somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলস ফ্রম দা “গবেট’স ল্যান্ড’- একটি সল্প দৈর্ঘ্য একশন ফ্লিম by Tales From The GOBET

১৯ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গবেট ল্যন্ড পরিচিতি পোস্ট(এই পর্ব বুঝার জন্য আবশ্যক ;)...)
Click This Link
টেলস ফ্রম দা “গবেট’স ল্যান্ড’- একটি সল্প দৈর্ঘ্য একশন ফ্লিম
by Tales From The GOBET"s Land


টেলস ফ্রম দা “গবেট’স ল্যান্ড’
(এটি কিছু গল্পের সমাহারে এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক। যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোন ঘটনা বা কোন চরিত্র কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির সাথে মিলে যায় তা হবে সম্পূর্ণ কাকতলীয়। এর মধ্যে কোন কিছু ব্যস্তবের সাথে এমন কিছু পেলে আপনি একজন গবেট, এবং আশা করি আপনে তা কোনদিন প্রমান করবেন না. এই লেখা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সংশোধন, বিয়োজন, আর যে ভাবে সম্ভব করে নামে , বে নামে, যা ইচ্ছা করে যতবার, যাকোনভাবে ব্যবহারের স্বত্ব সকলকে দেয়া হল)

একটি সল্প দৈর্ঘ্য একশন ফ্লিম

বিশ্বাস হয় না।এই ঠাঠা রোদে, ঘেমে কাহিল হয়ে , হাটতে হাটতে কেউ স্বপ্ন দেখেতে পারে। জানি আপনাদের ও বিশ্বাস হবে না । কিন্তু কি জানি ঘটল গত সপ্তাহেই। ঘটনা শুধু স্বপ্ন বা নাটক – সিনামাতেই দেখা সম্ভব। যাই হোক গল্পে আসি।সরি গল্পতো নয়, স্বপ্নে যা দেখেছি তাই বলি।
না, তার আগে আমার একটা আনুরোধ, দয়া করে আমার মাঠে ঘাটে এই স্বপ্ন দেখার ব্যরামটা সারানোর কোন ওষুধ জানা থাকলে আবশ্যই জানাবেন। খুব বিপদে আছি। লোকজন জানাচ্ছে এভাবে স্বপ্ন দেখলে বাস্তব জগৎ এর কিছু লোক আমার চিকিৎসার সর্বউৎকৃষ্ট ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু জানেনই তো কুকুরের পেটে ঘি সয় না, সুতরাং দয়া করে আমাকে বাচান।
যাই হোক ওই দিনকার (গত সপ্তাহের) ঘটনায় আর সপ্নে আসি। আমি একটা কাজে এলিফ্যান্ট রোডে গেছিলাম। ঐখান থেকে হেটে শাহাবাগের দিকে যাচ্ছি। যা গরম পরেছিল ঐদিন, আর বলার না। কাটাবন এর মোড় পার হবার পর দেখি কিছূ সেচ্ছাসেবি ফুটপাথ পরিস্কার করে রেখেচ্ছে , কেউ বা করার কাজে ব্যস্ত। সেচ্ছেসেবকরা কত ভাল আপনি আন্দাজ ও করতে পারবেন না। আসে পানি না পেয়ে, নিজের শরিরের রক্ত , সরি রক্ত না , শরিরের পানি দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে। রক্তই দিত, কিন্তু ব্যপারটা কার কারো কাছে ভিতিকর হতে পারে বলে জনসার্থ বিবেচনায় করা হয়নি। যাই হোক আমি আর রাস্তা নোংরা না করে রাস্তা পার হয়ে গেলাম। রাস্তা মাত্র পার হয়ে শাহাবাগের দিকে আগাইছি………………এমন সময়……………………

দেখা শুরু করলাম স্বপ্ন। ঢুকে গেলাম গবেটল্যন্ডে। আশ্চর্য বিষয়, গবেটল্যন্ডের রাস্তাটাও ছিল শাহাবাগ কাটাবনের রাস্তাটার মত। সবাই কর্মব্যস্ত। নিজেদের আন্তরিকতা প্রকাসের জন্য যে যার সাধ্য মত অন্য কে আটকাচ্ছে রাস্তায়। এতে সবার সাথে বেশী সময় কাটান যায়। আর বন্ধুত্ব বারে।
যাই হোক এবার আসি ঘটনায়। আমি দাড়িয়ে আছি থর্ন ফরেষ্ট আর আজিজ মিয়ার
বাজারের মাঝামাঝি। আমার সামনে দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী যাচ্ছে। হঠাৎ সিগনাল
পড়তে গাড়ি সব থেমে গেল। আর তখনই চার যুবক আমার সামনে দিয়ে দৌড়ে গেল।
একজনে হাতে কালো কি যেন দেখলাম। দুই জন দৌড়ে গিয়ে একটি গাড়ির পিছনের
দু দড়জায় , এক জন গিয়ে দাড়ালো ড্রাইভারের দরজার পাশে অন্য জন একটু
অন্য দিকে দাড়াল। এর পর সবাই এক সাথে কাজ করতে লাগল। প্রথম জনের হাতে
আবার একটা কালো জিনিষ দেখতে পেলাম। একটু পর আওয়াজ সুনে বুঝলাম পিস্তল।
প্রথমে সে গুলি করে দরজার গ্লাস ভাংগলো, তারপর সোজা সুজি গাড়ির ভিতরে
বসে থাকা এক বৃদ্ধলোকের পায়ে গুলি। তারপর দরজাটা খুলে, গাড়ির ভিতর থেকে
একটা ব্যগ তুলে নিল। অন্য দিকে আন্য পাসের আরেক জন শুধু হাতের পিস্তল তাক
করে দাঁড়িয়ে রইল। ড্রাইভারের দরজার পাশের লোকটা প্রথম জনের সাথে সাথে
ড্রাইভারের দরজার গ্লাস ভেংগে, দরজা খুলে , ড্রাইভার কে দিয়ে বনেট
খুলিয়ে, ড্রাইভারে কানের পাশে পিস্তল ধরে নামিয়ে, বনেট তুলে ধরে,
বনেটের ভিতর এরই মাঝে। আর তারপর দুই নম্বর জন আকাশের দিকে দুইটা গুলি
ছুড়ে, শান্ত ও ধীর স্থির ভাবে রাস্তা পার হয়ে এঞ্জেল গার্ডেনের রাস্তা
ধরে চলে যায়। ঘটনা শেষ মাত্র এক মিনিটে।কয়েক সেকেন্ড পরেই সিগনাল ছেড়ে
দেয়। গাড়ি আবার চলতে থাকে।শুধু মাত্র আক্রান্ত হওয়া গাড়িটী
ছাড়া।পিছনের গারি গুলো বিরক্তি সহকারে হর্ন দিতে থাকে রাস্তা আটকে
যাওয়ায়। এই সময় কাওকে বিরক্ত করা ঠিক না তাই।
ঘটনা শুনে ভয় পাচ্ছেন। আশেপাশের গবেটরাও ভয় পেয়েছিল। কিন্তু একটু ভেবে
দেখলে আসলে ভয়ের কিছু নেই। মাত্র ২৫ থেকে ২৫ মিটার দূরেই আস্ত একটা গাড়ি
নিয়ে ১০-১২ জন ফুলিশ দাঁড়ায় ছিল।তারাতো কিছু বলে নাই। উলটা আন্য দিকে
তাকায় থেকে আনান্য বিপদ সামাল দিছে। আর টেরাফিক ভাইতো সময় মত সিগনাল
দিল। সুতরাং এটা হয় কোন ছিনামা বা নাটকের দৃশ্য, না হলে ফুলিসদের কোন
মহড়া বা গবেষনা।
উপস্থিত সকল গবেট তখন মনে মনে ফুলিসদের উপভোগ্য এর মহড়া আয়োজনের জন্য
ধন্যবাদ দিতে দিতে যে যার পথ ধরল । আর কিছু গবেট এক টিকেটের দ্বিতীয়
ছবি দেখতে গাড়িটাকে ঘিরে ধরল। আন্যদিকে ফুলিসরা এগিয়ে আসতে লাগল তাদের
দ্বায়িত্ব পালনের জন্য। তারপর………………………

তারপরের ঘটনা আর দেখা হল না…………………… স্বপ্ন ভেংগে গেল। আমি ঘেমে গোছল করে
দাঁড়িয়ে আছি সেই একি জায়গায়। আর আমার সামনে কিসের জানি জটলা। মা মানা
করছে বেশি ভিড়ে না যাইতে , তাই শাহাবাগের দিকে আগাইলাম। পিছনে পুলিসের
বাশির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে । আর আমার মাথায় তখন কিছু নাই। শুধু চিন্তা
করছি চা খাব কোথায় গিয়ে।

যাই হোক ভাই ও বোনেরা দয়া করে কারো এই স্বপ্ন দেখার হাত থেকে বাচার
রাস্তা থাকলে আতি শীঘ্রই আমাকে জানান। বড়ই পেরেশানিতে আছি।

লেখকঃ রাহাত খান
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×