ঝিমিয়ে পড়া মস্ত শহরের ফাঁদ আর ক্লান্তির অতল থেকে একটুখানি মুক্তির জন্য নদী ভ্রমণের কোন তুলনাই হয় না । তবে ঢাকাবাসীর যেন কষ্টের শেষ নেই । শহরের পাশে নদীগুলোতে ঘোরার মতো অবস্থা আর নেই । বিশ্রী দুর্গন্ধ, একটু পর পর কোন না কোন লঞ্চ আসছে-যাচ্ছে, অনেক প্যাসেঞ্জার নৌকা - সব মিলিয়ে কেমন যেন একটা গাদাগাদি অবস্থা ।
তাই মুক্তির জন্য একটু দূরেই চলে আসা ।
জায়গার নাম ষাটনল লঞ্চ ঘাট । লঞ্চ ঘাটের একদম কাছেই (২ মিনিটের দূরত্ব) আছে পর্যটন পার্ক ।
তবে অতিরিক্ত আশা নিয়ে বা ঢাকার অনেক দূর থেকে কারো আশার দরকার আছে বলে মনে হয় না । কারণ, সত্যি বলতে কি এখানে দেখার মতো কিছুই নেই । শুধুমাত্র লঞ্চঘাটটাই অনেক সুন্দর । ছবির মতো প্রথমে সেতু টাইপ একটা চওড়া জায়গা দিয়ে কিছু হেঁটে এরপর বাশের সাঁকো দিয়ে অনেকখানি হেঁটে এরপর মাটি পাওয়া যাবে । আর পর্যটন পার্কটা আসলে নদীর পাশে বাউন্ডারি দিয়ে দেওয়া একটা জায়গা যেখানে বসার জন্য ২/৩ টা ঘরের মতো করে দেওয়া আছে । এছাড়া দেখার মতো কিছুই নেই ।
শুধুমাত্র নাগরিক মোহ থেকে একটু ছুটি লাভ করতে চাইলে আর যদি শুধুমাত্র নদী দেখাটাই উদ্দেশ্য হয় তাহলে আসতে পারেন । ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে একদম নীরবে নদীর পাশে বসে টলটলা পানি আর গ্রামীণ জীবন দেখতে দেখতে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে আসলে মন্দ লাগবে না
আসা যাওয়ার পথে এমন আরও অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে ! সাথে আছে নদীর মৃদু বাতাস যা মনকে দূরে উড়িয়ে নিয়ে যাবে
দুপুরে এবং সন্ধ্যায় তোলা ডাঙা থেকে ঘাটের পুরো ছবি
ঘাট থেকে ডাঙা এবং ডাঙায় যাওয়ার পুরো বাঁশের সাঁকো আর কাঠের পুল
যাওয়ার উপায় >> নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাট থেকে চাঁদপুরগামী যে কোন 'লোকাল' লঞ্চে উঠলেই ১.৩০ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন । আবারো বলছি, লোকাল লঞ্চ । কারণ, ডিরেক্ট লঞ্চ ষাটনল ঘাট টাচ করে না ।
ভাড়া >> ডেক ৪০/= আর সিট ৫৫/=
খাবার >> তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই ২/৩ টা স্থানীয় ছাপড়া হোটেল ছাড়া
সিকিউরিটি >> যদিও ঘাট আর পার্কে তেমন মানুষ থাকে না তবে যারা আছে তারা সবাই স্থানীয় গ্রামের মানুষ । যথেষ্ট আন্তরিক ।
হ্যাপি_ট্রাভেলিং
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২