্তব্য করাটা অন্যায় হবে জানি, তবে শাওন নামের ভিলেনটি গুলতেকিনের সংসার জীবন ৩০ সংখ্যাটি অতিক্রম করতে দেয়নি তার সাথে তুলনা আমি করতেই পারি। শাওন কি পেল? মাত্র ১০ বছরে সেও স্বামী হারা। সন্তান ২ টি মাত্র। জীবন যুদ্ধের অনেক কিছুই তার এখনো বাকী।
শাওন পারতো হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া জীবনটাও সুন্দর করে চালাতে। স্যারের সম্মান এর নিজের সাথে সম্মানও উপরে উঠাতে পারতো সে। কিন্তু ভিলেনরা তো তা পারবে না। ক্রিমিনাল ব্রেন যাদের তারা কি মহৎ চিন্তা করতে পারে? পারে না। যদি সে বলতে পারতো যে, হুমায়ূন আহমেদ এদেশের ইতিহাসে একজন উজ্জ্বল তারকা। মৃত্যু পরবর্তী হুমায়ুনকে জাতি স্মরন করবে শ্রদ্ধাভরে। সুতরাং দেশের সরকার এই বরেণ্য লেখকের কি মর্যাদা দিতে চায় এবং তার প্রাপ্তবয়ষ্ক সন্তানদের কি মতামত তার উপর নির্ভর করে দাফনের সিদ্ধান্ত নিন।
তাহলে বাকী জীবনটা হয়তোবা শীলা, শাওন, নুহাশদেরকে আমরা একই সাথে দেখতে পেতাম। স্যারের আত্মাও নিশ্চয় শান্তি পেত। এভাবে শাওনকে সবাই ক্ষমা করার সুযোগ পেত।
কিন্তু এখন শুধুই গালাগালি ছাড়া আর কিছুই সে পাবেনা। দেখা যাবে ৫/১০ বছর পর স্যারের কবর স্থানন্তর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুলের কবরের পাশে তাকে রাখা হচ্ছে। এটি অসম্ভব কিছুই নয়। স্যারের ভক্তকুলের সংখ্যা কম নয়। একজন ডাইনী কতবছর আর আমাদের কাছ থেকে আমাদের প্রিয় মানুষ লুকিয়ে রাখবে?
খুবই হাসি পাই আমার যখন ভাবি ডাইনীটি মূর্খও বটে। তানাহলে যে নুহাশপল্লীতে স্যারের দাফন করার সিদ্ধান্তে তুই অনড়, কে এই নুহাশ? কেন স্যার জায়গাটির নাম নুহাশপল্লী রাখলেন। নুহাশের অধিকার কত বড় তা কি তুই অস্বীকার করতে চাস? নুহাশপল্লীতে নুহাশের বাবার দাফন হবে কি না সে ব্যাপারে নুহাশের মতামতের মূল্য অনেক বেশী। নাকি ডাইনিটি এবার নুহাশপল্লীর নাম বদল করে ফেলবে। একটা না একটা কেলেংকারী তো সে করবেই। কাহিনীর শেষ তো হবেই........