কাজ শেষে ক্লান্তি যখন আমার সঙ্গি হয়, তখন হেলেদুলে ফিরি নিজ ঘরে। ঘর বলতে আমার ঐ চিলেকোঠার মত চোট্ট একটি ঘর। বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে পরি। ঘুম ঘুম লাগে। দিনের আলো তখন হলদে আর লাল হবার খেলায় ব্যস্ত।
পালা কবুতর গুলো শেষ বারের মতো আকাশে পাক খেতে থাকে। বাচ্চা গুলো খেলছে আর চিৎকার করছে। সাথে যোগ হয়েছে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির। যেন সব কিছু মিলে একাকার।
পাখিরা ক্লান্ত ডানায় ভর করে নীড়ে ফিরে যাচ্ছে। কী সুখ তাদের! সঙ্গী-সাথীর কোন অভাব নেই। হিংসে (!) হয় মাঝে মাঝে। হঠাৎই বিদ্যুৎ খেলার মত মনে যায় একটি অচেনা হওয়া মুখ। হঠাৎ হঠাৎ আমার কী যেন হয়! কেন তাকে আমি মনে রাখবো, কীসের জন্য? না! আমি তার কেউ নই, সেও আমার কেউ না।
মন! তুমি বড্ড বেয়ারা হয়েছ আজ-কাল। কথা শুনতে চাওনা। কেন বলতো? কী হয়েছে তোমার? কেন স্মৃতিটাকে আমার খাবলে উঠিয়ে নিয়ে আসতে চাইছো?
নাহ! বড্ড ঘুম পাচ্ছে। গভীর ঘুম.......
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৩