আপনার বিনোদনের খোরাক শেষ, এখন একমাথ সম্বল আপনার মোবাইল ফোন, যেটি আপনি খুব আরাম করে ওপেন করে নিউজ ফিড এ ঢু মারতে চান।
আপনি ফেসবুক স্ক্রল করছেন, আঙ্গুল দিয়ে বরাবর সোয়াইপ করে যাচ্ছেন, দেখলেন মক্কা মদিনার ভিডিও আর সাথে ইমোশনাল কোরআনের কোনো আয়াত কিংবা হাদিসের অডিও, মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ পড়লেন আর লাইক কমেন্ট দিলেন। কমেন্টে আমীন বললেন, আবার নিছে স্ক্রল করতে করতে দেখলেন, কোনো এক রমণীর অন্তর্বাস এর বিজ্ঞাপন, অথবা কোনো এক নারী লাইভ করছে, তখন বলবেন থুক্কু নাউজুবিল্লাহ, কিন্তু ট্যারা চোখে ঠিকই দেখে ফেলেছেন অলরেডী। একটূ একটূ করে ডোপামিন আপনার মস্তিস্কে ঢুকছে।
আরো নিচে যাবেন দেখবেন, হাদিসের মিমস , অমুক তমুক দোয়া ৩০ বার আসরের নামাজের পর পড়লে ৮০ বছরের গোনাহ মাফ।
তো আমাদের কি তাহলে ফেসবুকে ওযু করে আসা উচিত? আপনি অপবিত্র অপবস্থায় মক্কা মদিনার ছবি দেখবেন, কোরআনের আয়াত পড়বেন? ফেসবুকে সবাই তাদের পার্সোনাল লাইফ প্রদর্শিত করে, আর আপনি আসবেন দ্বীন প্রচার করতে কিংবা দ্বীনি জ্ঞ্রান বিতরন করতে? আপনি দেখবেন আপনাদের বন্ধু বান্ধব দের হানিমুনের এ্যালবাম, হাজারো অশ্লীল প্রাঙ্ক, মানসিক বিকারগ্রস্ত নারীদের টিকটক, ভাদাইম্যা টাইপ মজার মজার কৌতুক, মেয়েদের পণ্য বিক্রির লাইভ আর সাথে থাকবে আপনার দ্বীনি উপকরন। আপনি এক প্ল্যাটফর্মে সব পাচ্ছেন।
দাওয়াতি কাজ শুধুমাত্র খানকা, মসজিদে, সংগঠনে, ওয়াজ মাহফিলে মাইকিং ও লেখালেখির কাজে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না, ফেসবুকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে আর বলতে হবে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে সুস্থ সামাজিক বিনোদনের পাশা পাশি মুমিন বান্দারা অশেষ নেকি হাসিল করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০