somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খাবার এসে গেলে সেটা আপনার মোবাইল এর ক্যামেরা সবার আগে খায়

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



Camera eats first ক্যামেরা আগে খায় হলো, লোকেরা খাওয়ার আগে ডিজিটাল বা স্মার্টফোন ক্যামেরা দিয়ে তাদের খাবারের ফটো তোলার আচরণ এবং সাধারন বৈশ্বিক ঘটনা, বেশিরভাগই ফটোগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে। আপনি তারা তাহারা উনারা কেনো করেন এই কাজ? ছবি তুলে কাকে কি দেখাতে চান? নাকি আপনার বিজনেজ প্রোমোশান? চামুচ, থালার বিজ্ঞাপন?

১। আপনি মাসে ১-২ বার রেস্টুরেন্টে খেতে আসেন, তার এটা কে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে চান, আপনি যখন অনেক দিন পর সেই খাবারের ছবি দেখবেন, আপনার হয়ত সেদিন এর কথা মনে পড়বে কিংবা সেই খাবার আবার খেতে ইচ্ছে করবে।
২। আপনি এই খাবারের ছবি তুলে, বাসায় এসে ছবি দেখে দেখে ঠিক একই রকম খাবার বানাবেন।
৩।আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন দের দেখাতে চান যে, আপনি খরচ করে দামি খাবার খেতে পারেন।
৪। আপনি স্ট্যাটাস মেইন টেইন করতে চান।

বর্ধিত সংযোগ এবং সন্তোষজনক মানসিক চাহিদা এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস প্রকাশ করানো হয় তারা কী খাবার খায় আর কোথায় খায় তা দেখানোর মাধ্যমে।
আমি মনে করি এটি একবিংশ শতাব্দির একটি সামাজিক ব্যাধি, কারন আপনি খাবারের ছবি আপনার গরিব বন্ধু বান্ধব আত্মীয়দের দেখাতে চান, দেখাতে চান আপনি অনেক" কুল" এবং প্রগতীশীল সুশীল সমাজের সদস্য, আপনি সেই খাবারের ছবি দিয়ে দেখাতে চাইলেন আপনি এলিট ক্লাবের সদস্য এবং আপনি অনেক সুখী।
আপনি খাবারের ছবি তুলে আপলোড করেন, কারন প্রতিদিন আপনার সেই খাবার খাওয়ার যোগ্যতা নাই। আপনি ভাত, ডাল, লাক শাক, টমেটো ভর্তা এর ছবি তুলে স্যোশাল মিডিয়াতে দেন না কেনো? দেখতে খারাপ?
ছবি তুলতে দোষ নেই, কিন্তু আমি আপনার নিয়্যত জানি, আপনারা স্যোশাল মিডিয়াতে সবাই দেখাতে চান যে আপনারা অনেক সুখী।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এই প্রথম কোন ব্লগারের সাথে আড্ডা :-B

লিখেছেন সোহানী, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০১



জীবনের ১৬ বছর ব্লগে কাটিয়েও কারো সাথে কখনই আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়নি। বা বলা যায় দেখা করারই সুযোগ হয়নি। যাহোক, এবার সে সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের আবহাওয়াবিদ ব্লগার [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/mostofa_kamal|মোস্তফা কামাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ - সারা'কে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০


আমার কর্মস্থল আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১১৪০ কিলোমিটার দূরে, অন্তত গুগল ম্যাপ সেটাই বলছে। তবে অতটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাকে প্রতিদিন যেতে আসতে হয় না। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনার কীর্তিকলাপ, কিংবা পাগলামি, কিংবা ভালোবাসা

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

অহনা খুব জ্বালাতন করতো, অর্থাৎ খুব জ্বালাত,
বা বিরক্ত করতো আমাকে, যেমন, হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে
মোবাইলে কল করে বলতো, ‘তুই যে ঘুমিয়েছিস, ঘুমানোর
আগে কি আমার কথা ভেবেছিস? বল, কতবার ভেবেছিস?
তাহলে একবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ১৫ বছর

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

১৫ বছর পূর্তির এই পোস্টটা যখন লিখছি, তখন আমি একটা বড় পারিবারিক দূর্বিপাকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার ছোটভাইয়ের কনিষ্ঠ পুত্র, যার বয়স ১১ মাস, সে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিব্যক্তি

লিখেছেন আরোগ্য, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০





১. অদ্ভুত মোহ মায়ার জগৎ এটা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে জেনেও বারবার আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় রত থাকি। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কেউ আর বেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×