গল্প: বিখ্যাত কবি মাহমুদুর রহমানের পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট এর চাকরি পেলো এক কবিতাপ্রেমী মেয়ে। না, চাকরি নয় আসলে! বলা যায় স্বপ্ন পূরণের একটা রাস্তা খুঁজে পেলো কবিতায় বুঁদ হয়ে থাকা মেয়েটি। কবিতা পাগল মেয়েটির নাম নিতি। যার কবিতা পড়ে প্রিয় অনেক সময় কাটিয়েছে নিতি তার কবিতা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! তাই মা বা ভালোবাসার মানুষ কারো কথা না শুনে কাজে যোগ দিলো সে। কিন্তু যে দুঃখবিলাসি কবিকে কল্পনা করেছিল, বাস্তবে এই কবির সাথে কোনও মিল খুঁজে পেলো না সে। এই কবি কেমন যেন পাগলাটে, কাজের মাঝে হঠাৎ করেই উদ্ভট কিছু কথা বলে, আবার তার ঘর থেকে হঠাৎ হঠাৎ একটা চিৎকারও ভেসে আসে! কী যেন আড়াল করতে চাইছেন কবি, আর চাইছেন তাঁর অ্যাসিস্টেন্ট মানে নিতি যেন তাঁর প্রেমের বিষাদ একটু ছুঁয়ে দেখে!
কবি চরিত্রে আসাদুজ্জামান নূর, নিতি চরিত্রে তারিন আহমেদ, মা চরিত্রে দিলারা জামান, আর নিতির ভালোবাসার মানুষ হিসেবে রওনক হাসান অভিনয় করেছেন। এমন শক্তিশালী অভিনেতাদের একসাথে দেখাটাও ট্রিট। স্লো-পেসড গল্পটা টেনে নিয়ে গেছে কবির সংলাপগুলো। সাথে আছে গল্পের রেশ ধরে রাখা আবহ সংগীত, অদ্ভুত সুন্দর!
একজন কবি কীভাবে দেখে, চিন্তা করে, কীভাবে কবিতার পঙক্তিগুলোর জন্ম দেয় এগুলো সুন্দর করে দেখিয়ে দিয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর। কবিতাপ্রেমী মেয়ে হিসেবে যদিও আমাদের কল্পনায় একটা কমবয়সী মেয়েই চলে আসে সবসময়, তবুও তারিন আহমেদ বলে কথা! কবিতার প্রতি ভালোবাসা যেন তিনি চোখের ভাষাতেও বুঝিয়ে দিয়েছেন। রওনক হাসান আর দিলারা জামান অল্প সময়ে মুগ্ধ করেছেন। নাটকে তারিনকে বিরক্ত করার মতো বাস্তবেও দর্শকদের বিরক্ত করেছেন পাশের বাসার আন্টি! টয়োটার সাধারণ এলিয়ন গাড়ি দেখে তিনি ডায়লগ দিয়েছেন – ‘এত্ত দামি গাড়ি আমি জীবনেও দেখি নাই!’
এই ঈদে একই রকম প্রেম-ভালোবাসার গল্পের নাটকের ভিড়ে ভালোলাগার একটা কাজ হয়ে থাকবে হাসান রেজাউলের পরিচালনায় ‘জলছবি’ শিরোনামের নাটকটি। টুকটাক কিছু ফ্লো’স বাদ দিলে, বেশ ছিমছাম, সুন্দর কাজ। আমার কাছে নাটকের শেষটা বেশ ভালো লেগেছে, সুন্দর সমাপ্তি!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫