somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন ঢাকা চাই?

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেমন ঢাকা চাই।
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

রাজধানী ঢাকা। আমরা কেউ বলি আমাদের প্রাণের শহর ঢাকা। কেই বলি প্রাণ নেয়ার শহর ঢাকা। বিশ্বের দূষিত নগরী গুলোর মধ্যে ঢাকার স্থান দ্বিতীয়। তবুও অনেকেই বলেন ঢাকা ছাড়া তাদের চলে না। তাদের ভালো লাগে না। আসলে সেটা হলো একটা জায়গার প্রতি দীর্ঘদিন থাকার পর মায়া পেড়ে যাওয়ার কারণে বা কমুনিটির সাথে একাত্মতার কারণে। এই মানুষগুলো বাইরের কোনো উন্নত শহরে যখন ২/৪ বছর থাকেন তখন আর তারা এটা বলেন না। তারা বলেন কিভাবে যে এই শহরে মানুষগুলো থাকে এটাই বুঝিনা।

আসলেও তাই। ২০ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টায়। তারপর রাস্তার পাশে থাকেনা ফুটপাথ। সেখানে আবার হকার রিকসাওয়ালাদের দখল। বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজের খোড়াখোড়ি। বর্ষা আসলে সেটা বেড়ে যায় ৩-৫ গুণ। আর কতো যন্ত্রণা। এখনো ঢাকার যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়।

রাস্তায় বের হলে নিএনজি ভাড়া এমনিতে বেশী তার উপর আবার, মিটারে যেতে চায়না। গেলেও আবার জ্যামের মধ্যে প্রতি মিনিটে ২টাকা করে উঠে। হায়রে মধ্যবিত্ত। কোন জনমে কোন পাপের এই ফল সে কেবল বিধাতায় জানে। উবারের ভাড়া কয়জন মধ্যবিত্তের পোষায়?

বাসে গেলে কখনো বাসই ঠিকমতো মিলেনা। বাস মিলেতো ওঠা যায়না। মানুষের কনুইয়ের ঘুতো খেয়ে কদাচিত উঠতে পারলে সিট খালি নেই। দাড়িয়ে থাকতে গেলে কারো গায়ে পড়তে হয় বা গায়ের সাথে লেগে যেতে হয়। সে লোক আবার চিল্লাচিল্ল শুরু করে দেয়। যদিওবা সিট পাওয়া যায় সিটের মধ্যে হাটু ঢুকেনা, জায়গা কম। সিটের মধ্যে ময়লা ভালো কাপড় পড়লে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। সাদা শার্ট পড়লে নগদে বরবাদ। মাঝে মধ্যে পেরেক টিনের কোণা বের হয়ে থাকে জামা কাপড় ছিড়ে যায়। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে সিট ভিজে যায়, কখনো গ্লাস ভাঙ্গা থাকে। কন্টাক্টরকে বলেলে। সে বলে মামা সকালে ভাঙছে। হয়তো এটা ছয়মাসের ভাঙ্গা। প্রতিদিনের যাত্রীদের সে একই কথা বল

ভাড়া দিতে গেলে বনে না। কান্টাকটর ভাড়া বেশী নিতে চায়। হয়তো লোকাল বাসগুলোকে কয়দিন পর সিটিং বানায় তারপর ভাড়া দেড়গুণ করে তিন ছয়মাস আবার লোকাল বানায় ভাড়া কিন্তু সিটিং হিসেবে নেয়। কিছু দিন পর আবার নতুন করে সিটিং বানায় আবার দেড়গুন ভাড়া। একটা মজার খেলা যেন।

বাসের স্টাপরা নাকি পয়সা চুরি করে। যত টাকার ভাড়া কালেক্ট হয় বা টিকেট বিক্রি হয় ততটাকা জমা দেয়না। অথবা টিকেটের বাইরে ব্লাকে যাত্রী তোলে। ফলে মালিকের নাকি বিশাল ক্ষতি হয়ে যায়। তাই তারা কয়েক কিলোমিটার পরপর চেকার নিয়োগ দেন। চেকার চেক করে দেখে কতজন লোক উঠলো দিনশেষে সেই হিসেবে করে বাসের ড্রাইভার কন্টাকটর মালিককে পয়সা দেয়। যেহেতু চেকার রাখার জন্য মালিকের খরচ বেড়ে গেছে তাই ওই গাড়িতে ৩০ টাকা বা ৫০ টাকার কমে ভাড়া নেই। আপনি যেখানে নামুন। মানে ১০ টাকার ভাড়াও ৩০ টাকা ৫ টাকার ভাড়াও ৫০ টাকা। বাহ সুন্দর সমাধান। আমি জানি না। এই আজগুবি সমাধান পৃথিবীর কোনো দেশে আছে কিনা। কার দোষের জন্য কে জরিমানা দেয়।

স্টাফরা চুরি করে সেটা ঠেকাতে হলে প্যাসেঞ্জারকে জরিমানা দিতে হবে। এর উদ্ভট আইডিয়া শুধু বাংলাদেশেই চলতে পারে। কোনোরকম প্রতিবাদ প্রতিরোধ ছাড়া। যেন পাবলিকের পাবলিক হওয়াটাই একটা পাপ।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও সিলেটের লোকেরা হয়তো একটু ভালো আছে। কারণ তাদেরকে বলতে শুনি ঢাকায় আসলে তাদের দম বন্ধ হয়ে যেতে চায়। কিন্তু তবুও আসতে হয়। কারণ এদেশের সরকার বলি অথবা আমলা বলি নীতি নির্ধারকরা পুরো দেশটাকে এক শহরের দেশ বানিয়ে রাখতে চায়। সকলকিছুর কেন্দ্রবিন্দু কেন ঢাকায় হতে হবে? এটা আমার মাথায় আসেনা। পৃথিবীর কোনো দেশেই এই কুবুদ্ধি অনুসরণ করা হয়না। কেবল বাংলাদেশ ছাড়া।

কেন সবকিছুর কেন্দ্রীয় অফিস ঢাকায় হতে হবে? কেন সেরা বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল সব ঢাকায় হতে হবে? কেন সব বড়ো পরীক্ষাগুলো এবং চাকরীর ইন্টারভিউগুলো ঢাকায় হতে হবে? আমি জানি না। আমরা নিজেরা সবকিছু ঢাকায় করার চেষ্টা করি। আর দোষ তুলে দেই যানজটের উপর। এত ফ্লাইওভার, রিকসাবিহীন রাস্তা করেও যখন যানজট কমছেনা তখন বোঝা উচিত সমস্যা অন্য কোথায়ও থাকতে পারে।

সরকার বা জনগন আমাদের সবারিই জানা আছে। ঢাকা শহরের রাস্তার সংখ্যা কত। রাস্তাগুলোর মাপ কেমন? সেখানে কি পরিমাণ গাড়ি চলেতে পারে। এখন গাড়ি কমালেতো জনগন কি করবে। তাহলে আমরা কেন কাজগুলো বিভাগে, জেলাশহরে নিয়ে যাইনা। প্রতিদিন দূরপাল্লার বাসে চড়ে কি পরিমাণ লোক ঢাকায় আসে? কেন তাদের আসতে হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশে যদি ছোট একটা কাজের জন্য মানুষকে ঢাকায় আসতে হয় তাও আবার একবার নয় বার বার তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়ালো সে ভাবনা আমরা ভাবতেই পারি।
ঢাকা শহরে গাড়ীর সংখা কেমন। এবং অনর্যােন্য সুযোগ সুবিধা তা সত্বেও আমরা এখানো আরো বাড়ী গাড়ি অফিস আদালত বাড়িয়ে চলেছি। যে অফিস গুলো বা ব্যবসায়রে কেন্দ্রীয় কারযালয়গুলো বা সরকারী দপ্তরগুলো ঢাকায় হওয়া জরুরী নয় সেগুলোতে আমরা ঢাকার বাইরে সরিয়ে নিতে পারি।

আমি অস্বীকার করছিনা। ঢাকা বাংলাদেশের একেবারে কেন্দ্র অবস্থিত। সারাদেশের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার মাঝখানে রয়েছে এটি। কিন্তু কি লাভ হলো যদি একজন মানুষ ময়মনসিংহ থেকে ৩ ঘন্টা সময় নিয়ে ঢাকায় আসে আর তাকে সচিবালয় যেতে আরো ৩ ঘন্টা লাগে। তাহলে সচিবালয় মুন্সিগঞ্জে হলেতো ক্ষতি ছিলো না।

একজন রোগীকে ঢাকায় ৪ ঘন্টার যাত্রায় এনে বিমানবন্দর থেকে পিজি হাসপাতাল যেতে যদি ৩ ঘন্টা লাগে। তাহলে তার জীবন মরনের দায়ভার কে নেবে? এজন্য অনেকে বলে ঢাকায় মানুষ বাঁচতে আসেনা মরতেও আসে। মফস্বল থেকে ঢাকায় আনার পথে প্রতিমাসে কি পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার কোনো হিসেবে বা পরিসংখ্যান না থাকতে পারে কিন্তু আমার মনে হয় এমন মানুষ কমই আছে যার কোনো আত্মীয় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখী হয়নি।

হাঁ ঢাকার কাছাকাছি নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর বাদে আরো কয়েকটি শহর রয়েছে। ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে কুমিল্রা, ভৈরব, আশুগঞ্জ, দাউদকান্দি, মানিকগঞ্জ ইত্যাদি। আমরা কিছু দপ্তর ও সেবা এসব জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। সংসদ ভবন বাদে অন্যগুলো স্থানান্তর করা মোটেই কঠিন নয়। আর সংসদ ভবন রাজধানীতেই থাকা উচিত। কিছু প্রাইভেট সেক্টর গাজীপুর, সাভার ও নারায়নগঞ্জে তাদের সেবা সরিয়ে নিয়েছে। তাতে কিছু চাপ কমেছে আবার যতটা কমার দরকার ছিলো ততটা কমেনি। কারণ এগুলো প্রথমত এগেুলো বেশীরভাগ শিল্পকারখানা আর এগুলো মহাসড়কের পাশে আর কাছাকাছি শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ন করা হয়েছে। এখানো কাছের শহরগুলোকে মেঘাসিটি মাস্টার প্লানের আওতায় না আনলে ভবিষ্যত হবে ভয়াবহ। আগামী ২শ বছরে শহর কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে। পুরো এলাকা চিহ্নিত করে এসব এলাকায় বাড়ি, ঘর, ভবণ, রাস্তা এসব নির্মানকে একটি ম্যাপ এবং নীতিমালার মধ্যে আনা উচিত।

আর একটা কথা না বললেই নয়। ঢাকা শহরে নতুন কোনো আবাসিক এলাকা হলে সেখানে তারাই ৫টি প্লট পান বা কেনেন যাদের আরো ১০টি প্লট আছে। এ এক অসভ্য নিয়ম। একই শহরে একজন ব্যক্তির একাধিক রেসিডেন্স এর কোনো যুক্তি আছে কিনা? ফলে নগরীরর আবাস সংকট কখনো সমাধান হয়না। এজন্য নীতিমাল থাকা উচিত। একই শহরে একজন মানুষের ২টির বেশী বাড়ি বা রেসিডেন্সিয়াল প্লট থাকতে পারে না। এবং কোনো ব্যক্তির ৩টি শহরের বেশী কোনো শহরে বাসযোগ্য বাড়ি বা জমি থাকতে পারে না। সর্বমোট গ্রাম ও শহর মিলে ৫টির বেশী ভিটা জমি ও বাড়ি থাকাও অবৈধ ঘোষনা করতে হবে। এই নিয়ম এক দম্পতির জন্য প্রয়োজ্য হবে। যাতে স্বামী স্ত্রী মিলে ৫ দুগুনে ১০ না হয়ে যায়। মনে হয় এটাও বেশী হয়ে যায়। যার এক শহরে দুটি বাড়ি থাকবে এবং একাধিক শহরে বাড়ি থাকবে এবং গ্রামে ও শহরে মিলি ২টির বেশী বাড়ি থাকবে তার বাড়ির হাইজিং টেক্স বাড়িয়ে দ্বিগুন বা তিনগুন করে দিতে হবে। এতে সরকারও লাভবান হবে।

তাতে করে ধনীরা তাদের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করবে। এতে করে দেশে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান দুটোই হবে। এভাবে অনুৎপাদনশীলখাতে বিনিয়োগ বাড়ার কারণে দেশে বেকারত্ব হুহু করে বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বড়ো কথা দেশে পন্য উৎপাদিত হলে বিদেশের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। এবং মূল্যবান অর্থ বিদেশে চলে যাওয়া কিছুটা কমবে।

ঢাকার যানজটের জন্য আমরা কয়েকটি বিষয়কে ঢাকা সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি। ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র একশো কিলোমিটার। আগামীদিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তায়িত হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলোদেশের মানুষও এক শহরে বসবাস করে অন্যশহরে গিয়ে কাজ করে আবার নিজের শহরে ফিরতে পারবে। সেজন্য কুমিল্লার মতো ঢাকা আশপাশের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যের শহরগুলোকে এখনি একটি মেঘা প্লান এর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এখানে যত্রতত্র অপরিকল্পিত স্থাপনা নিরমাণ বন্ধ করতে হবে। এইসব নগরীকে ভিন্ন ভ্ন্নি বিষয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে। ঢাকার উপর চাপ কমাতে হবে। আবাসনের জন্য এই নগরীকে ঠিক করা যায়। তবে রাজধানীর জন্য এটা সঠিক নয় কারণ এটা অন্যদেশের বগলের ভেতর। এটা কোনো দেশের রাজধানীর জন্য উপযুক্ত নয়। তবে এই নগরীকে শিক্ষা বা চিকিৎসা যেকোনো একদিকে বিশ্বমানের করলে ঢাকার লোকেরা এখানে এসে বসবাস শুরু করবে। এমনকি শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ভারত থেকেও লোক আসবে।

যেমন কুমিল্লাকে চিকিৎসার জন্য ঠিক করলে ও টা্ঙ্গাইলকে শিক্ষানগরী হিসেবে এখানকার শিক্ষা উন্নয়নের গুরুত্ব দিতে হবে। মুন্সিগঞ্জকে চেন্নাইয়ের মতো আইটি শহর বা সিলিকন ভ্যালী গাজীপুরকে মুম্বাইয়ের মত ফিল্ম সিটি বানানো খুব কঠিন হবেনা যদি আমরা এখন থেকে পরিকল্পনা করে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারি। মানিকগঞ্জে গ্রামীণ আবহটা ধরে রেখে নরংদীতে ট্যূরিজম ভিলেজ গড়ে তোলা যায়। এই শহরগুলোকে মেট্রোরেল রুটের সাথেও সংযুক্ত করা যায়। শিল্পকারখানা পদ্মানদীর অপারে উৎসাগিত করা যেতে পারে। তাহলে হয়েতো রাজধাণী সরানোর প্রয়োজন পড়বেনা। তা না হলে অচীরেই রাজধানী ঢাকা থেকে সরানোর প্রয়োজন হেতে পারে। যেমন করে পাকিস্তানর রাজধানী করাচি থেকে ইমলামাবাদ আর ভারতের দিল্লী থেকে নয়াদিল্লি নিতে হয়েছে।

এর ফলে ঢাকাগামী প্রবণতা কমবে। আর ঢাকার মানুষকেও প্রয়োজনে অন্য শহরে যাওয়ার দরকার হতে পারে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
আবার আমরা অন্যভাবেও ভাবতে পারি। আমাদের দেশ সতেরকোটি মানুষের দেশ। এই দেশকে আমরা কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে ফেলতে পারি। মনে রাখতে হবে ১৭ কোটি মানুষ অস্ট্রেলিয়া মহাদেশেও নেই। তাই প্রশাসনিক এবং উন্নয়ন এর সুবিধার্থে এটা করার যেতে পারে। জরুরী নয় আমাদের প্রদেশগুলো ভারতের মতো প্রাদেশিক সরকার পদ্ধতেত ভাগ করতে হবে। জরুরী নয় এগুলো আমেরিকার মতো গর্ভনর দিয়ে আলাদা করতে করতে। এগুলো বিভাগ হিসেবেও থাকতে পারে। বিভাগীয় পরিষদ করে তাদের হাতে কিছু দায়িত্ব ন্যস্ত করা যেতে পারে। এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে সচিবালয় থাকবে। সহকারী ও উপসচিবগণ সেখানে বসবেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কিছুকাজকে সেখানে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যাতে করে লোকজনকে সরকারী ও দাপ্তরিক কাজে ঢাকা শহরে আসতে না হয়। এভাবে অন্তত ২৫ ভাগ প্রতিদিনের যাত্রী আর ২০ ভাগ স্থায়ী বসতি স্ফাপনকারীকে ঢাকা আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। যেসব মন্ত্রণালয় প্রথম দিকে বিভাজন করলে বা বিকেন্দ্রেীকরণ করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন, পুলিশ, বিডিআর ইত্যাদি সেগুলো অভিন্ন থাকতেই পারে।

এছাড়া এই ব্যবস্থার আরো কিছু সুবিধা আছে। যেমন ধরুন দেশে ষোলোটো বিভাগ রয়েছে। তাহলে ষোলে বিভাগের ষোলোটা বিকেএসপির মাধ্যমে প্রতিটি খেলায় ষোলোটি টিম করে প্রতিযোগিতা করলে খেলাধুলায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পর্যটন কর্পোরেশন, শিক্ষাবোর্ড এবং আলাদা আলাদা হলে পারষ্পরিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগুলোতে পদ্ধতি ও মানগত উন্নয়ন সাধিত হবে।
ধরলাম দেশে বারোটা বিভাগ রয়েছে। তাদের আলাদা বারোটা ট্যুরিজম বোড রয়েছে। এতেকরে লাভ হলো প্রত্যেকে তার নিজের এলাকার টূরিজমমে প্রমোট করবে। এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টূরিজম বিকশিত হবে।

অথবা ধরে নিলাম। দেশে দশটা বিভাগ রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে দশটা শিক্ষাবোড ও দশটা টেক্সবুক বোর্ড রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় শিক্ষাবোডর নির্দেশনা অনুযায়ী একই শিক্ষানীতির অধীনে আলাদা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে করবে। এতে করে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। কোনো এক বিভাগের ইংরেজী পাঠক্রম কোনো বিভোগের আইটি পাঠক্রম, কোনোবিভাগের আইন পাঠক্রম, কোনো বিভাগের ও গনিত পাঠক্রম খুব ভালো। সে বিভাড়ের শিক্ষার্থীরা ওইসব বিষয়ে ভালো করছে। পরে অন্যবিভাগ সেটা ফলো করতে পারে। এবং এভাবে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে শিক্ষার উন্নয়ন হবে। কোনো বিভাগের শিক্ষাবোর্ডের কোনো পাঠক্রম বা পাঠ্যপুস্তক বানাতে সমস্যা ও সক্ষমতার অভাব থাকলে তারা কেন্দ্রের সাহায্য নেবে বা অন্য বিভাগেরটা অনুসরণ করবে। এটা খুব জটিল কোনো বিষয় নয় মোটেও। িএটা কেবল নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রশ্ন। ভারতের কেরালা রাজ্য এক্ষেত্রে একটা উদাহরণ।

মনে করি দেশে আটটা বিভাগ, রাজ্য বা স্টেট রয়েছে। এখানে যদি আটটি স্থানীয় সরকার থাকে। যাদের হাতে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র ব্যতিত অন্যান্য দায়িত্বগুলোর কিচু অংশ থাকবে। তখন তারা নিজেদের রাজ্য উন্ণয়ন করবে। কোনো দূনীতি হলে সেটা পুরো দেশে ক্ষতি হবেনা। তাদের মধ্যে দূনীতি আইনশৃংখলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে। সরকার প্রতিবছর উ্ন্নয়ন এর বিভিন্ন সূচককে সামনে রেখে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এতে করে অনেকেই তাদের চিন্তা ও মতামত কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। সবচে বড়ো কথা ঢাকার উপর চাপ কমবে। ঢাকাকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হয়ে পড়বে।

সরকার ইত্যোমদ্যে ঢাকায় মেট্রোরেল, বুলেটট্রেণ, ফ্লাইওয়ার সহ অনেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এসব প্রকল্প ঢাকা শহরের যানজটকে একটুও কমাতে পারেনি। ভাবতে অবাক লাগে যদি এগুলো না হতো তাহলে না জানি পরিস্থিতি আরো কত খারাপ হতো।
ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা যানজট ও পরিবেশ। এ বিষয়ে আমি আমার কয়েকটা পরামর্শ পেশ করতে চাই।

ঢাকায় আরো প্রচুর নতুন রাস্তা দরকার। এগুলোর জন্য জমি একটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সবক্ষেত্রে তা হয়তো নয়। যেমন বিমানবন্দরের ধারঘেষে রাস্তা, পুরুনো বিমান বন্দরের ধারঘেষে রাস্তা, গুলশান লেকের পাশঘেষে রাস্তা, ক্যান্টনমেন্ট এর ধারঘেষে রাস্তা, বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগনদী এবং রামপুরা খালের পাশ ঘেসে রাস্তা। এসবের জন্য শুধু সরকারের অন্য বিভাগ থেকে রাস্তার জায়গাটা অধিগ্রহণ করলেই হয়ে যায়। তাহলে আরো তিন শতাংশ রাস্তা বের হয়ে আসেব।

যদিও এটা এখন বাস্তাবায়ন করার খুব কঠিন হবে আগে পরিকল্পনা করলে ভালো হতো। সেটাহলো বেগুনবাড়ী থেকে। বারিধারা পর্যন্ত নৌপথ। ছোট ছোট বোটে যাত্রী চলাচল সুবিধা। যদিও ঢাকা শহরের চারপাশ দিয়ে ন্যৌপথ জনপ্রিয় করার প্রকল্প হোচট খেয়েছে। ধারণা করা হয় নাব্যতা ও নিরাপত্তা এই দুই কারণে সেটা জনপ্রিয় হয়নি।

কোনো স্থানে আন্ডারপাস বা টানেল নির্মাণ করা যেতে পারে। যেমন বিমানবন্দরের নিচদিয়ে রাস্তা করা। কমলাপুর রেলস্টেশান এর উপর দিয়েও রাস্তা হতে পারে।

ঢাকা শহরের বাসস্টপেজগুলোকে শহর থেকে আরেকটু বাইরে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন। যে বাসগুলো ময়মনসিংহ থেকে মহাখালী আসে। সেসব বাসের অধিকাংশ যাত্রী আগে নেমে যায়। তাছাড়া বড়ো গাড়ীগুলো শহরে না আসাই ভালো। এগুলো আবদুল্লাপুর পর্যন্ত করা যায়। সায়দাবাদ বাস টামিনাল কাচপুর নেয়া যায়। অন্তত সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেয়া যেতে পারে। কাচপুর তেকে রুপসী হয়ে মুড়াপাড়া বাজারের ভেতর দিয়ে যে রাস্তা তিনশফিট এর সাথে মিলেছে এটাকে চার লেন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এখানে কি পরিমাণ যানজট হয় যারা ২/১বার সপথে গিয়েছেন তারাই টেন পাবেন।

আরেকটা কথা আমাদের স্মরণ করা দরকার সেটা হলো মহাসড়কগুলোকে লেন বাড়ানো হলেও ব্রিজগুলো কিন্তু আগের মতোই আছে। আপনি একটা পাইপকে অনেক মোটা করলেন আর তার মাথাটা অতোটা মোটা নয়। তাহলে ওই পাইপ দিয়ে ততটায় পানি পার হবে যতটা তার মূখ দিয়ে যায়, যতটা তার পেট দিয়ে যায় ততটা নয়।

রুপগঞ্জ ব্রিজটা না হওয়া অবাক ব্যাপার হওয়াটা স্বাভাবিক। আশা করি এটা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। খুব বেশী দূরত্ব নয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।

আশার কথা যে পাতাল ট্রেন প্রকলেপর নকশা ও ম্যাপ হয়ে গেছে ২ দিন আগে পরে এটি বাস্তাবয়ন হবে। মেট্রোরেলের রুট জনবহুল এলাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সংযোগ রেখে করা হয়েছে। এর পোশাপাশি শহরের ক্রসরেল প্রয়োজন। এপ্রান্ত তেকে ওপ্রান্তের জন্য। এটা পাতাল ভিত্তিক করা সম্ভব না হলে উড়াল লাইনেও হতে পারে। অথবা এটা বুলেট ট্রেন প্রকল্প জাপানের ফ্লাই ট্রেনের মতো করতে হবে। ৭. দুইহাজার সালের দিকে একটি জরিপে দেখেছিলাম। ঢাকা শহরের মধ্যে প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল জনিত কারণে যে পরিমাণ সিগনাল পড়ে যে সিগনালে পড়ে যে পরিমাণ গাড়ীর যে পরিমাণ তেল অপচয় হয়। তা দিয়ে প্রতি ২ বছরের তেলের টাকায় একটা যমুনা সেতু হতে পারে। ভাবতে অবাক লাগে শুধু ট্রেন না অন্যান্য কারণে যে পরিমাণ যানযট হয় তাতে কতোটাকা আমরা প্রতিনিয়ত লোকসান দিচ্চি। বলছিলাম কমলাপুর রেল স্টেশানকে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে সরানোর চিন্তাও করা যেতে পারে।

ঢাকা শহরের লোকাল বাস আরি রিকশাগুলো যানজেটর অন্যতম কারণ। রিকশা নিয়ন্ত্রণ করা হলেও লোকাল বাস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। এগুলোকে লেনবন্দী করার পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়েছে। তবে কিছু কাজতো অবশ্যই এখনো করার আছে। প্রতিটি বাসের উপরে কিউসি কোড এবং বারকোড থাকা উচিত। এমনকি গাড়ির সামনে পিছে ও ডানে বামেও থাকতে হবে। থাকতে হবে নাম্বারের সাথে এবং বিআরটিএর রেজিস্টার বুকে। ল্যাম্পপোস্টের লাগানো ক্যামেরা যাতে রিড করতে পারে সেভাবে লাগাতে হবে। কোনো গাড়ি লেন ক্রস করলে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুললে, বেশী গতিতে চালালে, অন্য গাড়িকে ধাক্কা দিলে, বেআইনি পার্কিং বা ওভারটেকিং করলে কন্টোলরুমে বসেই সেই গাড়িকে চিহ্নিত করা যাবে। এবং সেখান থেকে গাড়ির নামে মামলা রুজ্জু হবে। মালিক ও ড্রাইভারের মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে যাবে।

অথবা ট্রাফিক পুলিশের হাতে ডিজিটাল ক্যামরা থাকবে। গাড়িগুলো যখন সড়কের মাঝখানে দাড়িয়ে যাত্রী তুলবে। অথবা একটা গাড়ী অন্য গাড়ীকে সাইড না ধেয়ার জন্য রাস্তা বন্ধ করে রাস্তায় জ্যাম লাগিয়ে দিবে তখন ক্যামেরায় ছবি তুলবে। সে ছবি পাঠিয়ে দেয়া হবে পরিবহন আদালতে। আদালত ছবি দেখে তাৎক্ষনিক জরিমানা করবো। জরিমানার টাকার জন্য মালিককে আদালতে যাওয়ার দরকার নেই। মালিকপক্ষ আগেই গাড়ি প্রতি ৫০ হাজার টাকা জমা রাখবে। সেখান থেকে জরিমানার টাকা কেটে যাবে। এবং মালিকের মোবাইলে একটা মেসেজ চলে যাবে। এজন্য আলাদা পরিবহন আদালত গঠন করতে হবে। সেটা হবে ডিজিটাল আদালত।সেটা হবে অনলাইন ভিত্তিক। এই মামলা তখনি শুনানিতে গড়াবে। যদি মালিক আপীল করে। আপীলে নিদোষ প্রমাণ হলে টাকা ফেরত পাবে। আর কোনো মালিক ৫০ হাজার টাকা জমার বিপরীতে এক বছরে যদি কোনো জরিমানার মুখোমুখি না হন। তাহলে তার জন্য ৬% হারে মুনাফা দেয়া যেতে পারে। কোনো মালিক যদি রোড জামানতের টাকা না দেন তাহলে তাহলে তাকে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে নির্ধারিত জরিমানার তিনগুন। এতে করে সকলেই অগ্রিম জামানত দিতে উদ্ভুদ্ধ হবে। এভাবে হাজার হাজার গাড়ী থেকে যে পারিমাণ জামানত আসবে সেগুলো দিয়ে আরো একটা পদ্মাসেতু বানানো যাবে।

এ ধরনের অভিযোগ শুধু ট্রুাফিক পুলিশ করতে পারবে তা নয়। যে গাড়ি বা ড্রাইভার অন্যগাড়ি দ্বারা আক্রান্ত হবে। তারাও ছবি তুলে এ ধরনের অভিযোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে পরিবহন আদালতে প্রতিটি পাড়ির মালিকের পক্ষ থেকে আইনজীবি রাখার প্রয়োজন নেই। মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও সরকার আলাদা আলাদা আইনজীবি রাখলেই হবে।

এমনকি সিসিটিভি ক্যামরা দিয়েও এ ধরনের কাজ চালানো যাবে। সেজন্য গাড়িগুলোর ছাদে, সামনে পিছনে ডানে বামে গাড়ীর নাম্বার ছাড়াও প্রতিটি গাড়ীর বারকোড বা কিউসি কোড থাকবো যাতে করে। ক্যামরো ছবি তোলার সাথে সাথে কোড স্ক্যান হয়ে গাড়ি সনাক্ত হয়ে যায়। এবং গাড়ী ও গাড়ীর মালিকের সমস্ত তথ্য সহজে বের হয়ে আসে।

যেসব গাড়ী একবছরের মধ্যে কোনো ধরনের অপরাধ সংগঠণ করবেনা। সেসব গাড়ীর মালিক জামানতের বিরীতে ছয় শতাংশ মুনাফা পাবে। যেহেতু সরকার এই অর্থ কোথাওনা কোথাও বিশেস করে নতুন ব্রিজ তৈরীতে বিনিয়োগ করবে সেজন্য জমাকারীকে শর্তসাপেক্ষে মুনাফার অংম দেবে। এই মুনাফা আসবে সরকার যেসব ব্রিজ তৈরীতে টাকা লগ্নি করেছে সে ব্রিজের অর্জিত টোল থেকে। ফলে এই জামানত দেয়ার ব্যাপারে মালিকদের আপত্তি থাকবেনা।

হযতো মাত্র ২০ ভাগ মালিকই লাভের অংশ পারে। ফলে সরকারের জন্য পুরো প্রকল্প লাভজনক হয়ে উঠবে। অথবা এতে করে যিদি সড়কে ৫০ ভাগ শৃংখলাও ফিরে আসে সেটাও একটা সফলতা।

আন্তজেলা বাসগুলোকে ঢাকা শহর বাদ দিয়ে চলাচল করাতে হবে। যেমন যে বাস চট্টগ্রাম থেকে রংপুর যাবে। তাদের জন্য শহরের পাশদিয়ে রাস্তা থাকা ভালো।

এগুলো আমার একান্ত নিজের ভাবনা থেকে লেখা। বিভিন্ন সময় অনেক সচেতন নাগরিকদের অনেক পরামর্শ দেখি। অনেকগুলোই ভালো লাগে। সেগুলো বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনলাইনে আছে। সেগুলো রিপিট করে লেখার কলেবর বাড়াতে চাইনি।

এবং দেশের প্রতিটি সেক্টর নিয়ে আমার রয়েছে হাজার হাজার ভাবনা। সেগুলোও এখানে আলোচনা জরুরী নয়। প্রিয় পাঠক এখানে কোনো পরামর্শ আপনাদের মনমত নাও হতে পারেন। সেটাই স্বাভাবিক। আবার দুই একটা ভালো লাগতে পারে। যদি ভালো লাগে। সেগুলো আপনারা বিভিন্নভাবে শেয়ার করে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন। জনমত তৈরীতে ভূমিকা রাখুন। বলা যায়না। সরকারের কোনো কর্তাব্যক্তির এগুলো চোখে পড়তে পারে। ভালো লাগলে বাস্তবায়িত হতে পারে। প্রয়োজন নেই। এসব আইডিয়া বাস্তবায়ন হলে দেশের কাজ হলেও সেটাই সবচে বড়ো পাওয়া আমার, আপনার এবং আমাদের সবার।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×