এক মুখ দাঁড়ি গোফ
বয়সের তালে তালে ছোপ ছোপ
কিছু নেই তার অনুসঙ্গে
পাগল !! সাপ লুডু খেলছে জীবনের সঙ্গে ।
ভারতীয় গায়ক সুমন চট্টপাধ্যায় ( আমরা যে সময় তার গান শুনে বড় হচ্ছিলাম তিনি তখন সুমন চট্টপাধ্যায় ) পাগলদের নিয়ে এই অসাধারন গানটা লিখেছিলেন। নানা চেহারার পাগল দেখি নতুন ব্রীজে,সদ্যপাকা রাস্তায় চলে যওয়া গ্রামে, হাই-ওয়ে,মসৃন ইচ্ছের শহরে। তারা হঠাৎই বইয়ে,সাহিত্যে,মিডিয়া,মূভিতে,চোখাচোখি হয়, আমরা তাদের কে সহানুভূতি দেখাই বা আনন্দ করি, মজা পাই । জীবন উপভোগের একটি অংশ হয়ে সে পাগল এক সাথেই ঘোরে আমাদের জীবনের সঙ্গে।
ইদানিং বেড়ে গেছে পাগলের সংখ্যা। সীমান্তের হাইওয়েতে এখন প্রায়ই নানা চেহারার পাগল চোখে পড়ে। গ্রামে গঞ্জে শহরের রাস্তায় নানা পাগল এসে ঘুরে বেড়ায়। পঞ্চগড় থেকে তেতুলিয়া যেতে বড় রাস্তাটা প্রায় সীমান্ত ঘেসে চলেগেছে। এ রাস্তায় প্রায়ই চোখে পড়ে পাগল। কোথাথেকে আসে এরা ?
এদের ভাষা দুর্বোধ্য । গ্রামে একজন অপরিচিত এলে সবাই কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু এসব পাগলদের ভাষা বোঝা যায়না। চেহারার সাথেও বাংগালীপনা মেলেনা।
জানা যায় এসব পাগল ভারত থেকে আসছে । কিন্তু কাটাতার দিয়ে সু- পরিবেষ্টিত সীমান্ত দিয়ে এসব পাগল কিভাবে ঢুকছে বাংলাদেশে?
অমরখানা গ্রামের সরিফুলের বাড়িতে ৩ মাস যাবত একটি পাগল রোজ সকালে এসে খাবার খায়। ঠিক দুপুর বেলা সে সীমান্তের কাছাকাছি একটা যায়গায় সুর্যডোবা পর্যন্ত বসে থাকে। জিজ্ঞেস করলে সে ওপারের দিকে ইশারা দেয়। এর পর ঐ গ্রামের অনেকে বিজিবির সহায়তা নিয়ে ঐ পাগল টিকে ভারতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ রাজি হয়না।
গ্রামের অনেকেই বল‘ল সীমান্ত দিয়ে পাগল গুলোকে বাংলাদেশ পার করে দিচ্ছে ভারত। প্রথমে হোচট খেতে হলেও সুরক্ষিত কাটাতার ডিঙ্গিয়ে পাগলরা কিভাবে পার হয়ে আসবে নিজে নিজে ? তাহলে কি সত্যি ইন্ডিয়া পাগল গুলোকে বাংলাদেশে পার করে দিচ্ছে? খবরটি সত্যি হলে সব মানুষের জন্যই মর্মান্তিক ।