পত্রিকার খবরে ধর্ষণ ফেসবুকের নিউজ ফিডে ধর্ষণ টেলিভিশনের শিরোনামে ধর্ষণ।প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধর্ষণ গবাদি পশুর চারণ ভূমিতে ধর্ষণ চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ।মসজিদের ইমাম করে ধর্ষণ মন্দিরের পুরোহিত করে ধর্ষণ কিয়াংয়ের ভান্তে করে ধর্ষণ প্রাইভেট টিউটর করে ধর্ষণ চার্চের ফাদার করে ধর্ষণ।আকাশে পাতালে পাহাড়ে এমনকি হাসপাতালে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ধর্ষণ।সব ধর্ষণের শক্ত সাবুদ প্রমাণ না থাকলেও ধর্ষণের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।বললে অত্যুক্তি হবে না তিন পার্বত্য জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে খুব বেশি আর ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ নারীই আদিবাসী তবে এখানকার অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনার মামলা মোকদ্দমা হয় না এবং প্রিন্ট অনলাইন মিডিয়াতেও তেমন একটা প্রচার করা হয় না।মিডিয়াতে প্রচার না হওয়া মামলা মোকদ্দমা দায়ের না হওয়ার পেছনে রয়েছে যথেষ্ট অদৃশ্য কারণ যা শুধুমাত্র তৃতীয় চোখেই অবলোকন করা যায়।ইস্পাত কঠিন সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এই পবিত্র বঙ্গভূমিতে নির্দোষ ও মুলা চোরের ফাঁসি আর সাত খুন মাফ করে বেকসুর খালাস দেওয়ার যথেষ্ট নজীর আছে এখানে ধর্ষণের মতো অপরাধ তো একেবারেই মামুলি তারপরও পত্রিকার খবর দেখে নিউজ ফিডের খবর দেখে টিভির পর্দায় শিরোনাম দেখে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা গুম হচ্ছে দেখে সাত খুন মাফ হচ্ছে দেখে মুলা চুরির অভিযোগে ফাঁসি হচ্ছে দেখে আমার এখন মুখে গামছা বেঁধে হাসতে ইচ্ছে হয়।চোখে রুমাল চেপে কাঁদতে ইচ্ছে হয়।ইচ্ছে হয় দুইশো লিটারী কেরোসিনের ড্রামের উপর দাঁড়ায়ে একটা ভাষণ দিতে।
যে ভাষণের শুরুতে থাকবে না আদাব সালাম;শুরুটাই হবে ‘ওরে শুয়োরের বাচ্চারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে এখন একটু মানুষ হ’ !