সকালে কাজে যাওয়ার সময় মোবাইল থেকে ফেসবুকে লগইন করতেই দেখলাম এক বন্ধুর স্ট্যাটাস "বাইরে পিকেটাররা হামলা করেছে, আমরা ল্যাব এ আটকা পড়েছি। "
আতকে উঠলাম। এ কি শিক্ষা প্রতিষ্টান না যুদ্বক্ষেত্র? জীবনের টানে এই প্রবাসে চলে না এলে আমিও আজ ঐখানে থাকতাম
আমার এই বন্ধুটি চবির ছাত্র। আজ তাদের ব্যাবহারিক পরীক্ষা ছিলো। চতুর্থ বর্ষের শেষ পরীক্ষা। আজ পরীক্ষা হয়ে গেলেই অনার্স লাইফ শেষ হয়ে যেতো, এখন আবার ও কম করে হলেও আর তিন মাসের অপেক্ষা। তার ও কয়েক মাস পর রেজাল্ট। এই বছরে আর পাশ করে বের হওয়া বোধহয় হলোনা। মাত্র একটি দিনের জন্য তিন মাস পিছিয়ে যাওয়া। এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো গত এপ্রিল মাসে। মজার একটা ব্যাপার হলো, এই ব্যাবহারিক পরীক্ষার রুটিন যখন ডিপার্টমেন্টের নোটিশ বোর্ড এ দিয়েছিলো, তখন আমার এই বন্ধুটি সেই রুটিনের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছিলো যাতে অন্যরা সবাই রুটিন জানতে পারে। সেখানে লেখা ছিলো 4th year exam, 2008 চিন্তা করন একবার।
মাঝে মাঝে অবাক লাগে, সময়ের যে কি মূল্য সেটা আমরা কবে বুঝব?
এখানে যখন সপ্তাহে চার দিন ক্লাস করে বাকি তিনদিন কামলা দিতে হয় , তখন মনে হত শালারা কত মজায় আছে, ক্লাস করে আর আড্ডা দেয়। আজ মনে হয় যাক, অন্তত চার বছরের পড়া ছয় বছরে তো আর পড়তে হয় না.।
এই লেখা যখন শেষ করছি, তখন ঐ বন্ধুর সাথে কথা হলো। অনেক ঝামেলা করে অবশেষে শহরে বাসায় ফিরেছে। মনে হলো শরনার্থী শিবির থেকে ফেরা কারো গলা। নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায়।