somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজও আমি নেতা খুঁজি- আমার (নতুন প্রজন্ম) রাজনীতি ভাবনা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বয়স এখন ৪০। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে আমি স্বাধিনতা যুদ্ধ দেখিনি এবং জ্ঞান যখন হয়েছে তখন হয়ত ১৮/২০তম স্বাধীনতা দিবসে স্কুলের অনুষ্ঠানে একজন সাধারন ছাত্র হিসাবে যোগদান করছি। বাকীটুকু মা-বাবা আর আত্নীয় স্বজন এবং বইয়ের পাতা থেকে জানা।
যাই হোক, সাধারন জনগণ পর্যায়ে দেশ নিয়ে ভাবনা ঢুকিয়ে দেন রাজনীিতবিদরা। যেমনটি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমার বয়সী সকলেই হয়তো প্রথমবারের মত একটি অসহযোগ আন্দোলন কাকে বলে, আন্দোলন কখন এবং কেন করা হয়, আন্দোলনে দেশের লাভ-ক্ষতি ইত্যাদির বাস্তব অভিজ্ঞতা করার সুযোগ পায়। তখন গণতন্ত্র কত প্রকার জানিওনা। উত্তরী, দক্ষিণা, পূবের অথবা পশ্চিমা গণতন্ত্র বুঝবার মতো বয়স তখনও হয়নি আমার। শুধু স্বৈরাচার নিপাত যাক আর গণতন্ত্র মুক্তি পাক এতটুকুকেই সমর্থন দিয়েছি আর এক বুক আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি শুধু বইয়ের লেখা আমাদের দেশ সুজলা-সুফলা শষ্য শ্যামলা নয়, বাস্তবে পৃথিবীর সকলের সেরা হবে আমাদের দেশ। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার আর গম চুরি করবেনা। চাকুরী চাইতে গেলে আর ঘুষ দিতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করলেই চাকুরী নিশ্চিত। খুনা-খুনি আর লাঠা-লাঠি বন্ধ হবে ইত্যাদি।
আমার বাবা সরকারী চাকুরে ছিলেন। বিধায় এরশাদ সরকােরর অামলে সরকারী বাসভবনেই আমার বেড়ে ওঠা। অথবা যে কোন কারনেই হোক এরশাদ সরকারে প্রতি আমার একটা মৌন সমর্থন বা েয কোন ধরণের দূর্বলতা ছিল। তখন বিএনপি বা আওয়ামী লীগ অথবা হাসিনা-খালেদা বুঝতাম না। জিয়াউর রহমান যখন মারা যান আমি সম্ভবত দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। যাইহোক, একমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাছে স্বৈরাচারীত্বকে কোন যুক্তিতেই গ্রহনযোগ্য করতে পারিনি বলেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলকে সমর্থন দিয়েছি এবং পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি।
অথচ সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খেলাম যখন দেখলাম হাসিনা-খালেদা রাজনীতিটা হিংসায় ভরা রাজনীতি। একজন বা একদল আরেকজন বা আরেকদলের প্রতি কোন রকম সহনশীল আচারণ করতে পারেনা। এই অবস্থা দিন দিন এতো খারাপের দিকে গেলো যে, দলীয় সমর্থকদের মধ্যে তা এক ধরনের রোগের মতো ছড়িয়ে গেল। বিএনপি-র কেউ আওয়ামীলেগের ভালো কিছুই দেখতে পায় না আবার আওয়ামীলীগের সমর্থকরা বিএনপির ভালো কিছুই তাদের চোখে পড়েনা। দেশের উন্নতি দূরে থাক, উন্নতি হলো দূর্নীতির, উন্নতি হলো খুনা-খুনির সংখ্যা, সামাজিক ব্যধি হিসাবে আত্নীয়স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে শুরু হলো শত্রুতা আওয়ামীলীগ বা বিএনপি সমর্থন করে এই বিচারে। দূর্নীতির প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হলেন দুই দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং তাদের চেলারা। দূর্নীতির কারণে এক সরকার পরিবর্তন করে জনগণ আরেকজনকে আনলে পূর্বের থেকে আরো বেশী দূর্নীতি করে নতুন সরকার। জনগণের সমর্থনকে বিন্দুমাত্র সম্মান না করে পাঁচ বছরে অভুক্ত একটি দল হাঙ্গরের ন্যায় খাওয়া শুরু করে।
আমি সব চেয়ে চেয়ে দেখি, আমার বয়স বাড়তে থাকে, জ্ঞান-বুদ্ধিও বাড়তে থাকে। কোন নেতা খুঁজে পাইনা নিজের নীতির সাথে মেলে এমন, তাই সরাসরি কোন রাজনীতিতে নিজেকে জড়াইনি। এরশাদকে নামিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার গদিতে বসতে চাওয়া দুই নেত্রী ও তাদের দল তখন আমার কাছে শুধু ক্ষুধার্ত দুই হাঙ্গর ছাড়া আর কিছু না। স্বৈরাচার নিপাক যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগানটি সম্পূর্ণ ভাবে একটি ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। আর ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্য দেশকে উন্নয়ন করা নয় নিজের আখের গোছানো এটায় আমার বিশ্বাসে পরিণত হতে থাকে। অামার অনেক আত্নীয় এবং বন্ধুরা সরাসরি বিএনপি বা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত। কিন্তু আমি নিজেকে সবসময় নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। বিএনপির ভালো দিকগুলো সবসময় আমি ভালো বলার চেষ্টা করেছি আমার খারাপগুলোকে প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে, আওয়ামীলীগের ক্ষেত্রেও আমার অবস্থান একই।

আমার বিশ্লষণে দুই দলই কম-বেশী দোষে-গুণে সমান। আওয়ামীলীগের এবং তাদের দলের নেত্রী থেকে শুরু করে প্রান্তিক নেতাদের যত দোষ আছে, বিএনপি-র মধ্যেও তাই অাছে। আবার বিএনপি এবং তাদের দলের নেত্রী থেকে শুরু করে প্রান্তিক নেতাদের যত গুন বা ভালো কাজের উদাহরন আছে তা আওয়ামীলীগেরও আছে। আমার বিচারে এরা রাষ্ট্র পরিচালনায় বারবার নিদারুনভাবে ব্যর্থ। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো দূর্নীতি, সম্পদের লোভ আর হিংসা। আমার বন্ধুরা স্মরণ করতে পারে আমি ভবিষ্যবাণী করতাম যে এ থেকে এরা বের হতে পারবে না সুতরাং এদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অনিশ্চিত। আমার অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের তখন নেতৃত্ব গ্রহনের সময় এসেছে। সমাজ ও সংসারে দায়িত্ব তখন একটু একটু নিতে শুরু করেছি। রাজনৈতিক বিতর্ক তখন শিরায়-শিরায়। মুখে ফেনা উঠে যায় যে কোন আলোচনায়। সবখানে একই অবস্থা বিএনপি-আওয়ামীলীগ। আমিই থাকি নিরপেক্ষ সুতরাং মধ্যস্ততাকারী হিসেবে জমে ওঠে তর্ক।
আমার সবসময় মনে হতো এই দুই নেত্রীকে দিয়ে কিছুই হবে না। কারণ এরা কেউ রাজনীতি করবে বা রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নিবে এভাবে নিজেকে কখনও প্রস্তুত করেনি। দলীয় স্বার্থে হোক আর ব্যক্তি স্বার্থে হোক এরা ভুলভাবে পরিচালিত (Misguide) হতে হতে রাজনীতি শিখছে তাদেরই দলের জৈষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে। আমি স্বপ্ন দেখতাম নতুন প্রজন্মের মধ্যে থেকে কেউ একজন আসবে আমাদের উদ্ধার করতে। কেউ হালধরবে তিলে তিলে ধ্বংস করে ফেলা আমার সোনার সম্ভবানাময় বাংলার। অবশেষে দেখলাম আমার সকল চিন্তা ও ভবিষ্যবাণী যেভাবে বন্ধুদের কাছে একে একে সঠিক প্রমাণিত হতে থাকলে তেমনি শেষ ভবিষ্যবাণীটিও....। আসলো তারেক জিয়া। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী থেকে ক্ষমতা দখল করেছেন এই অপরাধ বাংলাদেশীদের অন্তত: গুলিয়ে খাওয়ালেও কেউ খাবেনা (সাধারণ ভোটারদের কথা বলছি)। ব্যক্তি জিয়াউর রহমানের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালবাসা অনেক উচঁুতে। যেমন এরশাদ সাহেব ক্ষমতাচু্যত হওয়ার পরও আমরা দেখেছি। এর কারণ এরা ছোট হোক বড় হোক এমন কিছু উন্নয়নের কাজ করেছে যেখানে সরাসরি সাধরণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। সেটা জিয়াউর রহমানের খাল কাটার প্রকল্প হোক আর এরশাদের গুচ্ছগ্রাম আর উপজেলা হোক।
যেহেতু শেখ হাসিনার ছেলে বিদেশ থাকে তাকে কেউ চেনেনা দেখেনি সুতারাং তাকে নিয়ে ভাবনার কোন অবকাশ কারো ছিলনা। কিন্তু তারেক জিয়ার প্রথম বক্তব্য যখন মানুষ শুনেছে তখই মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে এই আমাদের শহীদ জিয়া ফিরে এসেছে। গলার আওয়াজের মাঝে কতলোক জিয়ার মিল খুঁজে পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আমি বিশ্বাস করতে শুরু করলাম দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান বাংলাদেশ এবার ঘুরে দাড়াবে। আসলেও সে পারতো, তার পক্ষেই একমাত্র সম্ভব ছিল। বয়সের কারনে হলেও দুই নেত্রীকে বিদায় নিতে হতো। তখন নতুন প্রজন্মের কাছে ক্ষমতা আসতে বাধ্য। কিন্তু নতুন প্রজন্মের নতুন নেতা তারেক জিয়া (এখন যার নাম কোন একটা গালাগাল ছাড়া আমার মুখে আসেনা) সকলের বিশ্বাসের গুড়ে বালি দিয়ে নিজে শুরু করলেন স্মরণকালের সেরা দূর্নীতি। হাওয়া ভবন আর ১০% বা কমিশন বাণিজ্য শব্দগুলো ইতিহাস হয়ে থাকবে। গরীব মানুষের আয় উপার্জনের জন্য সিএনজি বাহন অথবা সভ্যতার প্রথম ধাপ যে বিদু্যৎ তা সম্পসারণে খুঁটি/খাম্বা থেকে চাঁদা/কমিশণ তাকে করেছে অভিশপ্ত। খাম্বার অভাবে িবদ্যুত পৌঁছায়নি এমন গ্রামের সংখ্যা তখনকার পত্রিকা খুললেই পাওয়া যায়। অনেক দেশেই দূর্নীতি আছে পাশাপাশি দেশের মানুষে মৌলিক চাহিদা কিংবা তার থেকে মেটানো হচ্ছে সরকারী ভাবে। সেখানে দূর্নীতি চলে উপরিমহলে যার দ্বারা সাধরণ মানুষের কোন হয়রানি হয় না।
অথচ আমরা কতবড় দূর্ভাগা জাতি না হলে তারেকের মতো একজন নেতা এত অল্পসময়ে সরাসরি নিম্নপর্যায়ে গরীব মানুষের পেটে লাথি মারা টাইপের দূর্নীতি করতে পারে।
আমার আরেকটি বিশ্লেষন হলো কে বা কাহারা আওমীলীগকে ভোট দিলে দেশ ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাবে এই জিনিসটা সাধারণ জনগণকে ভালোই খাওয়াতে পেরেছে অনেক বছর (এখন কি পরিস্থিতি জানিনা)। এছাড়া ভারতবিরোধী এবং পাকিস্তান পন্থা এই দুই Flavor রাজনীতিতে ভালোভাবেই মিশিয়ে দিলো কারা যেন। আওয়ামীলীগ হচ্ছ ভারতপ্রেমী অন্যরা ভারতবিদ্বেষী অথবা বলা যায় আওয়ামীলীগ হচ্ছে পাকিস্তান বিরোধী এবং অন্যরা সব পাকি প্রেমী। যাইহোক মূল বিশ্লেষনটি হচ্ছে, স্বাধীনতা যুদ্ধ, রাজাকার, যুদ্ধ পরবর্তী সরকার পরিচালনায় শেষ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা এবং এরশাদ পরবর্তী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আওয়ামীলীগের বা শেখ হাসিনা সমালোচনার কারণে তুলনামূলক ভাবে বিএনপির প্রতি মানুষের Soft Corner বেশী ছিল যার কারণে ৯১ তে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু আশানুরূপ সাফল্য দেখাতে না পারার দরুন কিংবা দেখা যাকা আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা কেমন দেশ চালাতে পারে জনগণ ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটায়। সেবারও আশানুরূপ সাফল্য জনগণ পায়নি। তাই আাবা বিএনপি ক্ষমতায় এলো। এবারই যুক্ত হলো নতুন প্রজন্মের নায়ক তারেক জিয়া। যা অতি অল্প সময়ে খলনায়ক চরিত্র রূপান্তরিত হলো।
একমাত্র তারেক জিয়া পারতো এদেশকে উদ্ধার করতে। দূর্নীতি করে যে সম্পদ সে বানিয়েছে তার থেকে বেশী সম্পদের সে মালিক হতে পারতো সাথে জনগণের চোখের মনি হয়ে থাকতো যদি একজন সৎ নেতা হতো। কিন্তু এখন তার শৈশব-কৈশর আর যৌবনের দিনগুলো মানুষ খঁুজে বের করে দেখেছে যে সে আসলে একটা আপদমস্তক বেয়াদপ, কুলাঙ্গার, চরিত্রহীন, চিটিংবাজ আর বাটপার। যদিও ভাঙা সুটকেসের গল্প পুরোনো তারপরও হিসাব কষলে মাথা কাজ করেনা কিভাবে সম্ভব জিয়াউর রহমানের ছেলে এমন হতে পারে? যে জিয়া কিশোর বয়সি ছেলেকে কোমরের বেল্ট খুলে পেটাতে পারে অর্থাৎ তার শাষন, শৃঙ্খলা কেমন ছিল পরিবারে। আমি নিশ্চিত জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর সেই শাষন আর শৃঙ্খলা খালেদা জিয়া ধরে রাখতে পারেন নি।
আজকের বিএনপির ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত, অমিত সাহ ফোন করেছেন এই ধরনের চিটিংবাজী, স্বাক্ষর জাল করে কংগ্রেসের বিবৃতি তৈরী ইত্যদি সবই আমাদের নতুন প্রজন্মের কুলঙ্গার নেতা তারক রহমানের ইচঁড়ে পাকা মস্তিকের ফসল। অপর দিকে শেখ সজীব ওয়াজেদ জয় যাকে কেউ চিনতো না, কিভাবো আওয়ামীলীগের মূল ধারার রাজনীতিকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। যত কোটি টাকায় দূর্নীতি হোক না কেন এমন নয় যে দুটি দলের একদল দূর্নীতিবাজ আরেক দল নয়। আমরা সাধরণ জনগণ দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই লড়াই করবো। কিন্তু যখন শুধুই একদল আরেক দলের এমন কোন দোষ নিয় তর্ক করতে চায়বে যা তাদের নিজেদের মধ্যে আছে তখন আমাদের তাতে তাল দেওয়াই উচিত।
যেমন আমার নিজস্ব মতামত বা বক্তব্য হলো সাধরণ জনগণের উচিত দেশের উন্নয়ন কোন দল বা সরকারের ভুমিকা কতটুকু তা বিচার করে ভোট প্রদানে সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেমন, বিদু্যত খাতে দূর্নীতির কারণে গত বিএনপি সরকারের আমলে এই খাতে জনগণ কোন উন্নতি দেখতে পায়নি। কিন্তু দূর্নীতি করে যদি সারাদেশে বিদু্যত ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারতো তাহলে আমরা উন্নয়টুকু দেখতাম দূর্নীতি হয়তো ভুলে যেতাম আবার আওয়ামীলীগ আমাদের স্মরন করিয়ে দিতো। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সীমাহীন দূর্নীতি হচ্ছে এবং হবে কিন্তু এর দ্বারা দেশ কতটুকু এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা দেখার বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ চাওয়া মূলত নতুন প্রজন্মের সুতরাং উন্নয়নের বিচার নতুন প্রজন্মকেই করতে হবে। আমার প্রসংগটি হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে নয় তারেক জিয়ার কাছে থেকে এমন একটি প্রকল্প পেলে হয়তো আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে মানুষ অনেক দূরে ফেলে দিতো (জানিনা কত দূরে)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঠিক তার উল্টোটা হচ্ছে, শুধু তারেক জিয়ার কারনে বিএনপির রাজনীতি এখন অস্তিত্বের সম্মূখীন। যদি বাড়িয়ে বলি, আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীর দোষ-ত্রুটি এক দাড়ি পাল্লায় আর অন্য পাল্লায় শুধু খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেকের দোষ-ত্রুটি রাখা হলে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার পাল্লায় ভারী হবে যখন আপনি এই বিশ্বাস করবেন যে তারেকজিয়া একমাত্র সম্ভাবনাময় নেতা হতে পারতো যা ১৯৯০ সালের এরশাদ সরকারকে বিতাড়িত করার পরথেকে নতুন প্রজন্ম বিশ্বের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আমার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে একজন নেতা খুঁজে বেড়াচ্ছে।

সেদিন হঠাৎ দেখলাম খালেদা জিয়া তারেক ছাড়া নতুন বিএনপি। আমি জানিনা কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এটি করলো অথবা এটি কোন ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা। কারা আছেন এর সাথে তাও জানিনা। কিন্তু শুনে খুব ভাললাগছিল আবার স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করছে যদি সত্যি তাই হতো, খালেদা জিয়া আর তারেক ছাড়ায় বোঘ হয় আসল বিএনপি তার বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরে পেতো। আমি এখন বিদেশে থাকি পরিবার সহ। মাঝে মাঝে ভয় হয় আর মাইকেল মধুসুধনের কথা মনে পড়ে যেন, হেরে যেয়ে দেশে ফিরে যেতে না হয়। দেশের প্রতি টান অনুভব করি বলেই বিদেশের এই ব্যস্ততার জীবনে এটুকু লেখার প্রয়াস। আমি যে দেশে আছি এটি বিশ্বের অন্যতম ধণী রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত। এখানকার স্বাধিনতা, স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজনীিত আর বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সব বিশ্লেষন করে দেখেছি কিভাবে স্বাধীনতার পর থেকে ৪৯ বছর একটি রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন করে আসছে। দেশটি এখন এতোই উন্নত আর এর অবদান বর্তমান সরকার তথা যে রাজনৈতিক দলটির তাতে বিরোধী দলের নিজেদের প্রতিও আত্মবিশ্বাস নেই যে তারা ক্ষমতাই গেলে দেশ চালাতে পারবে। বিরোধী দল এখানে রাজনীিত করছে শুধুই সরকার ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা এবং জনগণকে সে সম্পর্কে সচেতন করা যেন প্রতিটি বিষয়ে তারা তাদের মতামত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে।

চলবে...............
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×